সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইলাম”

“আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইলাম”

“আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইলাম”

“এত কালের মধ্যে শিক্ষক হওয়া তোমাদের উচিত ছিল।”ইব্রীয় ৫:১২.

১. কেন ইব্রীয় ৫:১২ পদের কথাগুলো স্বাভাবিকভাবেই একজন খ্রীষ্টানকে কিছুটা চিন্তায় ফেলতে পারে?

 আপনি যখন আমাদের মূল শাস্ত্রপদের অনুপ্রাণিত কথাগুলো পড়েন, তখন আপনি কি নিজের সম্বন্ধে কিছুটা চিন্তিত হন? যদি হন, তা হলে আপনি কেবল একা নন। খ্রীষ্টের অনুসারী হিসেবে আমরা জানি যে, আমাদের শিক্ষক হতে হবে। (মথি ২৮:১৯, ২০) আমরা জানি, যে-সময়ে আমরা বাস করছি, তা আমাদের যথাসম্ভব দক্ষতার সঙ্গে শিক্ষা দেওয়াকে জরুরি করে তোলে। আর আমরা এও জানি যে, আমরা যাদের শিক্ষা দিই, আমাদের শিক্ষা তাদের জীবনকে পুরোপুরি পালটে দিতে পারে। (১ তীমথিয় ৪:১৬) তাই, স্বাভাবিকভাবেই আমরা নিজেদের প্রশ্ন করতে পারি: ‘আমার যে-শিক্ষক হওয়া উচিত, তা কি আমি সত্যিই হয়েছি? কীভাবে আমি উন্নতি করতে পারি?’

২, ৩. (ক) একজন শিক্ষক ভাল শিক্ষা দেওয়ার ভিত্তি সম্বন্ধে কীভাবে ব্যাখ্যা করেছিলেন? (খ) শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে যীশু আমাদের জন্য কোন্‌ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন?

এইরকম চিন্তা করে আমাদের নিরুৎসাহিত হওয়ার দরকার নেই। আমরা যদি শিক্ষা দেওয়াকে শুধুমাত্র বিশেষ অর্জিত কৌশল হিসেবে দেখি, তা হলে আমরা হয়তো মনে করতে পারি যে, এই ক্ষেত্রে উন্নতি করা খুবই কঠিন। কিন্তু, ভালভাবে শিক্ষা দেওয়ার ভিত্তি কোন কৌশলের চেয়ে আরও অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই বিষয়ে একজন অভিজ্ঞ শিক্ষক একটা বইয়ে কী লিখেছিলেন দেখুন: “ভাল শিক্ষা দেওয়ার ভিত্তি কোন নির্দিষ্ট কৌশল বা শৈলী, পরিকল্পনা বা কাজ নয়। . . . শিক্ষা দেওয়া মূলত ভালবাসার এক বিষয়।” অবশ্য, তার এই দৃষ্টিভঙ্গি ছিল একজন জাগতিক শিক্ষকের দৃষ্টিকোণ থেকে। তা সত্ত্বেও, খ্রীষ্টান হিসেবে আমরা যে-শিক্ষা দিই, সেই ক্ষেত্রে তার এই মন্তব্য আরও বেশি প্রযোজ্য হতে পারে। কীভাবে?

শিক্ষক হিসেবে, একমাত্র যীশু খ্রীষ্টই আমাদের জন্য আদর্শ ব্যক্তি, যিনি তাঁর অনুসারীদের বলেছিলেন: “আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইলাম।” (যোহন ১৩:১৫) তিনি এখানে নম্রতা দেখানোর বিষয়ে তাঁর নিজের উদাহরণের কথা বলছিলেন কিন্তু যীশু আমাদের জন্য যে-দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তার মধ্যে নিশ্চয়ই পৃথিবীতে একজন মানুষ হিসেবে থাকাকালীন তিনি যে-মূল কাজ করেছিলেন—লোকেদের ঈশ্বরের রাজ্যের সুসমাচার সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া—সেটা রয়েছে। (লূক ৪:৪৩) এই পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে যদি যীশুর পরিচর্যার বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার জন্য কোন একটা শব্দ বাছাই করতে বলা হয়, তা হলে আপনি সম্ভবত “প্রেম” শব্দটাকে বেছে নেবেন, তাই নয় কি? (কলসীয় ১:১৫; ১ যোহন ৪:৮) স্বর্গীয় পিতা, যিহোবার জন্য যীশুর সবচেয়ে বেশি প্রেম ছিল। (যোহন ১৪:৩১) কিন্তু, একজন শিক্ষক হিসেবে যীশু দুটো অতিরিক্ত উপায়ে প্রেম দেখিয়েছিলেন। যে-সত্যগুলো তিনি শিক্ষা দিয়েছিলেন সেগুলো এবং যে-লোকেদের তিনি শিক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের তিনি ভালবাসতেন। এই দুটো ক্ষেত্রে আমাদের জন্য তিনি যে-দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, আসুন আমরা আরেকটু মনোযোগ দিয়ে সেগুলো বিবেচনা করি।

