সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“প্রচুর ফলে ফলবান্‌ হও”

“প্রচুর ফলে ফলবান্‌ হও”

“প্রচুর ফলে ফলবান্‌ হও”

“প্রচুর ফলে ফলবান্‌ হও; আর তোমরা আমার শিষ্য হইবে।”—যোহন ১৫:৮.

১. (ক) শিষ্য হওয়ার জন্য কোন চাহিদার কথা যিশু তাঁর প্রেরিতদের কাছে উল্লেখ করেছিলেন? (খ) আমাদের নিজেদের কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা উচিত?

 সময়টা ছিল তাঁর মৃত্যুর আগের সন্ধ্যাবেলা। যিশু তাঁর প্রেরিতদের আন্তরিকভাবে উৎসাহ দেওয়ার জন্য যথেষ্ট সময় করে নিয়েছিলেন। তখন মধ্যরাত প্রায় শেষ কিন্তু যিশু তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের প্রতি প্রেমের দ্বারা চালিত হয়ে কথা বলেই চলেছিলেন। এরপর, কথোপকথনের মাঝখানে তিনি তাদের আরেকটা চাহিদা পূরণের কথা মনে করিয়ে দিয়েছিলেন, যা তাঁর শিষ্য হিসেবে স্থির থাকার জন্য তাদের মধ্যে থাকা দরকার। তিনি বলেছিলেন: “ইহাতেই আমার পিতা মহিমান্বিত হন যে, তোমরা প্রচুর ফলে ফলবান্‌ হও; আর তোমরা আমার শিষ্য হইবে।” (যোহন ১৫:৮) আজকে, আমরা কি শিষ্য হওয়ার এই চাহিদাটাকে পূরণ করছি? “প্রচুর ফলে ফলবান্‌” হওয়ার মানে কী? এই উত্তর পেতে আসুন আমরা সেই সন্ধ্যার আলোচনায় ফিরে যাই।

২. যিশু তাঁর মৃত্যুর আগের সন্ধ্যাবেলায় ফলের বিষয়ে কোন দৃষ্টান্তের কথা বলেছিলেন?

ফল উৎপন্ন করার পরামর্শটি একটা দৃষ্টান্তের অংশ, যা যিশু তাঁর প্রেরিতদের বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “আমি প্রকৃত দ্রাক্ষালতা, এবং আমার পিতা কৃষক। আমাতে স্থিত যে কোন শাখায় ফল না ধরে, তাহা তিনি কাটিয়া ফেলিয়া দেন; এবং যে কোন শাখায় ফল ধরে, তাহা পরিষ্কার করেন, যেন তাহাতে আরও অধিক ফল ধরে। আমি তোমাদিগকে যে বাক্য বলিয়াছি, তৎপ্রযুক্ত তোমরা এখন পরিষ্কৃত আছ। আমাতে থাক, আর আমি তোমাদিগেতে থাকি; শাখা যেমন আপনা হইতে ফল ধরিতে পারে না, দ্রাক্ষালতায় না থাকিলে পারে না, তদ্রূপ আমাতে না থাকিলে তোমরাও পার না। আমি দ্রাক্ষালতা, তোমরা শাখা; . . . ইহাতেই আমার পিতা মহিমান্বিত হন যে, তোমরা প্রচুর ফলে ফলবান্‌ হও; আর তোমরা আমার শিষ্য হইবে। পিতা যেমন আমাকে প্রেম করিয়াছেন, আমিও তেমনি তোমাদিগকে প্রেম করিয়াছি; তোমরা আমার প্রেমে অবস্থিতি কর। তোমরা যদি আমার আজ্ঞা সকল পালন কর, তবে আমার প্রেমে অবস্থিতি করিবে।”—যোহন ১৫:১-১০.

৩. ফল উৎপন্ন করার জন্য যিশুর শিষ্যদের অবশ্যই কী করতে হবে?

