সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলো যেভাবে আপনি মেটাতে পারেন

আপনার আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলো যেভাবে আপনি মেটাতে পারেন

আপনার আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলো যেভাবে আপনি মেটাতে পারেন

 “বিগত দশকে, একজনের চাকরির ওপর আধ্যাত্মিকতার ভূমিকা নিয়ে লেখা ৩০০রও বেশি বই—জিজাস সিইও থেকে শুরু করে দ্যা তাও অফ লিডারশিপ—বইয়ের দোকানগুলোতে উপচে পড়েছে,” ইউ.এস. নিউজ আ্যন্ড ওয়ার্ল্ড রিপোর্ট বলে। এই হুজুগ কেবল এই সত্যতাকে প্রতিফলিত করে যে, বস্তুগত দিক দিয়ে উন্নতিশীল অনেক দেশে, জীবনে আধ্যাত্মিক নির্দেশনার জন্য লোকেদের ক্ষুধা ক্রমাগত বেড়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে বাণিজ্যিক পত্রিকা প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ (ইংরেজি) বলে: “এমন এক সময় যখন প্রযুক্তিবিদ্যা আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা দিককে পরিচালিত করবে, তখনও আমরা জীবনের গভীর অর্থ, উদ্দেশ্য এবং অধিকতর ব্যক্তিগত পরিতৃপ্তি খুঁজতে থাকব।”

কিন্তু, কোথায় আপনি পরিতৃপ্তিজনক আধ্যাত্মিক নির্দেশনা খুঁজে পেতে পারেন? অতীতে, লোকেরা নিজেদের জীবনের “গভীর অর্থ” ও “উদ্দেশ্য” খুঁজে পেতে সাহায্য করার জন্য প্রতিষ্ঠিত ধর্মের দিকে তাকাত। আজকে, অনেকে প্রতিষ্ঠিত ধর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। ৯০ জন উচ্চপদস্থ ব্যবস্থাপক ও কার্যনির্বাহকের ওপর করা একটা সমীক্ষা থেকে দেখা গেছে যে, “লোকেরা ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে এক স্পষ্ট পার্থক্য করে,” প্রশিক্ষণ ও সম্প্রসারণ পত্রিকাটি উল্লেখ করে। সমীক্ষার উত্তরদাতারা ধর্মকে “অসহনীয় এবং বিভেদজনক,” হিসেবে দেখেছিল, অথচ অন্যদিকে আধ্যাত্মিকতাকে “সর্বজনীন ও সমস্তকিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে,” এমন বিষয় হিসেবে দেখা হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের মতো অনাধ্যাত্মিক সমাজগুলোতেও অনেক যুবক-যুবতী একইভাবে ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার মধ্যে এক পার্থক্য লক্ষ করে। অধ্যাপক রূৎ উয়েবের অস্ট্রেলিয়ায় যুবক-যুবতীদের গবেষণা (ইংরেজি) বই লেখার সময় দাবি করেন: “অধিকাংশ যুবক-যুবতী ঈশ্বরে অথবা কোনো প্রকারের অতিপ্রাকৃতিক শক্তির ওপর বিশ্বাস করে কিন্তু তাদের আধ্যাত্মিকতা প্রকাশ করতে গির্জাকে ততটা গুরুত্বপূর্ণ বা সাহায্যকারী হিসেবে মনে করে না।”

সত্য ধর্ম আধ্যাত্মিকতাকে সমর্থন করে

ধর্ম সম্বন্ধে এই সন্দেহজনক দৃষ্টিভঙ্গি থাকা স্বাভাবিক। অনেক ধর্মীয় সংগঠন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র ও নৈতিক কপটতায় গভীরভাবে জড়িত এবং অসংখ্য ধর্মীয় যুদ্ধে পতিত নিরীহ লোকেদের রক্তপাতে সিক্ত। কিন্তু, কেউ কেউ কপটতা ও প্রতারণার দ্বারা কলুষিত ধর্মীয় সংগঠনগুলোকে প্রত্যাখ্যান করার সঙ্গে সঙ্গে বাইবেলকে অস্বীকার করারও ভুল করেছে, এই মনে করে যে বাইবেল এই ধরনের কাজকর্মকে উপেক্ষা করে।

বাস্তবে, বাইবেল কপটতা ও অধর্মকে নিন্দা করে। যিশু তাঁর সময়কার ধর্মীয় নেতাদের বলেছিলেন: “হা অধ্যাপক ও ফরীশীগণ, কপটীরা, ধিক্‌ তোমাদিগকে! কারণ তোমরা চূণকাম করা কবরের তুল্য; তাহা বাহিরে দেখিতে সুন্দর বটে, কিন্তু ভিতরে মরা মানুষের অস্থি ও সর্ব্বপ্রকার অশুচিতা ভরা। তদ্রূপ তোমরাও বাহিরে লোকদের কাছে ধার্ম্মিক বলিয়া দেখাইয়া থাক, কিন্তু ভিতরে তোমরা কাপট্য ও অধর্ম্মে পরিপূর্ণ।”—মথি ২৩:২৭, ২৮.

