সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল

 জলপ্লাবনের পর, নোহ জাহাজ থেকে একটা কপোত ছেড়ে ছিলেন, যেটা “জিতবৃক্ষের একটী . . . পত্র” নিয়ে ফিরে এসেছিল। কপোত সেই পত্র বা পাতা কোথায় পেয়েছিল?

বাইবেল আমাদের বলে যে, “পৃথিবীতে জল অত্যন্ত প্রবল হইল, আকাশমণ্ডলের অধঃস্থিত সকল মহাপর্ব্বত মগ্ন হইল।” (আদিপুস্তক ৭:১৯) প্লাবনের জল কমে যাওয়ায়, নোহ এক সপ্তাহ পর পর তিন বার একটা কপোতকে ছেড়ে ছিলেন। দ্বিতীয় বার সেই কপোত যখন ফিরে এসেছিল, তখন “তাহার চঞ্চুতে জিতবৃক্ষের একটী নবীন পত্র ছিল; ইহাতে নোহ বুঝিলেন, ভূমির উপরে জল হ্রাস পাইয়াছে।”—আদিপুস্তক ৮:৮-১১.

অবশ্য, বর্তমানে এটা জানার কোনো উপায় নেই যে পৃথিবীর নির্দিষ্ট কিছু অংশ কতদিন ধরে জলে ডুবেছিল, কারণ এতে কোনো সন্দেহ নেই যে, জলপ্লাবনের দ্বারা ভূমির গঠন পরিবর্তিত হয়েছিল। তবে সম্ভবত, বেশির ভাগ অংশই দীর্ঘ সময় জলের নিচে ছিল কারণ অনেক গাছপালা মরে গিয়েছিল। কিন্তু, খুব সম্ভবত কিছু গাছের প্রাণ টিকে ছিল, যার ফলে জল কমে যাওয়ার পর এগুলোতে নতুন ডালপালা গজিয়ে উঠতে পেরেছিল।

জিতবৃক্ষ বা জলপাই গাছের বিষয়ে দ্যা নিউ বাইবেল ডিকশনারি বলে: “যদি কাটা হয়, তা হলে গাছের মূল থেকে নতুন ডালপালা গজিয়ে উঠে, যেটার থেকে অন্তত পাঁচটা নতুন বৃক্ষকাণ্ড বেড়ে উঠতে পারে। মৃতপ্রায় জলপাই গাছ থেকেও সাধারণত এইভাবে নতুন ডালপালা জন্মে থাকে।” বিষয়টা এইরকম, “যেন এর প্রাণ ধ্বংসাতীত,” দ্যা নিউ শেফ-হার্টসোক এনসাইক্লোপিডিয়া অফ রিলিজিয়াস নলেজ বলে। কোনো মানুষই আজকে প্লাবনের জল সম্বন্ধে বিস্তারিত জানে না, যেমন এর লবণাক্ততা এবং তাপমাত্রা সম্বন্ধে। তাই, আমরা জলপাই গাছ ও অন্যান্য উদ্ভিদের ওপর এই জলের প্রভাব সম্বন্ধে নিশ্চিত হতে পারি না।

তবে, বুনো জলপাই গাছ ঠাণ্ডা তাপমাত্রায় বেঁচে থাকতে পারে না, যে-তাপমাত্রা উঁচু পাহাড়গুলোতে দেখা যায়। এগুলো সাধারণত ১,০০০ মিটারের চেয়ে নিচু এলাকায় জন্মায়, যেখানে গড় তাপমাত্রা ৫০ ডিগ্রি ফারেনহাইটের ওপরে থাকে। জলপ্লাবন পুনরায় বিবেচিত (ইংরেজি) বই বলে ‘তাই নোহ উপড়ানো নবীন পাতা থেকে অনুমান করতে পেরেছিলেন যে, নিচু উপত্যকাগুলো থেকে জল সরে যাচ্ছে।’ নোহ এক সপ্তাহ পরে কপোতটাকে যখন ছেড়ে দিয়েছিলেন, তখন সেটা আর ফিরে আসেনি আর তা দেখায় যে সেই কপোতের জন্য পর্যাপ্ত উদ্ভিদ ও সম্ভবত বিশ্রামের জায়গা ছিল।—আদিপুস্তক ৮:১২.