যাত্রার বিবরণের এক চমৎকার নথি
যাত্রার বিবরণের এক চমৎকার নথি
অভিযাত্রী রিচার্ড ই. বার্ড ১৯২৮ থেকে ১৯৫৬ সালের মধ্যে পাঁচ বার দক্ষিণমেরু অভিযান করেছেন। একটা ডায়েরি এবং সঠিকভাবে লেখা যাত্রার বিবরণের সম্পূর্ণ নথি (লগ-বই) রাখার মাধ্যমে তিনি এবং তার দলের লোকেরা বাতাসের গতি নির্ধারণ, মানচিত্র তৈরি এবং অ্যান্টার্কর্টিকা মহাদেশ সম্বন্ধে উল্লেখযোগ্য তথ্য জোগাড় করতে পেরেছিলেন।
বার্ডের অভিযানগুলো, যাত্রার বিবরণের নথি রাখার গুরুত্ব সম্বন্ধে তুলে ধরে। যাত্রার বিবরণের নথিতে বা লগ-বইয়ে কোনো সমুদ্রযাত্রা বা বিমানযাত্রার বিস্তারিত বিবরণ সংগ্রহিত থাকে। কী ঘটেছিল, তা পুনরালোচনা অথবা তথ্য বিশ্লেষণ করার জন্য এই তথ্য পরবর্তীতে ব্যবহার করা যেতে পারে, যা ভবিষ্যতের ভ্রমণগুলোর জন্য উপকারী হতে পারে।
শাস্ত্র, নোহের দিনের জলপ্লাবনের এক চমৎকার বিবরণ সম্বন্ধে জানায়। পৃথিবীব্যাপী সেই জলপ্লাবন এক বছরেরও বেশি সময় ধরে স্থায়ী ছিল। জলপ্লাবনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময় নোহ, তার স্ত্রী এবং তাদের তিন ছেলে ও তাদের স্ত্রীরা একটি জাহাজ—প্রায় ৪০,০০০ ঘন মিটার আয়তনের এক বিশাল নৌকা—তৈরি করতে ৫০ বা ৬০ বছর ব্যয় করেছিল। এটির উদ্দেশ্য কী ছিল? কিছু মানুষ এবং পশুপাখিকে জলপ্লাবন থেকে রক্ষা করা।—আদিপুস্তক ৭:১-৩.
বস্তুত, জলপ্লাবনের শুরু থেকে নোহ ও তার পরিবার জাহাজ থেকে বের হয়ে না আসা পর্যন্ত যা ঘটেছিল, বাইবেলের আদিপুস্তক বইয়ে সেই সমস্ত কিছুর বিবরণ রয়েছে, যেটাকে বলা যেতে পারে নোহের যাত্রার বিবরণের নথি। এটির মধ্যে কি এমন কিছু আছে, যা আজকে আমাদের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ?