সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

জীবন্ত ঈশ্বরের দ্বারা নির্দেশিত হোন

জীবন্ত ঈশ্বরের দ্বারা নির্দেশিত হোন

জীবন্ত ঈশ্বরের দ্বারা নির্দেশিত হোন

‘জীবন্ত ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আইস, যিনি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং সেই সকলের মধ্যবর্ত্তী সমস্তই নির্ম্মাণ করিয়াছেন।’প্রেরিত ১৪:১৫.

১, ২. যিহোবাকে ‘জীবন্ত ঈশ্বর’ বলে স্বীকার করা কেন উপযুক্ত?

 প্রেরিত পৌল এবং বার্ণবা একজন ব্যক্তিকে আরোগ্য করার পর, লুস্ত্রার যে-ব্যক্তিরা তা লক্ষ করছিল তাদেরকে পৌল আশ্বস্ত করেছিলেন: “আমরাও আপনাদের ন্যায় সুখদুঃখভোগী মনুষ্য; আমরা আপনাদিগকে এই সুসমাচার জানাইতেছি যে, এই সকল অসার বস্তু হইতে সেই জীবন্ত ঈশ্বরের প্রতি ফিরিয়া আসিতে হইবে, যিনি আকাশ, পৃথিবী, সমুদ্র এবং সেই সকলের মধ্যবর্ত্তী সমস্তই নির্ম্মাণ করিয়াছেন।”—প্রেরিত ১৪:১৫.

এটা কতই না সত্য যে, যিহোবা ঈশ্বর নির্জীব প্রতিমা নন কিন্তু ‘জীবন্ত ঈশ্বর’! (যিরমিয় ১০:১০; ১ থিষলনীকীয় ১:৯, ১০) স্বয়ং জীবন্ত হওয়া ছাড়াও, যিহোবা হলেন আমাদের জীবনের উৎস। “তিনিই সকলকে জীবন ও শ্বাস ও সমস্তই দিতেছেন।” (প্রেরিত ১৭:২৫) বর্তমানে এবং ভবিষ্যতে আমাদের জীবন উপভোগ করার বিষয়ে তিনি আগ্রহী। পৌল আরও বলেছিলেন যে, ঈশ্বর “আপনাকে সাক্ষ্যবিহীন রাখেন নাই, কেননা তিনি মঙ্গল করিতেছেন, আকাশ হইতে আপনাদিগকে বৃষ্টি এবং ফলোৎপাদক ঋতুগণ দিয়া ভক্ষ্যে ও আনন্দে আপনাদের হৃদয় পরিতৃপ্ত করিয়া আসিতেছেন।”—প্রেরিত ১৪:১৭.

৩. ঈশ্বর যে-নির্দেশনা জোগান, তাতে কেন আমরা নির্ভর করতে পারি?

আমাদের জীবনের বিষয়ে ঈশ্বরের আগ্রহ, আমাদেরকে তাঁর নির্দেশনার প্রতি নির্ভর করার কারণ জোগায়। (গীতসংহিতা ১৪৭:৮; মথি ৫:৪৫) কেউ কেউ অন্য প্রতিক্রিয়া দেখাতে পারে, যদি তারা বাইবেলের কোনো একটা নির্দেশ না বোঝে অথবা সেটাকে নিয়ন্ত্রণপ্রবণ বলে মনে করে। তা সত্ত্বেও, যিহোবার নির্দেশনার ওপর নির্ভর করা বিজ্ঞ বলে প্রমাণিত হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ: এমনকি একজন ইস্রায়েলীয় মৃতদেহ স্পর্শ না করার বিষয়ে কোনো একটা আইন না বুঝলেও তা মেনে চলার মাধ্যমে তিনি উপকৃত হতেন। প্রথমত, তার বাধ্যতা তাকে জীবন্ত ঈশ্বরের আরও নিকটবর্তী করত; দ্বিতীয়ত, এটা তাকে বিভিন্ন রোগ এড়াতে সাহায্য করত।—লেবীয় পুস্তক ৫:২; ১১:২৪.

৪, ৫. (ক) খ্রিস্টীয় যুগের আগে যিহোবা রক্তের বিষয়ে কোন নির্দেশনা দিয়েছিলেন? (খ) কীভাবে আমরা জানি যে, রক্তের বিষয়ে ঈশ্বরের নির্দেশনার সঙ্গে খ্রিস্টানরা জড়িত?