এই দৃষ্টান্তে যিহোবা কৃষক, যিশু দ্রাক্ষালতা এবং যাদের উদ্দেশে যিশু কথা বলছিলেন সেই প্রেরিতরা হল শাখা। যতক্ষণ পর্যন্ত প্রেরিতরা যিশুতে ‘থাকিতে’ প্রাণপণ চেষ্টা করবে ততক্ষণ পর্যন্ত তারা ফল উৎপন্ন করতে পারবে। এরপর যিশু ব্যাখ্যা করেছিলেন যে, কীভাবে প্রেরিতরা এই অতীব গুরুত্বপূর্ণ একতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সফল হতে পারবে: “তোমরা যদি আমার আজ্ঞা সকল পালন কর, তবে আমার প্রেমে অবস্থিতি করিবে।” পরে প্রেরিত যোহন সহ খ্রিস্টানদের একইরকম কথা লিখেছিলেন: “যে ব্যক্তি [খ্রিস্টের] আজ্ঞা সকল পালন করে, সে তাঁহাতে থাকে।” * (১ যোহন ২:২৪; ৩:২৪) তাই, খ্রিস্টের আজ্ঞা পালন করে তাঁর শিষ্যরা তাঁর সঙ্গে থাকে এবং ফলস্বরূপ সেই একতা তাদের ফল উৎপন্ন করতে সাহায্য করে। যে-ফল আমাদের উৎপন্ন করা দরকার, সেটার বৈশিষ্ট্য কী?

বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ

৪. যেকোনো শাখায় ফল না ধরে সেটা যিহোবা “কাটিয়া ফেলিয়া দেন,” এর থেকে আমরা কী শিখতে পারি?

দ্রাক্ষালতার দৃষ্টান্তে যিহোবা সেই শাখাকে “কাটিয়া ফেলিয়া দেন” যেটাতে ফল ধরে না। এটা আমাদের কী জানায়? এটা আমাদের কেবলমাত্র এটাই জানায় না যে, সমস্ত শিষ্যদের ফল উৎপন্ন করতে হবে কিন্তু সেইসঙ্গে সকলেই তা করার যোগ্য, তা তাদের পরিস্থিতি বা সীমাবদ্ধতা যাইহোক না কেন। বস্তুতপক্ষে, খ্রিস্টের একজন শিষ্যকে যদি তার সাধ্যাতীত কিছু সম্পাদন করতে ব্যর্থ হওয়ায় ‘কাটিয়ে ফেলিয়া দেওয়া’ অথবা অযোগ্য বলা হয়, তা হলে তা ঈশ্বরের প্রেমময় পথের বিপরীত হবে।—গীতসংহিতা ১০৩:১৪; কলসীয় ৩:২৩; ১ যোহন ৫:৩.

৫. (ক) যিশুর দৃষ্টান্ত কীভাবে দেখায় যে, ফলবান হওয়ার ক্ষেত্রে আমরা উন্নতি করতে পারি? (খ) কোন দুই ধরনের ফলের বিষয় আমরা বিবেচনা করব?

যিশুর বলা দ্রাক্ষালতার দৃষ্টান্তটি এও দেখায় যে, আমাদের পরিস্থিতি বা সীমার মধ্যেই একজন শিষ্য হিসেবে অবশ্যই আমাদের কার্যকলাপ বৃদ্ধি করার সুযোগ করে নিতে হবে। লক্ষ করুন যে, যিশু এটা কীভাবে বলেন: “আমাতে স্থিত যে কোন শাখায় ফল না ধরে, তাহা তিনি কাটিয়া ফেলিয়া দেন; এবং যে কোন শাখায় ফল ধরে, তাহা পরিষ্কার করেন, যেন তাহাতে আরও অধিক ফল ধরে।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (যোহন ১৫:২) দৃষ্টান্তের শেষের দিকে, যিশু তাঁর শিষ্যদের “প্রচুর ফলে” (৮ পদ) ফলবান হতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) এর অর্থ কী? শিষ্য হিসেবে আমাদের কখনোই আত্মতৃপ্তির মনোভাব দেখানো উচিত নয়। (প্রকাশিত বাক্য ৩:১৪, ১৫, ১৯) বরং, আমাদের ফল উৎপন্ন করার জন্য উন্নতি করার বিভিন্ন উপায় খুঁজে বের করা উচিত। কোন ধরনের ফল আরও প্রচুররূপে উৎপন্ন করার জন্য আমাদের আপ্রাণ চেষ্টা করা উচিত? সেগুলো হল (১) “আত্মার ফল” এবং (২) রাজ্যের ফল।—গালাতীয় ৫:২২, ২৩; মথি ২৪:১৪.

খ্রিস্টীয় গুণাবলির ফল

৬. কীভাবে যিশু খ্রিস্ট আত্মার ফলে উল্লেখিত প্রথম ফলটি দেখানোর গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছিলেন?

