সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সত্য উপাসনার সমর্থনকারীরা

সত্য উপাসনার সমর্থনকারীরা

সত্য উপাসনার সমর্থনকারীরা

তখন এবং এখন

 আপনি কি সেই ব্যক্তির নাম মনে করতে পারেন, যিনি প্রাচীন নগর যিরূশালেমের জন্য কেঁদেছিলেন? ‘যীশু,’ আপনি হয়তো বলবেন—আর সত্যিই যীশু তা করেছিলেন। (লূক ১৯:২৮, ৪১) কিন্তু, যীশু পৃথিবীতে আসার কয়েক শতাব্দী আগে ঈশ্বরের আরও একজন দাস একইভাবে যিরূশালেমের জন্য কেঁদেছিলেন। তার নাম ছিল নহিমিয়।—নহিমিয় ১:৩, ৪.

কী নহিমিয়কে এত দুঃখ দিয়েছিল, যে তিনি যিরূশালেমের জন্য কেঁদেছিলেন? সেই নগর ও এর অধিবাসীদের উপকারের জন্য তিনি কী করেছিলেন? আর তার উদাহরণ থেকে আমরা কী শিখতে পারি? উত্তর পাওয়ার জন্য আসুন আমরা তার দিনের কিছু ঘটনা পুনরালোচনা করি।

অনুভূতিশীল ও কর্মোদ্যমী এক মানুষ

নহিমিয় যিরূশালেমের নিযুক্ত অধ্যক্ষ ছিলেন কিন্তু এর আগে তিনি শূশন নগরের পারস্য রাজসভায় উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন। তবুও, তার সুখদায়ক জীবনযাপন, দূরবর্তী যিরূশালেমে যিহুদি ভাইবোনদের জন্য তার উদ্বিগ্নতাকে একটুও কমিয়ে দেয়নি। বস্তুত, যিরূশালেমের যিহুদি প্রতিনিধিরা যখন শূশন নগরে আসে তখন তিনি প্রথমে যে-কাজ করেছিলেন, সেটা ছিল “তাহাদিগকে বন্দিদশা হইতে অবশিষ্ট, রক্ষাপ্রাপ্ত যিহূদীদের, ও যিরূশালেমের বিষয়ে জিজ্ঞাসা” করা। (নহিমিয় ১:২) সাক্ষাৎপ্রার্থীরা উত্তরে যখন

বলেছিল যে, যিরূশালেমের লোকেরা “অতিশয় দুরাবস্থার” মধ্যে আছে এবং নগরের প্রাচীর “ভগ্ন” তখন নহিমিয় “কিছু দিন বসিয়া রোদন ও শোক” করেছিলেন। এর পরে তিনি যিহোবার কাছে আন্তরিক প্রার্থনায় তার দুঃখের কথা প্রকাশ করেছিলেন। (নহিমিয় ১:৩-১১) নহিমিয় কেন এত দুঃখার্ত ছিলেন? কারণ পৃথিবীতে যিরূশালেমই ছিল যিহোবার উপাসনার কেন্দ্রস্থল এবং এটি অবহেলিত অবস্থায় পড়ে ছিল। (১ রাজাবলি ১১:৩৬) এ ছাড়া, নগরের ভগ্ন অবস্থা এর অধিবাসীদের আধ্যাত্মিক দারিদ্রের অবস্থাকে প্রতিফলিত করেছিল।—নহিমিয় ১:৬, ৭.

যিরূশালেমের জন্য নহিমিয়ের উদ্বিগ্নতা এবং সেখানে বসবাসকারী যিহুদিদের জন্য সমবেদনা নিজেকে বিলিয়ে দিতে তাকে প্রেরণা দিয়েছিল। যখনই পারস্য রাজ তাকে তার দায়িত্ব থেকে ছুটি নিতে অনুমতি দিয়েছিলেন, তখনই নহিমিয় যিরূশালেমে দীর্ঘ যাত্রার পরিকল্পনা শুরু করেন। (নহিমিয় ২:৫, ৬) প্রয়োজনীয় মেরামত কাজে সাহায্য করার জন্য তিনি তার শক্তি, সময় এবং দক্ষতা দিতে চেয়েছিলেন। তার পৌঁছানোর কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি যিরূশালেমের পুরো প্রাচীর মেরামত করার জন্য পরিকল্পনা করে ফেলেন।—নহিমিয় ২:১১-১৮.

