সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

একাকিত্বকে আপনি জয় করতে পারেন

একাকিত্বকে আপনি জয় করতে পারেন

একাকিত্বকে আপনি জয় করতে পারেন

“নিঃসঙ্গ হৃদয়ের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় নিঃসঙ্গ হৃদয়কে আরও নিঃসঙ্গ করে দেয়।” আইরিশ কবি উইলিয়াম বাটলার ইয়েটস্‌ এর এই কথাগুলো দেখায় যে, নিঃসঙ্গতার অর্থাৎ একাকিত্বের কষ্ট হৃদয়বিদারক হতে পারে।

 এমন কেউ কি আছেন যিনি দাবি করতে পারেন যে, একাকিত্বের যন্ত্রণা বোধ করেননি? অনেক কারণেই আমরা একাকিত্ব বোধ করতে পারি। তবে এটা বিশেষ করে সেই মহিলাদের বেলায় খুব বেশি দেখা যায়, যারা কখনোই বিয়ে করেননি বা যারা বিধবা কিংবা যাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

উদাহরণ হিসেবে ফ্রান্সেস নামে একজন খ্রীষ্টান মহিলা বলেন: “আমি ২৩ বছরে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষ্য করি যে, শুধু আমি বাদে আমার সব বন্ধুবান্ধবের বিয়ে হয়ে গেছে।” * সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এবং বিয়ের সম্ভাবনা আরও কমে আসায় একাকিত্বের অনুভূতি আরও প্রগাঢ় হয়ে ওঠে। স্যান্ড্রা, যার বয়স এখন ৪০ এর কোঠায়, তিনি স্বীকার করেন, ‘আমার কখনোই অবিবাহিত থাকার চিন্তা ছিল না, তাই এখনও যদি সেরকম সুযোগ আসে আমি বিয়ে করব।’ আ্যঞ্জেলার বয়স এখন ৫০ এর কোঠায়, তিনি বলেন: “বিয়ে করব না, এমন দৃঢ় সিদ্ধান্ত আমি কখনোই নিইনি কিন্তু এখনও আমি এভাবেই আছি। যেখানে আমাকে বিশেষ অগ্রগামী হিসেবে কার্যভার দেওয়া হয়েছিল, সেখানে অবিবাহিত ভাইদের সংখ্যা খুবই কম ছিল।”

এটা প্রশংসনীয় যে, অনেক খ্রীষ্টান মহিলা বিয়ে না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কারণ তারা “কেবল প্রভুতেই” বিয়ে করার বিষয়ে যিহোবার পরামর্শ নিষ্ঠার সঙ্গে মেনে চলেন। (১ করিন্থীয় ৭:৩৯) কেউ কেউ অবিবাহিত অবস্থার সঙ্গে বেশ ভালভাবেই খাপ খাইয়ে নেন, আবার অন্যেরা বিয়ে করে ছেলেমেয়ে লালনপালন করার ইচ্ছা পোষণ করেন। স্যান্ড্রা স্বীকার করেন: “বিবাহ সাথি না থাকায় আবেগগত শূন্যতাই আমার নিত্যসঙ্গী।”

আরও কিছু বিষয় যেমন, বয়স্ক বাবামাকে দেখাশোনা করা একাকিত্বের অনুভূতিকে আরও তীব্র করে তুলতে পারে। স্যান্ড্রা বলেন: ‘যেহেতু আমি বিয়ে করিনি, তাই পরিবারের অন্যেরা আশা করে যে আমি আমাদের বয়স্ক বাবামার দেখাশোনা করব। যদিও আমরা মোট ছয়জন ভাইবোন ছিলাম তারপরও প্রায় ২০ বছর ধরে আমি-ই বেশির ভাগ সময়ে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছি। আমার যদি স্বামী থাকত, তাহলে আমার জীবন আরও সহজ হতো, কারণ সে আমাকে সহযোগিতা করতে পারত।’

একাকিত্বের অনুভূতিকে আরও প্রগাঢ় করে তোলে এমন অন্য আরেকটা বিষয়ের কথা ফ্রান্সেস উল্লেখ করেন। তিনি বলেন: “কখনও কখনও লোকেরা আমাকে জিজ্ঞেস করে যে, ‘কেন তুমি বিয়ে করনি?’ এইধরনের কথা শুনলে আমার মনে হয় যে, অবিবাহিত থাকার পিছনে যেন আমারই সব দোষ। যে-বিয়ের অনুষ্ঠানগুলোতে আমি প্রায়ই যোগ দিই, সেখানে কেউ কেউ আমাকে এই বিরক্তিকর প্রশ্নটা করে, ‘তা তোমার বিয়ে কবে হচ্ছে?’ আর তখন আমি ভাবি, ‘কোন আধ্যাত্মিক-মনা ভাই যেহেতু আমার প্রতি আগ্রহ দেখায় না, তাহলে সম্ভবত আমার মধ্যে প্রয়োজনীয় খ্রীষ্টীয় গুণগুলো নেই অথবা আমি সুন্দরী নই।’”

