সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

মহান শিক্ষককে অনুকরণ করুন

মহান শিক্ষককে অনুকরণ করুন

মহান শিক্ষককে অনুকরণ করুন

“অতএব তোমরা গিয়া . . . শিষ্য কর; . . . আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও।”মথি ২৮:১৯, ২০.

১, ২. (ক) এক অর্থে কীভাবে আমরা সবাই শিক্ষক? (খ) শিক্ষার বিষয়ে সত্য খ্রীষ্টানদের কোন্‌ অদ্বিতীয় দায়িত্ব রয়েছে?

 আপনি কি একজন শিক্ষক? এক অর্থে আমরা সবাই শিক্ষক। যতবার আপনি একজন পথহারা পথিককে রাস্তা দেখিয়ে দেন, কোন একটা কাজ কীভাবে করতে হয়, তা একজন সহকর্মীকে বুঝিয়ে দেন বা একটা ছোট ছেলে বা মেয়েকে কীভাবে জুতোর ফিতে বাঁধতে হয়, সেটা দেখিয়ে দেন, ততবার আপনি শিক্ষা দিচ্ছেন। এভাবে অন্যদের সাহায্য করলে, তা কিছুটা হলেও পরিতৃপ্তি নিয়ে আসে, তাই নয় কি?

শিক্ষার বিষয়ে সত্য খ্রীষ্টানদের এক অদ্বিতীয় দায়িত্ব রয়েছে। লোকেদের ‘শিষ্য করিবার ও তাহাদিগকে শিক্ষা দেওয়ার’ দায়িত্ব আমাদের দেওয়া হয়েছে। (মথি ২৮:১৯, ২০) মণ্ডলীতেও কখনও কখনও আমাদের শিক্ষা দিতে হয়। যোগ্য ব্যক্তিদের “পালক ও শিক্ষাগুরু” হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছে, যাতে তারা মণ্ডলীকে গড়ে তুলতে পারে। (ইফিষীয় ৪:১১-১৩) দৈনন্দিন খ্রীষ্টীয় কাজকর্মের মাধ্যমে পরিপক্ব মহিলারা যুবতীদের কাছে “সুশিক্ষাদায়িনী” হয়। (তীত ২:৩-৫) আমাদের সবাইকে সহ বিশ্বাসীদের উৎসাহ দিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে আর অন্যদের গড়ে তোলার জন্য বাইবেল ব্যবহার করে আমরা সেই পরামর্শে মনোযোগ দিতে পারি। (১ থিষলনীকীয় ৫:১১) ঈশ্বরের বাক্যের একজন শিক্ষক হওয়া এবং চির উপকার এনে দিতে পারে, এমন আধ্যাত্মিক মূল্যবোধগুলো অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া কত বড় এক সুযোগ!

৩. শিক্ষক হিসেবে আমরা কীভাবে আমাদের কার্যকারিতায় উন্নতি করতে পারি?

কিন্তু, শিক্ষক হিসেবে কীভাবে আমরা আমাদের কার্যকারিতায় উন্নতি করতে পারি? প্রথমত, মহান শিক্ষক যীশুকে অনুকরণ করার মাধ্যমে। ‘কিন্তু, কীভাবে আমরা যীশুকে অনুকরণ করতে পারি?’ কেউ কেউ হয়তো ভাবতে পারে। ‘তিনি সিদ্ধ ছিলেন।’ এটা ঠিক যে, শিক্ষক হিসেবে আমরা তাঁর মতো সিদ্ধ হতে পারব না। তবুও, আমাদের ক্ষমতা যেমনই হোক না কেন, যীশু যেভাবে শিক্ষা দিতেন, তা অনুকরণ করার জন্য আমরা যথাসাধ্য করতে পারি। আসুন আমরা আলোচনা করি যে, কীভাবে আমরা তাঁর চারটে পদ্ধতি কাজে লাগাতে পারি, যেগুলো হল সরলতা, কার্যকারী প্রশ্ন, যুক্তিযুক্ত কারণ এবং উপযুক্ত দৃষ্টান্ত।

সরলতা বজায় রেখে

৪, ৫. (ক) কেন সরলতা বাইবেলের সত্যের একটা বৈশিষ্ট্য? (খ) সরলতার সঙ্গে শিক্ষা দিতে হলে আমাদের শব্দভাণ্ডারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ?