নহিমিয় প্রাচীর মেরামতের সেই বিশাল কাজ অনেক পরিবারের মধ্যে ভাগ করে দিয়েছিলেন, যারা সকলে একযোগে কাজ করেছিল। * ৪০টিরও বেশি বিভিন্ন দলের প্রত্যেককে একেকটা ‘ভাগের’ মেরামতের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছিল। এর ফল কী হয়েছিল? অনেক কর্মীদের সময় ও শক্তি দেওয়ার ফলে বিশাল কাজ সম্ভব হয়েছিল, যে-কর্মীদের মধ্যে বাবামা এবং তাদের ছেলেমেয়েরাও ছিল। (নহিমিয় ৩:১১, ১২, ১৯, ২০) দুমাস পরিশ্রমী কাজের মাধ্যমে পুরো প্রাচীর মেরামতের কাজ শেষ হয়েছিল! নহিমিয় লিখেছিলেন যে, এমনকি যারা মেরামতের কাজে বিরোধিতা করেছিল তারাও স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিল যে, “এই কার্য্য . . . আমাদের ঈশ্বর হইতে হইল।”—নহিমিয় ৬:১৫, ১৬.

মনে রাখার মতো এক উদাহরণ

নহিমিয় তার সময় এবং সংগঠিত দক্ষতা ছাড়াও আরও বেশি কিছু দান করেছিলেন। সত্য উপাসনাকে সমর্থন করার জন্য তিনি তার বস্তুগত সম্পদও কাজে লাগিয়েছিলেন। তার যিহুদি ভাইদের দাসত্ব থেকে মুক্ত করার জন্য তিনি নিজের অর্থ ব্যয় করেছিলেন। কোন সুদ ছাড়াই তিনি টাকা ধার দিয়েছিলেন। দেশাধ্যক্ষ হিসেবে তিনি কোন অর্থ দাবি করে যিহুদিদের “ভারগ্রস্ত” করেননি, যা পাওয়ার অধিকার তার ছিল। পরিবর্তে, তিনি তার ঘরকে উন্মুক্ত রেখেছিলেন, যাতে “আমাদের চতুর্দ্দিক্‌স্থিত জাতিগণের মধ্য হইতে যাহারা আমাদের নিকটে আসিত, তাহাদের . . . এক শত পঞ্চাশ জন” খাওয়াদাওয়া করতে পারে। প্রতিদিন তার অতিথিদের জন্য তিনি “একটা বলদ ও ছয়টা উত্তম মেষ; কতকগুলি পক্ষীও” দিতেন। এ ছাড়া, দশ দিন অন্তর অন্তর তিনি তাদের জন্য “সর্ব্বপ্রকার দ্রাক্ষারস” পরিবেশন করতেন—এগুলো সমস্তই তার নিজের খরচে।—নহিমিয় ৫:৮, ১০, ১৪-১৮.

তখনকার এবং এখনকার যিহোবার সমস্ত দাসদের জন্য উদারতার কতই না এক উল্লেখযোগ্য উদাহরণ নহিমিয় রেখেছেন! ঈশ্বরের এই সাহসী দাস সত্য উপাসনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য কর্মীদের সাহায্য করতে মুক্ত হস্তে এবং স্বেচ্ছায় তার বস্তুগত সম্পদ ব্যবহার করেছিলেন। উপযুক্তভাবেই তিনি যিহোবাকে বলতে পেরেছিলেন: “হে আমার ঈশ্বর, আমি এই লোকদের নিমিত্ত যে সকল কার্য্য করিয়াছি, মঙ্গলের নিমিত্ত . . . তাহা স্মরণ কর।” (নহিমিয় ৫:১৯) নিশ্চিতভাবেই যিহোবা ঠিক তাই করবেন।—ইব্রীয় ৬:১০.