‘আত্মার ফলের’ তালিকায় প্রথমটা হল প্রেম। ঈশ্বরের পবিত্র আত্মা খ্রিস্টানদের মধ্যে প্রেম উৎপন্ন করে কারণ ফলবান দ্রাক্ষালতার দৃষ্টান্ত বলার কিছু আগে যিশু যে-আজ্ঞা দিয়েছিলেন, তারা সেটার বাধ্য হয়। তিনি তাঁর প্রেরিতদের বলেছিলেন: “এক নূতন আজ্ঞা আমি তোমাদিগকে দিতেছি, তোমরা পরস্পর প্রেম কর।” (যোহন ১৩:৩৪) বস্তুতপক্ষে, যিশু তাঁর পার্থিব জীবনের সেই শেষ রাতে তাঁর আলোচনায় বার বার প্রেরিতদের প্রেম গুণটি দেখানোর প্রয়োজন সম্বন্ধে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন।—যোহন ১৪:১৫, ২১, ২৩, ২৪; ১৫:১২, ১৩, ১৭.

৭. কীভাবে প্রেরিত পিতর দেখিয়েছিলেন যে, ফল উৎপন্ন করা খ্রিস্টতুল্য গুণাবলি প্রকাশ করার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত?

পিতর, যিনি সেই রাতে সেখানে উপস্থিত ছিলেন, বুঝেছিলেন যে খ্রিস্টতুল্য প্রেম ও এর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত গুণগুলো খ্রিস্টের প্রকৃত শিষ্যদের মধ্যে প্রকাশ পেতে হবে। বেশ কয়েক বছর পর, পিতর খ্রিস্টানদের ইন্দ্রিয় দমন, ভ্রাতৃপ্রেম ও প্রেমের মতো গুণগুলো অনুশীলন করতে উৎসাহ দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন যে, তা করা আমাদের “অলস কি ফলহীন থাকিতে” দেবে না। (২ পিতর ১:৫-৮) আমাদের পরিস্থিতি যাইহোক না কেন, আত্মার ফল প্রকাশ করা আমাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে। তাই, আমরা যেন প্রেম, মাধুর্য, মৃদুতা এবং অন্যান্য খ্রিস্টতুল্য গুণগুলো আরও বেশি করে দেখাতে আপ্রাণ চেষ্টা করি কারণ “এই প্রকার গুণের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নাই” বা সীমা নেই। (গালাতীয় ৫:২৩) বাস্তবিকই, আসুন আমরা “আরও অধিক ফল” উৎপন্ন করি। (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।)

রাজ্যের ফল উৎপন্ন করা

৮. (ক) আত্মার ফল ও রাজ্যের ফলের মধ্যে কোন সংযোগ রয়েছে? (খ) কোন প্রশ্ন আমাদের বিবেচনার যোগ্য?

পাকা ও রসালো ফল একটা গাছের সৌন্দর্যকে বাড়িয়ে তোলে। কিন্তু, এইরকম ফলগুলোর মূল্য সেই সৌন্দর্যকেও ছাড়িয়ে যায়। এ ছাড়া, বীজের সাহায্যে গাছের বংশবৃদ্ধির জন্যও ফল অত্যন্ত জরুরি। একইভাবে, আত্মার ফল আমাদের খ্রিস্টীয় ব্যক্তিত্বকে ভূষিত করার চেয়েও আরও অনেক বেশি কিছু করে। এ ছাড়া, প্রেম ও বিশ্বাসের মতো গুণগুলো ঈশ্বরের বাক্যে পাওয়া বীজতুল্য রাজ্যের বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য আমাদের প্রেরণা দেয়। লক্ষ করুন যে, প্রেরিত পৌল কীভাবে এই অতীব জরুরি সংযোগের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন: “তেমনি আমরাও বিশ্বাস [আত্মার ফলের একটা অংশ] করিতেছি, তাই কথাও কহিতেছি।” (২ করিন্থীয় ৪:১৩) এভাবে, পৌল আরও ব্যাখ্যা করেন যে, আমরা “ঈশ্বরের উদ্দেশে . . . স্তব-বলি, অর্থাৎ তাঁহার নাম স্বীকারকারী ওষ্ঠাধরের ফল, উৎসর্গ করি”—দ্বিতীয় ধরনের ফল, যা আমাদের প্রকাশ করা দরকার। (ইব্রীয় ১৩:১৫) ঈশ্বরের রাজ্যের ঘোষণাকারী হিসেবে আরও বেশি ফলবান হওয়ার, প্রকৃতপক্ষে ‘প্রচুর ফল’ উৎপন্ন করার জন্য আমাদের জীবনে কি কোনো সুযোগ রয়েছে?