এ ছাড়া, বাইবেল খ্রিস্টানদের সমস্ত রাজনৈতিক ব্যাপারে নিরপেক্ষ থাকার জন্য উৎসাহিত করে। বিশ্বাসীদের একে অন্যকে হত্যা করতে বলার পরিবর্তে এটা নির্দেশনা দেয় যে, তাদের একে অন্যের জন্য মরতে ইচ্ছুক থাকা উচিত। (যোহন ১৫:১২, ১৩; ১৮:৩৬; ১ যোহন ৩:১০-১২) “অসহনীয় এবং বিভেদজনক” হওয়ার পরিবর্তে, বাইবেলের ওপর ভিত্তি করা সত্য ধর্ম “সমস্ত কিছুকে অন্তর্ভুক্ত করে।” প্রেরিত পিতর বলেছিলেন: “ঈশ্বর মুখাপেক্ষা [“পক্ষপাতিত্ব,” NW] করেন না; কিন্তু প্রত্যেক জাতির মধ্যে যে কেহ তাঁহাকে ভয় করে ও ধর্ম্মাচরণ করে, সে তাঁহার গ্রাহ্য হয়।”—প্রেরিত ১০:৩৪, ৩৫.

বাইবেল —আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের জন্য এক নির্ভরযোগ্য পথপ্রদর্শক

বাইবেল আমাদের বলে যে, মানুষ ঈশ্বরের প্রতিমূর্তিতে সৃষ্ট হয়েছে। (আদিপুস্তক ১:২৬, ২৭) অবশ্য এটার অর্থ এই নয় যে, মানুষের দৈহিক গঠন ঈশ্বরের মতো কিন্তু এর অর্থ হচ্ছে যে, ঈশ্বরের ব্যক্তিত্বসম্পন্ন গুণগুলো প্রতিফলিত করার ক্ষমতা মানুষের রয়েছে, যার অন্তর্ভুক্ত আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো বা আধ্যাত্মিকতাকে প্রতিফলিত করার সামর্থ্য।

ব্যাপারটা যদি তা-ই হয়, তা হলে এটা বিশ্বাস করা যুক্তিযুক্ত যে, ঈশ্বর আমাদের আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলো মেটানোর উপায়গুলো ও সেইসঙ্গে সঠিক নির্দেশনাও জুগিয়ে থাকবেন যেটার দ্বারা আমরা পার্থক্য করতে পারি যে, আমাদের আধ্যাত্মিকতার জন্য কোনটা উপকারী এবং কোনটা ক্ষতিকর। ঠিক যেমন ঈশ্বর আমাদের দেহকে এক চমৎকার রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা দিয়ে তৈরি করেছেন, যা রোগের সঙ্গে লড়াই করে এবং আমাদের সুস্থ রাখার জন্য সাহায্য করে তেমনই তিনি আমাদের এক বিবেক বা আভ্যন্তরীণ কণ্ঠস্বর দিয়েও সজ্জিত করেছেন, যা আমাদের সঠিক সিদ্ধান্তগুলো নিতে এবং দৈহিক ও আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে ক্ষতিকর অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলতে সাহায্য করতে পারে। (রোমীয় ২:১৪, ১৫) আমরা যেমন জানি যে, আমাদের রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা যাতে ভালভাবে কাজ করে সেইজন্য অবশ্যই সেটাকে ভালভাবে পুষ্টি প্রদান করতে হবে। একইভাবে, আমাদের বিবেককে কাজ করাতে হলে, সেটাকে পুষ্টিকর আধ্যাত্মিক খাদ্য দ্বারা আমাদের পরিপূর্ণ করার দরকার আছে।