নহিমিয়ের উদাহরণ আজকে অনুসরণ করা হয়

এটা দেখা অনেক আনন্দের যে, আজকে যিহোবার লোকেরা সত্য উপাসনার জন্য একইভাবে উষ্ণ অনুভূতি, কাজের প্রতি ইচ্ছুক এবং আত্মত্যাগের মনোভাব দেখায়। আমরা যখন শুনি যে, সহ বিশ্বাসীরা কষ্ট ভোগ করছে, তখন আমরা তাদের মঙ্গলের জন্য গভীর চিন্তা করি। (রোমীয় ১২:১৫) নহিমিয়ের মতো আমরাও আমাদের দুর্দশাগ্রস্ত বিশ্বাসী ভাইবোনদের জন্য সাহায্য চেয়ে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করে তাঁকে বলি: “বিনয় করি, তোমার এই দাসের প্রার্থনাতে, এবং যাহারা তোমার নাম ভয় করিতে সন্তুষ্ট, তোমার সেই দাসদের প্রার্থনাতে তোমার কর্ণ অবহিত হউক।”—নহিমিয় ১:১১; কলসীয় ৪:২.

কিন্তু, আমাদের খ্রীষ্টান ভাইবোনদের আধ্যাত্মিক ও শারীরিক মঙ্গলের এবং সত্য উপাসনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের উদ্বিগ্নতা শুধু আমাদের অনুভূতিকেই নাড়া দেয় না। এটা আমাদের কাজ করতেও পরিচালিত করে। যাদের পরিস্থিতি অনুমোদন করে, তারা নহিমিয়ের মতো তাদের নিজেদের তুলনামূলক আরামদায়ক বাড়ি ছেড়ে আরেক জায়গায় গিয়ে, যাদের দরকার তাদের সাহায্য করার জন্য প্রেমের দ্বারা চালিত হয়। পৃথিবীর কোন কোন অংশে তুলনামূলকভাবে কম আরামদায়ক জীবনযাপনের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও এই স্বেচ্ছাসেবকরা সেখানে সত্য উপাসনা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাহায্য করে, তাদের খ্রীষ্টান ভাইবোনদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে। তারা যে-আত্মত্যাগের মনোভাব দেখায় তা সত্যিই প্রশংসনীয়।

আমাদের নিজের এলাকায় অংশগ্রহণ

এটা ঠিক যে, আমাদের মধ্যে বেশির ভাগ লোকই অন্য জায়গায় যেতে পারি না। আমরা নিজেদের এলাকায় সত্য উপাসনায় সাহায্য করি। এই বিষয়টাও নহিমিয়ের বইয়ে তুলে ধরা হয়েছে। কিছু বিশ্বস্ত পরিবার যারা মেরামতের কাজে অংশ নিয়েছিল তাদের সম্বন্ধে নহিমিয় যে-বর্ণনা দিয়েছেন, তা লক্ষ করুন। তিনি লিখেছিলেন: “হরূমফের পুত্ত্র যিদায় আপন গৃহের সম্মুখে মেরামৎ করিল। . . . বিন্যামীন ও হশূব আপন আপন গৃহের সম্মুখে মেরামৎ করিল। তাহার পরে অননিয়ের সন্তান মাসেয়ের পুত্ত্র অসরিয় আপন গৃহের পার্শ্বে মেরামৎ করিল।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (নহিমিয় ৩:১০, ২৩, ২৮-৩০) ওই লোকেরা এবং তাদের পরিবার তাদের নিজেদের ঘরের কাছে মেরামতের কাজে সাহায্য করার মাধ্যমে সত্য উপাসনার অগ্রগতিতে বিরাট অবদান রেখেছিল।