৯. ফল উৎপন্ন করা ও শিষ্য তৈরি করা কি সমান? ব্যাখ্যা করুন।

সঠিকভাবে উত্তর দেওয়ার জন্য আমাদের প্রথমে বোঝা দরকার যে, কোন বিষয়টা রাজ্যের ফল গঠন করে। এই উপসংহারে আসা কি সঠিক যে, ফল উৎপন্ন করা মানে শিষ্য তৈরি করা? (মথি ২৮:১৯) ফল কি মূলত সেই ব্যক্তিদের বোঝায় যাদের আমরা যিহোবার বাপ্তাইজিত উপাসক হতে সাহায্য করি? না। যদি তা-ই হতো, তা হলে সেই সমস্ত প্রিয় সাক্ষিদের জন্য পরিস্থিতিটা খুবই নিরুৎসাহজনক হবে, যারা কম সাড়া দিচ্ছে এমন এলাকাগুলোতে বছরের পর বছর ধরে বিশ্বস্তভাবে রাজ্যের বার্তা ঘোষণা করে চলেছে। আসলে, আমরা যে-রাজ্যের ফল উৎপন্ন করি তা যদি শুধুমাত্র নতুন শিষ্যদেরই প্রতিনিধিত্ব করে, তা হলে এই কঠোর পরিশ্রমী সাক্ষিরা যিশুর দৃষ্টান্তের সেই নিষ্ফলা শাখার মতোই হবে! কিন্তু, বিষয়টা অবশ্যই তা নয়। তা হলে, আমাদের পরিচর্যার মূল রাজ্যের ফল আসলে কী?

রাজ্যের বীজ ছড়িয়ে ফলবান

১০. বীজবাপক এবং বিভিন্ন ধরনের ভূমি সম্বন্ধে যিশুর দৃষ্টান্তটি কীভাবে দেখায় যে, রাজ্যের ফল কী এবং কী নয়?

১০ বীজবাপক এবং বিভিন্ন ধরনের ভূমি সম্বন্ধে যিশুর দৃষ্টান্তটি এর উত্তর দেয়—কম উর্বর এলাকাগুলোতে কাজ করছে এমন সাক্ষিদের জন্য এটা এক উৎসাহজনক উত্তর। যিশু বলেছিলেন যে, বীজ হল ঈশ্বরের বাক্যে পাওয়া রাজ্যের বার্তা এবং ভূমি চিত্রিত করে মানুষের রূপক হৃদয়কে। কিছু বীজ “উত্তম ভূমিতে পড়িল, তাহাতে তাহা অঙ্কুরিত হইয়া . . . ফল উৎপন্ন করিল।” (লূক ৮:৮) কী ফল? একটা গমের শীষ যখন অঙ্কুরিত হয় ও পরিপক্ব হয়, তখন এটা ফল উৎপন্ন করে, নতুন গমের শীষ নয় কিন্তু নতুন বীজ উৎপন্ন করে। একইভাবে, একজন খ্রিস্টান ফল হিসেবে সবসময় যে-নতুন শিষ্যদের তৈরি করেন, তা নয় কিন্তু নতুন রাজ্যের বীজ।

১১. রাজ্যের ফলকে কীভাবে সংজ্ঞায়িত করা যেতে পারে?

১১ তাই, এই ক্ষেত্রে ফল কোনো নতুন শিষ্যও নয় বা উত্তম খ্রিস্টীয় গুণাবলিও নয়। যেহেতু যে-বীজ বপন করা হয়েছে সেটা হল রাজ্যের বার্তা, তাই ফল অবশ্যই সেই বীজের প্রচুর বৃদ্ধিকেই বোঝাবে। এই ক্ষেত্রে ফল উৎপন্ন করা বলতে রাজ্য সম্বন্ধে কথা বলাকে বোঝায়। (মথি ২৪:১৪) আমাদের পরিস্থিতি যাইহোক না কেন, এইধরনের রাজ্যের ফল উৎপন্ন করা—রাজ্যের সুসমাচার ঘোষণা করা—কি আমাদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে? হ্যাঁ, রয়েছে! সেই একই দৃষ্টান্তে যিশু ব্যাখ্যা করেন যে কেন।

ঈশ্বরের মহিমার্থে আমাদের সর্বোত্তম অংশটুকু দেওয়া

১২. রাজ্যের ফল উৎপন্ন করা কি সমস্ত খ্রিস্টানের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে? ব্যাখ্যা করুন।

