সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

জলাধার, যেগুলো কোনো জলই ধরে রাখে না

জলাধার, যেগুলো কোনো জলই ধরে রাখে না

জলাধার, যেগুলো কোনো জলই ধরে রাখে না

 বাইবেলের সময়ে, জলাধারগুলো ছিল মানুষের তৈরি ভূগর্ভস্থ গহ্বর, যেগুলো প্রধানত জল ধরে রাখার জন্য ব্যবহৃত হতো। কিছু সময় ধরে, প্রতিজ্ঞাত দেশে এগুলো ছিল প্রয়োজনীয় জল সরবরাহকে চালু রাখার একমাত্র মাধ্যম।

ঈশ্বরের এক ঘোষণাকে লিপিবদ্ধ করার সময় ভাববাদী যিরমিয় রূপক অর্থে জলাধারগুলোর বিষয় উল্লেখ করেছিলেন, এই বলে: “আমার লোকেরা দুটো দোষ করেছে; তারা আমাকে, জীবন্ত জলের উৎসকে ত্যাগ করেছে; আর নিজেদের জন্য জলাধার খুঁড়েছে, সেগুলো ভাঙা জলাধার, কোনো জলই ধরে রাখতে পারে না।”—যিরমিয় ২:১৩, কিং জেমস ভারসন।

ইস্রায়েলীয়রা তাদের ঈশ্বর যিহোবাকে—“জীবন্ত জলের উৎসকে”—ত্যাগ করে, পৌত্তলিক জাতিগুলোর সঙ্গে আস্থাহীন সামরিক সন্ধি করেছিল এবং শক্তিহীন, মিথ্যা দেবদেবীদের উপাসনা করেছিল। যিরমিয়ের উপমা অনুযায়ী, আশ্রয়ের জন্য এই ধরনের প্রত্যাশিত জায়গাগুলো কেবল ছিদ্র জলাধারের মতো ছিল, যেগুলোর কোনো প্রতিরক্ষামূলক বা উদ্ধার করার শক্তি ছিল না।—দ্বিতীয় বিবরণ ২৮:২০.

এই ঐতিহাসিক উদাহরণে আমাদের জন্য কি আজ কোনো শিক্ষা রয়েছে? যিরমিয়ের দিনে যেমন হয়েছিল, অনন্তকালীন ঈশ্বর, যিহোবাই একমাত্র জীবনদায়ী জলের উৎস হয়ে থাকবেন। (গীতসংহিতা ৩৬:৯; প্রকাশিত বাক্য ৪:১১) একমাত্র তাঁর কাছ থেকে, তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টের মাধ্যমে মানুষ অনন্তজীবন পেতে পারে। (যোহন ৪:১৪; ১৭:৩) তা সত্ত্বেও, যিরমিয়ের সমসাময়িক ব্যক্তিদের মতো আজকে মানবজাতির অধিকাংশই বাইবেলে প্রকাশিত ঈশ্বরের বাক্যকে প্রত্যাখ্যান করা ও এমনকি এটিকে তুচ্ছ করে দেখা বেছে নিয়েছে। এর পরিবর্তে, তারা সুবিধাজনক রাজনৈতিক সমাধানগুলোতে, মানুষের নিঃসার যুক্তিতর্কে এবং ঈশ্বরের অসম্মানজনক অসার মতাদর্শ ও দর্শনবিদ্যাগুলোর ওপর নির্ভর করে। (১ করিন্থীয় ৩:১৮-২০; কলসীয় ২:৮) বেছে নেওয়ার বিষয়টা স্পষ্ট। আপনি কার ওপর নির্ভর করবেন? “জীবন্ত জলের উৎস” যিহোবার ওপর নাকি ‘ভাঙা জলাধার, যেগুলো কোনো জলই ধরে রাখতে পারে না’ সেগুলোর ওপর?

[৩২ পৃষ্ঠার চিত্র]

একজন ইস্রায়েলীয়র কবরে প্রাপ্ত টেরাকোটার তৈরি এক দেবী মাতার ক্ষুদ্র মূর্তি

[সৌজন্যে]

Photograph taken by courtesy of the British Museum