যেভাবে কাজের প্রতি ভারসাম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা যায়
যেভাবে কাজের প্রতি ভারসাম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা যায়
আজকের বিশ্ব বাজারের ব্যস্ততাপূর্ণ জগতে নিষ্ঠুর প্রতিযোগিতা এবং বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের কারণে অনেক লোক প্রতিদিন কাজে যাওয়ার তাগিদ অনুভব করে না। কিন্তু, আমাদের কাজ উপভোগ করা উচিত। কেন? কারণ আমাদের ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্টি করা হয়েছে—আর ঈশ্বর তাঁর কাজে আনন্দ পেয়ে থাকেন। উদাহরণস্বরূপ, আদিপুস্তক ১:৩১ পদ বলে যে, সৃষ্টির ছয় “দিবস” বা দীর্ঘসময় শেষে তিনি যা কিছু করেছেন, সেগুলোর সমস্ত কিছু পুনর্বিবেচনা করে দেখার সময় “ঈশ্বর আপনার নির্ম্মিত বস্তু সকলের প্রতি দৃষ্টি করিলেন, আর দেখ, সে সকলই অতি উত্তম।”
নিঃসন্দেহে, কাজের প্রতি যিহোবার ভালবাসা হল একটা কারণ, যার জন্য তাঁকে ‘পরম ধন্য [“সুখী,” NW] ঈশ্বর’ বলা হয়। (১ তীমথিয় ১:১১) তাই, এটা কি যুক্তিযুক্ত নয় যে, আমরা যত বেশি তাঁকে অনুকরণ করব ততই আমরা সুখী হব? এই সম্বন্ধে, প্রাচীন ইস্রায়েলের রাজা, যিনি এক উল্লেখযোগ্য নির্মাতা এবং সংগঠক, তিনি লিখেছিলেন: “প্রত্যেক মনুষ্য যে ভোজন পান ও সমস্ত পরিশ্রমের মধ্যে সুখভোগ করে, ইহাও ঈশ্বরের দান।”—উপদেশক ৩:১৩.
আজকের এই দ্রুত পরিবর্তিত কর্মক্ষেত্রে, কাজের প্রতি এক ভারসাম্যপূর্ণ ও গঠনমূলক দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে তোলা কঠিন বিষয় হতে পারে। কিন্তু, যিহোবা সেই সমস্ত ব্যক্তিদের আশীর্বাদ করেন, যারা তাঁর প্রেমময় নির্দেশনার প্রতি মনোযোগ দেয়। (গীতসংহিতা ১১৯:৯৯, ১০০) এইধরনের ব্যক্তিরা মূল্যবান এবং আস্থাভাজন কর্মী হয়ে ওঠে এবং তাদের চাকরি হারানোর সম্ভাবনা খুব কম থাকে। এ ছাড়া, তারা তাদের জীবন ও কাজকে শুধু বস্তুগত দৃষ্টিকোণ থেকেই নয় কিন্তু আধ্যাত্মিক দৃষ্টিকোণ থেকেও দেখতে শেখে। এটা তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তগুলো নিতে এবং এটি দেখতে সাহায্য করে যে, তাদের পরিতৃপ্তি ও নিরাপত্তাবোধ তাদের চাকরি বা ঘনঘন পরিবর্তনশীল চাকরির বাজারের দ্বারা সীমাবদ্ধ নয়। (মথি ৬:৩১-৩৩; ১ করিন্থীয় ২:১৪, ১৫) এটা তাদের এক সত্যিকারের ভারসাম্যপূর্ণ কাজের নীতি গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
এক ঈশ্বরীয় কাজের নীতি গড়ে তুলুন