১২ “যে উত্তম ভূমিতে উপ্ত,” যিশু বলেছিলেন, তা “কতক শত গুণ, কতক ষাট গুণ, ও কতক ত্রিশ গুণ ফল দেয়।” (মথি ১৩:২৩) খেতে উপ্ত শস্য হয়তো পরিস্থিতি অনুসারে বিভিন্ন পরিমাণে ফল উৎপন্ন করতে পারে। একইভাবে, সুসমাচার ঘোষণা করার ক্ষেত্রে আমরা যা করতে পারি তা হয়তো আমাদের পরিস্থিতি অনুসারে বিভিন্ন হতে পারে এবং যীশু দেখিয়েছিলেন যে তিনি তা উপলব্ধিও করেন। কারোর হয়তো বেশি সুযোগ রয়েছে; অন্যদের হয়তো ভাল স্বাস্থ্য এবং বেশি শক্তি থাকতে পারে। তাই, আমরা যা করি তা হয়তো অন্যেরা যতখানি করে সেটার চেয়ে কম বা বেশি হতে পারে কিন্তু যতক্ষণ পর্যন্ত আমরা আমাদের সর্বোত্তমটা দিই, তাতেই যিহোবা সন্তুষ্ট হন। (গালাতীয় ৬:৪) বার্ধক্য বা অসুস্থতা যদি প্রচার কাজে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের সীমিত করেও তোলে, কোনো সন্দেহ নেই যে, আমাদের করুণাময় পিতা যিহোবা আমাদের এমন একজন হিসেবে দেখেন যারা “প্রচুর ফলে ফলবান্‌।” কেন? কারণ আমরা তাঁকে ‘আমাদের যাহা কিছু আছে, সমস্তই’—আমাদের সর্বান্তঃকরণ সেবা দিই। *মার্ক ১২:৪৩, ৪৪; লূক ১০:২৭.

১৩. (ক) রাজ্যের ফলে ফলবান ‘হইতে থাকিবার’ সর্বপ্রধান কারণটা কী? (খ) কম সাড়া দিচ্ছে এমন এলাকাগুলোতে প্রচুর ফল উৎপন্ন করে চলতে কী আমাদের সাহায্য করবে? (২১ পৃষ্ঠার বাক্সটা দেখুন।)

১৩ যখন আমরা মনে রাখি যে, কেন আমরা এই কাজ করছি, তখন যতক্ষণ পর্যন্ত রাজ্যের ফল উৎপন্ন করার মতো সাধ্য আমাদের রয়েছে, আমরা ‘গিয়া ফলবান হইবার’ জন্য পরিচালিত হব। (যোহন ১৫:১৬) যিশু সর্বপ্রধান কারণটি উল্লেখ করেছিলেন: “ইহাতেই আমার পিতা মহিমান্বিত হন যে, তোমরা প্রচুর ফলে ফলবান্‌ হও।” (যোহন ১৫:৮) হ্যাঁ, আমাদের প্রচার কাজ সমস্ত মানবজাতির সামনে যিহোবার নামকে পবিত্র করে। (গীতসংহিতা ১০৯:৩০) অনার নামে প্রায় ৭৫ বছর বয়সের একজন বিশ্বস্ত সাক্ষি বলেন: “এমনকি কম সাড়া দিচ্ছে এমন এলাকাগুলোতেও পরাৎপর ঈশ্বরকে প্রতিনিধিত্ব করা এক বিরাট সুযোগ।” ক্লডিও যিনি ১৯৭৪ সাল থেকে একজন উদ্যোগী সাক্ষি, তাকে যখন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল যে যদিও তার এলাকায় খুব কম লোকই সাড়া দেয় তবুও, কেন তিনি প্রচার করা চালিয়ে যান, তখন তিনি যোহন ৪:৩৪ পদ উদ্ধৃত করেছিলেন, যেখানে আমরা যিশুর এই কথাগুলো পাই: “আমার খাদ্য এই, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, যেন তাঁহার ইচ্ছা পালন করি ও তাঁহার কার্য্য সাধন করি।” ক্লডিও আরও বলেছিলেন: “একজন রাজ্য ঘোষণাকারী হিসেবে আমি কেবল শুরুই করতে চাই না কিন্তু যিশুর মতো সম্পন্নও করতে চাই।” (যোহন ১৭:৪) সারা পৃথিবীতে যিহোবার সাক্ষিরা এই কথার সঙ্গে একমত।—২১ পৃষ্ঠায় “যেভাবে ‘ধৈর্য্য সহকারে ফল উৎপন্ন করা’ যায়” বাক্সটা দেখুন।

প্রচার এবং শিক্ষা দেওয়ার জন্য

১৪. (ক) যোহন বাপ্তাইজক এবং যিশুর কাজের কোন দুটো উদ্দেশ্য ছিল? (খ) আজকে খ্রিস্টীয় কাজকে আপনি কীভাবে বর্ণনা করবেন?

