সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

বাইবেল আপনার বিবাহে সাহায্য করতে পারে

বাইবেল আপনার বিবাহে সাহায্য করতে পারে

বাইবেল আপনার বিবাহে সাহায্য করতে পারে

 বিবাহ শব্দটা কিছু ব্যক্তির ক্ষেত্রে মনোহর চিন্তা জাগিয়ে তোলে। আবার অন্যদের ক্ষেত্রে তা অত্যন্ত বেদনাদায়ক। “আমার মনে হয় যেন মানসিকভাবে আমার বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে,” একজন স্ত্রী দুঃখ করে বলেন। “আমি সবসময় অবহেলিত ও নিঃসঙ্গ বোধ করি।”

কী কারণে দুজন ব্যক্তির মাঝে এতটা দূরত্ব তৈরি হয়, যারা কিনা একসময় একে অন্যকে ভালবাসার এবং যত্ন নেওয়ার বিষয়ে অঙ্গীকার করেছে? একটা কারণ হচ্ছে, বিবাহের সঙ্গে যা কিছু জড়িত সেই বিষয়ে শিক্ষার অভাব। একজন চিকিৎসা সাংবাদিক বলেন, “আমরা কোনোরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিয়ে করি।”

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ জার্সির রাটগার্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণামূলক বিশ্লেষণ, জাতীয় বিবাহ প্রকল্পের দ্বারা পরিচালিত এক জরিপে দেখা যায় যে, আজকে খুব অল্পসংখ্যক ব্যক্তিরই বিবাহ সম্বন্ধে জ্ঞান রয়েছে। “এই গবেষণা দেখায় যে, অনেকেই এমন বাবামার সঙ্গে বড় হয়ে উঠেছে যাদের বিবাহে কোনো সুখ ছিল না অথবা যাদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেছে,” এই প্রকল্পের পরিচালকরা লেখেন। “অসুখী বিবাহ কী তা তারা ভালমতো জানে, তবে একটা সফল বিবাহ কেমন হতে পারে সেই বিষয়ে তারা নিশ্চিত নয়। কেউ কেউ একটা সফল বিবাহকে কেবল ‘আমার বাবামার বিপরীত’ হিসেবে ব্যাখ্যা করতে পারে।”

খ্রিস্টানরা কি বিবাহিত জীবনের সমস্যাগুলো থেকে মুক্ত? না। বস্তুতপক্ষে, প্রথম শতাব্দীর কিছু খ্রিস্টানের তাদের বিবাহ থেকে ‘মুক্ত হইতে চেষ্টা না করিবার’ জন্য সরাসরি পরামর্শের দরকার হয়েছিল। (১ করিন্থীয় ৭:২৭) আসলে দুজন অসিদ্ধ মানুষের যেকোনো বিয়েতে প্রায়ই এই ধরনের সমস্যাগুলো আসে কিন্তু আমাদের জন্য সাহায্য রয়েছে। স্বামী ও স্ত্রী বাইবেলের নীতিগুলো কাজে লাগিয়ে তাদের সম্পর্ককে উন্নত করতে পারে।

এটা সত্যি যে, বাইবেল কোনো বিবাহ নির্দেশিকা নয়। যেহেতু, এটি এমন একজনের দ্বারা অনুপ্রাণিত, যিনি বিবাহ ব্যবস্থার প্রবর্তন করেছিলেন, তাই আমরা আশা করতে পারি যে, এর নীতিগুলো সাহায্যকারী হবে। যিশাইয় ভাববাদীর মাধ্যমে যিহোবা ঈশ্বর বলেছিলেন: “আমি সদাপ্রভু তোমার ঈশ্বর, আমি তোমার উপকারজনক শিক্ষা দান করি, ও তোমার গন্তব্য পথে তোমাকে গমন করাই। আহা! তুমি কেন আমার আজ্ঞাতে অবধান কর নাই? করিলে তোমার শান্তি নদীর ন্যায়, তোমার ধার্ম্মিকতা সমুদ্র-তরঙ্গের ন্যায় হইত।”—যিশাইয় ৪৮:১৭, ১৮.

আপনার ও আপনার সঙ্গীর মধ্যে একসময়ে যে-ভালবাসা ছিল, তা কি ম্লান হতে শুরু করেছে? আপনার কি মনে হয় যে, ভালবাসা নেই এমন এক বিয়ের ফাঁদে আটকা পড়ে গেছেন? ২৬ বছর ধরে বিবাহিত এমন একজন স্ত্রী বলেছিলেন: “এই ধরনের সম্পর্কের যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করা খুবই কঠিন। এটা স্থায়ী আর তা সবসময়ই থাকে।” যে-বিবাহ আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারেনি, সেই বিষয়ে হাল ছেড়ে দেওয়ার পরিবর্তে, এর সমাধানের জন্য কিছু করুন না কেন? পরের প্রবন্ধটি স্বামী ও স্ত্রীদের দেখাবে যে, বাইবেলের নীতিগুলো কীভাবে তাদের বিবাহের একটা নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে—প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে—সাহায্য করতে পারে।