সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

দরিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়াই এক ব্যর্থ লড়াই?

দরিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়াই এক ব্যর্থ লড়াই?

দরিদ্রতার বিরুদ্ধে লড়াই এক ব্যর্থ লড়াই?

 যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরে যারা বেড়াতে যান তারা অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ ভবনের পাবলিক গ্যালারির ছাদের দিকে তাকালে দেখতে পাবেন যে, পাইপগুলো ও বিদ্যুতের তার যে নলগুলোর ভিতর দিয়ে যায় সেগুলো ঝুলে পড়ছে। কেন এগুলো এমন অবস্থায় রয়েছে সেই সম্বন্ধে টুর গাইড বলেন: “‘অসমাপ্ত’ ছাদের কাজ রূপকভাবে ইঙ্গিত করে যে রাষ্ট্রসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়ন কাজ কখনও শেষ হয় না; পৃথিবীর লোকেদের জীবনযাপনের মান উন্নত করার জন্য সবসময়ই আরও কিছু করা বাকি রয়েই যায়।”

যদিও পরিষদ সকলের জন্য এক উন্নত জীবনযাপনের মান গড়ে তুলতে এক বিশেষ কাজের ভার নিয়েছে, তবুও তাদের কাজ যেন শেষই হয় না। আগ্রহের বিষয় হল যে, সা.কা. প্রথম শতাব্দীতে পৃথিবীতে পরির্চযাকালে যীশু খ্রীষ্ট বলেছিলেন: “প্রভুর আত্মা আমাতে অধিষ্ঠান করেন, কারণ তিনি আমাকে অভিষিক্ত করিয়াছেন, দরিদ্রদের কাছে সুসমাচার প্রচার করিবার জন্য।” (লূক ৪:১৮) সেই “সুসমাচার” কী ছিল যা তিনি প্রচার করেছিলেন? সেটা ছিল রাজ্য সম্বন্ধীয় সুসমাচার। যিহোবা ঈশ্বর যিনি “সঙ্কটে দীনহীনের দৃঢ় দুর্গ” তিনি যীশু খ্রীষ্টকে রাজা করে এই রাজ্য স্থাপন করবেন। ওই রাজ্য কী কী করবে? যিশাইয় ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন: “বাহিনীগণের সদাপ্রভু . . . সর্ব্বজাতির নিমিত্ত উত্তম খাদ্য দ্রব্যের এক ভোজ, পুরাতন দ্রাক্ষারসের, মেদোযুক্ত উত্তম উত্তম খাদ্য দ্রব্যের ও নির্ম্মলীকৃত পুরাতন দ্রাক্ষারসের এক ভোজ প্রস্তুত করিবেন। তিনি মৃত্যুকে অনন্তকালের জন্য বিনষ্ট করিয়াছেন, ও প্রভু সদাপ্রভু সকলের মুখ হইতে চক্ষুর জল মুছিয়া দিবেন।”—যিশাইয় ২৫:৪-৬, ৮.

আপনি কী আরও জানতে চান যে কীভাবে ঈশ্বরের রাজ্য “পৃথিবীর লোকেদের জীবনযাপনের মান উন্নত” করবে যাতে কোন কিছুর অভাব থাকবে না? নিচে দেখুন যে কীভাবে আপনি একজন যোগ্য শিক্ষককে আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য ডাকতে পারেন, যিনি আপনাকে দেখাতে পারবেন যে বাইবেল এই বিষয়ে আরও কী বলে।