“তিন পণ্ডিত” তারা কারা ছিল?
“তিন পণ্ডিত” তারা কারা ছিল?
যীশুর জন্মের দৃশ্যটিতে সাধারণত দেখানো হয় যে লম্বা পোশাক পরিহিত তিনজন পুরুষ তাদের উটে চড়ে একটা আস্তাবলের সামনে এসে পৌঁছায়, যেখানে শিশু যীশু এক জাবপাত্রে শুয়ে আছেন। অপূর্ব পোশাক পরিহিত এই অতিথিদের সাধারণত তিন পণ্ডিত বলা হয়ে থাকে। বাইবেল তাদের সম্বন্ধে কী বলে?
বাইবেলের বর্ণনা অনুসারে, এই তথাকথিত পণ্ডিত ব্যক্তিরা “পূর্ব্বদেশ” থেকে এসেছিল আর সেখানেই তারা যীশুর জন্ম সম্বন্ধে জানতে পেরেছিল। (মথি ২:১, ২, ৯) যিহূদাতে পৌঁছাতে নিশ্চয়ই তাদের অনেক সময় লেগেছিল। অবশেষে যখন তারা যীশুকে খুঁজে পায়, তখন তিনি এক আস্তাবলে আর সদ্যোজাত এক শিশু ছিলেন না। বরং, তারা মরিয়ম ও “শিশুটীকে” একটা গৃহের মধ্যে দেখেছিল।—মথি ২:১১.
বাইবেল এই ব্যক্তিদের “কয়েক জন পণ্ডিত [“জ্যোতিষী,” NW]” বা ম্যাজাই [মথি ২:১, NW, পাদটীকা] বলে কিন্তু এটা বলে না যে তারা কতজন ছিল। দি অক্সফোর্ড কমপ্যানিয়ান টু দ্যা বাইবেল ব্যাখ্যা করে: “জাদুবিদ্যা ও জ্যোতিষশাস্ত্রের মধ্যে যে-যোগসূত্র রয়েছে, তা প্রতিফলিত হয় নক্ষত্রের প্রতি এই অতিথিদের আকর্ষণ থেকে, যেটা তাদের বৈৎলেহমের দিকে নিয়ে গিয়েছিল।” সমস্ত ধরনের জাদুবিদ্যা ও নক্ষত্রগুলো থেকে তথ্য সংগ্রহ করার বাবিলনীয় রীতিনীতিকে বাইবেল পরিষ্কারভাবে নিন্দা করে।—দ্বিতীয় বিবরণ ১৮:১০-১২; যিশাইয় ৪৭:১৩.
এই লোকদের যে-তথ্য দেওয়া হয়েছিল তার পরিণতিস্বরূপ কোন মঙ্গল সাধিত হয়নি। এটা দুষ্ট রাজা হেরোদের রাগকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল। এর ফলে যোষেফ, মরিয়ম ও যীশুকে মিশরে পালিয়ে যেতে হয়েছিল এবং বৈৎলেহমের “দুই বৎসর ও তাহার অল্প বয়সের” সমস্ত শিশুকে হত্যা করা হয়েছিল। জ্যোতিষীদের কাছ থেকে যীশুর জন্ম সম্বন্ধে যা জেনেছিলেন সেটার ভিত্তিতে হেরোদ খুব সতর্কতার সঙ্গে সময় নির্ধারণ করেছিলেন। (মথি ২:১৬) তাদের এই পরিদর্শনের দ্বারা যা কিছু বিপদ ঘটেছিল তার পরিপ্রেক্ষিতে এটাই যুক্তিযুক্তভাবে বোঝা যায় যে, যে-নক্ষত্র তারা দেখেছিল এবং “যিহূদীদের যে রাজা জন্মিয়াছেন” এই সংবাদ ঈশ্বরের শত্রু অর্থাৎ শয়তান দিয়াবলের কাছে থেকে এসেছিল, যে যীশুকে হত্যা করতে চেয়েছিল।—মথি ২:১, ২.