সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

এক অপ্রত্যাশিত জায়গায় সত্য খুঁজে পাওয়া

এক অপ্রত্যাশিত জায়গায় সত্য খুঁজে পাওয়া

রাজ্য ঘোষণাকারীরা বিবৃতি দেয়

এক অপ্রত্যাশিত জায়গায় সত্য খুঁজে পাওয়া

 ঈশ্বরের ইচ্ছা এই যেন “সমুদয় মনুষ্য পরিত্রাণ পায়, ও সত্যের তত্ত্বজ্ঞান পর্য্যন্ত পঁহুছিতে পারে।” (১ তীমথিয় ২:৩, ৪) এই কারণে যিহোবার সাক্ষিরা কোটি কোটি বাইবেল এবং বাইবেল অধ্যয়নের সহায়ক ছাপিয়েছেন এবং বিতরণ করেছেন। কখন কখনও, এই প্রকাশনাদি অনেক অপ্রত্যাশিত উপায়ে সৎহৃদয়ের লোকেদের সত্য শিখতে সাহায্য করেছে। এই বিষয়ে সিয়ারা লিওনের ফ্রিটাউনের রাজ্যের ঘোষণাকারীরা নিচের এই অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে রিপোর্ট করেন।

নয় ছেলেমেয়ের এক পরিবারে উসমান ছিলেন দ্বিতীয় ছেলে। ধর্মভীরু পরিবারে বড়ে হয়ে ওঠায় তিনি নিয়মিত তার বাবার সঙ্গে উপাসনা করতে যেতেন। কিন্তু, উসমানের ধর্ম নরক সম্বন্ধে যে-শিক্ষা দিত, তা নিয়ে তিনি অত্যন্ত হতাশ ছিলেন। তিনি বুঝতে পারতেন না যে, কীভাবে একজন করুণাময় ঈশ্বর দুষ্ট লোকেদের জ্বলন্ত আগুনে পুড়িয়ে কষ্ট দিতে পারেন। নরকাগ্নির মতবাদ সম্বন্ধে বোঝার জন্য উসমানকে যত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছিল, তা তাকে মনের শান্তি দিতে পারেনি।

উসমানের বয়স যখন ২০ বছর, সেই সময় তিনি একদিন একটা নীল রঙের বই, যেটার বেশির ভাগ অংশই আর্বজনার মধ্যে ঢাকা পড়ে আছে, সেটা ময়লা ফেলার পাত্রে দেখতে পান। বই পড়তে ভালবাসতেন বলে তিনি সেটা তুলে নিয়ে পরিষ্কার করেন এবং এর নামটা লক্ষ্য করেন—যে সত্য অনন্ত জীবনে লইয়া যায়। *

উসমান অবাক হয়ে ভাবেন, ‘এই সত্য কী?’ উসমান কৌতূহলী হয়ে সেই বই বাড়িতে নিয়ে যান এবং একবারে পড়ে শেষ করেন। ঈশ্বরের একটা ব্যক্তিগত নাম আছে জেনে তিনি কতই না খুশি হয়েছিলেন, যে-নাম হল যিহোবা! (গীতসংহিতা ৮৩:১৮, NW) উসমান এও জেনেছিলেন যে, ঈশ্বরের একটা প্রধান গুণ হল প্রেম এবং এমনকি লোকেদের অগ্নিময় কোন স্থানে যাতনা দেওয়ার চিন্তাও তাঁর কাছে ঘৃণ্য কাজ। (যিরমিয় ৩২:৩৫; ১ যোহন ৪:৮) অবশেষে উসমান পড়েন যে, খুব শীঘ্রই যিহোবা পার্থিব পরমদেশ নিয়ে আসবেন, যেখানে লোকেরা চিরকাল বাস করতে পারবে। (গীতসংহিতা ৩৭:২৯; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) একজন করুণাময় ও প্রেমময় ঈশ্বরের কাছ থেকে কত অপূর্ব সত্য! এক অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে তাকে সত্য খুঁজে পাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন বলে উসমান অন্তর থেকে কৃতজ্ঞ হয়ে যিহোবাকে ধন্যবাদ জানান।

কিছু দিন পর, কয়েকজন বন্ধুবান্ধবের সাহায্যে উসমান যিহোবার সাক্ষিদের কিংডম হল খুঁজে পান এবং প্রথমবারের মতো সভাতে যোগ দেন। সেখানে গিয়ে তিনি একজন সাক্ষিকে তাকে বাইবেল অধ্যয়ন করানোর কথা বলেন। পরিবার থেকে প্রচণ্ড বিরোধিতা আসা সত্ত্বেও, উসমান আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে উন্নতি করে চলেন এবং বাপ্তিস্ম নেন। (মথি ১০:৩৬) আজকে, তিনি মণ্ডলীতে একজন প্রাচীন হিসেবে সেবা করছেন। কত আশ্চর্যজনক যে, একটা ময়লা ফেলার পাত্রে একটা বাইবেল প্রকাশনা পাওয়ার কারণেই এই সমস্ত কিছু হয়েছে!

[পাদটীকা]

^ ১৯৬৮ সালে যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।