এই নিঃসঙ্গতা এবং একাকিত্বের অনুভূতিকে কীভাবে অতিক্রম করা যায়? যদি কোন উপায় থেকেও থাকে, তাহলে অন্যেরা কি তাতে সাহায্য করতে পারেন?

যিহোবার ওপর নির্ভর করুন

গীতরচক গেয়েছিলেন: “তুমি সদাপ্রভুতে আপনার ভার অর্পণ কর; তিনিই তোমাকে ধরিয়া রাখিবেন, কখনও ধার্ম্মিককে বিচলিত হইতে দিবেন না।” (গীতসংহিতা ৫৫:২২) ইব্রীয় পাঠ্যাংশে “ভার” শব্দটার আক্ষরিক মানে হল, কোন কিছুর “অংশ” আর এটা আমাদের জীবনের বিভিন্ন চিন্তা ও উদ্বেগগুলোকেও বোঝায়। অন্য যে-কোন ব্যক্তির চাইতে যিহোবা এই ভারগুলোর বিষয়ে বেশি চিন্তা করেন এবং এগুলো মোকাবিলা করার জন্য আমাদের শক্তি দেন। যিহোবার ওপর নির্ভর করাই আ্যঞ্জেলাকে তার একাকিত্বের অনুভূতির সঙ্গে মোকাবিলা করতে সাহায্য করেছিল। পূর্ণ-সময়ের পরিচর্যার কথা মনে করে তিনি বলেন: “আমি যখন অগ্রগামীর কাজ শুরু করি, তখন আমি এবং আমার অগ্রগামী সঙ্গী বোন মণ্ডলী থেকে অনেক দূরে থাকতাম। আমরা যিহোবার ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে শিখেছিলাম আর এটাই সারাজীবন আমাকে সাহায্য করেছে। আমি যখন নিরাশ হয়ে পড়ি, তখন আমি যিহোবার কাছে প্রার্থনা করি আর তিনি আমাকে সাহায্য করেন। গীতসংহিতা ২৩ অধ্যায় সবসময়ই আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে চলেছে আর প্রায়ই আমি এটা পড়ি।”

প্রেরিত পৌলকে এক উল্লেখযোগ্য ভার বহন করতে হয়েছিল। প্রায় তিনবার তিনি ‘প্রভুর কাছে নিবেদন করিয়াছিলেন, যেন তাহার মাংসের কন্টকটা তাহাকে ছাড়িয়া যায়।’ পৌলকে অলৌকিকভাবে কোন সাহায্য করা হয়নি, তবে তিনি ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভের নিশ্চয়তা পেয়েছিলেন, যা তাকে সহ্য করার শক্তি দিয়েছিল। (২ করিন্থীয় ১২:৭-৯) এছাড়াও, পৌল পরিতৃপ্তি বোধের রহস্যটাও খুঁজে পেয়েছিলেন। পরে তিনি লিখেছিলেন: “প্রত্যেক বিষয়ে ও সর্ব্ববিষয়ে আমি তৃপ্ত কি ক্ষুধিত হইতে, এবং উপচয় কি অনাটন ভোগ করিতে দীক্ষিত হইয়াছি। যিনি আমাকে শক্তি দেন, তাঁহাতে আমি সকলই করিতে পারি।”—ফিলিপীয় ৪:১২, ১৩.