রক্তের বিষয়ে ঈশ্বরের নির্দেশনার ক্ষেত্রেও এটা একইরকম। তিনি নোহকে বলেছিলেন যে, মানুষের রক্ত খাওয়া উচিত নয়। এরপর ব্যবস্থায় তিনি জানিয়েছিলেন যে, রক্তের একমাত্র অনুমোদিত ব্যবহার ছিল বেদির ওপরে—পাপের ক্ষমার জন্য। ওই নির্দেশগুলোর মাধ্যমে ঈশ্বর রক্তের সর্বশ্রেষ্ঠ ব্যবহারের এক ভিত্তি স্থাপন করছিলেন—যিশুর মুক্তির মূল্যের মাধ্যমে জীবন রক্ষা করা। (ইব্রীয় ৯:১৪) হ্যাঁ, ঈশ্বরের সেই নির্দেশনা আমাদের জীবন এবং মঙ্গলের কথা মনে রেখেই দেওয়া হয়েছিল। আদিপুস্তক ৯:৪ পদের বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে ১৯ শতাব্দীর বাইবেল পণ্ডিত আ্যডাম ক্লার্ক লিখেছিলেন: “[নোহের প্রতি] এই আদেশ প্রাচ্যের খ্রিস্টানরাও এখনও সতর্কতার সঙ্গে মেনে চলে . . . ব্যবস্থার অধীনে কোনো রক্ত খাওয়া যেত না কারণ এটা সেই রক্তকে নির্দেশ করেছিল, যা জগতের পাপের জন্য পাতিত হওয়ার কথা ছিল; আর সুসমাচারের অধীনে এটা খাওয়া উচিত নয় কারণ এটা সবসময় সেই রক্তকে প্রতিনিধিত্ব করে বলে বিবেচনা করা উচিত, যা পাপ মোচনের জন্য পাতিত হয়েছে।”

এই পণ্ডিত ব্যক্তি হয়তো মৌলিক সুসমাচারের বিষয়ে উল্লেখ করেছিলেন, যা যিশুকে কেন্দ্র করে। এর অন্তর্ভুক্ত ঈশ্বরের তাঁর পুত্রকে আমাদের জন্য মৃত্যুবরণ করতে পাঠানো, তাঁর রক্ত পাতিত করা যাতে আমরা অনন্তজীবন পেতে পারি। (মথি ২০:২৮; যোহন ৩:১৬; রোমীয় ৫:৮, ৯) সেই মন্তব্য পরের এই আদেশটাকেও অন্তর্ভুক্ত করে যে, খ্রিস্টের অনুসারীদের রক্ত থেকে পৃথক থাকতে হবে।

৬. রক্তের বিষয়ে খ্রিস্টানদের কোন নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এবং কেন?

আপনি জানেন যে, ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের শত শত বিধিনিষেধ দিয়েছিলেন। যিশু মারা যাওয়ার পর, তাঁর শিষ্যরা ওই সমস্ত আইন মেনে চলতে বাধ্য ছিল না। (রোমীয় ৭:৪, ৬; কলসীয় ২:১৩, ১৪, ১৭; ইব্রীয় ৮:৬, ১৩) কিন্তু, পরে একটা গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যবাধকতা—পুরুষদের ত্বক্‌চ্ছেদ—নিয়ে প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছিল। যে-ন-যিহুদিরা, খ্রিস্টের রক্ত থেকে উপকার পেতে চাইত, তাদের কি এটা দেখানোর জন্য ত্বক্‌চ্ছেদ করতে হবে যে তারা এখনও ব্যবস্থার অধীন? সা.কা. ৪৯ সালে খ্রিস্টান পরিচালক গোষ্ঠী এই বিষয়টার মীমাংসা করেছিল। (প্রেরিত ১৫ অধ্যায়) ঈশ্বরের আত্মার সাহায্যে, প্রেরিত এবং প্রাচীনবর্গ এই উপসংহারে এসেছিল যে, বাধ্যতামূলক ত্বক্‌চ্ছেদের বিষয়টা ব্যবস্থা লোপ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গিয়েছে। তা সত্ত্বেও, খ্রিস্টানদের জন্য কিছু ঐশিক চাহিদা থেকে গিয়েছিল। মণ্ডলীগুলোর উদ্দেশে একটা চিঠিতে পরিচালক গোষ্ঠী লিখেছিল: “পবিত্র আত্মার এবং আমাদের ইহা বিহিত বোধ হইল, যেন এই কয়েকটী প্রয়োজনীয় বিষয় ছাড়া তোমাদের উপরে আর কোন ভার না দিই, ফলে প্রতিমার প্রসাদ এবং রক্ত ও গলা টিপিয়া মারা প্রাণীর মাংস ও ব্যভিচার হইতে পৃথক্‌ থাকা তোমাদের উচিত; এই সকল হইতে আপনাদিগকে সযত্নে রক্ষা করিলে তোমাদের কুশল হইবে।”—প্রেরিত ১৫:২৮, ২৯.

