অষ্টম হেনরি এবং বাইবেল
অষ্টম হেনরি এবং বাইবেল
উইনস্টন চার্চিল তার ইংরেজি ভাষী লোকেদের ইতিহাস (২য় খণ্ড) (ইংরেজি) নামের বইয়ে লিখেছিলেন: “বিভিন্ন ধর্মে ধর্মীয় আন্দোলন এক বিরাট পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল। আজকে অনেক জায়গায় বাইবেলকে অভিজ্ঞ পরামর্শের এক নতুন উৎস হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সময়ে যে বয়স্ক লোকেরা ছিলেন তারা মনে করতেন যে, অশিক্ষিতদের হাতে বাইবেল দেওয়া বিপদজনক এবং শুধু যাজকদেরই এটা পড়া উচিত।”
এই বিবরণ আরও বলে: “১৫৩৫ সালের শরৎকালের শেষ দিকে টিনডেল ও কাভারডেলের ইংরেজিতে অনুবাদিত, ছাপানো সম্পূর্ণ বাইবেলগুলো প্রথমবার পাওয়া গিয়েছিল আর এখন এর বিভিন্ন সংস্করণ বের হচ্ছে। সরকার পাদরিদের পরামর্শ দিয়েছিল তারা যেন লোকেদেরকে বাইবেল পড়তে উৎসাহ দেয়।” শত শত বছর ধরে বাইবেলের বিষয়ে অজ্ঞ থাকার পর ইংল্যান্ডের লোকেরা বাইবেলের জ্ঞান পেয়েছিল, তবে এর জন্য গির্জা কোনরকম সাহায্য করেনি বরং অষ্টম হেনরির সরকার সাহায্য করেছিল। *
“সেই সময়কার বয়স্ক লোকেদের ওপর আরেকটা আঘাত এসেছিল যখন সরকার প্যারিসে আগের সংস্করণগুলোর চেয়ে আরও উন্নত মানের ইংরেজি বাইবেল প্রচুর পরিমাণে ছাপানোর আদেশ দিয়েছিল এবং ১৫৩৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হুকুম জারি করেছিল যে দেশের প্রত্যেকটা ধর্মপল্লী একটা বড় ইংরেজি বাইবেল কিনে প্রতিটা গির্জায় রাখবে, যাতে ওই ধর্মপল্লীর লোকেরা গির্জায় এসে খুব সহজেই সেটা পেতে ও পড়তে পারেন। লন্ডন শহরের সেন্ট পল ক্যাথিড্রালে বাইবেলের ছটা কপি রাখা হয়েছিল আর অনেক লোক প্রত্যেক দিন এই ক্যাথিড্রালে এগুলো পড়তে আসত, বিশেষ করে আমাদের বলা হয়েছিল যখন তারা এমন কাউকে খুঁজে পান যার গলার স্বর উঁচু তিনি যেন জোরে তা পড়েন।”
কিন্তু দুঃখের বিষয় হল যে, বিভিন্ন দেশে অনেকেই নিয়মিত বাইবেল পড়ে না। আর এটা খুবই চিন্তার বিষয় কারণ একমাত্র বাইবেলই হচ্ছে ‘ঈশ্বর-নিশ্বসিত আর শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের, ধার্ম্মিকতা সম্বন্ধীয় শাসনের নিমিত্ত উপকারী।’—২ তীমথিয় ৩:১৬.
[পাদটীকা]
^ রাজা অষ্টম হেনরি ১৫০৯ থেকে ১৫৪৭ সাল পর্যন্ত ইংল্যান্ডে শাসন করেছিলেন।
[৩২ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
অষ্টম হেনরি: Painting in the Royal Gallery at Kensington, from the book The History of Protestantism (Vol. I)