কিছু লোক কাজপাগল, তারা কাজকে সব কিছুর ঊর্ধ্বে রাখে। অন্যেরা আবার দিন শেষ হওয়ার অপেক্ষায় থাকে যে, উপদেশক ৪:৬) বস্তুত, খুব কঠোর বা দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করার পরিণাম হিতে বিপরীত হয়—নিষ্ফল ‘বায়ুভক্ষণ।’ কেন? কারণ এতে আমরা হয়তো সেই বিষয়গুলোর ক্ষতি করতে পারি, যেগুলো আমাদের মহান সুখে অবদান রাখে: পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক, আমাদের আধ্যাত্মিকতা, স্বাস্থ্য এবং এমনকি দীর্ঘায়ু। (১ তীমথিয় ৬:৯, ১০) ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে রয়েছে দ্বিগুণ কাজ, দ্বন্দ্ব ও দুর্দশার দ্বারা ভারগ্রস্ত হওয়ার বদলে সামান্য বস্তুগত বিষয় অর্জন করা এবং উপযুক্ত শান্তি উপভোগ করা।
কখন তারা কাজ শেষে বাড়ি ফিরে যাবে। ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি কী? বাইবেল উত্তর দেয়: “পরিশ্রম ও বায়ুভক্ষণসহ পূর্ণ দুই মুষ্টি অপেক্ষা শান্তিসহ পূর্ণ এক মুষ্টি ভাল।” (বাইবেল এইধরনের ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে উৎসাহ দিলেও অলসতাকে অনুমোদন করে না। (হিতোপদেশ ২০:৪) অলসতা আত্মসম্মান এবং আমাদের প্রতি অন্যদের যে-সম্মান আছে, সেটাকে নষ্ট করে দেয়। এমনকি এটা ঈশ্বরের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ করে ফেলে। বাইবেল স্পষ্টভাবে বলে যে, যে-ব্যক্তি কাজ করতে চায় না তার অন্যের আয়ে খাওয়ারও অধিকার নেই। (২ থিষলনীকীয় ৩:১০) এর পরিবর্তে, তার জীবনযাত্রার ধরন পরিবর্তন করে কঠোর পরিশ্রম করা উচিত এবং এভাবে সম্মানের সঙ্গে নিজের ও সেইসঙ্গে তার ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তিদের বস্তুগত চাহিদা সরবরাহ করা উচিত। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে তিনি হয়তো সত্যিকারের অভাবী ব্যক্তিদেরও সাহায্য করতে পারেন—যে-কাজের ব্যাপারে ঈশ্বরের বাক্য উৎসাহ দেয়।—হিতোপদেশ ২১:২৫, ২৬; ইফিষীয় ৪:২৮.
ছোটবেলা থেকেই সম্মানযোগ্য কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত
কাজ করার উত্তম অভ্যাসগুলো এমনি এমনি হয় না; এগুলো ছোটবেলা থেকেই শেখার মাধ্যমে হয়। তাই, বাইবেল বাবামাদের পরামর্শ দেয়: “বালককে [অথবা বালিকাকে] তাহার গন্তব্য পথানুরূপ শিক্ষা [“প্রশিক্ষণ,” NW] দেও, সে প্রাচীন হইলেও তাহা ছাড়িবে না।” (হিতোপদেশ ২২:৬) নিজেরা কর্মী হওয়ার উত্তম উদাহরণ স্থাপন করা ছাড়াও বিজ্ঞ বাবামায়েরা তাদের ছোট ছেলেমেয়েদের বয়স অনুসারে ঘরের কাজ দিয়ে তাদের প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করে। যদিও ছেলেমেয়েরা হয়তো কিছু কিছু কাজ করতে বিরক্তবোধ করতে পারে কিন্তু তারা নিজেদেরকে পরিবারের এক মূল্যবান সদস্য বলে মনে করবে—বিশেষ করে ভালভাবে কাজ সম্পাদন করার জন্য বাবামা যখন তাদের প্রশংসা করবে। দুঃখজনক যে, কিছু বাবামা তাদের ছেলেমেয়েদের অতিরিক্ত প্রশ্রয় দিয়ে বলতে গেলে প্রায় সবকিছুই তাদের জন্য করে দেয়। এইধরনের বাবামাদের হিতোপদেশ ২৯:২১ (NW) পদের কথা বিবেচনা করা উচিত, যেখানে বলা আছে “কোনো ব্যক্তি যদি আপন দাসকে [অথবা সন্তানকে] বাল্যকাল থেকে প্রশ্রয় দেয়, তা হলে সে ভবিষ্যতে অকৃতজ্ঞ হয়ে উঠবে।”