ঐশিক সত্যগুলোর প্রতি দীর্ঘস্থায়ী ভালবাসা

৪. যিহোবার শিক্ষাগুলোর প্রতি যীশু কীভাবে ভালবাসা গড়ে তুলেছিলেন?

ছাত্রদের প্রতি একজন শিক্ষকের মনোভাব তার শিক্ষা দেওয়ার গুণগত মানের ওপর বেশ অনেকটা প্রভাব ফেলে। শিক্ষকের যেকোন উদাসীনতা প্রকাশ পেয়ে যাবে এবং তা তার ছাত্রদের ওপর প্রভাব ফেলবে। যিহোবা এবং তাঁর রাজ্য সম্বন্ধে যে-মূল্যবান সত্যগুলো যীশু শিক্ষা দিয়েছিলেন, সেগুলোর প্রতি তিনি একটুও উদাসীন ছিলেন না। এই বিষয়ের প্রতি যীশুর গভীর ভালবাসা ছিল। একজন ছাত্র হিসেবে, তিনি সেইরকম ভালবাসা গড়ে তুলেছিলেন। মানুষ হিসেবে পৃথিবীতে আসার আগে অগণিত বছর ধরে এই একজাত পুত্র একজন আকুল আগ্রহী ছাত্র ছিলেন। যিশাইয় ৫০:৪, ৫ পদ এই উপযুক্ত কথাগুলোকে তুলে ধরে: “প্রভু সদাপ্রভু আমাকে শিক্ষাগ্রাহীদের জিহ্বা দিয়াছেন, যেন আমি বুঝিতে পারি, কিরূপে ক্লান্ত লোককে বাক্য দ্বারা সুস্থির করিতে হয়; তিনি প্রভাতে প্রভাতে জাগরিত করেন, আমার কর্ণ জাগরিত করেন, যেন আমি শিক্ষাগ্রাহীদের ন্যায় শুনিতে পাই। প্রভু সদাপ্রভু আমার কর্ণ খুলিয়াছেন, এবং আমি বিরুদ্ধাচারী হই নাই, পারঙ্মুখ হই নাই।”

৫, ৬. (ক) যীশুর বাপ্তিস্মের সময় স্পষ্টত তাঁর কোন্‌ অভিজ্ঞতা হয়েছিল আর তা তাঁর ওপর কী প্রভাব ফেলেছিল? (খ) ঈশ্বরের বাক্য ব্যবহার করার বিষয়ে যীশু ও শয়তানের মধ্যে আমরা কোন্‌ পার্থক্য দেখতে পাই?

পৃথিবীতে একজন মানুষ হিসেবে বড় হয়ে ওঠার সময়ও যীশু সবসময় ঐশিক প্রজ্ঞাকে ভালবেসেছিলেন। (লূক ২:৫২) এরপর তাঁর বাপ্তিস্মের সময় তিনি এক অদ্বিতীয় অভিজ্ঞতা লাভ করেছিলেন। লূক ৩:২১ পদ বলে: “স্বর্গ খুলিয়া গেল।” স্পষ্টতই, যীশু তখন পৃথিবীতে আসার আগে তাঁর যে-অস্তিত্ব ছিল, তা মনে করতে পেরেছিলেন। এরপর তিনি প্রান্তরে ৪০ দিন উপবাস করে কাটিয়েছিলেন। তিনি অনেক সময় ধরে যিহোবার কাছ থেকে যে-নির্দেশনা লাভ করেছিলেন, সেগুলো নিয়ে ধ্যান করে নিশ্চয়ই প্রচুর আনন্দ পেয়েছিলেন। কিন্তু শীঘ্রই, ঈশ্বরের সত্যগুলোর প্রতি তাঁর ভালবাসা পরীক্ষিত হয়েছিল।