১৪ সুসমাচারের বিবরণে উল্লেখিত প্রথম রাজ্য ঘোষণাকারী হলেন, যোহন বাপ্তাইজক। (মথি ৩:১, ২; লূক ৩:১৮) তার মূল উদ্দেশ্য ছিল ‘সাক্ষ্য দেওয়া’ এবং তিনি তা গভীর বিশ্বাস এবং এই আশা নিয়ে করেছিলেন যে, “যেন সকলে তাঁহার দ্বারা বিশ্বাস করে।” (যোহন ১:৬, ৭) বস্তুতপক্ষে, যোহন যাদের কাছে প্রচার করেছিলেন তারা খ্রিস্টের শিষ্য হয়ে উঠেছিল। (যোহন ১:৩৫-৩৭) তাই, যোহন একজন প্রচারক ছিলেন ও সেইসঙ্গে শিষ্য তৈরি করেছিলেন। যিশুও একজন প্রচারক ও সেইসঙ্গে শিক্ষক ছিলেন। (মথি ৪:২৩; ১১:১) অতএব, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে যিশু তাঁর অনুসারীদের শুধু রাজ্যের বার্তা প্রচার করারই আদেশ দেননি কিন্তু সেইসঙ্গে তাঁর শিষ্য হওয়ার জন্য লোকেদের সাহায্য করারও আদেশ দিয়েছিলেন। (মথি ২৮:১৯, ২০) তাই, আজকে আমাদের কাজ হল প্রচার করা ও শিক্ষা দেওয়া দুটোই।

১৫. প্রচার কাজে সাড়া দেওয়ার ব্যাপারে সা.কা. প্রথম শতাব্দীর সঙ্গে ও আজকে যা সম্পন্ন হয় সেটার মধ্যে কী মিল রয়েছে?

১৫ সাধারণ কাল প্রথম শতাব্দীতে যারা পৌলকে প্রচার করতে ও শিক্ষা দিতে শুনেছিল তাদের মধ্যে “কেহ কেহ তাঁহার কথায় প্রত্যয় করিলেন, আর কেহ কেহ অবিশ্বাস করিলেন।” (প্রেরিত ২৮:২৪) আজকেও, প্রায় একইরকম সাড়া পাওয়া যায়। দুঃখের বিষয় যে, বেশির ভাগ রাজ্যের বীজ অসাড় ভূমিতে পড়ে। তা সত্ত্বেও, কিছু কিছু বীজ উত্তম ভূমিতে পড়ে, শিকড় গজায় এবং অঙ্কুরিত হয়, ঠিক যেমন যিশু ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। বস্তুতপক্ষে, সারা পৃথিবীতে বছরে প্রতি সপ্তাহে গড়ে ৫,০০০ জনেরও বেশি লোক খ্রিস্টের প্রকৃত শিষ্যে পরিণত হচ্ছে! বেশির ভাগ লোক না করলেও এই নতুন শিষ্যরা ‘কথায় প্রত্যয় করে।’ কী তাদের হৃদয়কে রাজ্যের বার্তার প্রতি সংবেদনশীল করে তোলে? প্রায়ই সাক্ষিদের দেখানো ব্যক্তিগত আগ্রহ—নতুন বপন করা বীজে জল দেওয়ার মতো—আর এটাই একটা বড় প্রভাব ফেলে। (১ করিন্থীয় ৩:৬) অনেক উদাহরণের মধ্যে কেবল দুটো বিবেচনা করুন।

ব্যক্তিগত আগ্রহ বড় প্রভাব ফেলে

১৬, ১৭. পরিচর্যায় আমরা যাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করি তাদের প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখানো কেন গুরুত্বপূর্ণ?

১৬ ক্যারলিন নামে বেলজিয়ামের একজন যুবতী সাক্ষি একজন বয়স্কা মহিলার সঙ্গে কথা বলেছিলেন, যিনি রাজ্যের বার্তার প্রতি কোনো আগ্রহই দেখাননি। যেহেতু সেই মহিলার হাতে ব্যান্ডেজ ছিল, তাই ক্যারলিন ও তার সঙ্গী তাকে সাহায্য করতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি তা গ্রহণ করেননি। দুদিন পর, সেই দুজন সাক্ষি সেই মহিলার ঘরে ফিরে গিয়েছিল এবং তাকে জিজ্ঞেস করেছিল যে, তিনি এখন কেমন বোধ করছেন। “এটাই সবকিছু বদলে দিয়েছিল,” ক্যারলিন বলেছিলেন। “তিনি এটা দেখে অবাক হয়ে গিয়েছিলেন যে, আমরা তার প্রতি সত্যিই আগ্রহী ছিলাম। তিনি আমাদের তার ঘরে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন এবং বাইবেল অধ্যয়ন শুরু হয়েছিল।”

