সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যখন প্রতিজ্ঞাগুলোর পূর্ণতা হবে এক নিশ্চয়তা

যখন প্রতিজ্ঞাগুলোর পূর্ণতা হবে এক নিশ্চয়তা

যখন প্রতিজ্ঞাগুলোর পূর্ণতা হবে এক নিশ্চয়তা

 ইতিহাসে অনেক প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করা হয়েছে। জাতিগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষরিত অনাক্রমণ চুক্তিগুলো রক্ষা করতে প্রায়ই ব্যর্থ হয়েছে আর এভাবে তাদের লোকেদের ভয়ংকর যুদ্ধগুলোর দিকে পরিচালিত করেছে। নেপোলিয়ন একবার বলেছিলেন: “সরকারগুলো তাদের প্রতিজ্ঞা তখনই পূর্ণ করে, যখন তাদের তা করতে বাধ্য করা হয় অথবা যখন সেটা তাদের লাভের জন্য হয়।”

ব্যক্তিবিশেষরা যে-প্রতিজ্ঞাগুলো করে, সেই সম্বন্ধেই বা কী বলা যায়? একজন ব্যক্তি যখন তার কথা রাখে না, তখন সেটা কতই না হতাশাজনক! বিশেষ করে এটা যদি এমন কেউ করেন, যাকে আপনি জানেন ও যার ওপর নির্ভর করেন। অবশ্য, লোকেরা হয় তাদের প্রতিজ্ঞাগুলোকে পূর্ণ করতে সমর্থ নয় বা করতে ইচ্ছুক নয়।

মানুষের ও ঐশিক প্রতিজ্ঞাগুলোর মধ্যে কত বড় এক পার্থক্যই না রয়েছে! ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলো পুরোপুরি নির্ভরযোগ্য ও আস্থাশীল। যিহোবা ঈশ্বরের দ্বারা করা যেকোনো প্রতিজ্ঞা হল এক নিশ্চয়তা। এগুলো অবশ্যই পূর্ণ হবে। ঈশ্বরের অব্যর্থ কথাগুলোকে উল্লেখ করে যিশাইয় ৫৫:১০, ১১ পদ বলে: “আমার মুখনির্গত বাক্য তেমনি হইবে; তাহা নিষ্ফল হইয়া আমার কাছে ফিরিয়া আসিবে না, কিন্তু আমি যাহা ইচ্ছা করি, তাহা সম্পন্ন করিবে, এবং যে জন্য তাহা প্রেরণ করি, সে বিষয়ে সিদ্ধার্থ হইবে।”

তাই, বাইবেলে লিপিবদ্ধ ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাগুলোকে আমাদের কীভাবে দেখা উচিত? নিশ্চিতভাবে, আমরা সেগুলোর ওপর নির্ভর করতে পারি। উদাহরণস্বরূপ, প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন: “দেখ, মনুষ্যদের সহিত ঈশ্বরের আবাস; তিনি তাহাদের সহিত বাস করিবেন, এবং তাহারা তাঁহার প্রজা হইবে; এবং ঈশ্বর আপনি তাহাদের সঙ্গে থাকিবেন, ও তাহাদের ঈশ্বর হইবেন। আর তিনি তাহাদের সমস্ত নেত্রজল মুছাইয়া দিবেন; এবং মৃত্যু আর হইবে না; শোক বা আর্ত্তনাদ বা ব্যথাও আর হইবে না; কারণ প্রথম বিষয় সকল লুপ্ত হইল।” (প্রকাশিত বাক্য ২১:৩, ৪) আপনি এই ধরনের আশীর্বাদগুলো উপভোগ করতে পারেন যদি আপনি যিশুর এই কথাগুলোর সঙ্গে মিল রেখে কাজ করেন: “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।”—যোহন ১৭:৩.