যীশু যখন ক্লান্ত ও ক্ষুধার্ত ছিলেন, তখন শয়তান তাঁকে প্রলোভনে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ঈশ্বরের এই দুই পুত্রের মধ্যে কত বড় পার্থক্যই না আমরা দেখতে পাই! দুজনেই ইব্রীয় শাস্ত্র থেকে উদ্ধৃতি করেছিলেন কিন্তু পুরোপুরি আলাদা মনোভাব নিয়ে। ঈশ্বরের বাক্যকে শয়তান বিকৃত করেছিল, সে তার নিজের স্বার্থপর উদ্দেশ্যকে চরিতার্থ করার জন্য অসম্মানের সঙ্গে তা ব্যবহার করেছিল। সত্যিই, ঐশিক সত্যগুলোর প্রতি ওই বিদ্রোহীর কেবল ঘৃণাই ছিল। অন্যদিকে, যীশু প্রেমের সঙ্গে শাস্ত্রপদ উদ্ধৃত করেছিলেন, প্রত্যেক বার উত্তর দেওয়ার সময় ঈশ্বরের বাক্য যত্নপূর্বক ব্যবহার করেছিলেন। ওই অনুপ্রাণিত কথাগুলো সবচেয়ে প্রথম লিখিত হওয়ার অনেক অনেক আগে যীশুর অস্তিত্ব ছিল, তবুও সেগুলোর প্রতি তিনি শ্রদ্ধা দেখিয়েছিলেন। সেগুলো তাঁর স্বর্গীয় পিতার কাছ থেকে আসা মূল্যবান সত্য ছিল! তিনি শয়তানকে বলেছিলেন যে, যিহোবার কাছ থেকে আসা এই কথাগুলো খাবারের চেয়েও আরও বেশি জরুরি ছিল। (মথি ৪:১-১১) হ্যাঁ, যীশুকে যিহোবা যে-সত্যগুলো শিক্ষা দিয়েছিলেন, এর সবগুলোই তিনি ভালবাসতেন। কিন্তু, শিক্ষক হিসেবে কীভাবে তিনি ভালবাসা দেখিয়েছিলেন?

তিনি যে-সত্যগুলো শিক্ষা দিয়েছিলেন সেগুলোর জন্য ভালবাসা

৭. কেন যীশু তাঁর নিজস্ব শিক্ষা উদ্ভাবন করা থেকে বিরত ছিলেন?

যীশু যে-সত্যগুলো শিক্ষা দিয়েছিলেন, সেগুলোর প্রতি তাঁর ভালবাসা সবসময় স্পষ্ট ছিল। তিনি খুব সহজেই তাঁর নিজের ধারণাগুলো প্রতিষ্ঠা করতে পারতেন। তাঁর মধ্যে প্রচুর জ্ঞান ও প্রজ্ঞার ভাণ্ডার ছিল। (কলসীয় ২:৩) তা সত্ত্বেও, তিনি তাঁর শ্রোতাদের বারবার মনে করিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি যা কিছু শেখাতেন সেগুলোর একটাও তাঁর শিক্ষা নয় কিন্তু তাঁর স্বর্গীয় পিতার শিক্ষা। (যোহন ৭:১৬; ৮:২৮; ১২:৪৯; ১৪:১০) তিনি ঐশিক সত্যগুলোকে এত বেশি ভালবাসতেন যে, সেগুলোর জায়গায় তাঁর নিজের চিন্তাধারা ঢোকাতে চাননি।

৮. যীশু তাঁর পরিচর্যার শুরুতে কীভাবে ঈশ্বরের বাক্যের ওপর নির্ভর করার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন?

যীশু যখন প্রকাশ্যে পরিচর্যা শুরু করেছিলেন, তখন তিনি শীঘ্রই একটা দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন। তিনিই যে প্রতিজ্ঞাত মশীহ ছিলেন, সেই বিষয়টা ঈশ্বরের লোকেদের কাছে প্রথম যেভাবে ঘোষণা করেছিলেন, তা বিবেচনা করুন। তিনি কি সোজা জনতার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে খ্রীষ্ট বলে ঘোষণা করেছিলেন ও এরপর তাঁর দাবিকে প্রমাণ করার জন্য তাক লাগানো অলৌকিক কাজ করতে শুরু করেছিলেন? না। তিনি সমাজগৃহে গিয়েছিলেন, যেখানে ঈশ্বরের লোকেরা রীতি অনুসারে শাস্ত্র পাঠ করত। সেখানে তিনি যিশাইয় ৬১:১, ২ পদের ভবিষ্যদ্বাণী জোরে জোরে পড়েছিলেন এবং বুঝিয়ে দিয়েছিলেন যে, এই ভবিষ্যদ্বাণীমূলক সত্যগুলো তাঁর প্রতি প্রযোজ্য হচ্ছে। (লূক ৪:১৬-২২) তাঁর অনেক অলৌকিক কাজ বুঝতে সাহায্য করেছে যে, তাঁর প্রতি যিহোবার সমর্থন ছিল। তা সত্ত্বেও, তিনি সবসময় তাঁর শিক্ষায় ঈশ্বরের বাক্যের ওপর নির্ভর করতেন।

৯. ফরীশীদের সঙ্গে ব্যবহারে যীশু কীভাবে ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি তাঁর অনুগত প্রেম দেখিয়েছিলেন?

