ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে থাকা
ঝুঁকি নিয়ে বেঁচে থাকা
“প্রত্যেক দিন আপনি যা কিছুই করুন না কেন, সমস্ত কিছুতে এমনকি ঘুমানোতেও ঝুঁকি রয়েছে আর সেটাই আপনার শেষ কাজ হয়ে দাঁড়াতে পারে।” —ডিসকাভার পত্রিকা।
জীবনকে, মাইন পাতা এলাকার মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে, যেখানে কোন সংকেত ছাড়াই যে কোন মুহূর্তে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বা মৃত্যু হতে পারে। একেক দেশে একেক রকম ঝুঁকি থাকে। কোন দেশে রাস্তায় দুর্ঘটনা, কোথাও বা গৃহযুদ্ধ, আবার কোথাও দুর্ভিক্ষ, এইডস, ক্যানসার, হৃদ্রোগ ও আরও অনেক ঝুঁকি রয়েছে। উদাহরণ হিসেবে আফ্রিকার উপ-সাহারা অঞ্চলের কথাই ধরুন, যেখানে এইডসের কারণে সবচেয়ে বেশি লোক মারা যায়। যেমন ইউ.এস. নিউজ আ্যন্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট জানায়, ইদানীং এইডসে আক্রান্ত হয়ে এক বছরে “২২ লক্ষ লোক মারা গেছে, যা আফ্রিকার গৃহযুদ্ধগুলোতে যত লোক মারা গেছে তার থেকে ১০ গুণ বেশি।”
মানুষের আয়ু বাড়ানোর এবং রোগ-ব্যাধি ও বিকলাঙ্গ হওয়ার ঝুঁকি কমানোর জন্য বিভিন্ন দেশ ইতিমধ্যে অনেক টাকা খরচ করছে। নানা ধরনের পরামর্শ দেওয়া হয় যেমন, পরিমিত খাওয়া-দাওয়া ও ব্যায়াম করা। এগুলো মেনে চললে কিছুটা উপকার পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু, এমন একটা উৎস আছে, যা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলোর ওপর নির্ভরযোগ্য তথ্য দেয় এবং এগুলো মেনে চলে আপনি এক নিরাপদ জীবন পেতে পারেন। আর এই উৎস হল বাইবেল। বাইবেলে অনেক নীতি আছে যেগুলো আমাদের
সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গলের সঙ্গে জড়িত এমন অনেক অনেক বিষয়গুলোকে সামলাতে সাহায্য করে। এটা ঠিক যে, বাইবেল প্রত্যেকটা সমস্যা সমাধান করার বিষয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বর্ণনা দেয় না। কিন্তু এর উত্তম নীতিগুলো আমাদের খাওয়া-দাওয়া, শারীরিক সুস্থতা, মানসিক চিন্তাধারা, যৌনতা, মদ্য পান, তামাক সেবন, মাদকদ্রব্য ও অন্যান্য বিষয়ে সঠিক নির্দেশনা দেয়।
এছাড়াও টাকাপয়সার টানাটানির জন্য অনেকের জীবন ভারগ্রস্ত হয়ে পড়েছে। এই বিষয়েও বাইবেল আমাদের সাহায্য করে। বাইবেল আমাদেরকে শুধু টাকাপয়সার প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি রাখার ও তা সঠিকভাবে কাজে লাগানোর কথাই বলে না সেইসঙ্গে আমরা কীভাবে এক উত্তম কর্মচারী বা মালিক হতে পারি তা-ও জানায়। সহজ ভাষায় বলতে গেলে বাইবেল হল এক উপকারী নির্দেশিকা, যা শুধু টাকাপয়সা ও সুখস্বাচ্ছন্দ্যের ব্যাপারেই নয় কিন্তু এটা জীবনেরও নির্দেশিকা। আপনি কি জানতে চান যে আজকের দিনে বাইবেল কতটা কাজে আসতে পারে? তাহলে পরের প্রবন্ধটা পড়ুন।