সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের আনন্দদায়ক ফলাফল

ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের আনন্দদায়ক ফলাফল

রাজ্য ঘোষণাকারীরা বিবৃতি দেয়

ধৈর্য এবং অধ্যবসায়ের আনন্দদায়ক ফলাফল

 যিশু খ্রিস্ট ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে, শেষ কালে “অধিকাংশ লোকের প্রেম শীতল হইয়া যাইবে।” ফলে, আজকে পৃথিবীর অনেক জায়গায় লোকেরা সাধারণত রাজ্যের সুসমাচারের প্রতি উদাসীন হয়ে থাকে। এমনকি কেউ কেউ ধর্মকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে দেখে থাকে।—মথি ২৪:১২, ১৪.

তা সত্ত্বেও, রাজ্য প্রকাশকরা বিশ্বাস ও ধৈর্যের সঙ্গে সফলভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকে মোকাবিলা করছে, যা চেক রিপাবলিক থেকে আসা নিচের অভিজ্ঞতাটি থেকে দেখা যায়।

দুজন সাক্ষি দরজা বন্ধ অবস্থাতেই একজন ভদ্রমহিলার সঙ্গে কথা বলেছিল। কিছুক্ষণ পর, দরজা খোলার শব্দ হয়, একটা হাত বের হয় এবং সাক্ষিরা যে-প্রহরীদুর্গসচেতন থাক! পত্রিকাগুলো দিচ্ছিল, তা নিয়ে নেয়। একটি কণ্ঠস্বর বলেছিল, “ধন্যবাদ” আর সেই দরজাটা বন্ধ হয়ে যায়। “আমাদের কি আবারও ফিরে যাওয়া উচিত?” সাক্ষিরা ভেবেছিল। তাদের মধ্যে একজন, যিনি অগ্রগামী বা পূর্ণ-সময়ের পরিচারক ছিলেন, তিনি আবার ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং এইরকম সাক্ষাৎ প্রায় এক বছর চলেছিল।

অগ্রগামী বোনটি ঠিক করেছিলেন যে, তিনি তার উপস্থাপনার ধরন পরিবর্তন করবেন আর তাই তিনি সাহায্য চেয়ে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। পরের বার তিনি যখন পত্রিকাগুলো দিচ্ছিলেন, তখন তিনি সেই ভদ্রমহিলাকে বন্ধুত্বসুলভ প্রশ্ন জিজ্ঞেস করেছিলেন: “আপনি কেমন আছেন? পত্রিকাগুলো পড়ে আপনার কেমন লেগেছে?” প্রথমে কোনো উত্তর আসেনি কিন্তু আরও কয়েক বার সাক্ষাতের পর, ভদ্রমহিলা কিছুটা বন্ধুত্বপরায়ণ হতে শুরু করেছিলেন। এক বার তিনি দরজা বেশ খানিকটা খুলেছিলেন কিন্তু আলোচনা সংক্ষিপ্ত ছিল।

দরজায় দাঁড়িয়ে ভদ্রমহিলা কথা বলতে চান না দেখে সেই অগ্রগামী তাকে আসার উদ্দেশ্য জানিয়ে এবং এক গৃহ বাইবেল অধ্যয়নের প্রস্তাব দিয়ে একটা চিঠি লেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত দেড় বছর ধৈর্য ধরে প্রচেষ্টা করার পর, সেই অগ্রগামী বোন গৃহকর্ত্রীর সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করায় সফল হয়েছিলেন। তিনি অবাক হয়েছিলেন ঠিকই কিন্তু উৎসাহিত হয়েছিলেন, যখন ভদ্রমহিলা পরে তাকে বলেছিলেন: “যখন থেকে আপনি আমাকে পত্রিকা দিতে শুরু করেছিলেন, সেই সময় থেকেই আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করেছি।”

বাস্তবিকই, ধৈর্য এবং অধ্যবসায় রাজ্য প্রচার ও শিষ্য তৈরির কাজে আনন্দদায়ক ফলাফল নিয়ে আসতে পারে।—মথি ২৮:১৯, ২০.