৭. ‘রক্ত হইতে পৃথক্‌ থাকিবার’ বিষয়টা খ্রিস্টানদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

স্পষ্টতই, পরিচালক গোষ্ঠী ‘রক্ত হইতে পৃথক্‌ থাকিবার’ বিষয়টাকে নৈতিকভাবে ততটাই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখেছিল, যতটা যৌন অনৈতিকতা অথবা প্রতিমাপূজা থেকে পৃথক থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এটা প্রমাণ করে যে, রক্তের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা গুরুতর বিষয়। যে-খ্রিস্টানরা অনুতাপহীনভাবে প্রতিমাপূজা অথবা যৌন অনৈতিকতা করে, তারা “ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার” পেতে পারে না; ‘তাহাদের অংশ হইবে দ্বিতীয় মৃত্যু।’ (১ করিন্থীয় ৬:৯, ১০; প্রকাশিত বাক্য ২১:৮; ২২:১৫) বৈসাদৃশ্যটা লক্ষ করুন: রক্তের পবিত্রতার বিষয়ে দেওয়া ঈশ্বরের নির্দেশনা অমান্য করা অনন্ত মৃত্যু নিয়ে আসতে পারে। যিশুর বলিদানের প্রতি সম্মান দেখানো অনন্তজীবনের দিকে পরিচালিত করতে পারে।

৮. কী ইঙ্গিত দেয় যে, প্রাথমিক খ্রিস্টানরা রক্তের বিষয়ে ঈশ্বরের নির্দেশনাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিল?

প্রাথমিক খ্রিস্টানরা রক্তের বিষয়ে ঈশ্বরের আইনকে কীভাবে বুঝেছিল এবং তা মেনে চলেছিল? ক্লার্কের মন্তব্য স্মরণ করে দেখুন: “সুসমাচারের অধীনে এটা খাওয়া উচিত নয় কারণ এটা সবসময় সেই রক্তকে প্রতিনিধিত্ব করে বলে বিবেচনা করা উচিত, যা পাপ মোচনের জন্য পাতিত হয়েছে।” ইতিহাস নিশ্চিত করে যে, প্রাথমিক খ্রিস্টানরা বিষয়টাকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখত। টারটুলিয়ান লিখেছিলেন: “সেই ব্যক্তিদের কথা চিন্তা করুন, যারা মল্লভূমির কোনো প্রদর্শনীতে লোভাতুর আকাঙ্ক্ষা নিয়ে দুষ্ট অপরাধী ব্যক্তির টাটকা রক্ত সংগ্রহ করে . . . এবং তাদের মৃগীরোগ সারানোর জন্য তা নিয়ে যায়।” যদিও পরজাতীয়রা রক্ত খেত কিন্তু টারটুলিয়ান বলেছিলেন যে, খ্রিস্টানরা “এমনকি [তাদের] খাদ্যে পর্যন্ত পশুপাখির রক্ত ভোজন করত না . . . খ্রিস্টানদের পরীক্ষার সময় তোমরা তাদের রক্তসহ সসেজ দিয়ে থাকো। অবশ্য তোমরা এও জান যে, এটা তাদের জন্য বেআইনি।” হ্যাঁ, মৃত্যুর হুমকির মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও খ্রিস্টানরা রক্ত খেত না। ঈশ্বরের নির্দেশনা তাদের কাছে এতটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল।

৯. রক্ত থেকে পৃথক থাকার মধ্যে সরাসরি রক্ত না খাওয়া ছাড়াও কী অন্তর্ভুক্ত ছিল?

কেউ কেউ মনে করতে পারে যে, পরিচালক গোষ্ঠী কেবল বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, খ্রিস্টানরা যেন সরাসরি রক্ত না খায় বা পান না করে অথবা রক্ত না ঝরানো মাংস বা রক্ত মিশ্রিত খাবার না খায়। এটা ঠিক যে, নোহকে দেওয়া ঈশ্বরের আদেশের প্রথম অর্থ এটাই ছিল। আর প্রেরিতদের দেওয়া আদেশে খ্রিস্টানদের বলা হয়েছিল, তারা “গলা টিপিয়া মারা প্রাণীর মাংস” অর্থাৎ রক্ত রয়ে গিয়েছে এমন মাংস ‘হইতে যেন নিজেদের রক্ষা করে।’ (আদিপুস্তক ৯:৩, ৪; প্রেরিত ২১:২৫) যাই হোক, প্রাথমিক খ্রিস্টানরা জানত যে, এর সঙ্গে আরও বেশি কিছু জড়িত রয়েছে। মাঝে মাঝে চিকিৎসাগত কারণে রক্ত নেওয়া হয়। টারটুলিয়ান উল্লেখ করেছিলেন যে, মৃগীরোগ ভাল করার প্রচেষ্টায় কিছু পরজাতি টাটকা রক্ত খেত। আর রোগের চিকিৎসা করতে অথবা স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় মনে করে হয়তো রক্তের অন্যান্য ব্যবহার করা হতো। তাই, খ্রিস্টানদের রক্ত থেকে দূরে থাকার মধ্যে “চিকিৎসাগত” কারণগুলোর জন্য রক্ত না নেওয়াও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এমনকি তাদের জীবন ঝুঁকির মুখে থাকলেও তারা সেই অবস্থান বজায় রাখত।