নিরুৎসাহ বা একাকিত্বের অনুভূতি চেপে ধরলে কীভাবে একজন ব্যক্তি ঈশ্বরের কাছ থেকে শক্তি পেতে পারেন? পৌল লিখেছিলেন: “কোন বিষয়ে ভাবিত হইও না, কিন্তু সর্ব্ববিষয়ে প্রার্থনা ও বিনতি দ্বারা ধন্যবাদ সহকারে তোমাদের যাচ্ঞা সকল ঈশ্বরকে জ্ঞাত কর। তাহাতে সমস্ত চিন্তার অতীত যে ঈশ্বরের শান্তি তাহা তোমাদের হৃদয় ও মন খ্রীষ্ট যীশুতে রক্ষা করিবে।” (ফিলিপীয় ৪:৬, ৭) স্যান্ড্রা এই পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করেছিলেন। তিনি বলেন: “বিয়ে না করায় যথেষ্ট সময় আমি একা কাটাতে পারি। এটা আমাকে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করার অফুরন্ত সুযোগ করে দেয়। আমি নিজেকে তাঁর খুব কাছাকাছি মনে করি এবং তাঁর কাছে আমার সমস্যা ও আনন্দের কথাগুলো সহজেই বলতে পারি।” আর ফ্রান্সেস বলেন: “আমার মনের নেতিবাচক চিন্তার সঙ্গে আমাকে অনবরত লড়াই করতে হয়। কিন্তু, আমার অনুভূতিগুলো যিহোবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া আমাকে প্রচুর সাহায্য করে। আমি নিশ্চিত যে, আমার আধ্যাত্মিক এবং মানসিক মঙ্গলের ওপর ছাপ ফেলতে পারে, এমন যে-কোন বিষয়ের প্রতি যিহোবা আগ্রহী।”—১ তীমথিয় ৫:৫.

“তোমরা পরস্পর এক জন অন্যের ভার বহন কর”

খ্রীষ্টান ভ্রাতৃসমাজে কেউ একা একা তাদের ভার বহন করেন না। প্রেরিত পৌল উৎসাহ দিয়েছিলেন, “তোমরা পরস্পর এক জন অন্যের ভার বহন কর; এই রূপে খ্রীষ্টের ব্যবস্থা সম্পূর্ণরূপে পালন কর।” (গালাতীয় ৬:২) সহ খ্রীষ্টানদের সঙ্গে মেলামেশা করে আমরা উৎসাহজনক “উত্তম বাক্য” শুনতে পারি, যা একাকিত্বের বোঝাকে অনেকটা কমিয়ে দেবে।—হিতোপদেশ ১২:২৫.

ইস্রায়েলের বিচারক যিপ্তহের মেয়ের বিষয়ে শাস্ত্র কী বলে, সেটাও বিবেচনা করুন। অম্মোনের শত্রুবাহিনীর ওপর জয়ী হওয়ার আগে যিপ্তহ শপথ করেছিলেন যে, তার ঘরের যে-ব্যক্তি প্রথমে তাকে অভিনন্দন জানাতে বের হয়ে আসবে, তাকে তিনি যিহোবার উদ্দেশে অর্পণ করবেন। আর যিনি তাকে প্রথমে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তিনি ছিলেন তার মেয়ে। (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১১:৩০, ৩১, ৩৪-৩৬) যদিও এর জন্য সেই মেয়েকে সারাজীবন কুমারী থাকতে এবং এক পরিবার চাওয়ার স্বাভাবিক স্বপ্ন বাদ দিতে হতো, তবুও যিপ্তহের মেয়ে স্বেচ্ছায় এই শপথকে মেনে নিয়েছিলেন এবং তার জীবনের বাকি দিনগুলো শীলোর ধর্মধামে সেবা করেছিলেন। তার এই ত্যাগস্বীকার কি অজানা থেকে যায়? না, বরং: “বৎসর বৎসর গিলিয়দীয় যিপ্তহের কন্যার যশঃকীর্ত্তন করিতে ইস্রায়েলীয় কন্যাগণ বৎসরের মধ্যে চারি দিবস গমন করে।” (বিচারকর্ত্তৃগণের বিবরণ ১১:৪০) হ্যাঁ, যাদের প্রশংসা করা হয় তারা অনেক উৎসাহ বোধ করেন। অতএব, আসুন আমরা যোগ্য ব্যক্তিদের প্রশংসা করতে ভুলে না যাই।

এছাড়াও, যীশুর উদাহরণ আমাদের বিবেচনা করা উচিত। যদিও যিহুদিদের রীতি অনুযায়ী পুরুষদের সঙ্গে মহিলাদের কথা বলা নিষেধ ছিল, তারপরও মরিয়ম ও মার্থার সঙ্গে যীশু সময় কাটিয়েছিলেন। তারা সম্ভবত বিধবা নতুবা অবিবাহিত ছিলেন। যীশু চেয়েছিলেন, তারা দুজনেই যেন তাঁর বন্ধুত্বপূর্ণ মেলামেশা থেকে আধ্যাত্মিক উপকারগুলো উপভোগ করেন। (লূক ১০:৩৮-৪২) আমাদের যে-আত্মিক বোনেরা বিয়ে করেননি, তাদেরকে সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে আমন্ত্রণ জানিয়ে এবং তাদের সঙ্গে প্রচার করার ব্যবস্থা করে আমরাও যীশুর উদাহরণকে অনুকরণ করতে পারি। (রোমীয় ১২:১৩) এইধরনের মনোযোগের প্রতি কি তারা উপলব্ধি দেখান? একজন বোন বলেছিলেন: “আমি জানি যে, ভাইবোনেরা আমাকে ভালবাসেন এবং মূল্যবান মনে করেন কিন্তু যখন তারা আমার প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আগ্রহ দেখান, তখন আমি খুবই কৃতজ্ঞ হই।”

