সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য মানবজাতির অনুসন্ধান

ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য মানবজাতির অনুসন্ধান

ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য মানবজাতির অনুসন্ধান

 “এমন কোনো মানবসমাজ কখনোই ছিল না, যেখানে সাধারণত একজন নিয়ন্ত্রণকারী ও সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ঈশ্বরের কোনো ভূমিকা নেই। এই কথা এমনকি সেই সমাজগুলোর ক্ষেত্রেও সত্য, যারা নিজেদের ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করে।” এই কথাগুলো, জন বোকার তার ঈশ্বর—এক সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (ইংরেজি) বইয়ে বলেন। যেকোনোভাবে হোক ঈশ্বরকে খোঁজার এবং তাঁর অনুগ্রহ লাভ করার অনুসন্ধান, মানব স্বভাবের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ছড়িয়ে রয়েছে। ঈশ্বরকে খুশি করার জন্য সারা পৃথিবীতে অনেকের অকপট আকাঙ্ক্ষা রয়েছে। অবশ্য, এটা করার জন্য তারা যেভাবে চেষ্টা করে, তা তাদের বিশ্বাস অনুযায়ী বিভিন্ন হয়ে থাকে।

কেউ কেউ মনে করে যে, ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করার জন্য যে-বিষয়টা প্রয়োজন, তা হল এক নৈতিক জীবনযাপন করা। অন্যেরা মনে করে যে, তারা দরিদ্রদের জন্য দাতব্য কাজগুলো করার দ্বারা ঈশ্বরের অনুগ্রহ লাভ করে থাকে। এ ছাড়া, ধর্মীয় পর্বাদি ও আচারঅনুষ্ঠানগুলো লক্ষ লক্ষ লোকের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অন্যদিকে, এমন ব্যক্তিরাও রয়েছে যারা বিশ্বাস করে যে, ঈশ্বর তাদের নাগালের বাইরে—এত দূরে বা অন্যান্য বিষয়গুলোতে এত বেশি ব্যস্ত যে, সাধারণ লোকেদের প্রতি মনোযোগ দেওয়ার সময় তাঁর নেই। প্রাচীন গ্রিসের দার্শনিক ইপিকুরাস বিশ্বাস করতেন যে, ‘দেবতারা এত দূরে যে, তারা আপনার কোনোরকম ক্ষতি বা মঙ্গল কিছুই করতে পারে না।’ অথচ, যাদের এই ধরনের ধারণা রয়েছে, তারা ধর্মপ্রাণ। কেউ কেউ এমনকি তাদের মৃত পূর্বপুরুষদের খুশি করার আশায় বলি উৎসর্গ করে বা বিভিন্ন আচারঅনুষ্ঠান সম্পন্ন করে।

আপনি কী মনে করেন? তাঁর অনুগ্রহ লাভ করার জন্য আমাদের প্রচেষ্টাগুলোকে কি ঈশ্বর সত্যিই লক্ষ করেন? ঈশ্বরের অনুভূতি স্পর্শ করা ও তাঁকে খুশি করা কি আমাদের পক্ষে সম্ভব?

[২ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

প্রচ্ছদ: Courtesy of ROE/Anglo-Australian Observatory, photograph by David Malin