এ ছাড়া, দায়িত্ববান বাবামা তাদের ছেলেমেয়েদের স্কুলের ব্যাপারেও আন্তরিক যত্ন নেয়, স্কুলে থাকাকালীন তাদের শিখতে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহ দেয়। এটা পরবর্তী সময়ে ছোট ছেলেমেয়েরা যখন কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে, তখন তাদের উত্তম অবস্থানে অটল রাখতে পারে।
কাজ বাছাই করার ব্যাপারে বিজ্ঞ হোন
বাইবেল যদিও বলে না যে আমাদের কোন ধরনের কাজ করা উচিত কিন্তু এটি আমাদের জন্য উত্তম নির্দেশনা দেয়, যাতে আমাদের আধ্যাত্মিক উন্নতি, ঈশ্বরের প্রতি সেবা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বের ক্ষেত্রে আপোশ করতে না হয়। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “সময় সঙ্কুচিত, এখন হইতে . . . যাহারা সংসার ভোগ করিতেছে, যেন পূর্ণমাত্রায় করিতেছে না, যেহেতুক এই সংসারের অভিনয় অতীত হইতেছে।” (১ করিন্থীয় ৭:২৯-৩১) এই বর্তমান বিধিব্যবস্থায় কোনো কিছুই স্থায়ী বা স্থির নয়। এর প্রতি আমাদের সমস্ত সময় এবং শক্তি দেওয়া হল আমাদের পুরো জীবনের সঞ্চয় এমন একটা বাড়ির পিছনে ঢেলে দেওয়ার মতো, যেটা বন্যাকবলিত এলাকায় বানানো হয়েছে। এটা কতই না এক অবিবেচক বিনিয়োগ হবে!
অন্যান্য বাইবেল অনুবাদ “পূর্ণমাত্রায় ভোগ করিতেছে না” শব্দগুলোকে “এর মধ্যে ডুবে না থাকা” এবং “সেগুলোর মধ্যে পুরোপুরি মগ্ন না থাকা” হিসেবে অনুবাদ করেছে। (দ্যা যিরূশালেম বাইবেল; টুডেজ ইংলিশ ভারসন) বিজ্ঞ লোকেরা কখনও এই বিষয়টা উপেক্ষা করে না যে, বর্তমান বিধিব্যবস্থার জন্য সময় “সঙ্কুচিত” এবং এর মধ্যে ‘ডুবে থাকা’ বা ‘পুরোপুরি মগ্ন থাকা’ নিঃসন্দেহে হতাশা এবং অনুশোচনার দিকে নিয়ে যাবে।—১ যোহন ২:১৫-১৭.
‘ঈশ্বর কোন ক্রমে আপনাকে ছাড়িবেন না’
যিহোবা আমাদের প্রয়োজন সম্বন্ধে আমাদের চেয়ে আরও ভাল জানেন। এ ছাড়া, তিনি জানেন যে, তাঁর উদ্দেশ্য পরিপূর্ণ করার ক্ষেত্রে আমরা কোন অবস্থানে আছি। তাই, তিনি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন: “তোমাদের আচার ব্যবহার ধনাসক্তিবিহীন হউক; তোমাদের যাহা আছে, তাহাতে সন্তুষ্ট থাক; কারণ [ঈশ্বর] বলিয়াছেন, ‘আমি কোন ক্রমে তোমাকে ছাড়িব না, ও কোন ক্রমে তোমাকে ত্যাগ করিব না।’” (ইব্রীয় ১৩:৫) এই কথাগুলো কতই না সান্ত্বনাজনক! তাঁর লোকেদের জন্য ঈশ্বরের প্রেমময় চিন্তা অনুকরণ করে যিশু তাঁর শিষ্যদের কাজ ও বস্তুগত বিষয়ের প্রতি সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার জন্য পর্বতে দত্ত তাঁর সুপরিচিত উপদেশে সার বিষয়বস্তু তুলে ধরেছিলেন।—মথি ৬:১৯-৩৩.