ধর্মীয় শত্রুরা যখন যীশুর শিক্ষায় আপত্তি তুলেছিল, তখন তিনি তাদের সঙ্গে তর্ক করে তাদের পরাস্ত করার চেষ্টা করেননি, যদিও তা করে তিনি সহজেই জয়ী হতে পারতেন। এর বদলে, তাদের যুক্তি খণ্ডন করার জন্য তিনি ঈশ্বরের বাক্যকেই ব্যবহার করেছিলেন। উদাহরণ হিসেবে, যখন ফরীশীরা অভিযোগ করেছিল যে, যীশুর অনুগামীরা খেতের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় খেত থেকে কিছু শীষ ছিঁড়ে খেয়ে বিশ্রামবার লঙ্ঘন করেছিল, তখন কী হয়েছিল, তা মনে করে দেখুন। যীশু উত্তর দিয়েছিলেন: “দায়ূদ ও তাঁহার সঙ্গীরা ক্ষুধিত হইলে তিনি যাহা করিয়াছিলেন, তাহা কি তোমরা পাঠ কর নাই?” (মথি ১২:১-৫) ওই আত্মধার্মিক লোকেরা ১ শমূয়েল ২১:১-৬ পদে লেখা অনুপ্রাণিত ঘটনাটা নিশ্চয়ই খুব ভালভাবেই পড়েছিল। যদি তা-ই হয়, তা হলে এর মধ্যে যে-এক গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ছিল, তা বুঝতে তারা ব্যর্থ হয়েছিল। কিন্তু, যীশু সেই ঘটনাটা কেবল ওপর ওপর পড়েননি। তিনি এটা নিয়ে চিন্তা করেছিলেন এবং এর অর্থটা হৃদয়ে গ্রহণ করেছিলেন। ওই কথাগুলোর মাধ্যমে যিহোবা যে-নীতিগুলো শিক্ষা দিয়েছিলেন, সেগুলো তিনি ভালবাসতেন। তাই, ব্যবস্থার ভারসাম্যপূর্ণ অর্থ প্রকাশ করার জন্য তিনি সেই ঘটনাটা ও সেইসঙ্গে মোশির ব্যবস্থা থেকে একটা উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন। একইভাবে, ঈশ্বরের বাক্যের প্রতি যীশুর অনুগত প্রেম তাঁকে ধর্মীয় নেতাদের স্বার্থে ঈশ্বরের বাক্যকে বিকৃত করতে দিতে বা মানুষের পরম্পরাগত রীতিনীতির মধ্যে চাপা পড়ে যেতে দেওয়া থেকে রক্ষা করতে প্রেরণা দিয়েছিল।

১০. যীশু তাঁর শিক্ষার গুণগত মান সম্বন্ধে কীভাবে ভবিষ্যদ্বাণীগুলো পূর্ণ করেছিলেন?

১০ শিক্ষার বিষয়বস্তুর প্রতি যীশুর ভালবাসা তাঁকে কখনোই কেবল মুখস্থ শিক্ষা দিতে প্রেরণা দেয়নি অর্থাৎ তিনি একঘেয়ে বা যন্ত্রের মতো করে শিক্ষা দেননি। অনুপ্রাণিত ভবিষ্যদ্বাণীগুলো ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, মশীহ “মনোহর বাক্য” ব্যবহার করে ‘অনুগ্রহযুক্ত ওষ্ঠাধরে’ কথা বলবেন। (আদিপুস্তক ৪৯:২১; গীতসংহিতা ৪৫:২) যীশু যে-সত্যগুলো ভালবাসতেন সেগুলো শিক্ষা দেওয়ার সময় ‘মধুর বাক্য’ ব্যবহার করে তাঁর বার্তাকে আগ্রহজনক ও স্পষ্ট রেখেছিলেন। (লূক ৪:২২) কোন সন্দেহ নেই যে, তাঁর চোখেমুখে উদ্যমের ভাব ফুটে উঠেছিল এবং বিষয়বস্তুর প্রতি তাঁর চোখ পরম আগ্রহে উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। তাঁর কথা শোনা কতই না আনন্দের বিষয় ছিল আর আমরা যা শিখেছি তা নিয়ে অন্যদের সঙ্গে কথা বলার সময়, এটা কত সুন্দর এক দৃষ্টান্ত!