ঈশ্বরের বাক্যের মৌলিক সত্যগুলো জটিল নয়। প্রার্থনায় যীশু বলেছিলেন: “হে পিতঃ, . . . আমি তোমার ধন্যবাদ করিতেছি, কেননা তুমি বিজ্ঞ ও বুদ্ধিমানদের হইতে এই সকল বিষয় গুপ্ত রাখিয়া শিশুদের নিকটে প্রকাশ করিয়াছ।” (মথি ১১:২৫) যিহোবা তাঁর উদ্দেশ্যগুলো আন্তরিক এবং নম্র হৃদয়ের ব্যক্তিদের কাছে প্রকাশ করেছেন। (১ করিন্থীয় ১:২৬-২৮) তাই, সরলতা হল বাইবেলের সত্যের মূল বৈশিষ্ট্য।

আপনি যখন একটা গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করেন বা আগ্রহী ব্যক্তিদের সঙ্গে পুনর্সাক্ষাৎ করেন, তখন কীভাবে সরলতার সঙ্গে শিক্ষা দিতে পারেন? মহান শিক্ষকের কাছ থেকে আমরা কী শিখেছি? যীশু তাঁর শ্রোতা, যাদের মধ্যে অনেকে “অশিক্ষিত সামান্য” ছিল, তাদের কাছে পৌঁছানোর জন্য সহজ ভাষা ব্যবহার করতেন, যা তারা বুঝতে পারত। (প্রেরিত ৪:১৩) তাই, সরলতার সঙ্গে শিক্ষা দেওয়ার জন্য প্রথম যে-বিষয়টা প্রয়োজন সেটা হল, আমাদের শব্দভাণ্ডার সম্বন্ধে সচেতন হওয়া। অন্যদের কাছে ঈশ্বরের বাক্য আরও প্রত্যয়-উৎপাদক করে তোলার জন্য আমাদের অনেক বড় বড় শব্দ বা বাক্য বলার প্রয়োজন নেই। এইধরনের “বাক্যের . . . উৎকৃষ্টতা” ভীতিজনক হতে পারে, বিশেষ করে তাদের কাছে, যারা তত বেশি পড়ালেখা করেনি বা যাদের ক্ষমতা সীমিত। (১ করিন্থীয় ২:১, ২) যীশুর উদাহরণ দেখায় যে, সতর্কতার সঙ্গে সরল শব্দ বাছাই করলে, তা বেশ জোরালোভাবে সত্য প্রকাশ করে।

৬. কীভাবে আমরা খুব বেশি তথ্য দিয়ে একজন বাইবেল ছাত্রকে হতবুদ্ধি করা এড়িয়ে চলতে পারি?

এ ছাড়া, সরলতার সঙ্গে শিক্ষা দিতে গেলে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে আমরা খুব বেশি তথ্য দিয়ে একজন বাইবেল ছাত্রকে হতবুদ্ধি করে না ফেলি। যীশু তাঁর শিষ্যদের সীমাবদ্ধতা সম্বন্ধে বিবেচনা করতেন। (যোহন ১৬:১২) আমাদেরও ছাত্রদের কথা বিবেচনা করতে হবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে বই থেকে অধ্যয়ন করানোর সময় খুঁটিনাটি সমস্ত কিছু আমাদের ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন নেই। * এ ছাড়া, এমনভাবে তাড়াহুড়ো করেও তথ্য দেওয়ার দরকার নেই, যেন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু শেষ করাটাই হল গুরুত্বপূর্ণ। এর বদলে, ছাত্রের প্রয়োজন এবং ক্ষমতা অনুসারে তার অধ্যয়নের সীমা নির্ধারণ করতে হবে। আমাদের লক্ষ্য হল, ছাত্রকে খ্রীষ্টের একজন শিষ্য ও যিহোবার একজন উপাসক হতে সাহায্য করা। একজন আগ্রহী ছাত্র যা শিখছে, সেটা তাকে স্পষ্টভাবে বুঝতে সাহায্য করার জন্য যতখানি সময়ই লাগুক না কেন, আমাদের তা নেওয়া প্রয়োজন। এভাবে, হয়তো সত্য তার হৃদয় স্পর্শ করবে এবং তাকে কাজ করতে পরিচালিত করবে।—রোমীয় ১২:২.

৭. মণ্ডলীতে সরলতার সঙ্গে বক্তৃতা দিতে কোন্‌ পরামর্শগুলো আমাদের সাহায্য করতে পারে?

