সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

অপরাধমুক্ত এক জগৎ আসন্ন

অপরাধমুক্ত এক জগৎ আসন্ন

অপরাধমুক্ত এক জগৎ আসন্ন

 যদি পারেন, তা হলে অপরাধমুক্ত এক জগৎ সম্বন্ধে কল্পনা করুন! সেখানে কোনো পুলিশ, কারাগার অথবা ব্যয়বহুল ও জটিল অপরাধী বিচারব্যবস্থাগুলোর দরকার হবে না। এটা এমন এক জগৎ হবে, যেখানে প্রত্যেক ব্যক্তি জীবন এবং অন্যদের সম্পত্তির প্রতি সম্মান দেখাবে। এটা কি অবাস্তব বলে মনে হয়? আপনি হয়তো তা মনে করতে পারেন কিন্তু ঠিক এই বিস্ময়কর পরিবর্তন সম্বন্ধেই বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে। এই পৃথিবীতে যে-অপরাধ এবং অন্যান্য মন্দ বিষয় রয়েছে, সেই বিষয়ে শাস্ত্র কী বলে তা বিবেচনা করে দেখুন না কেন?

গীতসংহিতা বইয়ে আমরা পড়ি: “তুমি দুরাচারদের বিষয়ে রুষ্ট হইও না; অধর্ম্মাচারীদের প্রতি ঈর্ষা করিও না। কেননা তাহারা ঘাসের ন্যায় শীঘ্র ছিন্ন হইবে, হরিৎ তৃণের ন্যায় ম্লান হইবে। কিন্তু মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:১, ২, ১১) সত্যিই, এই প্রতিজ্ঞা ও সেইসঙ্গে ঈশ্বরের অন্যান্য উৎসাহমূলক প্রতিজ্ঞাগুলো পূর্ণ করার ক্ষেত্রে কেউই তাঁকে বাধা দিতে পারে না।

এই আশীর্বাদগুলো নিয়ে আসার বিষয়ে ঈশ্বরের মাধ্যম হল তাঁর রাজ্য। প্রভুর প্রার্থনায় যিশু খ্রিস্ট তাঁর অনুসারীদের এই রাজ্য আসার জন্য ও ঈশ্বরের ইচ্ছা “যেমন স্বর্গে তেমনি পৃথিবীতেও” পূর্ণ হওয়ার জন্য প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন। (মথি ৬:৯, ১০) শীঘ্রই সেই রাজ্যের অধীনে পৃথিবীর কেউই দারিদ্র, অত্যাচার অথবা স্বার্থপরতার জন্য অপরাধ করতে পরিচালিত হবে না। বরং ঈশ্বরের বাক্য বলে: “দেশমধ্যে পর্ব্বত-শিখরে প্রচুর শস্য হইবে।” (গীতসংহিতা ৭২:১৬) সত্যিই, যিহোবা ঈশ্বর পৃথিবীতে সবার জন্য ভাল জিনিসগুলোর জোগান দেবেন, যেগুলো কখনও শেষ হবে না। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, মানবসমাজ ঈশ্বর ও তার প্রতিবেশীদের প্রতি প্রেমের দ্বারা পরিচালিত হবে এবং পৃথিবী আর কখনোই অপরাধের দ্বারা জর্জরিত হবে না।