সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“আমি ঈশ্বরকে সেবা করতে চেয়েছিলাম”

“আমি ঈশ্বরকে সেবা করতে চেয়েছিলাম”

রাজ্য ঘোষণাকারীরা বিবৃতি দেয়

“আমি ঈশ্বরকে সেবা করতে চেয়েছিলাম”

 “হেআমার প্রজাগণ, উহা হইতে বাহিরে আইস।” সা.কা. প্রথম শতাব্দীতে প্রেরিত যোহন একজন স্বর্গদূতের মুখ থেকে এই কথাগুলো শুনেছিলেন। আমাদের দিনে লক্ষ লক্ষ সৎহৃদয়ের লোকেরা এই কথায় সাড়া দিয়ে মিথ্যা ধর্মের বিশ্ব সাম্রাজ্য “মহতী বাবিল” থেকে বেরিয়ে এসেছেন। (প্রকাশিত বাক্য ১৮:১-৪) এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন হাইতির ভিল্‌ন্যার, যিনি তার অভিজ্ঞতার কথা জানান।

“হাইতির ছোট্ট শহর সেন্ট মার্কে, এক ধর্মপ্রাণ ক্যাথলিক পরিবারে ১৯৫৬ সালে আমার জন্ম হয়। আমাদের শহরের আরও দুজনের সঙ্গে যখন আমাকে হাইতির সেন্ট মিশেল ডি লাটালের একটা সেমিনারিতে যোগ দেওয়ার জন্য বেছে নেওয়া হয়েছিল, তখন আমার পরিবারের আনন্দের কথা কল্পনা করুন। এরপর, ১৯৮০ সালে আরও প্রশিক্ষণের জন্য আমাদেরকে বেলজিয়ামের স্ট্যাভলোটে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে আমরা এক ক্যাথলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও যোগ দিয়েছিলাম।

“যাজক হওয়ার এই কোর্সে যোগ দেওয়ার জন্য শুরুতে আমি উদ্যোগী ছিলাম। যে-যাজক আমাদের দলের দেখাশোনা করতেন তিনি একদিন খাবার ঘরে, আমাকে কিছু বলার জন্য কয়েক মিনিটের জন্য থাকতে বলেন। তিনি যখন আমাকে সরাসরি বলেছিলেন যে আমার প্রতি তার যৌন আকর্ষণ রয়েছে, তখন আমি যে কতটা হতভম্ব হয়েছিলাম তা কল্পনা করে দেখুন! তার সেই প্রস্তাবকে আমি প্রত্যাখ্যান করেছিলাম ও সেইসঙ্গে একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। এই ঘটনার কথা আমি আমার পরিবারকে লিখে জানাই এবং কয়েক মাস পরে সেমিনারি ছেড়ে দিই, যদিও এতে তারা খুশি ছিল না। গ্রামে থাকার জন্য আমি ঘর পাই এবং অন্য একটা পেশার ওপর অধ্যয়ন শুরু করি।

“আমি যখন সেন্ট মার্কে ফিরে আসি, তখন ক্যাথলিক গির্জার প্রতি আমার আর একটুও আস্থা ছিল না। তবুও, আমি ঈশ্বরকে সেবা করতে চেয়েছিলাম অথচ আমি জানতাম না যে কী করব। আমি আ্যডভেনটিস্ট চার্চ, এবেনেজের চার্চ এবং মরমোন চার্চে যাই। আধ্যাত্মিকভাবে আমি একেবারে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলাম।

“এরপর আমার মনে পড়ে যে, বেলজিয়ামে সেমিনারিতে যোগ দেওয়ার সময় আমি ক্র্যামপন বাইবেল পড়তাম। তাতে আমি খুঁজে পেয়েছিলাম যে, ঈশ্বরের একটা নাম রয়েছে। তাই, তাঁর সেই নাম ব্যবহার করে আমি বারবার ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি, যাতে সত্য ধর্ম খুঁজে পেতে তিনি আমাকে সাহায্য করেন।

“এর অল্প কিছুদিন পর, দুজন যিহোবার সাক্ষি আমার এলাকায় থাকার জন্য আসেন। তারা শান্ত প্রকৃতির, সম্মানীয় ও মর্যাদাপূর্ণ ছিলেন। তাদের জীবনধারা আমার ওপর ছাপ ফেলেছিল। একদিন এই সাক্ষিদের একজন, খ্রীষ্টের মৃত্যুর বার্ষিক স্মরণার্থক সভায় যোগ দেওয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানান। সভাতে গিয়ে আমার খুব ভাল লেগেছিল এবং সাক্ষিদের সঙ্গে আমি নিয়মিত বাইবেল অধ্যয়ন করতে রাজি হয়ে যাই। প্রায় ছয় মাসের মধ্যে আমি এই ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েছিলাম যে, ঈশ্বরকে সেবা করার জন্য আমি সঠিক পথ খুঁজে পেয়েছি। আমি যিহোবার কাছে আমার জীবন উৎসর্গ করি এবং ১৯৮৮ সালের ২০শে নভেম্বর বাপ্তাইজিত হই।”

পরে, ভিল্‌ন্যার পূর্ণ-সময়ের কাজকে বেছে নিয়েছিলেন। আজকে, তিনি মণ্ডলীর একজন প্রাচীন হিসেবে সেবা করছেন। তিনি এবং তার স্ত্রী ও সেইসঙ্গে তাদের দুই সন্তান আনন্দের সঙ্গে মণ্ডলীতে সেবা করছেন।

[৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

বাইবেল পড়ে ভিল্‌ন্যার খুঁজে পেয়েছিলেন যে ঈশ্বরের নাম হল যিহোবা