ওষুধ হিসেবে রক্ত

১০. কিছু উপায় কী, যেখানে চিকিৎসাগতভাবে রক্ত ব্যবহৃত হয় আর তা কোন প্রশ্ন উত্থাপন করে?

১০ চিকিৎসাগত কারণে রক্ত ব্যবহার করা এখন এক সাধারণ বিষয়। আগে সম্পূর্ণ রক্তের সঞ্চালন পদ্ধতি ছিল—দাতার কাছ থেকে নিয়ে সেটাকে মজুত করে রাখা এবং এরপর রোগীকে, হতে পারে কোনো আহত সৈনিককে দেওয়া। পরবর্তী সময়ে, গবেষকরা রক্তকে কয়েকটা মূল উপাদানে পৃথক করতে শেখে। উপাদানগুলো সঞ্চালন করার মাধ্যমে চিকিৎসকরা দান করা রক্ত আরও বেশি রোগীদের দিতে পারত, হয়তো একজন আহত ব্যক্তিকে রক্তরস এবং আরেকজনকে লোহিতকণিকা। ক্রমাগত গবেষণা দেখায় যে, একটা উপাদান যেমন, রক্তের রক্তরস অনেকগুলো ক্ষুদ্র অংশে প্রক্রিয়াকরণ করা যেতে পারে আর সেগুলোও আরও অনেক রোগীকে দেওয়া যেতে পারে। এই ধরনের প্রচেষ্টাগুলো চলতে থাকে এবং ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের নতুন নতুন ব্যবহার সম্বন্ধে জানানো হয়। একজন খ্রিস্টানের কেমন প্রতিক্রিয়া দেখানো উচিত? তিনি কখনও রক্ত সঞ্চালন করবেন না বলে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন কিন্তু তার চিকিৎসক তাকে একটা মূল উপাদান, হতে পারে ঘনীভূত লোহিতকণিকা গ্রহণ করতে জোরালো পরামর্শ দেন। অথবা এমন চিকিৎসার কথা বলেন, যেখানে হয়তো কোনো মৌলিক উপাদান থেকে আলাদা করা একটা ক্ষুদ্র অংশ থাকতে পারে। ঈশ্বরের একজন দাস এই ধরনের প্রশ্নগুলোর বিষয়ে কীভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, এই বিষয়গুলো মাথায় রেখে যে রক্ত হল পবিত্র এবং সর্বমহান অর্থে খ্রিস্টের রক্ত হল জীবনরক্ষাকারী?

১১. রক্তের বিষয়ে চিকিৎসাগত কোন সঠিক অবস্থান সাক্ষিরা মেনে চলে?

১১ কয়েক দশক আগে যিহোবার সাক্ষিরা তাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছিল। উদাহরণস্বরূপ, তারা একটা প্রবন্ধ লিখেছিল, যেটা দ্যা জার্নাল অফ দি আ্যমেরিকান মেডিক্যাল এসোসিয়েশন (নভেম্বর ২৭, ১৯৮১; পুনরায় ছাপানো হয়েছিল, কীভাবে রক্ত আপনার জীবন রক্ষা করতে পারে? পৃষ্ঠা ২৭-৯)। * এর মধ্যে ছাপানো হয়েছিল। সেই প্রবন্ধ আদিপুস্তক, লেবীয় পুস্তক এবং প্রেরিত পুস্তক থেকে উদ্ধৃত করেছিল। এটি বলেছিল: “যদিও এই পদগুলো চিকিৎসাশাস্ত্রের পরিভাষায় উল্লেখ করা হয়নি কিন্তু সেগুলোকে সাক্ষিরা সম্পূর্ণ রক্ত, ঘনীভূত আরবিসি [লোহিত রক্তকণিকা] এবং প্লাজমা ও সেইসঙ্গে ডব্লুবিসি [শ্বেত রক্তকণিকা] এবং অনুচক্রিকা সঞ্চালনকে নিষিদ্ধ করে বলে মনে করে।” ২০০১ সালের জরুরি সেবা (ইংরেজি) পাঠ্যপুস্তকে “রক্তের গঠন” শিরোনামের মধ্যে বলা হয়েছিল: “রক্ত কয়েকটা উপাদান নিয়ে গঠিত: রক্তরস, লোহিত ও শ্বেত রক্তকণিকা এবং অনুচক্রিকা।” তাই, চিকিৎসাগত বিষয়গুলোর সঙ্গে মিল রেখে সাক্ষিরা সম্পূর্ণ রক্ত বা এর চারটে মূল উপাদানের যেকোনো একটা নেওয়া প্রত্যাখ্যান করে।

১২. (ক) রক্তের মূল উপাদানগুলো থেকে আলাদা করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের বিষয়ে কোন অবস্থান তুলে ধরা হয়েছে? (খ) এই বিষয়ে অতিরিক্ত তথ্য কোথায় পাওয়া যেতে পারে?