১১. কেন শিক্ষক হিসেবে যীশুর ক্ষমতা কখনও তাঁকে অহংকারী করে তোলেনি?

১১ যীশু যে ঐশিক সত্যগুলোকে পুরোপুরি উপলব্ধি করেছিলেন এবং আগ্রহজনক কথা বলে লোকেদের আকৃষ্ট করেছিলেন, তা কি তাঁকে অহংকারী হয়ে উঠতে প্ররোচিত করেছিল? মানব শিক্ষকদের বেলায় প্রায়ই এমনটা হয়ে থাকে। কিন্তু মনে রাখবেন যে, যীশু ঈশ্বরীয় পথে জ্ঞানী ছিলেন। এইরকম প্রজ্ঞা গর্বকে জায়গা দেয় না কারণ “প্রজ্ঞাই নম্রদিগের সহচরী।” (হিতোপদেশ ১১:২) অন্য আরেকটা বিষয় যীশুকে অহংকারী বা গর্বিত হওয়া থেকে বিরত করেছিল।

যীশু যে-লোকেদের শিক্ষা দিয়েছিলেন তাদের তিনি ভালবাসতেন

১২. কীভাবে যীশু দেখিয়েছিলেন যে, তিনি চাননি যেন তাঁর অনুসারীরা তাঁকে ভয় পায়?

১২ লোকেদের জন্য যীশুর গভীর ভালবাসা সবসময় তাঁর শিক্ষার মাধ্যমে প্রকাশ পেত। তাঁর শিক্ষা কখনও লোকেদের ভয় দেখায়নি, যা কিনা অহংকারী মানুষদের ক্ষেত্রে হয়। (উপদেশক ৮:৯) যীশুর অলৌকিক কাজগুলোর একটা স্বচক্ষে দেখার পর পিতর খুবই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন এবং যীশুর হাঁটুর ওপর উপুড় হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু যীশু চাননি যে, তাঁর অনুগামীরা তাঁর প্রতি আতঙ্কজনক ভয় গড়ে তুলুক। তিনি দয়ার সঙ্গে বলেছিলেন, “ভয় করিও না” আর এরপর তিনি পিতরকে শিষ্য-তৈরির রোমাঞ্চকর কাজ সম্বন্ধে বলেছিলেন, যেটাতে তিনি অংশ নেবেন। (লূক ৫:৮-১০) যীশু চেয়েছিলেন যে, তাঁর শিষ্যরা যেন ঈশ্বর সম্বন্ধে মূল্যবান সত্যগুলো জেনে সেগুলোর প্রতি নিজেদের ভালবাসা দ্বারা চালিত হয়, শিক্ষকের প্রতি ভয়ের কারণে নয়।

১৩, ১৪. কোন্‌ কোন্‌ উপায়ে যীশু তাঁর লোকেদের জন্য সমবেদনা বোধ করেছিলেন?

১৩ যীশু যাদেরকে শিক্ষা দিয়েছিলেন সেই লোকেদের প্রতি তাঁর ভালবাসা, তাদের প্রতি যে-সমবেদনা বোধ করেছিলেন তাতেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। “বিস্তর লোক দেখিয়া তিনি তাহাদের প্রতি করুণাবিষ্ট হইলেন, কেননা তাহারা ব্যাকুল ও ছিন্নভিন্ন ছিল, যেন পালকবিহীন মেষপাল।” (মথি ৯:৩৬) তিনি তাদের করুণ অবস্থা উপলব্ধি করেছিলেন এবং তাদের সাহায্য করার জন্য চালিত হয়েছিলেন।