যিহোবার সাক্ষিরা সেই শিক্ষাগুলোতে মনোযোগ দেওয়ার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, একজন নিয়োগকর্তা যখন একজন সাক্ষিকে, যিনি একজন বিদ্যুৎ-মিস্ত্রি ছিলেন, নিয়মিত ওভারটাইম করতে বলেন, তখন কর্মচারী তা করতে রাজি হননি। কেন? কারণ তিনি চাননি যে তার জাগতিক কাজ তার পরিবার ও আধ্যাত্মিক বিষয়ে তিনি যে সময় দেন, তাতে ব্যাঘাত ঘটাক। যেহেতু তিনি একজন চমৎকার এবং আস্থাভাজন কর্মী ছিলেন, তাই তার নিয়োগকর্তা তার ইচ্ছার প্রতি সম্মান দেখিয়েছিলেন। অবশ্য, সবসময় পরিস্থিতি এইরকম হয় না এবং একজন ব্যক্তিকে হয়তো ভারসাম্যপূর্ণ জীবনধারা বজায় রাখার জন্য অন্য চাকরি খুঁজতে হতে পারে। কিন্তু, যারা যিহোবার ওপর পুরোপুরি আস্থা রাখে, তারা সাধারণত দেখে যে তাদের উত্তম আচরণ এবং কাজের নীতি, নিয়োগকর্তার কাছে তাদেরকে অনুগ্রহপ্রাপ্ত করে তোলে।—হিতোপদেশ ৩:৫, ৬, NW.
যখন সমস্ত কাজই পুরস্কারদায়ক হবে
বর্তমানে অসিদ্ধ বিধিব্যবস্থায় চাকরি এবং চাকরির প্রত্যাশা কখনও সমস্যা এবং অনিশ্চয়তা মুক্ত হবে না। বস্তুত, জগৎ
যতই অস্থির এবং অর্থনৈতিক অবস্থা ওঠানামা করছে বা এমনকি দুর্বল হয়ে পড়ছে, পরিস্থিতি ততই আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। কিন্তু এই পরিস্থিতি ক্ষণস্থায়ী। শীঘ্রই কেউই কাজ ছাড়া থাকবে না। এ ছাড়া, সমস্ত কাজই আকর্ষণীয় এবং পুরস্কারদায়ক হবে। সেটা কীভাবে সম্ভব? কী এইধরনের এক পরিবর্তন নিয়ে আসবে?যিহোবা তাঁর ভাববাদী যিশাইয়ের মাধ্যমে সেই সময়ের কথা উল্লেখ করেছিলেন। “আমি নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর সৃষ্টি করি,” যিহোবা বলেছিলেন, “এবং পূর্ব্বে যাহা ছিল, তাহা স্মরণে থাকিবে না, আর মনে পড়িবে না।” (যিশাইয় ৬৫:১৭) তিনি তাঁর নতুন সরকার সম্বন্ধে বলছিলেন, যার অধীনে সম্পূর্ণ নতুন এবং ভিন্ন মানবসমাজ এক বাস্তব বিষয় হয়ে উঠবে।—দানিয়েল ২:৪৪.