১২ চিকিৎসা সংক্রান্ত প্রবন্ধটি আরও বলে: “সাক্ষিদের ধর্মীয় বোধগম্যতা এই ধরনের [ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ] যেমন এলবিউমিন, ইমিউন গ্লবিউলিন এবং হিমোফিলিয়াক প্রিপারেশন ইত্যাদির ব্যবহার পুরোপুরি নিষেধ করে না; প্রত্যেক সাক্ষিকে আলাদা আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, তিনি এগুলো গ্রহণ করতে পারেন কি না।” সেই ১৯৮১ সাল থেকে অনেক ক্ষুদ্র অংশ (যে-ভগ্নাংশ চারটে মূল উপাদানের যেকোনো একটা থেকে নেওয়া হয়েছে) ব্যবহারের জন্য আলাদা করা হচ্ছে। সেই অনুসারে ২০০০ সালের ১৫ই জুন প্রহরীদুর্গ পত্রিকা “পাঠক-পাঠিকাদের থেকে প্রশ্নসকল” প্রবন্ধে এই বিষয়ে অনেক সাহায্যকারী তথ্য জুগিয়েছে। বর্তমানের লক্ষ লক্ষ পাঠকের উপকারের জন্য এর উত্তর এই পত্রিকার ২৯-৩১ পৃষ্ঠায় আবারও দেওয়া হল। এটি বিস্তারিত বিবরণ এবং যুক্তিসংগত কারণ তুলে ধরে কিন্তু আপনি দেখতে পাবেন যে, এটি যা বলে তা ১৯৮১ সালে যে-মূল বিষয়গুলো উপস্থাপন করা হয়েছিল, সেগুলোর সঙ্গে একমত।

আপনার বিবেকের ভূমিকা

১৩, ১৪. (ক) বিবেক কী এবং রক্তের বিষয়ে তা কীভাবে জড়িত? (খ) রক্ত খাওয়ার বিষয়ে ঈশ্বর ইস্রায়েলীয়দের কোন নির্দেশনা জুগিয়েছিলেন কিন্তু কোন প্রশ্নগুলো হয়তো উত্থাপিত হয়েছিল?

১৩ এই ধরনের তথ্যগুলো বিবেককে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে নিয়ে আসে। কেন? খ্রিস্টানরা ঈশ্বরের নির্দেশনা মেনে চলার সঙ্গে একমত তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নিতে হবে আর এর সঙ্গে বিবেক জড়িত। বিবেক হল সেই বিষয়গুলো বিবেচনা করার এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া ক্ষমতা, যেগুলো প্রায়ই নৈতিক বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। (রোমীয় ২:১৪, ১৫) কিন্তু আপনি জানেন যে, একেক জনের বিবেক একেকরকম। * বাইবেল উল্লেখ করে যে, কারও কারও ‘দুর্ব্বল সংবেদ’ বা বিবেক রয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে, অন্যদের বিবেক দৃঢ়। (১ করিন্থীয় ৮:১২) খ্রিস্টানরা ঈশ্বর যা বলেন, তা শেখার ক্ষেত্রে তাঁর চিন্তাধারার প্রতি সংবেদনশীল হওয়া এবং সেগুলোকে তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় প্রয়োগ করার ক্ষেত্রে যে-উন্নতি করে, তা একে অন্যের থেকে আলাদা। আমরা তা যিহুদি এবং মাংস খাওয়ার উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করতে পারি।