১৭ স্যান্ডি নামে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সাক্ষিও যাদের কাছে প্রচার করেন তাদের প্রতি ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখান। তিনি স্থানীয় খবরের কাগজ থেকে সমস্ত জন্মের ঘোষণা পড়েন ও এরপর নতুন বাবামাদের সঙ্গে আমার বাইবেলের গল্পের বই * নিয়ে সাক্ষাৎ করেন। যেহেতু মা সাধারণত বাড়িতে থাকেন এবং অতিথিদের তার বাচ্চাকে দেখাতে পেরে গর্বিত বোধ করেন, তাই প্রায়ই আলোচনা শুরু হয়। “পড়ার মাধ্যমে নবজাত শিশুদের সঙ্গে বন্ধন গড়ে তোলার গুরুত্ব নিয়ে আমি বাবামাদের সঙ্গে কথা বলি,” স্যান্ডি ব্যাখ্যা করেন। “পরে আমি আজকের সমাজে সন্তান মানুষ করার প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো নিয়ে কথা বলি।” সম্প্রতি, এইরকম সাক্ষাতের ফলস্বরূপ, একজন মা ও ছয় বাচ্চা যিহোবাকে সেবা করতে শুরু করেছে। নিজে থেকে এগিয়ে যাওয়া এবং ব্যক্তিগত আগ্রহ দেখানো আমাদের পরিচর্যায় অনেক আনন্দপূর্ণ ফল নিয়ে আসতে পারে।

১৮. (ক) “প্রচুর ফলে ফলবান্‌” হওয়ার চাহিদাটা কেন আমাদের সকলের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে? (খ) শিষ্য হওয়ার জন্য যোহনের সুসমাচারে উল্লেখিত কোন তিনটে চাহিদা পূরণ করতে আপনি দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ?

১৮ এটা জানা কতই না আশ্বাসজনক যে, “প্রচুর ফলে ফলবান্‌” হওয়া আমাদের সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে! আমরা যুবক বা বৃদ্ধ যাই হই না কেন, আমাদের স্বাস্থ্য ভাল থাকুক বা নাই থাকুক, আমরা কম বা বেশি সাড়া দিচ্ছে এমন যে-এলাকায়ই প্রচার করি না কেন, আমরা সকলে প্রচুর ফল উৎপন্ন করতে পারি। কীভাবে? পূর্ণরূপে আত্মার ফল প্রদর্শন করে এবং ঈশ্বরের রাজ্যের বার্তা ঘোষণা করার ক্ষেত্রে আমাদের যথাসাধ্য করে। একই সময়ে আমরা ‘যীশুর বাক্যে স্থির থাকিবার’ এবং ‘আপনাদের মধ্যে পরস্পর প্রেম রাখিবার’ জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করি। হ্যাঁ, শিষ্য হওয়ার জন্য যোহনের সুসমাচারে লিপিবদ্ধ এই তিনটি গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা পূর্ণ করার মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করি যে আমরা ‘সত্যই [খ্রীষ্টের] শিষ্য।’—যোহন ৮:৩১; ১৩:৩৫.

[পাদটীকাগুলো]

^ যদিও দৃষ্টান্তের দ্রাক্ষালতার শাখা যিশুর প্রেরিতদের এবং অন্যান্য সেই খ্রিস্টানদের বোঝায়, যারা ঈশ্বরের স্বর্গীয় রাজ্যের অধিকারী হবে কিন্তু সেই দৃষ্টান্তে এমন কিছু সত্য রয়েছে, যেগুলো থেকে আজকে খ্রিস্টের সমস্ত অনুসারীরা উপকৃত হতে পারে।—যোহন ৩:১৬; ১০:১৬.

^ যারা বার্ধক্য বা অসুস্থতার কারণে ঘরেই থাকে তারা হয়তো চিঠি লিখে অথবা যেখানে অনুমতি রয়েছে সেখানে টেলিফোনে সাক্ষ্য দিতে পারে কিংবা তারা হয়তো যারা তাদেরকে দেখতে আসে তাদের কাছে সুসমাচার জানাতে পারে।

^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।

পুনরালোচনার প্রশ্নগুলো

• কোন ধরনের ফল আমাদের আরও প্রচুররূপে উৎপন্ন করা দরকার?

