সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল

পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল

পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল

 কুমারী মরিয়মের অসিদ্ধতা কি গর্ভধারণের সময় যীশুর ওপর খারাপ প্রভাব ফেলেছিল?

‘যীশুর জন্ম’ সম্বন্ধে অনুপ্রাণিত বিবরণ বলে: “তাঁহার মাতা মরিয়ম যোষেফের প্রতি বাগ্‌দত্তা হইলে তাঁহাদের সহবাসের পূর্ব্বে জানা গেল, তাঁহার গর্ব্ভ হইয়াছে—পবিত্র আত্মা হইতে।” (মথি ১:১৮) সত্যিই, মরিয়মের গর্ভধারণে ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।

মরিয়মের সম্বন্ধে কী বলা যায়? তার এই গর্ভধারণের পিছনে তার ডিম্বকোষ কি কোন ভূমিকা পালন করেছে? মরিয়মের পূর্বপুরুষ যেমন অব্রাহাম, ইস্‌হাক, যাকোব, যিহূদা ও রাজা দায়ূদদের কাছে করা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলোকে বিবেচনা করলে, যে সন্তান জন্মাবে সে তাদের প্রকৃত বংশধর হওয়ার কথা। (আদিপুস্তক ২২:১৮; ২৬:২৪; ২৮:১০-১৪; ৪৯:১০; ২ শমূয়েল ৭:১৬) মরিয়মের গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তান কীভাবে ঈশ্বরের সেই প্রতিজ্ঞাগুলোর প্রকৃত উত্তরাধিকারী হতে পারে? তাঁকে তার সত্যিকারের ছেলে হতে হবে।—লূক ৩:২৩-৩৪.

যিহোবার দূত কুমারী মরিয়মকে দেখা দিয়ে বলেছিলেন: “মরিয়ম, ভয় করিও না, কেননা তুমি ঈশ্বরের নিকটে অনুগ্রহ পাইয়াছ। আর দেখ, তুমি গর্ব্ভবতী হইয়া পুত্ত্র প্রসব করিবে, ও তাঁহার নাম যীশু রাখিবে।” (লূক ১:৩০, ৩১) গর্ভধারণের জন্য ডিম্ব নিষিক্ত হওয়া দরকার। যিহোবা ঈশ্বর তাঁর একজাত পুত্রের জীবনকে স্বর্গ থেকে পৃথিবীতে স্থানান্তরিত করে, মরিয়মের গর্ভে একটা ডিম্বকোষকে নিষিক্ত হতে দিয়েছিলেন বলে মনে হয়।—গালাতীয় ৪:৪.

একজন অসিদ্ধ স্ত্রীর গর্ভে এভাবে জন্ম নেওয়া এক সন্তান কি তার শারীরিক গঠনে সিদ্ধ ও পাপমুক্ত হতে পারে? সিদ্ধতার সঙ্গে যখন অসিদ্ধতার মিল হয়, তখন উত্তরাধিকারের নিয়ম কীভাবে কাজ করে? মনে রাখুন যে ঈশ্বরের পুত্রের সিদ্ধ জীবনীশক্তিকে স্থানান্তরিত করতে এবং গর্ভধারণ ঘটাতে পবিত্র আত্মাকে কাজে লাগানো হয়েছিল। এটা মরিয়মের ডিম্বকোষ থেকে অসিদ্ধতাকে মুছে দিয়েছিল এবং এর মাধ্যমে এক বংশানুগতিক ধারার সৃষ্টি করেছে, যা শুরু থেকেই সিদ্ধ ছিল।

মরিয়মের ডিম্বকোষ যে-কোন ভাবেই নিষিক্ত হোক না কেন, আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে সেই সময়ে ঈশ্বরের পবিত্র আত্মার কাজ নিশ্চিত করেছিল যে, ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সফল হবেই। গাব্রিয়েল দূত মরিয়মকে বুঝিয়ে বলেছিলেন: “পবিত্র আত্মা তোমার উপরে আসিবেন, এবং পরাৎপরের শক্তি তোমার উপরে ছায়া করিবে; এই কারণ যে পবিত্র সন্তান জন্মিবেন, তাঁহাকে ঈশ্বরের পুত্ত্র বলা যাইবে।” (লূক ১:৩৫) হ্যাঁ, ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা এক সুরক্ষা হিসেবে কাজ করেছিল, যাতে গর্ভধারণের সময় থেকে দিন-দিন বেড়ে ওঠা ভ্রূণটাকে কোন প্রকারের অসিদ্ধতা বা ক্ষতিকর প্রভাব কলঙ্কিত করতে না পারে।

এটা স্পষ্ট যে, যীশু তাঁর সিদ্ধ মানব জীবনের জন্য কোন মানুষের কাছে নয় কিন্তু তাঁর স্বর্গীয় পিতার কাছে ঋণী। যিহোবা তাঁর জন্য ‘দেহ রচনা করিয়াছিলেন’ এবং যীশু—গর্ভে আসা থেকে—প্রকৃতই “বিমল, পাপিগণ হইতে পৃথক্‌কৃত” ছিলেন।—ইব্রীয় ৭:২৬; ১০:৫.

[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

“তুমি গর্ব্ভবতী হইয়া পুত্ত্র প্রসব করিবে”