আমরা যখন মণ্ডলীতে বক্তৃতা দিই, বিশেষ করে শ্রোতাদের মধ্যে যদি নতুন ব্যক্তিরা থাকে, তখন কীভাবে আমরা “সহজে বুঝা যায়,” এমন কথা বলতে পারি? (১ করিন্থীয় ১৪:৯) তিনটে পরামর্শ বিবেচনা করুন, যা সাহায্য করতে পারে। প্রথমত, যেকোন অপরিচিত শব্দ ব্যাখ্যা করুন, যা আপনাকে ব্যবহার করতে হবে। ঈশ্বরের বাক্য সম্বন্ধে আমাদের বোধগম্যতা আমাদের এক অদ্বিতীয় শব্দভাণ্ডার দিয়েছে। আমরা যদি এইরকম অভিব্যক্তি ব্যবহার করি যেমন, “বিশ্বস্ত ও বুদ্ধিমান্‌ দাস,” “আরও মেষ” এবং ‘মহতী বাবিল,’ তা হলে আমরা হয়তো সেগুলো সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করতে পারি, যাতে এর অর্থ পরিষ্কার হয়। দ্বিতীয়ত, শব্দবাহুল্য এড়িয়ে চলুন। খুব বেশি শব্দ, বিশদ বিবরণ হয়তো শ্রোতাদের আগ্রহ কমিয়ে ফেলতে পারে। অযথা শব্দ এবং বাক্য এড়িয়ে চলার মাধ্যমে বিষয়বস্তু স্পষ্ট হয়। তৃতীয়ত, একসঙ্গে অনেক বিষয়বস্তু বলার চেষ্টা করবেন না। গবেষণা করে আমরা হয়তো অনেক আগ্রহজনক বিষয়বস্তু বের করতে পারি। কিন্তু, সর্বোত্তম বিষয় হল বিষয়বস্তুকে অল্প কয়েকটা মূল বিষয়ে ভাগ করা, শুধু সেই তথ্য ব্যবহার করা যা এই বিষয়গুলোকে সমর্থন করে এবং যেটা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে স্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেওয়া যায়।

প্রশ্নের কার্যকারী ব্যবহার

৮, ৯. কীভাবে আমরা এমন একটা প্রশ্ন বাছাই করতে পারি, যা গৃহকর্তার আগ্রহ জাগিয়ে তুলবে? কয়েকটা উদাহরণ দিন।

মনে করে দেখুন যে, যীশু তাঁর শ্রোতাদের মনের কথা বের করে আনতে, তাদের উদ্দীপিত করতে এবং তাদের চিন্তাভাবনাকে গড়ে তুলতে বিভিন্ন প্রশ্ন ব্যবহার করায় দক্ষ ছিলেন। প্রশ্নের মাধ্যমে যীশু নম্রভাবে তাদের হৃদয়ে পৌঁছাতেন এবং হৃদয় স্পর্শ করতেন। (মথি ১৬:১৩, ১৫; যোহন ১১:২৬) যীশুর মতো আমরাও কীভাবে বিভিন্ন প্রশ্ন কার্যকারীভাবে ব্যবহার করতে পারি?

ঘরে-ঘরে প্রচার করার সময় আগ্রহ জাগিয়ে তুলতে আমরা প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারি, যাতে ঈশ্বরের রাজ্য সম্বন্ধে কথা বলার জন্য আমাদের পথ তৈরি হয়। কীভাবে আমরা একটা প্রশ্ন বাছাই করতে পারি, যা গৃহকর্তার আগ্রহ জাগিয়ে তুলবে? ভাল করে পর্যবেক্ষণ করুন। একটা ঘরে যাওয়ার পর তার চারপাশটা দেখুন। মেঝেতে কি খেলনা পড়ে রয়েছে, যা দেখায় যে বাড়িতে বাচ্চা রয়েছে? যদি তাই হয়, তা হলে আমরা হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারি, ‘আপনি কি কখনও ভেবে দেখেছেন যে, আপনার ছেলেমেয়েরা যখন বড় হবে তখন জগতের অবস্থা কেমন হবে?’ (গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১) সদর দরজায় কি অনেক তালা ঝুলছে বা সেখানে কি কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে? আমরা জিজ্ঞেস করতে পারি: ‘আপনার কি মনে হয় যে, কখনও এমন সময় আসবে যখন আপনার ও আমার মতো লোকেরা ঘরে এবং রাস্তায় নিরাপদ বোধ করবে?’ (মীখা ৪:৩, ৪) সেখানে কি হুইলচেয়ার ওঠানামা করার কোন ঢালু রাস্তা আছে? আমরা হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারি: ‘কখনও কি এমন সময় আসবে যখন সকলে ভাল স্বাস্থ্য উপভোগ করবে?’ (যিশাইয় ৩৩:২৪) শাস্ত্র থেকে যুক্তি করা * (ইংরেজি) বইয়ের মধ্যে অনেক পরামর্শ পাওয়া যেতে পারে।

১০. একজন বাইবেল ছাত্রের মনের চিন্তা এবং অনুভূতি ‘তুলিয়া আনিতে’ আমরা কীভাবে প্রশ্নগুলো ব্যবহার করতে পারি কিন্তু আমাদের কী মনে রাখতে হবে?