• “প্রচুর ফলে ফলবান্‌” হওয়ার লক্ষ্য কেন আমাদের সাধ্যের মধ্যে রয়েছে?

• শিষ্য হওয়ার জন্য যোহনের সুসমাচারে উল্লেখিত কোন তিনটে গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা সম্বন্ধে আমরা আলোচনা করেছি?

[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]

[২১ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

যেভাবে ‘ধৈর্য্য সহকারে ফল উৎপন্ন করা’ যায়

কীআপনাকে অপেক্ষাকৃত কম সাড়া দেয় এমন এলাকাগুলোতে বিশ্বস্তভাবে রাজ্যের বার্তা প্রচার করতে সাহায্য করে? এখানে এই প্রশ্নের কিছু সাহায্যকারী উত্তর রয়েছে।

“এলাকাতে আমরা যেধরনের প্রতিক্রিয়াই পাই না কেন, যিশুর পূর্ণ সমর্থন আমাদের প্রতি রয়েছে জানা আমাদের মধ্যে আশা এবং অধ্যবসায় জাগিয়ে তোলে।”—হ্যারি, বয়স ৭২; ১৯৪৬ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন।

২ করিন্থীয় ২:১৭ পদ আমাকে সবসময় উৎসাহ দেয়। এটা বলে যে আমরা ‘ঈশ্বরের সম্মুখে খ্রীষ্টে’ পরিচর্যায় অংশ নিই। যখন আমি পরিচর্যায় থাকি, আমি আমার সবচেয়ে ভাল বন্ধুদের সাহচর্য উপভোগ করি।”—ক্লডিও, বয়স ৪৩; ১৯৭৪ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন।

“খোলাখুলিভাবে বলতে গেলে, প্রচার কাজ হল আমার জন্য এক ব্যক্তিগত সংগ্রাম। তা সত্ত্বেও, আমি গীতসংহিতা ১৮:২৯ পদে পাওয়া কথাগুলোর সত্যতা উপভোগ করি: ‘আমি . . . আমার ঈশ্বরের দ্বারা প্রাচীর উল্লঙ্ঘন করি।’”—গেরিট, বয়স ৭৯; ১৯৫৫ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন।

“যদি আমি পরিচর্যায় গিয়ে মাত্র একটা শাস্ত্রপদও পড়তে পারি, এটা আমাকে পরিতৃপ্তি এনে দেয় যে, অন্তত কেউ একজন তার হৃদয় বাইবেলের আলোকে পরীক্ষা করেছে।”—ইলিনর, বয়স ২৬; ১৯৮৯ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন।

“আমি বিভিন্ন উপস্থাপনা ব্যবহার করি। এমন আরও অনেক উপস্থাপনা রয়েছে, যেগুলোর সব আমি আমার বাকি জীবনে ব্যবহার করতে পারব না।”—পল, বয়স ৭৯ বছর; ১৯৪০ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন।

“নেতিবাচক সাড়া পেলে ব্যক্তিগতভাবে আমি অসন্তুষ্ট হই না। আমি হাসিমুখে কথা বলার চেষ্টা করি, লোকেদের সঙ্গে আলোচনা করি এবং তাদের মতামত শুনি।”—ড্যানিয়েল, বয়স ৭৫; ১৯৪৬ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন।

“আমি নতুন বাপ্তাইজিত ব্যক্তিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি, যারা আমাকে বলেছিল যে আমার প্রচার কাজ তাদের সাক্ষি হওয়ার পিছনে একটা ভূমিকা রেখেছে। আমার অজান্তেই, পরে অন্য কেউ তাদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করেছে এবং তাদের উন্নতি করতে সাহায্য করেছে। এটা আমাকে এই আনন্দ এনে দেয় যে, আমাদের পরিচর্যা হল এক দলগত প্রচেষ্টা।”—জন, বয়স ৬৬; ১৯৫৪ সালে বাপ্তিস্ম নিয়েছিলেন।

কী আপনাকে “ধৈর্য্য সহকারে ফল উৎপন্ন” করতে সাহায্য করে?—লূক ৮:১৫.

[২০ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

আত্মার ফল প্রদর্শন করে এবং রাজ্যের বার্তা ঘোষণা করে আমরা প্রচুর ফল উৎপন্ন করি

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিশু কী বুঝিয়েছিলেন যখন তিনি তাঁর প্রেরিতদের বলেছিলেন: “প্রচুর ফলে ফলবান্‌ হও”?