বিকলাঙ্গতার সীমা নেই
বিকলাঙ্গতার সীমা নেই
ক্রিস্টেন যিনি আফ্রিকার একটা দেশে থাকেন সেখানকার সৈন্যরা তাকে জোর করে সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য অপহরণ করে নিয়ে যায় কিন্তু বাইবেল-শিক্ষিত বিবেক থাকায় তা করতে তিনি অস্বীকার করেন। সৈন্যরা তাকে শিবিরে নিয়ে গিয়ে চারদিন ধরে মারধর করার পর একজন তার পায়ে গুলি করে। ক্রিস্টেন সেখান থেকে কোনরকমে হাসপাতালে যান কিন্তু হাঁটু থেকে নিচ পর্যন্ত তার পা কেটে ফেলতে হয়। আফ্রিকার আরেকটা দেশে অস্ত্রধারী বিদ্রোহীরা এমনকি ছোট ছেলেমেয়েদের হাত ও পা কেটে ফেলে। কাম্বোডিয়া থেকে বলকান, আফগানিস্তান থেকে আ্যংগোলা সব জায়গায়, জমিতে পাতা বিস্ফোরক বোমাগুলো নির্বিচারে যুবক-বৃদ্ধ সবাইকে পঙ্গু ও বিকলাঙ্গ করেই চলেছে।
এ ছাড়া দুর্ঘটনা ও ডায়াবিটিসের মতো নানান রোগের কারণে বিকলাঙ্গতা বেড়েই চলেছে। এমনকি পরিবেশের মধ্যে বিষাক্ত পদার্থগুলো মানুষকে বিকলাঙ্গ করে দিতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, পূর্ব ইউরোপীয় একটা শহরের পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে অনেক ছেলেমেয়েদের জন্ম হয়েছে যাদের একটা হাতের পুরোবাহু নেই। তাদের কনুইয়ের নিচে শুধু বাড়তি কিছু মাংস পিণ্ড রয়েছে। সাক্ষ্যপ্রমাণ দেখায় যে, রাসায়নিক দূষণের ফলে শিশুরা বংশানুক্রমে খুঁত নিয়ে জন্মায়। এমন অসংখ্য লোক রয়েছে যাদের হাত পা আছে ঠিকই কিন্তু পক্ষাঘাত বা অন্য কোন রোগের কারণে তারা বিকলাঙ্গ। সত্যিই, বিকলাঙ্গতার সীমা নেই।
কারণ যা-ই থাকুক না কেন, বিকলাঙ্গতা জীবনকে বিধ্বস্ত করতে পারে। জুনিয়র ২০ বছর বয়সে তার বাঁ পা হারান। পরে তিনি বলেছিলেন: “আমি মানসিক দিক দিয়ে একেবারে ভেঙে পড়েছিলাম। আর কখনও আমার পা ফিরে পাব না জেনে আমি অনেক কেঁদেছিলাম। আমি জানতাম না যে কী করব। আমি একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম।” কিন্তু পরে, জুনিয়রের মনোভাব লক্ষণীয়ভাবে পালটে গিয়েছিল। তিনি বাইবেল অধ্যয়ন করতে শুরু করেছিলেন এবং যে-বিষয়গুলো শিখেছিলেন, তা তাকে শুধু বিকলাঙ্গতার সঙ্গে মোকাবিলা করতেই সাহায্য করেনি কিন্তু সেইসঙ্গে এই পৃথিবীতে এক সুখী ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে চমৎকার আশাও দিয়েছিল। আপনি যদি বিকলাঙ্গ হয়ে থাকেন, তা হলে আপনিও কি সেই আশা সম্বন্ধে জানতে চান?
যদি চান, তা হলে দয়া করে পরের প্রবন্ধটা পড়ুন। আমরা চাই আপনি নিজের বাইবেল থেকে শাস্ত্র পদগুলো পড়ে দেখুন, যাতে আপনি নিজে জানতে পারেন যে যারা সৃষ্টিকর্তার উদ্দেশ্য সম্বন্ধে শেখে ও সেই মতো তাদের জীবনকে চালায়, তাদের জন্য ভবিষ্যতে তিনি কী করবেন।