১০ আমরা কীভাবে বাইবেল অধ্যয়ন করানোর সময় ভালভাবে প্রশ্নের ব্যবহার করতে পারি? যীশুর মতো আমরা হৃদয় পড়তে পারি না। তবে, কৌশলী কিন্তু বিচক্ষণ প্রশ্ন ব্যবহার করা আমাদের ছাত্রদের হৃদয়ের চিন্তা এবং অনুভূতি ‘তুলিয়া আনিতে’ সাহায্য করতে পারে। (হিতোপদেশ ২০:৫) উদাহরণ হিসেবে ধরুন, আমরা জ্ঞান বই থেকে “কেন এক ধার্মিক জীবনযাপন সুখ নিয়ে আসে” অধ্যায়টা আলোচনা করছি। এতে অসততা, ব্যভিচার এবং অন্যান্য বিষয়ের প্রতি ঈশ্বরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। ছাত্র হয়তো ছাপানো প্রশ্নগুলোর উত্তর সঠিকভাবে দিতে পারেন কিন্তু তিনি যা শিখছেন তার সঙ্গে তিনি কি একমত? আমরা হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারি: ‘এই বিষয়গুলোকে যিহোবা যে-দৃষ্টিতে দেখেন, সেটা কি আপনার কাছে যুক্তিসংগত বলে মনে হয়?’ ‘কীভাবে আপনি বাইবেলের এই নীতিগুলো আপনার জীবনে কাজে লাগাতে পারেন?’ তবে মনে রাখবেন যে, ছাত্রের মর্যাদা অনুযায়ী আমাদের শ্রদ্ধাপূর্ণ হতে হবে। আমরা এমন সব প্রশ্ন করতে চাই না, যা বাইবেল ছাত্রকে অস্বস্তিতে ফেলে বা তাকে নিচু করে।—হিতোপদেশ ১২:১৮.

১১. জনসাধারণের বক্তৃতা দেয় এমন বক্তারা কোন্‌ কোন্‌ উপায়ে প্রশ্নগুলোকে কার্যকারীভাবে ব্যবহার করতে পারে?

১১ জনসাধারণের বক্তৃতা দেয় এমন বক্তারাও প্রশ্নগুলোকে কার্যকারীভাবে ব্যবহার করতে পারে। অলঙ্করণ প্রশ্ন—যে-প্রশ্নগুলোর উত্তর শ্রোতাদের কাছ থেকে চাওয়া হয় না—একজন শ্রোতাকে চিন্তা করতে এবং যুক্তি করতে সাহায্য করে। যীশু প্রায়ই এইধরনের প্রশ্নগুলো ব্যবহার করতেন। (মথি ১১:৭-৯) এ ছাড়া ভূমিকার পর, একজন বক্তা হয়তো যে-মূল বিষয়গুলো আলোচনা করা হবে, তা তুলে ধরার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারেন। তিনি হয়তো বলতে পারেন: “আজকের আলোচনায় আমরা এই প্রশ্নগুলোর উত্তর বিবেচনা করব . . . ।” এরপর উপসংহারে, মূল বিষয়গুলো পুনরালোচনা করার জন্য তিনি সেই প্রশ্নগুলোর উল্লেখ করতে পারেন।

১২. একজন সহ বিশ্বাসীকে ঈশ্বরের বাক্য থেকে সান্ত্বনা পেতে সাহায্য করার জন্য খ্রীষ্টান প্রাচীনরা কীভাবে বিভিন্ন প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে, তার একটা উদাহরণ দিন।

১২ খ্রীষ্টান প্রাচীনরা তাদের পালকীয় কাজের সময় একজন ‘ক্ষীণসাহসীকে’ যিহোবার বাক্য থেকে সান্ত্বনা পেতে সাহায্য করার জন্য বিভিন্ন প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে। (১ থিষলনীকীয় ৫:১৪) উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, নিজেকে বিষণ্ণ মনে করেন এমন একজন ব্যক্তিকে একজন প্রাচীন গীতসংহিতা ৩৪:১৮ পদ দেখাতে পারেন। এটা বলে, “সদাপ্রভু [“যিহোবা,” NW] ভগ্নচিত্তদের নিকটবর্ত্তী, তিনি চূর্ণমনাদের পরিত্রাণ করেন।” নিরুৎসাহিত ব্যক্তির জীবনে কীভাবে এটা কাজে লাগে, তা নিশ্চিত করতে প্রাচীন হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন: ‘যিহোবা কার নিকটবর্তী? আপনি কি কখনও কখনও নিজেকে ‘ভগ্নচিত্ত’ এবং ‘চূর্ণমনা’ মনে করেন? যদি করেন, তা হলে বাইবেল যেমন বলে যে, যিহোবা এইধরনের ব্যক্তিদের নিকটবর্তী, তা হলে এর মানে কি এই নয় যে তিনি আপনারও নিকটবর্তী?’ এইধরনের কোমল আশ্বাস সেই হতাশ ব্যক্তিকে পুনরুদ্দীপিত করতে পারে।—যিশাইয় ৫৭:১৫.

যুক্তিযুক্ত কারণ

১৩, ১৪. (ক) একজন ব্যক্তি যখন বলেন যে, তিনি অদৃশ্য ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না, তখন কীভাবে আমরা যুক্তি দেখাতে পারি? (খ) কেন আমরা আশা করব না যে, সবাই বিশ্বাস করার মতো প্রত্যয়ী হবে?

