২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলো
২০০৩ সালে আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলো
ওয়াচ টাওয়ার বাইবেল আ্যন্ড ট্র্যাক্ট সোসাইটি অফ পেনসিলভানিয়ার সদস্যদের বার্ষিক সভা ২০০১ সালের ৬ই অক্টোবর, শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির, জার্সি সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়। সেই সভার পর সদস্যরা এবং তাদের অতিথিরা এক বিশেষ কার্যক্রম উপভোগ করেছিলেন। পরের দিন, কানাডা এবং যুক্তরাষ্ট্রের চারটে শহরে অতিরিক্ত সভা অনুষ্ঠিত হয় আর যিহোবার সাক্ষিদের পরিচালক গোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের শেষ বক্তৃতার পর নিচের এই ঘোষণাটা দেন:
“ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করলে এই বিষয়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, ঈশ্বরের সমস্ত লোকেরা যেন একত্রে মিলিত হওয়া বাদ না দেন। প্রেরিত পৌল আরও বেশি করে এটা করার ও সেইসঙ্গে একে অপরকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন, যাতে আমরা যিহোবার মহৎ ও ভয়ংকর দিন যে খুব নিকটে তা মনে রাখতে পারি। (ইব্রীয় ১০:২৪, ২৫) এই শাস্ত্রীয় আদেশের সঙ্গে মিল রেখে আমরা পরের বছর [২০০২ সালে] পৃথিবীর সমস্ত অংশে জেলা সম্মেলনগুলো হবে বলে আশা করি। এরপর যদি যিহোবার ইচ্ছা হয়, তা হলে ২০০৩ সালে হয়তো পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় কয়েকটা বিশেষ আন্তর্জাতিক সম্মেলন করা সম্ভব হবে। জগতের ঘটনাগুলো কীভাবে ঘটে চলেছে সেই বিষয়ে বোঝার জন্য এখনই জেগে থাকার ও সতর্ক হওয়ার সময়।”
পাহাড় সমান অনিশ্চয়তা এবং উদ্বিগ্নতা সত্ত্বেও, বর্তমান বিধিব্যবস্থার শেষ যতই এগিয়ে আসছে ততই ঈশ্বরে লোকেদের কাজকে আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। রাজ্যের সুসমাচার ও সেইসঙ্গে বাইবেলের সাবধানবাণী প্রত্যেক জাতির, বংশের, ভাষার এবং প্রজাবৃন্দের কাছে ঘোষণা করতে হবে এবং ‘ঈশ্বরকে ভয় করিবার ও তাঁহাকে গৌরব প্রদান করিবার’ জন্য তাদের আমন্ত্রণ জানাতে হবে ‘কেননা তাঁহার বিচার-সময় খুবই নিকটে।’ (প্রকাশিত বাক্য ১৪:৬, ৭) তাই, আমাদের স্বর্গীয় পিতার ইচ্ছা ও হিতসংকল্পের জন্য ২০০৩ সালে পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে আন্তর্জাতিক সম্মেলনগুলোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
প্রথমে উত্তর আমেরিকা এবং এর কিছু পরেই ইউরোপের কয়েকটা শহরের জন্য আপাতত এইধরনের সমাবেশগুলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ২০০৩ সালের অল্প কিছু পরে, অভ্যাগতদের কয়েকটা দলকে এশিয়ার কিছু শহরে ভ্রমণ করার ব্যবস্থা করা হবে; বছরের শেষে আরও কয়েকটা দল আফ্রিকা, দক্ষিণ আমেরিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে যাবে। নির্দিষ্ট শাখাগুলোকে আবেদন জানানো হবে যেন তারা কয়েকটা নির্দিষ্ট জায়গার সম্মেলনে সীমিত সংখ্যক অভ্যাগতদের পাঠান, তাই যোগ দেওয়ার জন্য সবাইকে উন্মুক্ত আমন্ত্রণ জানানো সম্ভব হবে না। তারপরও, প্রত্যেকটা জায়গায় বিভিন্ন দেশের হয়ে সীমিত অভ্যাগত ব্যক্তিদের থাকা উৎসাহজনক হবে।
যিহোবার সাক্ষিদের মণ্ডলীগুলো এই সমাবেশ সম্বন্ধে খুব শীঘ্রই তথ্য পাবে। সঠিক তারিখ এবং যে-নির্দিষ্ট শহরগুলোতে আমন্ত্রিত অভ্যাগতেরা মিলিত হতে পারবেন, সেই সম্বন্ধে তাদের শাখাগুলো তথ্য জানিয়ে দেবে। তাই, অনুরোধ জানানো হচ্ছে যে, এই সময়ের মধ্যে আপনারা যেন কিছু না লেখেন বা জিজ্ঞেস না করেন।
যাদেরকে অভ্যাগত হিসেবে নির্বাচন করা হবে তারা উৎসর্গীকৃত এবং বাপ্তাইজিত সাক্ষিদের মধ্যে থাকবেন, যারা উত্তম উদাহরণ হবেন এবং স্থানীয় ভাইবোনদের প্রতি ভ্রাতৃপ্রেম দেখান। এর ফলে, অতিথিদের প্রতি প্রেমপূর্ণ অভ্যর্থনা এবং প্রকৃত আতিথেয়তা দেখানোর উত্তম সুযোগ থাকবে। (ইব্রীয় ১৩:১, ২) এতে করে ‘উভয় পক্ষ আশ্বাস পাইবে।’ (রোমীয় ১:১১, ১২) এই ব্যবস্থা সম্বন্ধে আরও তথ্য শাখাগুলোর মাধ্যমে জানানো হবে, যাদেরকে নির্দিষ্ট দেশে বা দেশগুলোতে অভ্যাগতদের পাঠানোর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বরাবরের মতো বেশির ভাগ দেশেই ২০০৩ সালের তিন দিনের জেলা সম্মেলনগুলো অনুষ্ঠিত হবে। একত্রে মিলিত হয়ে সকলের ‘শোনার, শিক্ষা পাওয়ার এবং আশ্বাস পাওয়ার’ সুযোগ থাকবে। (দ্বিতীয় বিবরণ ৩১:১২; ১ করিন্থীয় ১৪:৩১) এটা ঈশ্বরের সমস্ত লোকেদের ‘আস্বাদন করিয়া দেখিবার’ সুযোগ করে দেবে যে, “সদাপ্রভু মঙ্গলময়।” (গীতসংহিতা ৩৪:৮) সমস্ত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে এবং সেইসঙ্গে অনেক জেলা সম্মেলনে মিশনারিরা উপস্থিত থাকবেন, যাদের মধ্যে কিছুজন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করবেন।
এই বছর আমরা “উদ্যোগী রাজ্য ঘোষণাকারীরা” জেলা সম্মেলনগুলো উপভোগ করতে যাচ্ছি, যা আমাদের আরও বেশি করে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য উদ্দীপিত করে তুলবে। আমরা যদি তা করি, তা হলে পরের বছরে যিহোবা যা সঞ্চিত করে রেখেছেন, সেটার প্রতি আমাদের প্রত্যাশাকে অবশ্যই আরও বাড়িয়ে তুলবে। এটা আমাদেরকে এই বিষম ও অতি গুরুত্বপূর্ণ সময়ের কথা মনে রেখে ‘জাগিয়া থাকিতে এবং নিজেদেরকে প্রস্তুত রাখিতে’ সাহায্য করবে।—মথি ২৪:৪২-৪৪.