১৪ বাইবেল এই বিষয়ে স্পষ্ট যে, ঈশ্বরের প্রতি বাধ্য এমন একজন ব্যক্তি রক্ত না ঝরানো মাংস খাবেন না। তা এতটাই জরুরি ছিল যে, এমনকি গুরুতর অবস্থায়ও যখন ইস্রায়েলীয় সৈন্যরা রক্ত না ঝরানো মাংস খেয়েছিল, তখন তারা গুরুতর অপরাধ অথবা পাপের দোষী ছিল। (দ্বিতীয় বিবরণ ১২:১৫, ১৬; ১ শমূয়েল ১৪:৩১-৩৫) তা সত্ত্বেও, প্রশ্ন উঠতে পারে। একজন ইস্রায়েলীয় যখন মেষ বধ করত, তখন কত দ্রুত তাকে এর রক্ত ঢেলে দিতে হতো? তাকে কি রক্ত ঢেলে দেওয়ার জন্য পশুর গলা লম্বা করে কাটতে হতো? মেষের পিছনের পা ধরে সেটাকে কি ঝুলিয়ে রাখার প্রয়োজন ছিল? কত সময় পর্যন্ত? একটা বিরাট গরু হলে তিনি কী করবেন? এমনকি রক্ত ঢেলে দেওয়ার পরও মাংসে কিছু রক্ত থাকতে পারে। তিনি কি সেই মাংস খেতে পারতেন? কে তা নির্ধারণ করবে?

১৫. মাংস খাওয়ার বিষয়ে কিছু যিহুদি কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল কিন্তু ঈশ্বর কী নির্দেশ দিয়েছিলেন?

১৫ ধরুন একজন উদ্যোগী যিহুদি এই ধরনের বিষয়ের মুখোমুখি হয়েছেন। তিনি হয়তো বাজারে বিক্রি করা মাংস এড়িয়ে চলাকে নিরাপদ বলে মনে করতেন, ঠিক যেমন অন্য আরেকজন যিহুদি সেই মাংস খাওয়া পরিহার করতেন যদি এইরকম সম্ভাবনা থাকত যে, প্রতিমার কাছে একবার তা উৎসর্গ করা হয়েছে। আবার অন্য যিহুদিরা হয়তো একমাত্র রীতিগতভাবে রক্ত নিষ্কাশন করার পর মাংস খেত। * (মথি ২৩:২৩, ২৪) এই ধরনের বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া সম্বন্ধে আপনি কী মনে করেন? এ ছাড়া, ঈশ্বর যেহেতু এই ধরনের প্রতিক্রিয়া দাবি করেননি, তাই প্রত্যেকটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানার জন্য রব্বীদের পরিষদে অসংখ্য প্রশ্ন পাঠানো কি যিহুদিদের জন্য উপযুক্ত হতো? যদিও যিহুদিধর্মের মধ্যে সেই অভ্যাস গড়ে উঠেছিল কিন্তু আমরা আনন্দিত হতে পারি যে, যিহোবা সত্য উপাসকদের রক্তের বিষয়ে সেভাবে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ করেননি। শুচি পশু বধ এবং এদের রক্ত ঢেলে দেওয়ার বিষয়ে ঈশ্বর মৌলিক নির্দেশনা দিয়েছেন কিন্তু এর চেয়ে বেশি কিছু তিনি জানাননি।—যোহন ৮:৩২.

১৬. রক্তের কোনো উপাদান থেকে নেওয়া ক্ষুদ্র অংশ দিয়ে তৈরি ইঞ্জেকশন গ্রহণ করার বিষয়ে খ্রিস্টানদের কেন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে?

১৬ যেমন ১১ এবং ১২ অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে, যিহোবার সাক্ষিরা সম্পূর্ণ রক্ত বা এর চারটে মূল উপাদান—রক্তরস, লোহিতকণিকা, শ্বেতকণিকা এবং অনুচক্রিকা—গ্রহণ করে না। কোনো মূল উপাদান থেকে আলাদা করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের বিষয়ে কী বলা যায়, যেমন সিরামের মধ্যে রোগের সঙ্গে লড়াই করার এবং সাপের বিষের প্রতিকার করার জন্য আ্যন্টিবডি থাকে? (৩০ পৃষ্ঠার ৪ অনুচ্ছেদ দেখুন।) কেউ কেউ এই উপসংহারে এসেছে যে, এই ধরনের ক্ষুদ্র অংশগুলো আসলে আর রক্ত থাকে না, তাই ‘রক্ত হইতে পৃথক্‌ থাকিবার’ আদেশের অন্তর্ভুক্ত নয়। (প্রেরিত ১৫:২৯; ২১:২৫; পৃষ্ঠা ৩১, অনুচ্ছেদ ১) এই বিষয়টার দায়িত্ব তাদের নিজেদের। অন্যদের বিবেক তাদের (পশু বা মানুষের) রক্ত থেকে নেওয়া সমস্তকিছু, এমনকি শুধুমাত্র একটা মূল উপাদান থেকে নেওয়া ক্ষুদ্র অংশও প্রত্যাখ্যান করতে পরিচালিত করে। * আবার অন্যেরা হয়তো রোগের সঙ্গে লড়াই করার অথবা সাপের বিষের প্রতিকার করার জন্য রক্তরস প্রোটিন ইঞ্জেকশন নিয়ে থাকে কিন্তু অন্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ নিতে প্রত্যাখ্যান করে। তা ছাড়া, চারটে মূল উপাদানের যেকোনো একটা থেকে তৈরি কিছু উৎপাদিত দ্রব্য হয়তো সম্পূর্ণ উপাদানের কার্যকারিতার সমরূপ আর সেটা শরীরের মধ্যে এমন এক জীবনরক্ষাকারী ভূমিকা পালন করে, যা বেশির ভাগ খ্রিস্টানের কাছে আপত্তিকর বলে মনে হবে।