লোকেরা যেভাবে জীবনযাপন এবং কাজ করবে, সেই বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী বলে চলে: “লোকেরা গৃহ নির্ম্মাণ করিয়া তাহার মধ্যে বসতি করিবে, দ্রাক্ষাক্ষেত্র প্রস্তুত করিয়া তাহার ফল ভোগ করিবে। তাহারা গৃহ নির্ম্মাণ করিলে অন্যে বাস করিবে না, তাহারা রোপণ করিলে অন্যে ভোগ করিবে না; বস্তুতঃ আমার প্রজাদের আয়ু বৃক্ষের আয়ুর তুল্য হইবে, এবং আমার মনোনীত লোকেরা দীর্ঘকাল আপন আপন হস্তের শ্রমফল ভোগ করিবে। তাহারা বৃথা পরিশ্রম করিবে না, বিহ্বলতার নিমিত্ত সন্তানের জন্ম দিবে না, কারণ তাহারা সদাপ্রভুর আশীর্ব্বাদপ্রাপ্ত বংশ, ও তাহাদের সন্তানগণ তাহাদের সহবর্ত্তী হইবে।”—যিশাইয় ৬৫:২১-২৩.
ঈশ্বরের পরিকল্পিত সেই নতুন জগৎ কত পরিবর্তনই না নিয়ে আসবে! আপনি কি সেইরকম এক জগতে বাস করতে চান, যেখানে আপনি ‘বৃথা পরিশ্রম করিবেন না’ বরং আপনার সমস্ত শ্রমের “ফল” পূর্ণমাত্রায় ভোগ করবেন? কিন্তু লক্ষ করুন যে, কারা এইধরনের আশীর্বাদ লাভ করবে: “সদাপ্রভুর আশীর্ব্বাদপ্রাপ্ত বংশ।” যিহোবা সম্বন্ধে শিখে এবং তাঁর ইচ্ছাগুলো পূরণ করে আপনিও এইরকম “আশীর্ব্বাদপ্রাপ্ত” হতে পারেন। যিশু বলেছিলেন: “ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।” (যোহন ১৭:৩) ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল ধারাবাহিকভাবে অধ্যয়ন করানোর মাধ্যমে যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে সেই জীবনদায়ক জ্ঞান অর্জন করার জন্য সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত হবেন।
[৬ পৃষ্ঠার বাক্স]
“সবসময়ই চাহিদা রয়েছে”
বাইবেল বলে, “যাহা কিছু কর, প্রাণের সহিত কার্য্য কর, মনুষ্যের কর্ম্ম নয়, কিন্তু প্রভুরই [“যিহোবারই,” NW] কর্ম্ম বলিয়া কর।” (কলসীয় ৩:২৩) স্পষ্টতই, যে-ব্যক্তির কাজের নীতি এই উত্তম নীতির দ্বারা পরিচালিত হয় তিনি এক কাঙ্ক্ষিত কর্মচারী হয়ে থাকেন। এই কারণে জে. জে. লুনা তার কীভাবে অলক্ষিত হবেন (ইংরেজি) বইয়ে সম্ভাব্য নিয়োগকর্তাদের নির্দিষ্ট ধর্মীয় দল থেকে সক্রিয় সদস্যদের খোঁজার পরামর্শ দেন কিন্তু তিনি আরও বলেন: “আসলে আমাদের শেষ পর্যন্ত [যিহোবার] সাক্ষিদেরই সুপারিশ করতে হয়।” যে-কারণগুলো তিনি দেখিয়েছিলেন, সেগুলোর মধ্যে একটা হল যে, তারা তাদের সততার জন্য সুপরিচিত আর সেই কারণেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের বিষয়ে “সবসময়ই চাহিদা রয়েছে।”
[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]
কাজের মধ্যে আধ্যাত্মিক বিষয়বস্তু ও আমোদপ্রমোদের ক্ষেত্রে ভারসাম্য বজায় রাখা পরিতৃপ্তি নিয়ে আসে