স্যান্ড্রা বলেন, ‘যেহেতু আমাদের কোন পরিবার নেই, তাই আমাদের আরও বেশি ভালবাসা দরকার, নিজেদেরকে আত্মিক ভাইবোনদের পরিবারের একজন সদস্য হিসেবে মনে করা দরকার।’ এটা স্পষ্ট যে, এই ব্যক্তিদের জন্য যিহোবা অবশ্যই চিন্তা করেন আর আমরা যখন তাদেরকে দেখাই যে, তাদেরকে আমাদের দরকার আছে এবং আমরা তাদের ভালবাসি, তখন আমরা যিহোবার সঙ্গে সহযোগিতা করি। (১ পিতর ৫:৬, ৭) এইধরনের চিন্তা কখনও বৃথা যাবে না কারণ “যে দরিদ্রকে কৃপা করে, সে সদাপ্রভুকে ঋণ দেয়; তিনি [যিহোবা ঈশ্বর] তাহার সেই উপকারের পরিশোধ করিবেন।”—হিতোপদেশ ১৯:১৭.

“প্রত্যেক জন নিজ নিজ ভার বহন করিবে”

যদিও অন্যেরা সাহায্য করতে পারেন আর তাদের সমর্থন খুবই উৎসাহজনক হতে পারে কিন্তু তারপরও “প্রত্যেক জন নিজ নিজ ভার বহন করিবে।” (গালাতীয় ৬:৫) কিন্তু, একাকিত্বের ভার বয়ে চলার সময় কিছু বিপদ সম্বন্ধে আমাদের সতর্ক থাকা দরকার। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা যদি নিজেদেরকে একেবারে বিচ্ছিন্ন করে রাখি, তাহলে একাকিত্ব আমাদের ওপর জয়ী হবে। অন্যদিকে, প্রেমের সাহায্যে আমরা একাকিত্বকে জয় করতে পারি। (১ করিন্থীয় ১৩:৭, ৮) আমাদের পরিস্থিতি যা-ই হোক না কেন, দেওয়া এবং অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমেই আমরা সুখ খুঁজে পেতে পারি। (প্রেরিত ২০:৩৫) একজন পরিশ্রমী অগ্রগামী বোন বলেন, ‘আমি যে একা, এটা চিন্তা করার মতো আমার যথেষ্ট সময় নেই। যখন আমি বুঝি যে আমাকে দরকার এবং আমার অনেক কাজ আছে, আমি একাকিত্ব বোধ করি না।’

সেইসঙ্গে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে একাকিত্বের চাপে আমরা অবিবেচকের মতো কোন সম্পর্ক গড়ে না তুলি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায় যে, এটা কতই না দুঃখজনক হবে যদি আমরা বিয়ের প্রতি আকাঙ্ক্ষাকে প্রশ্রয় দিই সেইসব সমস্যাগুলোকে উপেক্ষা করতে যা অবিশ্বাসীকে বিয়ে করার এবং বিশেষ করে ঐধরনের জোয়ালিকে এড়িয়ে চলার প্রতি শাস্ত্রীয় উপদেশকে অগ্রাহ্য করার ফলে আসে! (২ করিন্থীয় ৬:১৪) বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে, এমন একজন খ্রীষ্টান মহিলা বলেন: “অবিবাহিত থাকার চেয়ে আরও খারাপ এক বিষয় রয়েছে আর তা হল, ভুল ব্যক্তিকে বিয়ে করা।”

সমাধান করা যাচ্ছে না, এমন কোন সমস্যার জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হতে পারে। ঈশ্বরের সাহায্যে একাকিত্বের অনুভূতিকে সহ্য করা যায়। যিহোবাকে সেবা করে চলার সময় আসুন আমরা এই আস্থা রাখি যে, একদিন আমাদের সমস্ত প্রয়োজন সবচেয়ে ভাল উপায়ে মেটানো হবে।—গীতসংহিতা ১৪৫:১৬.

[পাদটীকা]

^ উল্লেখিত মহিলাদের নাম পালটে দেওয়া হয়েছে।

[২৮ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

দেওয়া এবং অন্যের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার মাধ্যমে একাকিত্বকে জয় করা যেতে পারে