১৩ আমাদের পরিচর্যায় আমরা উপযুক্ত এবং প্রত্যয়-উৎপাদক যুক্তি দেখিয়ে লোকেদের হৃদয়ে পৌঁছাতে চাই। (প্রেরিত ১৯:৮; ২৮:২৩, ২৪) এর মানে কি এই যে, আমাদের জটিল সব যুক্তি ব্যবহার করা শিখতে হবে, যাতে ঈশ্বরের বাক্যের সত্যের প্রতি লোকেদের আকৃষ্ট করতে পারি? কখনোই না। উপযুক্ত যুক্তি জটিল হওয়ার দরকার নেই। যুক্তিযুক্ত তর্ক সহজভাবে করা হলে তা প্রায়ই আরও বেশি কার্যকারী হয়। একটা উদাহরণ বিবেচনা করুন।

১৪ একজন ব্যক্তি যখন বলেন যে, তিনি অদৃশ্য ঈশ্বরকে বিশ্বাস করেন না, তখন আমরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাব? আমরা কারণ ও ফলাফলের প্রাকৃতিক নিয়মের ওপর যুক্তি দেখাতে পারি। আমরা যখন কোন ফলাফল দেখি তখন আমরা স্বীকার করি, একটা কারণ নিশ্চয়ই রয়েছে। আমরা হয়তো বলতে পারি: ‘আপনি যদি কোন দূরবর্তী এলাকায় গিয়ে সুন্দরভাবে তৈরি একটা বাড়ি দেখেন, যেখানে প্রচুর খাবার মজুত রয়েছে (ফলাফল), তা হলে আপনি সহজেই স্বীকার করবেন যে, কেউ একজন (কারণ) সেই বাড়ি তৈরি করেছে এবং খাদ্যভাণ্ডার পরিপূর্ণ করে রেখেছে। একইভাবে আমরা যখন প্রকৃতির নকশা এবং পৃথিবীর “খাদ্যভাণ্ডার” এর মধ্যে প্রচুর খাবার দেখি (ফলাফল), তখন এটা মেনে নেওয়া কি যুক্তিযুক্ত নয় যে কেউ একজন (কারণ) এগুলো করেছেন?’ বাইবেল সহজ যুক্তিতে এই বিষয়টা বলে: “কেননা প্রত্যেক গৃহ কাহারও দ্বারা সংস্থাপিত হয়, কিন্তু যিনি সকলই সংস্থাপন করিয়াছেন, তিনি ঈশ্বর।” (ইব্রীয় ৩:৪) কিন্তু, আমাদের যুক্তি যত উপযুক্তই হোক না কেন, সবাই তাতে বিশ্বাস করার মতো প্রত্যয়ী হবে না। বাইবেল আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শুধু “নিরূপিত” ব্যক্তিরা বিশ্বাসী হবে।—প্রেরিত ১৩:৪৮; ২ থিষলনীকীয় ৩:২.

১৫. যিহোবার গুণাবলি এবং পথগুলো তুলে ধরার জন্য আমরা কোন্‌ যুক্তিযুক্ত কারণ ব্যবহার করতে পারি এবং কীভাবে আমরা এইধরনের কারণ ব্যবহার করতে পারি, তা কোন্‌ দুটো উদাহরণ থেকে দেখা যায়?

১৫ আমাদের শিক্ষায়, তা সেটা ক্ষেত্রের পরিচর্যায় বা মণ্ডলীতেই হোক না কেন, যিহোবার গুণাবলি এবং পথগুলো তুলে ধরার জন্য আমরা যুক্তিযুক্ত কারণ ব্যবহার করতে পারি। বিশেষ করে ‘কত অধিক নিশ্চয় যে,’ এই শব্দসমষ্টি দিয়ে যুক্তিযুক্ত কারণ ব্যবহার করা কার্যকারী, যা যীশু প্রায়ই ব্যবহার করতেন। (লূক ১১:১৩; ১২:২৪) তুলনা দেখিয়ে এইধরনের কারণ ব্যবহার করা অনেক গভীর ছাপ ফেলতে পারে। নরকাগ্নির মতবাদ যে অযৌক্তিক, তা তুলে ধরার জন্য আমরা হয়তো বলতে পারি: ‘কোন প্রেমময় বাবা কখনও তার সন্তানের হাত আগুনের ওপর ধরে রেখে তাকে শাস্তি দেবেন না। তা হলে নরকাগ্নির ধারণা আমাদের প্রেমময় পিতার আরও কত বিপরীত!’ (যিরমিয় ৭:৩১) যিহোবা তাঁর দাসদের আলাদা আলাদাভাবে যত্ন নেন, সেই বিষয়ে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা হয়তো জিজ্ঞেস করতে পারি: ‘যিহোবা যদি কোটি কোটি তারার প্রত্যেকটার নাম জানেন, তা হলে মানুষদের তিনি আরও কত অধিক যত্ন নেন, যারা তাঁকে ভালবাসে এবং যাদেরকে তিনি প্রিয় পুত্রের মূল্যবান রক্তের মাধ্যমে কিনে নিয়েছেন!’ (যিশাইয় ৪০:২৬; প্রেরিত ২০:২৮) এইধরনের জোরালো কারণ অন্যদের হৃদয়ে পৌঁছানোর জন্য আমাদের সাহায্য করতে পারে।

উপযুক্ত দৃষ্টান্ত

১৬. শিক্ষার দেওয়ার সময় দৃষ্টান্তগুলো কেন মূল্যবান?

