সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও”

“তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও”

“তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও”

 “তোমরা বিনামূল্যে পাইয়াছ, বিনামূল্যেই দান করিও।” (মথি ১০:৮) এই নির্দেশনাটি যিশু তাঁর প্রেরিতদের সুসমাচার প্রচার করতে পাঠানোর সময় দিয়েছিলেন। প্রেরিতরা কি এই আদেশটির বাধ্য হয়েছিল? হ্যাঁ হয়েছিল এবং এমনকি যিশু পৃথিবী থেকে চলে যাওয়ার পরও তারা তা করে গিয়েছিল।

উদাহরণস্বরূপ, প্রাক্তন জাদুকর শিমোন যখন প্রেরিত পিতর ও যোহন যে-আলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী তা দেখেছিলেন, তখন তিনি তাকে সেই ক্ষমতা প্রদান করার জন্য তাদের টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু, শিমোনকে পিতর এই বলে তিরস্কার করেছিলেন: “তোমার রৌপ্য তোমার সঙ্গে বিনষ্ট হউক, কেননা ঈশ্বরের দান তুমি টাকা দিয়া ক্রয় করিতে মনস্থ করিয়াছ।”—প্রেরিত ৮:১৮-২০.

প্রেরিত পৌলও পিতরের মতো এক মনোভাব প্রদর্শন করেছিলেন। পৌল চাইলে করিন্থের খ্রিস্টান ভাইবোনদের কাছে এক আর্থিক বোঝাস্বরূপ হতে পারতেন। কিন্তু, তিনি নিজের ভরণপোষণ করার জন্য স্বহস্তে কাজ করেছিলেন। (প্রেরিত ১৮:১-৩) তাই তিনি আস্থার সঙ্গে বলতে পেরেছিলেন যে, করিন্থীয়দের কাছে তিনি “ব্যয়-রহিত” সুসমাচার প্রচার করেছেন।—১ করিন্থীয় ৪:১২; ৯:১৮.

দুঃখের বিষয় যে, খ্রিস্টের অনুসারী বলে দাবি করে এমন অনেকে ‘বিনামূল্যেই দান করিবার’ মনোভাব দেখায়নি। আসলে, খ্রিস্টীয়জগতের অনেক ধর্মীয় নেতা “বেতন লইয়া শিক্ষা” দেবে। (মীখা ৩:১১) কিছু ধর্মীয় নেতা এমনকি তাদের পালের কাছ থেকে টাকা সংগ্রহ করে ধনী হয়ে উঠেছে। ১৯৮৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের একজন সুসমাচার প্রচারকের ৪৫ বছরের জন্য জেল হয়েছিল। কী কারণে? তিনি “সমর্থকদের প্রতারিত করে কোটি কোটি ডলার নিয়েছিলেন এবং সেই ডলারের কিছু অংশ বাড়ি, গাড়ি কিনতে, ছুটি কাটাতে এবং এমনকি কুকুরের জন্য একটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত ঘর কিনতে ব্যবহার করেছিলেন।”—পিপলস্‌ ডেইলি গ্র্যাফিক, অক্টোবর ৭, ১৯৮৯.

ঘানাতে, ১৯৯০ সালের ৩১শে মার্চের ঘানাইয়ান টাইমস খবরের কাগজ অনুযায়ী, একজন রোমান ক্যাথলিক যাজক একটা গির্জা চলাকালীন সংগৃহীত পয়সাগুলো নিয়ে নিয়েছিলেন এবং মণ্ডলীতে সেগুলো আবার ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। খবরের কাগজ বলে, ‘তার এই পদক্ষেপের কারণ হল যে, প্রাপ্তবয়স্ক হিসেবে তাদের কাছ থেকে আশা করা হয় যে তারা বড় রকমের দান দেবে।’ এটা কোনো আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, অনেক গির্জা এমনকি তাদের সদস্যদের মধ্যে লোভ জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করে, টাকাপয়সা বাড়ানোর জন্য নানা ধরনের জুয়া খেলা এবং অন্যান্য পদ্ধতিগুলো কাজে লাগাতে সক্রিয়ভাবে উৎসাহিত করে।