১৪ আরেকটা ঘটনায় যীশুর সমবেদনা লক্ষ করুন। রক্তস্রাবে ভুগছিলেন এমন একজন মহিলা যখন জনতার মধ্যে দিয়ে এসে যীশুর বস্ত্রের থোপ স্পর্শ করেছিলেন, তখন তিনি অলৌকিকভাবে সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। যীশু টের পেয়েছিলেন যে, তাঁর মধ্যে থেকে শক্তি বের হয়ে গেছে কিন্তু তিনি দেখেননি যে কে সুস্থ হয়েছে। তিনি সেই মহিলাকে খুঁজতে শুরু করেছিলেন। কেন? ব্যবস্থা অথবা অধ্যাপক ও ফরীশীদের আইন লঙ্ঘন করেছে বলে সেই মহিলাকে বকাঝকা করার জন্য নয়, যে-বিষয়ে তিনি ভয় পাচ্ছিলেন। এর বদলে যীশু তাকে বলেছিলেন: “হে কন্যে তোমার বিশ্বাস তোমাকে রক্ষা করিল, শান্তিতে চলিয়া যাও, ও তোমার [“যন্ত্রণাদায়ক,” NW] রোগ হইতে মুক্ত থাক।” (মার্ক ৫:২৫-৩৪) এই কথাগুলোতে যে-সমবেদনা ফুটে উঠেছে, তা লক্ষ করুন। তিনি শুধু বলেননি যে, “সুস্থ হও।” এর বদলে তিনি বলেছিলেন, “তোমার যন্ত্রণাদায়ক রোগ হইতে মুক্ত থাক।” মার্ক এখানে একটা শব্দ ব্যবহার করেন যেটার আক্ষরিক অর্থ “শাস্তি দেওয়া,” অনেকটা চাবুক মারার মতো যেটাকে প্রায়ই যাতনা হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাই, যীশু স্বীকার করেছিলেন যে ওই মহিলার অসুস্থতা তাকে কষ্ট, সম্ভবত চরম শারীরিক ও মানসিক যন্ত্রণা দিচ্ছিল। তিনি সেই মহিলার জন্য সমবেদনা বোধ করেছিলেন।

১৫, ১৬. যীশুর পরিচর্যার কোন্‌ ঘটনাগুলো দেখিয়েছিল যে, তিনি লোকেদের মধ্যে ভাল কিছু লক্ষ করতেন?

১৫ এ ছাড়াও, যীশু লোকেদের মধ্যে ভাল গুণগুলো লক্ষ করে তাদের প্রতি ভালবাসা দেখিয়েছিলেন। পরে একজন প্রেরিত হয়েছিলেন সেই নথনেলকে যখন যীশু দেখেছিলেন, তখন কী হয়েছিল তা বিবেচনা করুন। “যীশু নথনেলকে আপনার নিকটে আসিতে দেখিয়া তাঁহার বিষয়ে কহিলেন, ঐ দেখ, এক জন প্রকৃত ইস্রায়েলীয়, যাহার অন্তরে ছল নাই।” যীশু অলৌকিকভাবে নথনেলের অন্তর দেখেছিলেন আর এর মাধ্যমে তার সম্বন্ধে অনেক কিছু জেনেছিলেন। নথনেল অবশ্যই সিদ্ধ ছিলেন না। তিনিও ভুলত্রুটি করতেন, যেমন আমরা সকলে করে থাকি। আসলে তিনি যখন যীশুর কথা শুনেছিলেন, তখন কিছুটা স্পষ্টভাবে বলেছিলেন: “নাসরৎ হইতে কি উত্তম কিছু উৎপন্ন হইতে পারে?” (যোহন ১:৪৫-৫১) কিন্তু নথনেল সম্বন্ধে কিছু বলতে গিয়ে যীশু এই ব্যক্তির সততাকে তুলে ধরার জন্য ইতিবাচক কিছু বিষয় বেছে নিয়েছিলেন।

১৬ একইভাবে, যখন একজন সেনাপতি—সম্ভবত একজন পরজাতি, রোমীয়—যীশুর কাছে এসে তাঁকে তার এক অসুস্থ দাসকে সুস্থ করে দিতে অনুরোধ করেছিলেন, তখন যীশু জানতেন যে সেই সৈন্যের অনেক দোষত্রুটি ছিল। তখনকার সময়ের সেনাপতিদের সম্ভবত এক খারাপ অতীত ছিল, যারা অনেক দৌরাত্ম্যমূলক কাজ, রক্তপাত ও মিথ্যা উপাসনা করত। কিন্তু, যীশু ভাল কিছুর ওপর অর্থাৎ ওই ব্যক্তির উল্লেখযোগ্য বিশ্বাসের ওপর জোর দিয়েছিলেন। (মথি ৮:৫-১৩) পরে, যীশু যখন তাঁর সঙ্গে যাতনাদণ্ডে ঝুলানো একজন দুষ্কর্মকারীর সঙ্গে কথা বলেছিলেন, তখন তিনি ওই অপরাধীকে তার অতীতের খারাপ কাজের জন্য নিন্দা করেননি বরং এই উৎসাহ দিয়েছিলেন যে, তাঁর এক ভবিষ্যৎ আশা আছে। (লূক ২৩:৪৩, NW) যীশু ভালভাবেই জানতেন যে, অন্যদের সম্বন্ধে এক নেতিবাচক, সমালোচনামূলক দৃষ্টিভঙ্গি রাখলে তা অন্যদের কেবল নিরুৎসাহিতই করবে। কোন সন্দেহ নেই যে, অন্যদের মধ্যে ভাল কিছু খুঁজে পাওয়ার জন্য তাঁর প্রচেষ্টা অন্যদের আরও উন্নতি করতে উৎসাহ দিয়েছিল।

লোকেদের সেবা করার ইচ্ছা

১৭, ১৮. পৃথিবীতে আসার জন্য যীশু তাঁর কার্যভার গ্রহণ করে কীভাবে অন্যদের সেবা করার জন্য ইচ্ছুক মনোভাব দেখিয়েছিলেন?

