সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কৃতজ্ঞতা দেখান ও সুখী হোন

কৃতজ্ঞতা দেখান ও সুখী হোন

কৃতজ্ঞতা দেখান সুখী হোন

 কানাডার একটা সংবাদপত্র কালগেরি হেরাল্ড বলে, “কৃতজ্ঞ হওয়া মানুষের মৌলিক অভ্যাস।” হেরাল্ড প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নয় বছরের কিছু ছাত্রছাত্রীদের সম্বন্ধে উল্লেখ করে, যাদেরকে তাদের শিক্ষক সেই বিষয়গুলোর একটা তালিকা তৈরি করতে বলেছিলেন, যেগুলোর প্রতি তারা কৃতজ্ঞ। একজন কিশোর বলেছিল যে, সে তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ ‘কারণ তারা তার যত্ন নিয়েছে।’ একজন কিশোরীও তার পরিবারের প্রতি কৃতজ্ঞ ছিল। সে বলে: “তারা আমাকে নিরাপদে ও সুস্থ রাখে, আমার যত্ন নেয়, আমাকে ভালবাসে, খাওয়ায় আর আমার বাবামা না চাইলে আমি কখনও এই জগতে আসতাম না।”

অকৃতজ্ঞতার ফলে দীর্ঘস্থায়ী অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। দার্শনিক ও থিওলজিয়ান জে. আই. পেকারের মতে, “আমাদেরকে ঈশ্বরের এবং পরস্পরের ওপর নির্ভর করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।” এটা আমাদেরকে শত শত বছর আগে করা বাইবেলের বিজ্ঞ পরামর্শের কথা মনে করিয়ে দেয়, যেখানে বলা আছে: “কৃতজ্ঞ হও।” (কলসীয় ৩:১৫) অন্যদেরকে ধন্যবাদ জানানো এবং হৃদয় থেকে কৃতজ্ঞতা দেখানো এক সুন্দর সম্পর্ক গড়ে তুলতে সাহায্য করে।

এছাড়া, একে অন্যের প্রতি উপলব্ধি দেখিয়ে এবং অন্যদেরকে মূল্য দিয়ে আমরা যিহোবার প্রতিও কৃতজ্ঞতা দেখাই এবং তিনি এটা দেখেন। বাইবেল বলে: “যাহাদের অন্তঃকরণ একাগ্র, তাহাদের পক্ষে আপনাকে বলবান দেখাইবার জন্য তাঁহার [যিহোবার] চক্ষু পৃথিবীর সর্ব্বত্র ভ্রমণ করে।” (২ বংশাবলি ১৬:৯) ঈশ্বর আমাদেরকে নিশ্চয়তা দেন যে মানুষরা তাঁর নামের জন্য যে ভালবাসা দেখায়, তা তিনি মনে রাখেন এবং এতে তিনি আনন্দিত হন। (ইব্রীয় ৬:১০) হ্যাঁ, কৃতজ্ঞ হওয়ার উপযুক্ত কারণ আমাদের রয়েছে কারণ এই ঈশ্বরীয় সদ্‌গুণ যখন রোজ দেখানো হয়, তখন তা ঈশ্বরকে আনন্দিত করে এবং আমাদের আনন্দকে আরও বাড়িয়ে তোলে। এটা হিতোপদেশ ১৫:১৩ পদের কথাগুলোর মতো: “আনন্দিত মন মুখকে প্রফুল্ল করে।”