সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার কি নিশ্চিন্ততার মনোভাব দেখানো উচিত?

আপনার কি নিশ্চিন্ততার মনোভাব দেখানো উচিত?

আপনার কি নিশ্চিন্ততার মনোভাব দেখানো উচিত?

 অধিকাংশ লোক হয়তো মনে করতে পারে যে, একজন ব্যক্তি যে নিশ্চিন্ত, স্থির, নিষ্প্রভ ও সহনশীল প্রকৃতির মানুষ হিসেবে পরিচিত, তার কাছে এগুলো একটা প্রশংসার বিষয়। কিন্তু এই নিশ্চিন্ততার আরেকটা দিকও আছে। বাইবেল বলে: “হীনবুদ্ধিদের নিশ্চিন্ততা তাহাদিগকে বিনষ্ট করিবে।” (হিতোপদেশ ১:৩২) এর অর্থ কী?

বাইবেলের অন্যান্য সংস্করণগুলো মূল ইব্রীয় শব্দকে এভাবে অনুবাদ করে, যেমন “অমনোযোগী” (আ্যমেরিকান স্ট্যান্ডার্ড ভারসন), “আত্মতৃপ্তি” (দ্যা নিউ আমেরিকান বাইবেল) এবং “আত্মতুষ্টি।” (দ্যা নিউ ইংলিশ বাইবেল) এই অর্থে নিশ্চিন্ততাকে অলস ও অমনোযোগিতার সঙ্গে যুক্ত করা হয় আর তাই এই শব্দটা মূর্খতা বা মূঢ়তার সঙ্গেও যুক্ত।

প্রথম শতাব্দিতে লায়দিকেয়া মণ্ডলীর খ্রীষ্টানরা তাদের আধ্যাত্মিক ঘাটতি সম্বন্ধে একেবারেই অমনোযোগী অথবা উদাসীন ছিল। তারা আত্মতৃপ্তির সঙ্গে দম্ভ করেছিল যে তাদের “কিছুরই অভাব নাই।” যীশু খ্রীষ্ট তাদের সংশোধন করেছিলেন, তাদের খ্রীষ্টীয় উদ্যোগকে আবার জাগিয়ে তুলতে আহ্ববান জানিয়েছিলেন।—প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪-১৯.

নোহের দিনের লোকেদের মধ্যেও নিশ্চিন্ততার মনোভাব দেখা দিয়েছিল। তারা দৈনন্দিন জীবনের বিষয়গুলোর মধ্যে ‘ভোজন ও পান করিতে, বিবাহ করিতে ও বিবাহিতা হইতে’ ব্যস্ত ছিল “এবং বুঝিতে পারিল না, যাবৎ না বন্যা আসিয়া সকলকে ভাসাইয়া লইয়া গেল।” যীশু এরপর আরও বলেছিলেন: “তদ্রূপ মনুষ্যপুত্ত্রের আগমন হইবে।”—মথি ২৪:৩৭-৩৯.

বাইবেলের পরিপূর্ণ ভবিষ্যদ্বাণীগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, আমরা যীশু খ্রীষ্টের অর্থাৎ ‘মনুষ্যপুত্ত্রের আগমনের’ সময়ে বাস করছি। আমরা যেন কখনও আত্মতুষ্ট, অমনোযোগী, আত্মতৃপ্ত না হই—কখনও যেন ভুল অর্থে নিশ্চিন্ততার মনোভাব না দেখাই।।—লূক ২১:২৯-৩৬.