আজকে, আমাদের মধ্যে অনেকে বিভিন্ন উপায়ে নিজেদের এলাকায় সত্য উপাসনায় সাহায্য করছে। আমরা কিংডম হল নির্মাণ প্রকল্পে, দুর্ঘটনায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ এবং সবচেয়ে জরুরি যে-রাজ্যের প্রচার কাজ, তাতে অংশগ্রহণ করি। এ ছাড়া, ব্যক্তিগতভাবে আমরা নির্মাণের বা ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজে অংশগ্রহণ করতে সমর্থ হই বা না হই, আমাদের সবার নিজেদের বস্তুগত সম্পদ ব্যবহার করে সত্য উপাসনায় সাহায্য করার আন্তরিক ইচ্ছাও আছে, ঠিক যেমন নহিমিয় তার সময় অনেক উদারভাবে করেছিলেন।—“স্বেচ্ছাকৃত দানের কিছু বৈশিষ্ট্য” বাক্সটা দেখুন।

সারা পৃথিবীতে আমাদের বৃদ্ধিরত ছাপানোর কাজ, ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজ এবং অন্যান্য অসংখ্য কাজের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থের তহবিল পাওয়া কখনও কখনও বিরাট ব্যাপার বলে মনে হয়। কিন্তু মনে করে দেখুন যে, যিরূশালেমের বিশাল প্রাচীর মেরামত করার কাজকেও অনেক বড় বলে মনে হয়েছিল। (নহিমিয় ৪:১০) কিন্তু সেই কাজ যেহেতু অনেক ইচ্ছুক পরিবারের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছিল, তাই কাজ শেষ হয়েছিল। একইভাবে আজকেও পৃথিবীব্যাপী আমাদের কাজগুলোকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথাযোগ্য সম্পদ পাওয়া আমাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে, যদি আমরা প্রত্যেকে ক্রমাগতভাবে কাজের একটা অংশে অবদান রাখি।

“কিছুজন দান করার জন্য যে-উপায়গুলো বেছে নেয়” বাক্সটা অনেক উপায় দেখায়, যে-উপায়গুলোতে রাজ্যের কাজে আর্থিকভাবে সাহায্য করা যায়। বিগত বছরগুলোতে ঈশ্বরের লোকেদের মধ্যে অনেকে এইধরনের সাহায্য দিয়েছে এবং যিহোবার সাক্ষিদের পরিচালক গোষ্ঠী, যাদের হৃদয় এই স্বেচ্ছাকৃত দানে সাহায্য করতে অনুপ্রাণিত করেছে তাদের সবার প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার এই সুযোগকে কাজে লাগাতে চান। সর্বোপরি, সারা পৃথিবীতে সত্য উপাসনাকে তুলে ধরার জন্য যিহোবা তাঁর লোকেদের পূর্ণহৃদয়ের চেষ্টাকে প্রচুর আশীর্বাদ করেছেন বলে আমরা তাঁকে ধন্যবাদ জানাই। হ্যাঁ, আমরা যখন চিন্তা করি যে, কীভাবে যিহোবার হস্ত বছরের পর বছর ধরে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছে, তখন নহিমিয়ের এই কথাগুলোর সঙ্গে সুর মেলাতে পরিচালিত হই, যিনি কৃতজ্ঞ হয়ে বলেছিলেন: ‘আমার উপরে প্রসারিত ঈশ্বরের মঙ্গলময় হস্ত।’—নহিমিয় ২:১৮.

[পাদটীকা]

^ নহিমিয় ৩:৫ পদ দেখায় যে, কিছু গণ্যমান্য যিহুদি অর্থাৎ “প্রধানবর্গ” এই কাজে সহযোগিতা করতে চায়নি কিন্তু তারাই কেবল ব্যতিক্রম ছিল। বিভিন্ন পটভূমির লোক—যাজকবর্গ, স্বর্ণকার, গন্ধবণিক, অধ্যক্ষ, বণিক—সবাই এই কাজে সহযোগিতা করেছিল।—১, ৮, ৯, ৩২ পদ।

[২৮, ২৯ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]

কিছুজন দান করার জন্য যে-উপায়গুলো বেছে নেয়

শিক্ষামূলক কাজের জন্য দান

অনেকে কিছু পয়সা আলাদা করে রাখে যা তারা সেই দান বাক্সে ফেলে, যেখানে লেখা থাকে: “শিক্ষমূলক কাজের জন্য দান—মথি ২৪:১৪.”