বিপরীতে, যিহোবার সাক্ষিরা যিশু ও তাঁর প্রাথমিক শিষ্যদের অনুকরণ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করে। তাদের মধ্যে বেতনভোগী কোনো পাদরি নেই। প্রত্যেক সাক্ষি হলেন একজন পরিচারক, যাদেরকে অন্যদের কাছে “রাজ্যের . . . সুসমাচার” প্রচার করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। (মথি ২৪:১৪) পৃথিবীব্যাপী এদের ৬০ লক্ষেরও বেশিজন বিনামূল্যে লোকেদেরকে “জীবন-জল” দিতে ব্যস্ত রয়েছে। (প্রকাশিত বাক্য ২২:১৭) এভাবে, এমনকি যাদের “রৌপ্য নাই” তারাও বাইবেলের বার্তা থেকে উপকার লাভ করতে পারে। (যিশাইয় ৫৫:১) যদিও তাদের বিশ্বব্যাপী কাজ স্বেচ্ছামূলক দান দিয়ে চলে, তবুও কখনও তারা টাকা দেওয়ার জন্য অন্যদের অনুরোধ জানায় না। ঈশ্বরের প্রকৃত পরিচারক হিসেবে তারা ‘ঈশ্বরের বাক্য নিয়ে ব্যাবসা করে’ (NW) না কিন্তু “সরল ভাবে, ঈশ্বরের আদেশক্রমে” কথা বলে।—২ করিন্থীয় ২:১৭.

কিন্তু, কেন যিহোবার সাক্ষিরা তাদের নিজের খরচে অন্যদের সাহায্য করতে ইচ্ছুক? কী তাদেরকে পরিচালিত করে? বিনামূল্যে দেওয়ার অর্থ কি এই যে তাদের প্রচেষ্টাগুলোর কোনো পুরস্কারই নেই?

শয়তানের প্রতিদ্বন্দ্বিতার এক উত্তর

বর্তমানে সত্য খ্রিস্টানরা মূলত যিহোবাকে খুশি করার আকাঙ্ক্ষার দ্বারা পরিচালিত হয়—নিজেদের ধনী করার জন্য নয়। এভাবে তারা বহু শতাব্দী আগে শয়তান দিয়াবলের দ্বারা উত্থাপিত এক প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তর জোগাতে সক্ষম হয়েছে। ইয়োব নামে একজন ধার্মিক ব্যক্তি সম্বন্ধে শয়তান এই প্রশ্ন করে যিহোবার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল: “ইয়োব কি বিনা লাভে ঈশ্বরকে ভয় করে?” শয়তান অভিযোগ করেছিল যে, ইয়োব ঈশ্বরকে শুধুমাত্র এইজন্য সেবা করেন কারণ তিনি ইয়োবের চারপাশে সুরক্ষার বেড়া জুগিয়েছেন। শয়তান তর্ক করেছিল যে, যদি ইয়োবকে বস্তুগত জিনিসগুলো থেকে বঞ্চিত করা হয়, তা হলে তিনি ঈশ্বরের সম্মুখেই তাঁকে জলাঞ্জলি দেবেন!—ইয়োব ১:৭-১১.

এই প্রতিদ্বন্দ্বিতার উত্তর দিতে ঈশ্বর শয়তানকে এই বলে ইয়োবকে পরীক্ষা করতে দিয়েছিলেন: “তাহার সর্ব্বস্বই তোমার হস্তগত।” (ইয়োব ১:১২) ফল কী হয়েছিল? ইয়োব শয়তানকে মিথ্যাবাদী প্রমাণিত করেছিলেন। যত দুর্দশাই আসুক না কেন, ইয়োব অনুগত ছিলেন। তিনি বলেছিলেন: “প্রাণ থাকিতে আমি আপন সিদ্ধতা [“নীতিনিষ্ঠা,” NW] ত্যাগ করিব না।”—ইয়োব ২৭:৫, ৬.

আজকে সত্য খ্রিস্টানরা ইয়োবের মতো একই মনোভাব দেখায়। ঈশ্বরের প্রতি তাদের সেবা বস্তুগত জিনিস লাভের চিন্তা দ্বারা পরিচালিত হয় না।

ঈশ্বরের বিনামূল্যে দেওয়া অনুগ্রহ দান

আরেকটা কারণে সত্য খ্রিস্টানরা ‘বিনামূল্যে দান করিতে’ ইচ্ছুক আর তা হল তারা নিজেরা ঈশ্বরের কাছ থেকে ‘বিনামূল্যেই পাইয়াছে।’ মানবজাতি আমাদের পূর্বপুরুষ আদমের কারণে পাপ ও মৃত্যুর দাসত্বে বন্দি রয়েছে। (রোমীয় ৫:১২) যিহোবা প্রেমের সঙ্গে তাঁর পুত্রকে এক বলিদানমূলক মৃত্যুবরণ করার ব্যবস্থা করেছিলেন—এমন কিছু যেটার জন্য ঈশ্বরকে অনেক মূল্য দিতে হয়েছিল। সত্যি বলতে কী, মানবজাতি এটার যোগ্য ছিল না। বরং এটা ছিল ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি দান।—রোমীয় ৪:৪; ৫:৮; ৬:২৩.

