সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“এমন কিছু যা সকলের জন্য আনন্দ নিয়ে আসবে”

“এমন কিছু যা সকলের জন্য আনন্দ নিয়ে আসবে”

“এমন কিছু যা সকলের জন্য আনন্দ নিয়ে আসবে”

 নটা দ্বীপ নিয়ে গড়ে উঠেছে টুভালু নামের এক সুন্দর দেশ। দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের এই দেশে প্রায় ১০,৫০০ জন লোক বাস করে। সেখানকার যিহোবার সাক্ষিরা জানেন যে ঈশ্বরের “ইচ্ছা এই, যেন সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পারে” আর তাই তারা তাদের নিজস্ব ভাষায় বাইবেলের বইপত্র পাওয়ার জন্য অনেকদিন ধরে অপেক্ষা করে ছিলেন। (১ তীমথিয় ২:৪) কিন্তু সেখানকার ভাষার বইপত্র অনুবাদ করা খুবই কঠিন কাজ ছিল কারণ তাদের ভাষার কোন অভিধান ছিল না। ১৯৭৯ সালে যিহোবার সাক্ষিদের একজন মিশনারি যিনি টুভালুতে সেবা করছিলেন, তিনি সেখানকার ভাষায় বাইবেলের বইপত্র অনুবাদ করার কঠিন কাজটা হাতে নেন। এই মিশনারি ও তার স্ত্রী সেখানকার এক পরিবারের সঙ্গে থেকে তাদের ভাষা শেখেন ও ধীরে ধীরে টুভালু ভাষার একটা শব্দতালিকা বানান। আর ১৯৮৪ সালের মধ্যে ওয়াচ টাওয়ার বাইবেল আ্যন্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি টুভালু ভাষায় আপনি পরমদেশ পৃথিবীতে অনন্ত কাল বেঁচে থাকতে পারেন বইটা ছাপায়।

অনন্তকাল বইটার জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়ে টুভালুর প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ড. টি. পুয়াপু একটা চিঠি লিখেছিলেন। তাতে তিনি লিখেছিলেন: “এই বইটা টুভালুর মূল্যবান ‘ঐতিহ্যে’ আরেকটা নতুন ও গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। এই বইটা প্রকাশ করে আপনারা যা করেছেন তাতে আপনাদের খুশি হওয়া উচিত কারণ এই দেশের লোকেদের আধ্যাত্মিক জীবনকে গড়ে তোলার জন্য আপনাদের এই কাজ নিঃসন্দেহে চমৎকার। আমার বিশ্বাস যে টুভালুর ইতিহাসে যেখানে শিক্ষামূলক বই ছাপানোর কথা লেখা সেখানে আপনাদের এই কাজের কথা লিখে রাখা হবে। . . . এই [কাজটা] এমন কিছু যা সকলের জন্য আনন্দ নিয়ে আসবে।”

এই বইয়ের অনুবাদক টুভালু ভাষায় যে শব্দতালিকা বানিয়েছিলেন তার সাহায্যে ১৯৯৩ সালে একটা টুভালু-ইংরেজি অভিধান ছাপানো হয়। এটা ছিল টুভালুর সাধারণ লোকেদের জন্য মাতৃভাষায় প্রথম অভিধান। সম্প্রতি, টুভালুর জাতীয় ভাষা পরিষদ তাদের মাতৃভাষায় প্রথম অভিধান বানানোর জন্য এই অভিধান ব্যবহার করার অনুমতি চায়।

১৯৮৯ সালের ১লা জানুয়ারি থেকে টুভালু ভাষায় প্রতি মাসে একটা করে প্রহরীদুর্গ পত্রিকা ছাপানো শুরু হয়। যদি আপনি এই পত্রিকা অন্য কোন ভাষায় পড়েন, তাহলে ২ পৃষ্ঠা খুলে দেখুন না কেন যে সেই তালিকায় আপনার মাতৃভাষার নাম আছে কিনা? কোন সন্দেহ নেই যে মাতৃভাষায় পড়তে পারলে আপনি আরও বেশি আনন্দ পাবেন।