১৭ যে-লোকেদের তিনি শিক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি যীশুর ভালবাসার আরেকটা জোরালো প্রমাণ ছিল তাদের সেবা করার জন্য তাঁর ইচ্ছা। পৃথিবীতে মানুষ হিসেবে আসার আগে মানবজাতির প্রতি ঈশ্বরের পুত্রের সবসময় ভালবাসা ছিল। (হিতোপদেশ ৮:৩০, ৩১) যিহোবার “বাক্য” বা মুখপাত্র হিসেবে তিনি মানুষের সঙ্গে বিভিন্ন সময় কথাবার্তা বলা উপভোগ করেছেন। (যোহন ১:১) কিন্তু মানুষকে আরেকটু সরাসরি শিক্ষা দেওয়ার জন্য স্বর্গে তাঁর উচ্চ পদ ছেড়ে দিয়ে “আপনাকে শূন্য করিলেন, দাসের রূপ ধারণ করিলেন।” (ফিলিপীয় ২:৭; ২ করিন্থীয় ৮:৯) পৃথিবীতে থাকাকালে, যীশু কারও কাছ থেকে সেবা পেতে চাননি। এর বদলে, তিনি বলেছিলেন: “মনুষ্যপুত্ত্র পরিচর্য্যা পাইতে আইসেন নাই, কিন্তু পরিচর্য্যা করিতে, এবং অনেকের পরিবর্ত্তে আপন প্রাণ মুক্তির মূল্যরূপে দিতে আসিয়াছেন।” (মথি ২০:২৮) যীশু এই কথাগুলো পূর্ণ করেছিলেন।

১৮ যীশু যাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন তাদের চাহিদাগুলো নম্রভাবে মিটিয়েছিলেন, তাদের জন্য নির্দ্বিধায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি হেঁটে হেঁটে প্রতিজ্ঞাত দেশের সব জায়গায় ভ্রমণ করেছিলেন, বেশি লোকেদের কাছে যাওয়ার জন্য মাইলের পর মাইল ভ্রমণ করে প্রচার করেছিলেন। তিনি অহংকারী ফরীশী ও অধ্যাপকদের মতো নন বরং নম্র ছিলেন ও তাঁর কাছে সহজে যাওয়া যেত। সব ধরনের লোকেরা—উচ্চপদস্থ, সৈনিক, আইনবিদ, নারী, শিশু, গরিব, অসুস্থ এমনকি সমাজের নিগৃহীত লোকেরা পর্যন্ত—উৎসুকভাবে, নির্ভয়ে তাঁর কাছে আসত। সিদ্ধ হলেও যীশু একজন মানুষ ছিলেন, তাই তিনি ক্লান্ত হতেন ও তাঁর খিদে পেত। এমনকি যখন তিনি ক্লান্ত হয়েছিলেন অথবা বিশ্রাম নেওয়ার বা প্রার্থনা করার জন্য নিরিবিলি পরিবেশের দরকার হয়েছিল, তখনও তিনি অন্যদের দরকারগুলোকে নিজের আগে রেখেছিলেন।—মার্ক ১:৩৫-৩৯.

১৯. কীভাবে যীশু তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে নম্রভাবে, ধৈর্যের সঙ্গে এবং সদয় আচরণ করার ক্ষেত্রে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন?

১৯ যীশু তাঁর শিষ্যদের প্রতিও একইরকম সেবা করতে ইচ্ছুক ছিলেন। তিনি সদয় ও ধৈর্যের সঙ্গে তাদের শিক্ষা দিয়ে তা করেছিলেন। কোন গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বুঝতে যখন তাদের কিছুটা সময় লেগেছিল, তখন তিনি হাল ছেড়ে দেননি, রাগ করেননি বা তাদের বকাঝকা করেননি। তারা যাতে তাঁর কথা পুরোপুরি বুঝতে পারে, সেইজন্য তিনি নতুন নতুন উপায় খুঁজেছিলেন। উদাহরণ হিসেবে, একটু ভেবে দেখুন যে শিষ্যরা কতবার কে শ্রেষ্ঠ তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করেছিল। বারবার এমনকি যীশুকে যেদিন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে তার আগের রাতেও তিনি একে অন্যের প্রতি নম্র ব্যবহার করতে তাদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য নতুন উপায় খুঁজেছিলেন। অন্যান্য বিষয়ের মতো নম্রতার বিষয়েও যীশু উপযুক্তভাবেই বলতে পেরেছিলেন: “আমি তোমাদিগকে দৃষ্টান্ত দেখাইলাম।”—যোহন ১৩:৫-১৫; মথি ২০:২৫; মার্ক ৯:৩৪-৩৭.