প্রত্যেক মাসে পৃথিবীব্যাপী মণ্ডলীগুলো এই পয়সা যিহোবার সাক্ষিদের বিশ্ব প্রধান কার্যালয়ে অথবা স্থানীয় শাখা অফিসে পাঠিয়ে দেয়। লোকেরা স্বেচ্ছায় যে-পয়সা দান করে, সেটা সরাসরি এই ঠিকানায়ও পাঠানো যেতে পারে: The Watch Tower Bible and Tract Society of India, G-৩৭, South Avenue, Santacruz, Mumbai ৪০০ ০৫৪  অথবা আপনার দেশে এই সোসাইটির শাখা অফিসে পাঠাতে পারেন। গয়না অথবা অন্য কোন দামি জিনিসগুলোও দান করা যেতে পারে। আর এই দানের সঙ্গে একটা ছোট চিঠি লিখে পাঠানো দরকার, যেখানে লেখা থাকবে যে,

এই দানগুলোকে যেন এক শর্তহীন উপহার হিসেবে নেওয়া হয়।

পরিকল্পিত দান

শিক্ষার কাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য শর্তহীন উপহার ও কোন শর্তযুক্ত দান করা ছাড়াও দান করার আরও কিছু উপায় আছে। যেমন:

বীমা: জীবন বীমা প্রকল্পের অথবা রিটায়েরমেন্ট/পেনসন্‌ যোজনার সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য দ্যা যিহোভাস্‌ উইট্‌নেসেস্‌ অফ ইণ্ডিয়া ট্রাস্ট এর নাম দেওয়া যেতে পারে।

ব্যাংক আ্যকাউন্টস্‌: ব্যাংক আ্যকাউন্ট এবং ফিক্সড্‌ ডিপোজিটগুলো স্থানীয় ব্যাংকের নিয়ম অনুসারে, দ্যা যিহোভাস্‌ উইট্‌নেসেস্‌ অফ ইণ্ডিয়া ট্রাস্ট-কে ট্রাস্ট হিসেবে অথবা ব্যক্তির মৃত্যুর পর প্রদানযোগ্য হিসেবে দেওয়া যেতে পারে।

স্টক্সস্‌ ও বণ্ডস্‌: এক শর্তহীন উপহার হিসেবে দ্যা যিহোভাস্‌ উইট্‌নেসেস্‌ অফ ইণ্ডিয়া ট্রাস্ট-কে স্টক্সস্‌ ও বণ্ডস্‌ দান দেওয়া যেতে পারে।

স্থাবর সম্পত্তি: বিক্রয়সাধ্য স্থাবর সম্পত্তি এক শর্তহীন উপহার হিসেবে বা দাতার জীবনকাল অবধি তিনি সেখানে থাকবেন এমন শর্তেও দ্যা যিহোভাস্‌ উইট্‌নেসেস্‌ অফ ইণ্ডিয়া ট্রাস্ট-কে দান করা যেতে পারে। কোন স্থাবর সম্পত্তি দেওয়ার জন্য দলিলের ব্যবস্থা করার আগে আপনার দেশে শাখা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।

উইল ও ট্রাস্ট: সম্পত্তি অথবা অর্থ দ্যা যিহোভাস্‌ উইট্‌নেসেস্‌ অফ ইণ্ডিয়া ট্রাস্ট-কে আইনসম্মতভাবে স্বীকৃত উইলের সাহায্যে দেওয়া যেতে পারে অথবা ট্রাস্টের চুক্তির সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য যিহোভাস্‌ উইট্‌নেসেস্‌ অফ ইণ্ডিয়া-র নাম দেওয়া যেতে পারে।