যে-ধরনের খাবার আমাদের আধ্যাত্মিকভাবে সুস্থ রাখবে সেটা শনাক্ত করতে গিয়ে যিশু বলেছিলেন: “‘মনুষ্য কেবল রুটীতে বাঁচিবে না, কিন্তু ঈশ্বরের মুখ হইতে যে প্রত্যেক বাক্য নির্গত হয়, তাহাতেই বাঁচিবে।’” (মথি ৪:৪) যিহোবার মুখের কথাগুলো তাঁর বাক্য, বাইবেলে লিপিবদ্ধ রয়েছে এবং এগুলো “শিক্ষার, অনুযোগের, সংশোধনের . . . নিমিত্ত উপকারী।” (২ তীমথিয় ৩:১৬) তাই, সেই আধ্যাত্মিক পুষ্টিকে গ্রহণ করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টা করার দায়িত্ব রয়েছে। আমরা বাইবেল সম্বন্ধে যত বেশি জানব এবং আমাদের জীবনে এর নীতিগুলোকে প্রয়োগ করার চেষ্টা করব, ততই আমরা আধ্যাত্মিক ও দৈহিকভাবে উপকৃত হব।—যিশাইয় ৪৮:১৭, ১৮.

প্রচেষ্টার কি কোনো মূল্য রয়েছে?

এটা ঠিক যে, বাইবেল অধ্যয়ন করার দ্বারা আমাদের আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যে উন্নতি আনার জন্য সময় দরকার; আর সময় দিন দিন এক দুষ্প্রাপ্য বিষয় হয়ে উঠছে বলেই মনে হয়। কিন্তু ফলাফল দেখায় যে প্রচেষ্টার মূল্য রয়েছে! কয়েক জন ব্যস্ত পেশাদার ব্যক্তির কাছ থেকে শুনুন, যারা ব্যাখ্যা করে যে, আধ্যাত্মিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়ার জন্য সময় করে নেওয়া তাদের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মারিনা, একজন চিকিৎসক, বলেন: “আমি একটা হাসপাতালে চাকরি করতে এবং অন্যদের কষ্ট নিয়ে গভীরভাবে উপলব্ধি করতে শুরু করার আগে পর্যন্ত, কখনোই আমি আমার আধ্যাত্মিকতা সম্বন্ধে চিন্তা করিনি। একমাত্র তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, যদি আমাকে সন্তুষ্টি ও মনের শান্তি অর্জন করতে হয়, তা হলে আমাকে আমার আধ্যাত্মিক প্রয়োজনকে উপলব্ধি করতে ও মেটাতে হবে কারণ আমার পেশায় থাকা কোন ব্যক্তির পক্ষে জীবনের গতি ও লোকেদের উদ্বেগগুলোর জন্য চিন্তা করার দাবিকে মেটানো ভারস্বরূপ হয়ে উঠতে পারে।

“আমি এখন যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করছি। এই অধ্যয়ন আমাকে আমার পদক্ষেপ ও উদ্দেশ্যগুলোকে এক গঠনমূলক উপায়ে পরীক্ষা করে দেখতে সাহায্য করে এবং আরও আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি রাখতে আমাকে প্রশিক্ষিত করে, যাতে আমি আমার জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারি। আমি অবশ্যই আমার জাগতিক পেশায় প্রচুর সন্তুষ্টি পাই। কিন্তু বাইবেল অধ্যয়নই আমার মানসিক স্বাস্থ্যে উন্নতি নিয়ে এসেছে, নেতিবাচক অনুভূতিগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে, চাপ লঘু করতে এবং লোকেদের প্রতি আরও বেশি ধৈর্যশীল হতে ও সমবেদনা দেখাতে আমাকে সাহায্য করে। এ ছাড়া, বাইবেলের নীতিগুলো প্রয়োগ করা আমার বিবাহেও উপকার এনেছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টা হল যে, আমি যিহোবাকে জানতে পেরেছি এবং কিছুটা হলেও তাঁর আত্মার মুক্ত প্রবাহ লাভ করেছি, যেটা আমার জীবনকে আরও বেশি অর্থপূর্ণ করেছে।”

নিকোলাস, একজন স্থাপত্যশিল্পী, বলেন: “যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করার আগে আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর প্রতি আমার কোনো আগ্রহ ছিল না। আমার জীবনের প্রধান লক্ষ্য ছিল আমার নির্বাচিত পেশায় সাফল্য অর্জন করা। আমার বাইবেল অধ্যয়ন আমাকে শিখিয়েছে যে, জীবনে আরও কিছু রয়েছে আর যিহোবার ইচ্ছা পূরণ করা প্রকৃত ও চিরকালীন সুখ নিয়ে আসে।