১৭. (ক) রক্তের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশের বিষয়ে আমরা যখন প্রশ্নের মুখোমুখি হই, তখন আমাদের বিবেক কীভাবে সাহায্যকারী হতে পারে? (খ) এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া কেন অনেক গুরুতর বিষয়?

১৭ আমরা যখন এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো নিই, তখন বিবেকের বিষয়ে বাইবেল যা বলে, তা সাহায্যকারী হয়। প্রথম পদক্ষেপটা হল, ঈশ্বরের বাক্য যা বলে তা জানা এবং আপনার বিবককে সেইমতো গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করা। তা অন্যকে আপনার হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বলার চেয়ে বরং ঈশ্বরের নির্দেশনার সঙ্গে মিল রেখে সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে সুসজ্জিত করবে। (গীতসংহিতা ২৫:৪, ৫) রক্তের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ নেওয়ার বিষয়ে কেউ কেউ চিন্তা করেছে, ‘এটা বিবেকের বিষয়, তাই তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয়।’ এটা ভুল যুক্তি। কোনো একটা বিষয় বিবেকের ওপর ছেড়ে দেওয়ার মানে এই নয় যে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। এটা অনেক গুরুতর বিষয় হতে পারে। একটা কারণ হল যে, এটা সেই ব্যক্তিদের প্রভাবিত করতে পারে, যাদের বিবেক আমাদের থেকে ভিন্ন। আর আমরা সেই মাংসের বিষয়ে পৌলের পরামর্শ থেকে তা দেখতে পাই, যা হয়তো প্রতিমার সামনে উৎসর্গ করা হয়েছে এবং পরে বাজারে বিক্রি করা হয়েছে। একজন খ্রিস্টানকে অবশ্যই “দুর্ব্বল সংবেদে আঘাত” না করার বিষয়টা চিন্তা করতে হবে। তিনি যদি অন্যদের বিঘ্ন জন্মান, তা হলে তিনি ‘যাহার নিমিত্ত খ্রীষ্ট মরিয়াছেন, সেই দুর্ব্বল ব্যক্তিকে নষ্ট’ করতে এবং খ্রিস্টের বিরুদ্ধে পাপ করতে পারেন। তাই, যদিও রক্তের ক্ষুদ্র অংশের বিষয়টা ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয় কিন্তু সেই সিদ্ধান্তগুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত।—১ করিন্থীয় ৮:৮, ১১-১৩; ১০:২৫-৩১.

১৮. রক্তের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় একজন খ্রিস্টান কীভাবে তার বিবেককে সংবেদনহীন হয়ে পড়াকে এড়াতে পারে?

১৮ আরেকটা সম্পর্কযুক্ত বিষয় রক্ত সম্বন্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। আর সেটা হল আপনার ওপর এই ধরনের সিদ্ধান্তগুলো যে-প্রভাব ফেলতে পারে। রক্তের কোনো ক্ষুদ্র অংশ নিতে যদি আপনার বাইবেল শিক্ষিত বিবেক বাধা দেয়, তা হলে আপনার সেটাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়। অথবা আপনার বিবেকের নির্দেশনাকে উপেক্ষা করা উচিত নয়, কেবল কেউ আপনাকে এই কথা বলেছে বলে যে, “এটা নিলে কিছু হবে না; অনেকে নিয়েছে।” মনে রাখবেন যে, লক্ষ লক্ষ লোক আজকে তাদের বিবেককে উপেক্ষা করে আর তাই এটা সংবেদনহীন হয়ে পড়ছে, অনুশোচনা না করে তাদেরকে মিথ্যে বলতে অথবা অন্যান্য ভুল কাজগুলো করতে বাধা দিচ্ছে না। নিশ্চিতভাবে খ্রিস্টানরা এই ধরনের কাজ এড়িয়ে চলতে চায়।—২ শমূয়েল ২৪:১০; ১ তীমথিয় ৪:১, ২.

১৯. রক্তের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ে সর্বোচ্চ কোন বিষয়টা আমাদের মনে রাখা উচিত?