১৬ কার্যকারী দৃষ্টান্তগুলো হল এক স্বাদনদ্রব্য, যা আমাদের শিক্ষাকে অন্যদের কাছে আরও রুচিকর করে তুলতে পারে। শিক্ষা দেওয়ার সময় দৃষ্টান্তগুলো কেন মূল্যবান? একজন শিক্ষাবিদ বলেন: “বিক্ষিপ্তভাবে চিন্তা করার ক্ষমতা মানুষের কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অন্তরায়।” কিন্তু, দৃষ্টান্তগুলো আমাদের মনের মধ্যে অর্থপূর্ণ ছবি এঁকে দেয়, নতুন ধারণাগুলো বুঝতে আমাদের আরও বেশি সাহায্য করে। দৃষ্টান্ত ব্যবহার করার ক্ষেত্রে যীশু অসাধারণ ছিলেন। (মার্ক ৪:৩৩, ৩৪) আসুন আমরা বিবেচনা করে দেখি যে, আমরা কীভাবে এই শিক্ষাপদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি।

১৭. কোন্‌ চারটে বিষয় দৃষ্টান্তকে কার্যকারী করে তোলে?

১৭ কোন্‌ বিষয়টা একটা দৃষ্টান্তকে কার্যকারী করে তুলতে পারে? প্রথমত, এটা আমাদের শ্রোতাদের জন্য উপযুক্ত হতে হবে, এমন পরিস্থিতির ব্যবহার করতে হবে যাতে আমাদের শ্রোতারা সহজেই বুঝতে পারে। আমরা মনে করতে পারি যে, যীশু তাঁর শ্রোতাদের রোজকার জীবনের থেকে অনেক দৃষ্টান্ত ব্যবহার করতেন। দ্বিতীয়ত, যে-বিষয়বস্তু তুলে ধরা হচ্ছে সেটার সঙ্গে একটা দৃষ্টান্তের যুক্তিযুক্ত মিল থাকতে হবে। তুলনা যদি সঠিক না হয়, তা হলে দৃষ্টান্ত হয়তো আমাদের শ্রোতাদের মনোযোগকে শুধু বিক্ষিপ্ত করবে। তৃতীয়ত, একটা দৃষ্টান্তে অপ্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু যুক্ত করা উচিত নয়। মনে করে দেখুন যে, যীশু প্রয়োজনীয় নির্দিষ্ট বিষয়গুলো বলতেন কিন্তু অপ্রয়োজনীয় বিষয়গুলো বাদ দিতেন। চতুর্থত, আমরা যখন কোন দৃষ্টান্ত ব্যবহার করি, তখন আমাদের নিশ্চিত হওয়া উচিত যে, এর প্রয়োগ স্পষ্ট বোঝা যায়। নতুবা কেউ কেউ হয়তো বিষয়টা বুঝতে পারবে না।

১৮. কীভাবে আমরা উপযুক্ত দৃষ্টান্ত সম্বন্ধে চিন্তা করতে পারি?

১৮ কীভাবে আমরা উপযুক্ত দৃষ্টান্ত সম্বন্ধে চিন্তা করতে পারি? আমাদের দীর্ঘ ও বিশদ গল্প চিন্তা করার দরকার নেই। সংক্ষিপ্ত দৃষ্টান্ত অনেক কার্যকারী হতে পারে। যে-বিষয়টা আলোচনা করা হবে সেই সম্বন্ধে উদাহরণটা সাধারণভাবে চিন্তা করার চেষ্টা করুন। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ধরুন আমরা ঈশ্বরের ক্ষমার বিষয়ে আলোচনা করছি এবং আমরা প্রেরিত ৩:১৯ পদের বিষয়টা তুলে ধরতে চাই, যেখানে বলা আছে যে যিহোবা আমাদের পাপ ‘মুছিয়া ফেলেন’ বা দূর করেন। এই কথাগুলোই বেশ চমৎকার ভাষালঙ্কার কিন্তু মূল বিষয়টা আরও ভালভাবে বোঝানোর জন্য আমরা বাস্তব কোন্‌ উদাহরণ ব্যবহার করতে পারি—একটা রবার? অথবা একটা স্পঞ্জ? আমরা হয়তো বলতে পারি: ‘যিহোবা যখন আমাদের পাপ ক্ষমা করেন, তখন তিনি যেন একটা স্পঞ্জ ব্যবহার করে (বা একটা রবার) সেগুলো দূর করে দিচ্ছেন।’ এইরকম সাধারণ দৃষ্টান্তের বিষয়বস্তু খুব সহজেই বোঝা যায়।

