লাটভিয়ার লোকেরা সুসমাচারের প্রতি সাড়া দেন
রাজ্য ঘোষণাকারীরা বিবৃতি দেয়
লাটভিয়ার লোকেরা সুসমাচারের প্রতি সাড়া দেন
বাইবেল স্পষ্টভাবে বলে, ঈশ্বরের ইচ্ছা এই যেন “সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পারে।” (১ তীমথিয় ২:৪) এত বছর ধরে যারা সুসমচার শুনতে চাননি তারাই এখন তা শুনছেন! পৃথিবীর অন্যান্য জায়গার মতো লাটভিয়াতেও সব বয়সের এবং সবধরনের লোকেরা সুসমাচারের বার্তা শুনে এর প্রতি সাড়া দিচ্ছেন, যেমন নিচের অভিজ্ঞতাগুলো থেকে আমরা দেখতে পাই।
• পূর্ব লাটভিয়ার রিজেক্নি শহরে, এক মা ও তার কিশোরী মেয়ে রাস্তায় একজন মহিলার কাছে কিছু বিষয় জানতে চেয়েছিলেন। ওই মহিলা ছিলেন একজন যিহোবার সাক্ষি। মা-মেয়েকে প্রয়োজনীয় তথ্য দেওয়ার পর তিনি তাদেরকে সাক্ষিদের সভাতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
যেহেতু ধর্মের ব্যাপারে তারা খুবই আগ্রহী ছিলেন, তাই তারা সভায় যাবেন বলে ঠিক করেন। সভায় যাওয়ার সময় তারা ঠিক করেন যে সেখানে যদি ভুল কিছু বলা হয়, তাহলে সঙ্গে সঙ্গে তারা সেখান থেকে চলে আসবেন। কিন্তু, সভা শুনতে তাদের এত ভাল লেগেছিল যে সেখানে থেকে বের হওয়ার কথা তারা ভুলেও চিন্তা করেননি। তারা বাইবেল অধ্যয়ন করতে রাজি হন এবং নিয়মিত সভায় আসতে শুরু করেন। তিন মাসের মধ্যে তারা প্রচারে যাওয়ার জন্য তাদের ইচ্ছার কথা জানান এবং বাপ্তিস্ম নেওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন।
• পশ্চিম লাটভিয়ার একটা শহরে এক সাক্ষি ভাই, আ্যনা নামে একজন ৮৫ বছর বয়স্কা বৃদ্ধার কাছে যান, যিনি খুব আগ্রহ দেখিয়েছিলেন এবং বাইবেল অধ্যয়ন করার জন্য রাজি হয়েছিলেন। এতে তার মেয়ে এবং পরিবারের অন্যান্য লোকেরা প্রচণ্ড বিরোধিতা শুরু করে। কিন্তু আ্যনা সেই বিরোধিতা, বেশি বয়স বা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও নিয়মিত বাইবেল অধ্যয়ন করা ছেড়ে দেননি।
একদিন আ্যনা তার মেয়েকে বলেন যে তিনি বাপ্তিস্ম নেবেন। এই কথা শুনে তার মেয়ে বলেন, “তুমি যদি বাপ্তিস্ম নাও, তাহলে আমি তোমাকে নার্সিং হোমে পাঠিয়ে দেব।” মেয়ের এই কথা শুনে আ্যনা ভয় পেয়ে থেমে থাকেননি। অসুস্থ ছিলেন বলে তিনি তার নিজের ঘরেই বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন।
এটা দেখে আ্যনার মেয়ে কী করেছিলেন? তিনি তার মনোভাব বদলেছিলেন এবং বাপ্তিস্মের পর তিনি তার মার জন্য ভাল খাবারদাবারের ব্যবস্থা করেছিলেন। এরপর তিনি তার মাকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “বাপ্তিস্ম নেওয়ার পর এখন তোমার কেমন লাগছে?” এর উত্তরে আ্যনা কী বলেছিলেন? “মনে হচ্ছে যেন আবার নতুন করে জন্ম নিয়েছি!”
• ১৯৯৮ সালের ডিসেম্বর মাসে দুজন সাক্ষি বোন, প্রাক্তন সোভিয়েত ইউনিয়নের একজন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারের কাছে যান। যেহেতু তিনি সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস করতেন, তাই তিনি বাইবেল অধ্যয়ন করতে রাজি হন এবং পরে তার স্ত্রীও তার সঙ্গে যোগ দেন। তারা খুব দ্রুত উন্নতি করতে থাকেন এবং খুব শীঘ্রিই অবাপ্তাইজিত প্রকাশক হন। আর পরের গরমেই সেই আর্মি অফিসার বাপ্তিস্ম নেন। আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর জন্য এই দম্পতি যে ভালবাসা দেখিয়েছিলেন, তা দেখে মণ্ডলীর সবাই অনেক উৎসাহ পেয়েছিল। এছাড়াও, একটা বাড়িকে মেরামত করে সুন্দর একটা কিংডম হল বানানোর কাজেও তারা সাহায্য করেছিলেন।