রোমীয় ৩:২৩, ২৪ পদে যেমন লিপিবদ্ধ রয়েছে, পৌল অভিষিক্ত খ্রিস্টানদের এভাবে বলেছিলেন: “সকলেই পাপ করিয়াছে এবং ঈশ্বরের গৌরব-বিহীন হইয়াছে—উহারা বিনামূল্যে তাঁহারই অনুগ্রহে, খ্রীষ্ট যীশুতে প্রাপ্য মুক্তি দ্বারা, ধার্ম্মিক গণিত হয়।” যাদের এই পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকার আশা রয়েছে, তারাও একইভাবে ‘বিনামূল্য’ দানের প্রাপক। এই দানের অন্তর্ভুক্ত হল, যিহোবার বন্ধু হিসেবে ধার্মিক ঘোষিত হওয়ার বিশেষ সুযোগ।—যাকোব ২:২৩; প্রকাশিত বাক্য ৭:১৪.

এ ছাড়া, খ্রিস্টের মুক্তির মূল্য সমস্ত খ্রিস্টানদের ঈশ্বরের পরিচারক হিসেবে সেবা করাকেও সম্ভবপর করে। প্রেরিত পৌল লিখেছিলেন: “ঈশ্বরের অনুগ্রহের যে দান . . . তদনুসারে আমি সেই [নিগূঢ়তত্ত্বের] সুসমাচারের পরিচারক হইয়াছি।” (ইফিষীয় ৩:৪-৭) যে-ব্যবস্থার যোগ্য তারা ছিল না বা নিজেরা অর্জনও করতে পারত না, সেটার মাধ্যমে এই পরিচর্যার জন্য আহূত হওয়ায় ঈশ্বরের প্রকৃত পরিচারকরা অন্যদের কাছে এই ব্যবস্থার বার্তা বলার জন্য বস্তুগত কিছু পাওয়ার আশা করে না।

অনন্তজীবন—এক স্বার্থপর প্রেরণা?

তা হলে এর মানে কি এই যে, ঈশ্বর আশা করেন খ্রিস্টানরা কোনো পুরস্কার পাওয়ার প্রত্যাশা না রেখেই তাঁর সেবা করবে? না, কারণ প্রেরিত পৌল তার সহ বিশ্বাসীদের বলেছিলেন: “ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য্য, এবং . . . তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।” (ইব্রীয় ৬:১০) এমনকি যিহোবা অন্যায়পরায়ণ নন। (দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪) বিপরীতে যিহোবা হলেন, “যাহারা তাঁহার অন্বেষণ করে, . . . তাহাদের পুরস্কারদাতা।” (ইব্রীয় ১১:৬) কিন্তু পরমদেশে অনন্তজীবনের প্রতিজ্ঞা কি এক স্বার্থপর প্রেরণা নয়?—লূক ২৩:৪৩.

কখনোই না। এর একটা কারণ হল, পরমদেশ পৃথিবীতে চিরকাল বেঁচে থাকার আকাঙ্ক্ষার উৎস স্বয়ং ঈশ্বর। তিনিই প্রথম মানব দম্পতিকে এই প্রত্যাশা দিয়েছিলেন। (আদিপুস্তক ১:২৮; ২:১৫-১৭) এ ছাড়া তিনিই এই প্রত্যাশা পুনর্স্থাপন করা সম্ভবপর করেছিলেন, যখন আদম ও হবা তাদের বংশধরদের জন্য সেটা হারিয়ে ফেলেছিল। তাই ঈশ্বর তাঁর বাক্যে এভাবে প্রতিজ্ঞা করেন যে, “সৃষ্টি নিজেও ক্ষয়ের দাসত্ব হইতে মুক্ত হইয়া ঈশ্বরের সন্তানগণের প্রতাপের স্বাধীনতা পাইবে।” (রোমীয় ৮:২১) এই কারণে প্রাচীন কালের মোশির মতো বর্তমানে খ্রিস্টানদের “পুরস্কারদানের প্রতি” দৃষ্টি রাখা একেবারেই যথার্থ। (ইব্রীয় ১১:২৬) ঈশ্বর এই পুরস্কারকে এক ঘুস হিসেবে দিচ্ছেন না। যারা তাঁকে সেবা করে তাদের প্রতি আন্তরিক প্রেমের কারণেই তিনি তা দেন। (২ থিষলনীকীয় ২:১৬, ১৭) ফলে, “আমরা প্রেম করি, কারণ তিনিই প্রথমে আমাদিগকে প্রেম করিয়াছেন।”—১ যোহন ৪:১৯.