“অবশ্যই, আমার জাগতিক পেশা আমাকে সন্তুষ্টির অনুভূতি এনে দেয় কিন্তু বাইবেলই আমাকে আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে জীবনকে সাধাসিধে রাখার গুরুত্ব সম্বন্ধে শিখিয়েছে। তা করে আমার স্ত্রী ও আমি অনেক চাপ এড়াতে পেরেছি, যেগুলো বস্তুবাদী জীবনযাপন করার ফলে এসে থাকে। এ ছাড়া, আমরা সেই ব্যক্তিদের সঙ্গে মেলামেশা করার দ্বারা সত্যিকারের বন্ধুবান্ধব পেয়েছি, যাদের জীবন সম্পর্কে একই ধরনের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে।”

ভিনসেন্ট, একজন উকিল, বলেন: “এক ভাল জাগতিক পেশা খানিকটা সন্তুষ্টি নিয়ে আসতে পারে। কিন্তু, আমি দেখেছি যে সুখ ও পরিতৃপ্তি অর্জন করার জন্য আরও বেশি কিছু দরকার। এই বিষয়ে বাইবেলের শিক্ষা সম্বন্ধে অবগত হওয়ার আগে, আমার মনে পড়ে যখন হঠাৎ আমি জীবনের অসারতা সম্বন্ধে উপলব্ধি করি যা হল, জন্ম নেওয়া, বেড়ে ওঠা, বিয়ে করা, একজনের ছেলেমেয়েদের লালনপালন করতে বস্তুগত দিক দিয়ে যা প্রয়োজন তা জোগাতে চাকরি করা, তাদেরও একই ধরনের জীবনচক্র অনুসরণ করতে শিক্ষা দেওয়া এবং অবশেষে বৃদ্ধ হয়ে মারা যাওয়া।

“একমাত্র যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করার পরই আমি জীবনের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আমার বিভিন্ন প্রশ্নের সন্তোষজনক উত্তরগুলো পেয়েছিলাম। আমার বাইবেল অধ্যয়ন যিহোবাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে জানতে ও তাঁর জন্য এক গভীর ভালবাসা গড়ে তুলতে আমাকে সাহায্য করেছে। এটি আমাকে এক স্বাস্থ্যকর আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রাখার ভিত্তি জোগায়, যখন আমি তাঁর উদ্দেশ্য জেনে আমার জীবনকে সেটার সঙ্গে মিল রেখে চালানোর জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করি। এখন, আমার ও আমার স্ত্রী উভয়েরই এটা জানার সন্তুষ্টি রয়েছে যে, আমরা আমাদের জীবনকে যথাসম্ভব সবচেয়ে অর্থপূর্ণ উপায়ে ব্যবহার করছি।”

আপনিও বাইবেল অধ্যয়ন করে জীবনের উদ্দেশ্য ও অর্থ পাওয়ার অনুভূতিবোধ অর্জন করতে পারেন। যিহোবার সাক্ষিরা আপনাকে সাহায্য করতে পেরে খুশি হয়। মারিনা, নিকোলাস ও ভিনসেন্টের মতো, আপনিও সাধারণ মানবজাতি এবং ব্যক্তিগতভাবে আপনার জন্য যিহোবা ও তাঁর উদ্দেশ্যগুলো সম্বন্ধে শেখার দ্বারা যে-সন্তুষ্টি পাওয়া যায়, তা অর্জন করতে পারেন। আপনার আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলো পূরণ করার আনন্দ কেবলমাত্র এখনই আপনার হবে না কিন্তু সেইসঙ্গে সিদ্ধ দৈহিক স্বাস্থ্য নিয়ে চিরকালীন জীবন উপভোগ করার প্রত্যাশাও আপনার থাকবে—যে-প্রত্যাশা কেবল তাদের জন্য খোলা যারা “তাদের আধ্যাত্মিক চাহিদা সম্বন্ধে সচেতন।”—মথি ৫:৩, NW.

আমাদের আধ্যাত্মিকতাকে গড়ে তোলার একটা উপায় হচ্ছে প্রার্থনা করা। যিশু তাঁর শিষ্যদের কীভাবে প্রার্থনা করতে হয় তা শেখানোর জন্য সময় করে নিয়েছিলেন ও তাদেরকে প্রভুর প্রার্থনা হিসেবে পরিচিত প্রার্থনাটা শিখিয়েছিলেন। আজকে আপনার জন্য সেই প্রার্থনা কী অর্থ রাখে? এর থেকে আপনি কীভাবে উপকৃত হতে পারেন? পরের প্রবন্ধ দুটোতে আপনি এর উত্তরগুলো পাবেন।

[৬ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

মারিনা

[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

নিকোলাস

[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

ভিনসেন্ট