উইল করার সময়, ইন্ডিয়ান সাকসেসন এ্যক্ট ১৯২৫ সেকশন ১১৮ অনুযায়ী উইল তৈরি করা উচিত যেখানে লেখা আছে, “কোন ব্যক্তি যার ভাইপো, ভাইঝি বা কোন নিকট আত্মীয় আছে তার সম্পত্তি কোন ধর্মীয় সংগঠনকে দান করার অধিকার নেই। কিন্তু ধর্মীয় সংগঠনকে দান করতে চাইলে ব্যক্তিকে তার মৃত্যুর এক বছর আগে তাকে উইল করতে হবে। আর উইল করার ছমাসের মধ্যেই তত্ত্বাবধানের জন্য আইন মতো ব্যবস্থা করা দরকার।”

আপনার উইলের সুবিধাগুলো পাওয়ার জন্য আপনি যদি যিহোভাস্‌ উইট্‌নেসেস্‌ অফ ইণ্ডিয়া ট্রাস্ট এর নাম দিতে চান, তা হলে সেই উইলে উল্লেখ করার জন্য সোসাইটির এই পুরো নাম ও ঠিকানা দয়া করে লক্ষ রাখুন:

Jehovah’s Witnesses of India

৯২৭/১, Addevishwanathapura,

Rajanukunte, Bangalore ৫৬১ ২০৩,

Karnataka.

[৩০ পৃষ্ঠার বাক্স]

স্বেচ্ছাকৃত দানের কিছু বৈশিষ্ট্য

করিন্থীয়দের কাছে প্রেরিত পৌল তার চিঠিতে স্বেচ্ছাকৃত দানের তিনটে গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য তুলে ধরেছিলেন। (১) অর্থ সংগ্রহের বিষয়ে লেখার সময় পৌল নির্দেশনা দিয়েছিলেন: ‘সপ্তাহের প্রথম দিনে তোমরা প্রত্যেকে আপনাদের নিকটে কিছু কিছু রাখ।’ (১ করিন্থীয় ১৬:২ক) অতএব, দানের জন্য আগে থেকে পরিকল্পনার প্রয়োজন এবং এটা সুব্যবস্থার সঙ্গে করা দরকার। (২) পৌল এও লিখেছিলেন যে, প্রত্যেক ব্যক্তির “আপন আপন সঙ্গতি অনুসারে অর্থ” দান করা উচিত। (১ করিন্থীয় ১৬:২খ) অন্য কথায়, যে-ব্যক্তি স্বেচ্ছাকৃত দানে অংশগ্রহণ করতে চান তিনি সঙ্গতি অনুসারে করতে পারেন। এমনকি একজন খ্রীষ্টান যদি খুব অল্প উপার্জনও করেন, তা হলে তিনি যে-অল্প দান দিতে পারেন, তা যিহোবার কাছে বহু মূল্যবান। (লূক ২১:১-৪) (৩) পৌল আরও লিখেছিলেন: “প্রত্যেক ব্যক্তি আপন আপন হৃদয়ে যেরূপ সঙ্কল্প করিয়াছে, তদনুসারে দান করুক, মনোদুঃখপূর্ব্বক কিম্বা আবশ্যক বলিয়া না দিউক; কেননা ঈশ্বর হৃষ্টচিত্ত দাতাকে ভালবাসেন।” (২ করিন্থীয় ৯:৭) আন্তরিক খ্রীষ্টানরা হৃদয় থেকে দান করে—হৃষ্টচিত্তে।

[২৬ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

নহিমিয় অনুভূতিশীল ও কর্মোদ্যমী এক মানুষ ছিলেন

[৩০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

স্বেচ্ছাকৃত দান সারা পৃথিবীতে ছাপানোর কাজ, ত্রাণসামগ্রী বিতরণের কাজ, কিংডম হল নির্মাণ এবং অন্যান্য উপকারী কাজে সাহায্য করে