ঈশ্বরকে সেবা করার সঠিক উদ্দেশ্য

তা সত্ত্বেও, আজকে খ্রিস্টানদের ঈশ্বরকে সেবা করার পিছনে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যকে সবসময় পরীক্ষা করা উচিত। যোহন ৬:১০-১৩ পদে আমরা পড়ি যে যিশু অলৌকিকভাবে পাঁচ হাজারেরও বেশি লোককে খাইয়েছিলেন। এর পরে কিছুজন শুধুমাত্র স্বার্থের জন্য যিশুর অনুসরণ করতে শুরু করেছিল। যিশু তাদের বলেছিলেন: “তোমরা আমার অন্বেষণ করিতেছ, সেই রুটী খাইয়াছিলে ও তৃপ্ত হইয়াছিলে বলিয়া।” (যোহন ৬:২৬) কয়েক দশক পর কিছু উৎসর্গীকৃত খ্রিস্টান একইভাবে ঈশ্বরকে সেবা করছিল কিন্তু “বিশুদ্ধ ভাবে নয়।” (ফিলিপীয় ১:১৭) কেউ কেউ যারা ‘নিরাময় বাক্য, অর্থাৎ যীশু খ্রীষ্টের বাক্য, স্বীকার করে নাই’ তারা এমনকি খ্রিস্টানদের সঙ্গে তাদের মেলামেশা থেকে ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়ার উপায়ও খুঁজে বেড়াচ্ছিল।—১ তীমথিয় ৬:৩-৫.

আজকে, একজন খ্রিস্টান যিনি কেবলমাত্র পরমদেশে চিরকাল বেঁচে থাকতে চান বলে সেবা করেন, তিনিও এক স্বার্থপর উদ্দেশ্যে সেবা করছেন। পরিণামে এটা এক আধ্যাত্মিক পতন ঘটাতে পারে। শয়তানের বিধিব্যবস্থা আপাতদৃষ্টিতে অনুমানের চেয়েও বেশি সময় ধরে রয়েছে বলে তিনি হয়তো এই ভেবে “ক্লান্ত” হয়ে পড়তে পারেন যে, শেষ আসতে আরও দেরি হবে। (গালাতীয় ৬:৯) এমনকি তিনি যে-বস্তুগত ত্যাগস্বীকারগুলো করেছেন, সেগুলোর জন্য তিতিবিরক্ত হয়ে যেতে পারেন। যিশু আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন: “তোমার সমস্ত অন্তঃকরণ, তোমার সমস্ত প্রাণ ও তোমার সমস্ত মন দিয়া তোমার ঈশ্বর প্রভুকে [“যিহোবাকে,” NW] প্রেম করিবে।” (মথি ২২:৩৭) হ্যাঁ, একজন ব্যক্তির ঈশ্বরকে সেবা করার প্রধান কারণ যদি প্রেম হয়, তা হলে তাঁকে সেবা করার ক্ষেত্রে তিনি কোনো সময় নির্ধারণ করেন না। তিনি যিহোবাকে চিরকাল সেবা করতে সংকল্পবদ্ধ থাকেন! (মীখা ৪:৫) ঈশ্বরকে সেবা করার ব্যাপারে তিনি যে-ত্যাগস্বীকারগুলো করেছেন, সেগুলোর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন না। (ইব্রীয় ১৩:১৫, ১৬) ঈশ্বরের প্রতি প্রেম তাকে নিজের জীবনে ঈশ্বরের আগ্রহগুলোকে প্রথমে রাখতে পরিচালিত করে।—মথি ৬:৩৩.

আজকে, যিহোবার সেবায় ৬০ লক্ষেরও বেশি সত্য উপাসকরা “স্বেচ্ছায় দত্ত উপহার।” (গীতসংহিতা ১১০:৩) আপনি কি তাদের মধ্যে একজন? যদি না হন, তা হলে ঈশ্বর যা দিচ্ছেন তা নিয়ে ধ্যান করুন: সত্যের শুদ্ধ জ্ঞান; (যোহন ১৭:৩, NW) মিথ্যা ধর্মীয় শিক্ষাগুলোর বন্দিত্ব থেকে মুক্তি; (যোহন ৮:৩২) চিরকাল বেঁচে থাকার আশা। (প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে এটা শিখতে সাহায্য করতে পারে যে, আপনি কীভাবে এই সমস্ত কিছু ঈশ্বরের কাছ থেকে—বিনামূল্যে—পেতে পারেন।

[২২ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

বর্তমানে সত্য খ্রিস্টানরা মূলত যিহোবাকে খুশি করার আকাঙ্ক্ষার দ্বারা পরিচালিত হয় —নিজেদের ধনী করার জন্য নয়

[২১ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঈশ্বরের বিনামূল্যে দেওয়া দান মুক্তির মূল্য, খ্রিস্টানদের বিনামূল্যে লোকেদের সুসমাচার জানাতে পরিচালিত করে