১৯, ২০. (ক) ভাল ভাল দৃষ্টান্ত আমরা কোথায় পেতে পারি? (খ) কার্যকারী দৃষ্টান্তের কিছু উদাহরণ কী, যা আমাদের সাহিত্যাগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে? (এ ছাড়া, বাক্স দেখুন।)

১৯ কোথায় আপনি উপযুক্ত দৃষ্টান্ত ও সেইসঙ্গে সত্য উদাহরণগুলো পেতে পারেন? নিজের জীবন বা সহ বিশ্বাসীদের বিভিন্ন পটভূমি এবং অভিজ্ঞতায় তা খুঁজুন। অন্যান্য অনেক উৎস ও সেইসঙ্গে জীব ও জড় বস্তু, গৃহস্থালির বিষয়বস্তু বা সমাজে সাম্প্রতিক কোন পরিচিত ঘটনা থেকেও দৃষ্টান্তগুলো বেছে নেওয়া যেতে পারে। ভাল ভাল দৃষ্টান্ত খুঁজে পাওয়ার চাবিকাঠি হল সজাগ থাকা, রোজকার জীবনের চারপাশের পরিস্থিতি ‘দেখা।’ (প্রেরিত ১৭:২২, ২৩) জনসাধারণের বক্তৃতার ওপর একটা বই বলে: “একজন বক্তা, যিনি মানুষের জীবনযাপন ও এর বিভিন্ন পেশা লক্ষ করেন, সব ধরনের লোকের সঙ্গে কথা বলেন, বিষয়গুলো ভাল করে পরীক্ষা করেন এবং সেগুলো না বোঝা পর্যন্ত নানান প্রশ্ন করেন, তিনি অনেক দৃষ্টান্ত জোগাড় করতে পারেন, যেগুলো দরকারের সময় তার অনেক কাজে আসবে।”

২০ কার্যকারী দৃষ্টান্তগুলোর আরেকটা বিরাট ভাণ্ডার রয়েছে—যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত প্রহরীদুর্গ, সচেতন থাক! এবং অন্যান্য সাহিত্যাদি। এই প্রকাশনাগুলোতে কীভাবে দৃষ্টান্তগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তা লক্ষ করে আপনি অনেক কিছু শিখতে পারেন। * উদাহরণ হিসেবে, জ্ঞান বইয়ের ১৭ অধ্যায়ের ১১ অনুচ্ছেদে যে-দৃষ্টান্তটা ব্যবহার করা হয়েছে, সেটার কথা বিবেচনা করুন। এটা মণ্ডলীতে বিভিন্ন ব্যক্তিত্বের লোকেদের রাস্তায় চলন্ত অনেক গাড়ির সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। কোন্‌ বিষয়টা এটাকে কার্যকারী করে তুলেছে? লক্ষ করুন যে, এটা রোজকার পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে করা হয়েছে, মূল বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এবং এর প্রয়োগ স্পষ্ট। আমরা হয়তো শিক্ষা দেওয়ার সময় ছাপানো দৃষ্টান্তগুলো ব্যবহার করতে পারি, সেগুলো হয়তো একজন বাইবেল ছাত্রের প্রয়োজন অনুসারে উপযোগী করতে বা বক্তৃতায় ব্যবহার করার জন্য সমন্বয় করতে পারি।

২১. ঈশ্বরের বাক্যের কার্যকারী শিক্ষক হলে কোন্‌ পুরস্কারগুলো পাওয়া যায়?

২১ কার্যকারী শিক্ষক হওয়ার পুরস্কার অনেক। আমরা যখন শিক্ষা দিই, তখন অন্যদের সঙ্গে ভাগ করে নিই; আমরা আমাদের কিছু মেধা তাদের সাহায্য করার জন্য দিই। এইধরনের দান সুখ নিয়ে আসে কারণ বাইবেল বলে: “গ্রহণ করা অপেক্ষা বরং দান করা ধন্য [“সুখী,” NW] হইবার বিষয়।” (প্রেরিত ২০:৩৫) ঈশ্বরের বাক্যের শিক্ষকদের জন্য সুখ হল এটা জানার আনন্দ যে, আমরা এমন কিছু দিচ্ছি যার প্রকৃত এবং চিরস্থায়ী মূল্য রয়েছে আর সেটা হল যিহোবা সম্বন্ধে সত্য। এ ছাড়া, আমরা এটা জেনে পরিতৃপ্তি পেতে পারি যে, মহান শিক্ষক যীশু খ্রীষ্টকে আমরা অনুকরণ করছি।

[পাদটীকাগুলো]

^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।

^ ৯-১৫ পৃষ্ঠায় “ক্ষেত্রের পরিচর্যায় ব্যবহার করার জন্য ভূমিকাগুলো” বিভাগটা দেখুন।—যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।

^ উদাহরণের জন্য ওয়াচ টাওয়ার পাবলিকেশনস্‌ ইনডেক্স ১৯৮৬-২০০০, এর “দৃষ্টান্তগুলো” দেখুন—যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা অনেক ভাষায় প্রকাশিত।

আপনি কি মনে করতে পারেন?

