‘শলোমন ইহার একটীর ন্যায় সুসজ্জিত ছিলেন না’
‘শলোমন ইহার একটীর ন্যায় সুসজ্জিত ছিলেন না’
এখানে যে-বুনো ফুলগুলো দেখা যাচ্ছে, সেগুলো আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চলের রাস্তাগুলোর ধারে প্রচুর দেখা যায়। এগুলোকে বলা হয় কসমস এবং এগুলো আমেরিকার ক্রান্তীয় অঞ্চলগুলোতে জন্মায়। বনে-জঙ্গলে বেড়ে ওঠা এই অপূর্ব ফুলগুলো আমাদেরকে যিশুর দেওয়া একটা শিক্ষার কথা মনে করিয়ে দেয়। তাঁর শ্রোতাদের মধ্যে অনেকেই গরিব ছিল আর তাই তারা তাদের দৈহিক চাহিদাগুলো, যেমন খাদ্য ও বস্ত্রের জন্য উদ্বিগ্ন ছিল।
“বস্ত্রের নিমিত্ত,” যিশু জিজ্ঞেস করেছিলেন, “কেন ভাবিত হও? ক্ষেত্রের কানুড় পুষ্পের বিষয়ে বিবেচনা কর, সেগুলি কেমন বাড়ে; সে সকল শ্রম করে না, সূতাও কাটে না; তথাপি আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, শলোমনও আপনার সমস্ত প্রতাপে ইহার একটীর ন্যায় সুসজ্জিত ছিলেন না।”—মথি ৬:২৮, ২৯.
যিশুর মনে ঠিক কোন বুনো ফুলের কথা ছিল, সেই সম্বন্ধে বিভিন্ন ধারণা রয়েছে। কিন্তু যিশু এটাকে সাধারণ তৃণের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন, এই কথা বলে: “ভাল, ক্ষেত্রের যে তৃণ আজ আছে ও কাল চুলায় ফেলিয়া দেওয়া যাইবে, তাহা যদি ঈশ্বর এরূপ বিভূষিত করেন, তবে হে অল্প-বিশ্বাসীরা, তোমাদিগকে কি আরও অধিক নিশ্চয় বিভূষিত করিবেন না?”—মথি ৬:৩০.
যদিও কসমস ইস্রায়েল দেশের ফুল নয় কিন্তু সেগুলো নিশ্চয়ই যিশু যে-শিক্ষা দিচ্ছিলেন, সেটাকে সমর্থন করে। অনেক দূর বা অনেক কাছ থেকে যেভাবেই দেখা হোক না কেন, এগুলো অপূর্ব সুন্দর এবং আলোকচিত্রকর ও চিত্রশিল্পীদের কাছে এক প্রিয় বিষয়। বাস্তবিকই যিশু বাড়িয়ে বলছিলেন না, যখন তিনি বলেছিলেন, “শলোমনও আপনার সমস্ত প্রতাপে ইহার একটীর ন্যায় সুসজ্জিত ছিলেন না।”
আজকে আমাদের জন্য শিক্ষাটি কী? যারা ঈশ্বরকে সেবা করে তারা নিশ্চিত হতে পারে যে, তিনি তাদেরকে এমনকি কঠিন সময়েও প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো জোগাতে সাহায্য করবেন। যিশু ব্যাখ্যা করেছিলেন: “তোমরা . . . [ঈশ্বরের] রাজ্যের বিষয়ে সচেষ্ট হও, তাহা হইলে এই সকলও [যেমন প্রয়োজনীয় খাদ্য ও বস্ত্র] তোমাদিগকে দেওয়া যাইবে।” (লূক ১২:৩১) হ্যাঁ, ঈশ্বরের রাজ্যের বিষয় চেষ্টা করার মাধ্যমেই প্রকৃত উপকারগুলো আসে। কিন্তু আপনি কি জানেন, ঈশ্বরের রাজ্য কী এবং মানবজাতির জন্য এটি কী করবে? যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে বাইবেল থেকে এর উত্তরগুলো খুঁজে পেতে সাহায্য করে আনন্দিত হবে।