২০. ফরীশীদের বিপরীতে, যীশু শিক্ষাদানের কোন্‌ পদ্ধতি স্থাপন করেছিলেন এবং কেন তাঁর পদ্ধতি কার্যকারী প্রমাণিত হয়েছিল?

২০ লক্ষ করুন যে, যীশু তাঁর শিষ্যদের কেবল মুখেই বলেননি যে, সেই দৃষ্টান্তটা আসলে কী ছিল; বরং তিনি ‘দৃষ্টান্ত দেখাইয়াছিলেন।’ তিনি উদাহরণের মাধ্যমে তাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন। যীশু তাদের সঙ্গে এমনভাবে কথা বলেননি যে তিনি নিজেকে তাদের চেয়ে শ্রেষ্ঠ বলে ভাবছিলেন, যেন তিনি তাদের যা কিছু করতে বলছিলেন সেগুলো পালন করা তাঁর কাজ নয়। সেটা ছিল ফরীশীদের পন্থা। ফরীশীদের সম্বন্ধে যীশু বলেছিলেন: “তাহারা বলে, কিন্তু করে না।” (মথি ২৩:৩) যীশু নম্রভাবে তাঁর ছাত্রদের সামনে অভ্যাস ও প্রয়োগ করে দেখিয়েছিলেন যে, তাঁর শিক্ষাগুলোর প্রকৃত অর্থ কী। তাই, তিনি যখন তাঁর শিষ্যদের বস্তুবাদিতা থেকে মুক্ত এক সাদাসিধে জীবনযাপন করার জন্য উৎসাহ দিয়েছিলেন, তখন তাদের ভাবতে হয়নি যে, এর মানে আসলে কী। তারা যীশুর এই কথাগুলোর সত্যতা নিজের চোখে দেখেছিল: “শৃগালদের গর্ত্ত আছে, এবং আকাশের পক্ষিগণের বাসা আছে; কিন্তু মনুষ্যপুত্ত্রের মস্তক রাখিবার স্থান নাই।” (মথি ৮:২০) যীশু তাঁর শিষ্যদের জন্য নম্রভাবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে তাদের সেবা করেছিলেন।

২১. পরের প্রবন্ধে কোন্‌ বিষয়টা আলোচনা করা হবে?

২১ কোন সন্দেহ নেই যে, পৃথিবীতে যীশু ছিলেন সর্বমহান শিক্ষক! তিনি যা কিছু শিখিয়েছিলেন সেগুলোর এবং লোকেদের জন্য তাঁর ভালবাসা, যে-সমস্ত সৎহৃদয়ের লোকেরা তাঁকে দেখেছিলেন ও তাঁর কথা শুনেছিলেন, তাদের কাছে স্পষ্ট ছিল। আজকে আমাদের মধ্যে যারা, তিনি যে-দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছিলেন তা অধ্যয়ন করেন, তাদের মধ্যেও তা একইভাবে স্পষ্ট। কিন্তু, খ্রীষ্টের নিখুঁত উদাহরণ আমরা কীভাবে অনুসরণ করতে পারি? পরের প্রবন্ধ এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ে আলোচনা করবে।

আপনি কীভাবে উত্তর দেবেন?

• উত্তম শিক্ষা দেওয়ার ভিত্তি কী আর কে তা করে দেখিয়েছিলেন?

• যীশু যে-সত্যগুলো শিখিয়েছেন, সেগুলোর প্রতি তিনি কোন্‌ কোন্‌ উপায়ে ভালবাসা দেখিয়েছিলেন?

• যীশু যে-লোকেদের শিক্ষা দিয়েছিলেন, তাদের প্রতি তিনি কীভাবে ভালবাসা দেখিয়েছেন?

• কোন্‌ উদাহরণগুলো দেখায় যে, যীশু যাদের শিক্ষা দিয়েছিলেন তাদের নম্রভাবে সেবা করার জন্য তিনি ইচ্ছুক ছিলেন?

[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]

[১২ পৃষ্ঠার চিত্র]

কীভাবে যীশু দেখিয়েছিলেন যে, ঈশ্বরের বাক্যে পাওয়া নীতিগুলোকে তিনি ভালবাসতেন?