• কীভাবে আমরা সরলতার সঙ্গে শিক্ষা দিতে পারি, গৃহ বাইবেল অধ্যয়ন পরিচালনা করার সময়? মণ্ডলীতে বক্তৃতা দেওয়ার সময়?

• ঘরে-ঘরে প্রচার করার সময় আমরা কীভাবে প্রশ্নগুলোকে কার্যকারীভাবে ব্যবহার করতে পারি?

• যিহোবার গুণাবলি এবং পথগুলো সম্বন্ধে তুলে ধরার জন্য কীভাবে আমরা যুক্তিযুক্ত কারণ ব্যবহার করতে পারি?

• উপযুক্ত দৃষ্টান্তগুলো আমরা কোথায় খুঁজে পেতে পারি?

[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]

[২৩ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

আপনি কি এই দৃষ্টান্তগুলো মনে করতে পারেন?

নিচের উদাহরণগুলো হল শুধু কয়েকটা কার্যকারী দৃষ্টান্ত। রেফারেন্স দেখে লক্ষ করুন না কেন যে, যে-বিষয় আলোচনা করা হয়েছে তার ওপর জোর দিতে দৃষ্টান্তটি কীভাবে সাহায্য করে?

শারীরিক কলাকসরতের দুজন ক্রীড়াবিদ বা বরফ স্কেটিংয়ের দুজন সহকর্মীর মতো, যারা সফল বিয়ে গড়ে তোলার চেষ্টা করে, তা অনেকটা নির্ভর করে উত্তম সঙ্গীর ওপর।—প্রহরীদুর্গ, মে ১৫, ২০০১, পৃষ্ঠা ১৬.

আপনার অনুভূতি প্রকাশ করা হল একটা বল ছোঁড়ার মতো। আপনি সেটা আলতোভাবে ছুঁড়তে পারেন বা এতটা জোরে ছুঁড়তে পারেন, যাতে আঘাত লাগতে পারে।—সচেতন থাক!, এপ্রিল-জুন, ২০০১, পৃষ্ঠা ১০.

প্রেম দেখাতে শেখা একটা নতুন ভাষা শেখার মতো।—প্রহরীদুর্গ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৯৯৯, পৃষ্ঠা ১৮, ২২-৩.

উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া পাপকে ভাইরাসের দ্বারা আক্রান্ত কমপিউটার ফাইলগুলোর সঙ্গে তুলনা করা যায়।—এমন একজন সৃষ্টিকর্তা কি আছেন যিনি আমাদের জন্য চিন্তা করেন?, (ইংরেজি) পৃষ্ঠা ১৫৬.

প্রেতচর্চা মন্দদূতদের জন্য সেই কাজ করে, যা টোপ করে থাকে শিকারিদের জন্য। এটি শিকারিকে আকর্ষণ করে।—জ্ঞান যা অনন্ত জীবনে পরিচালিত করে, পৃষ্ঠা ১১১.

আদমের বংশধরদের জন্য যীশু যে-উদ্ধারের কাজ করেছেন, সেটাকে একজন ধনী পরোপকারী ব্যক্তির সঙ্গে তুলনা করা যায়, যিনি একটা কোম্পানির ঋণ শোধ করেছেন (যা অসৎ ম্যানেজারের দুর্নীতির কারণে হয়েছে) এবং কারখানাকে আবার চালু করেছেন আর এভাবে এর অনেক কর্মীর উপকার করেছেন।—প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি), ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৯৯১, পৃষ্ঠা ১৩.

একজন শিল্পকলা প্রেমী যেমন অত্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত সেরা শিল্পকর্ম আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য অনেক পরিশ্রম করবেন, ঠিক তেমনই যিহোবা আমাদের অসিদ্ধতাকে ক্ষমা করতে পারেন, আমাদের মধ্যে ভাল কিছু দেখেন এবং এভাবে আদম যে-সিদ্ধ মান হারিয়েছিল, তা আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনেন।—প্রহরীদুর্গ (ইংরেজি), ফেব্রুয়ারি ১৫, ১৯৯০, পৃষ্ঠা ২২.

[২০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

সত্য খ্রীষ্টানরা হল ঈশ্বরের বাক্যের শিক্ষক

[২১ পৃষ্ঠার চিত্র]

সহ বিশ্বাসীদের ঈশ্বরের বাক্য থেকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য সাহায্য করতে প্রাচীনরা বিভিন্ন প্রশ্ন ব্যবহার করতে পারে