১৯ উনত্রিশ থেকে একত্রিশ পৃষ্ঠায় আবারও যে-উত্তরটা দেওয়া হয়েছে, সেটা এর উপসংহারের দিকে বলে: “এইরকম আলাদা আলাদা ধারণা এবং বিবেকবুদ্ধিসম্পন্ন সিদ্ধান্ত থাকতে পারে বলে, এর মানে কি এই যে, বিষয়টা গুরুত্বপূর্ণ নয়? না। এটা খুবই গুরুতর বিষয়।” এটা বিশেষভাবে অনেক গুরুতর বিষয় কারণ “জীবন্ত ঈশ্বরের” সঙ্গে আপনার সম্পর্ক এতে জড়িত। একমাত্র এই সম্পর্কই যিশুর পাতিত রক্তের রক্ষা করার ক্ষমতার ওপর ভিত্তি করে অনন্তজীবনের দিকে পরিচালিত করে। রক্তের দ্বারা ঈশ্বর যা করছেন—জীবন রক্ষা—সেইজন্য এর প্রতি গভীর সম্মান গড়ে তুলুন। পৌল উপযুক্তভাবেই লিখেছিলেন: “তোমাদের আশা ছিল না, আর তোমরা জগতের মধ্যে ঈশ্বরবিহীন ছিলে। কিন্তু এখন খ্রীষ্ট যীশুতে, পূর্ব্বে দূরবর্ত্তী ছিলে যে তোমরা, তোমরা খ্রীষ্টের রক্ত দ্বারা নিকটবর্ত্তী হইয়াছ।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।)—ইফিষীয় ২:১২, ১৩.

[পাদটীকাগুলো]

^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।

^ একবার পৌল ও অন্য চার জন খ্রিস্টান রীতিগতভাবে মন্দিরে নিজেদের শুচি করতে গিয়েছিলেন। সেই সময় ব্যবস্থা আর বলবৎ ছিল না তবুও পৌল যিরূশালেমের প্রাচীনবর্গের উপদেশ অনুযায়ী কাজ করেছিলেন। (প্রেরিত ২১:২৩-২৫) কিন্তু, কিছু খ্রিস্টান হয়তো মনে করেছিল যে, তাদের মন্দিরে যেতে হবে না অথবা এইরকম পদ্ধতি পালন করতে হবে না। সেই সময় যেমন একেক জনের বিবেক একেকরকম ছিল, এখনও তা-ই।

^ এনসাইক্লোপিডিয়া জুডাইকা “বিধানসম্মত” মাংসের বিষয়ে “জটিল এবং বিস্তারিত” বিধি সম্বন্ধে জানায়। এর মধ্যে রয়েছে কত মিনিট ধরে মাংস জলে রাখতে হবে, কীভাবে তক্তার ওপর রেখে এটা থেকে জল নিষ্কাশন করতে হবে, কোন ধরনের লবণ মাংসের ওপর ঘষতে হবে এবং এরপর কতবার সেটাকে ঠাণ্ডা জলে ধুতে হবে।

^ কিছু ইঞ্জেকশনে মূল অথবা সক্রিয় উপাদানের বেশির ভাগই হল সাংশ্লেষিক দ্রব্য, যা রক্ত থেকে নয়। কিন্তু, কিছু কিছু ক্ষেত্রে রক্তের কোনো ক্ষুদ্র অংশের সামান্য পরিমাণ যেমন, এলবিউমিন যুক্ত করা হতে পারে।—দয়া করে ১৯৯৪ সালের ১লা অক্টোবর প্রহরীদুর্গ পত্রিকার “পাঠকদের থেকে প্রশ্নসকল” দেখুন।

আপনি কি মনে করতে পারেন?

• রক্তের বিষয়ে ঈশ্বর নোহকে, ইস্রায়েলীয়দের এবং খ্রিস্টানদের কোন নির্দেশনা দিয়েছিলেন?

• রক্ত সম্বন্ধে যিহোবার সাক্ষিরা কোন বিষয়টা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করে?

• কোন অর্থে রক্তের যেকোনো একটা মূল উপাদান থেকে আলাদা করা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশ গ্রহণের বিষয়টা একজনের বিবেকের ওপর নির্ভর করে কিন্তু এর অর্থ কী নয়?

• সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় কেন ঈশ্বরের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ককে সবচেয়ে প্রথমে রাখা উচিত?

[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]

[২২ পৃষ্ঠার তালিকা]

(পুরোপুরি ফরম্যাট করা টেক্সটের জন্য এই প্রকাশনা দেখুন)

রক্তের বিষয়ে মৌলিক মান

সম্পূর্ণ রক্ত

অগ্রহণযোগ্য লোহিতকণিকা শ্বেতকণিকা অনুচক্রিকা রক্তরস

খ্রিস্টানদের

সিদ্ধান্ত নিতে হয় লোহিতকণিকা শ্বেতকণিকা অনুচক্রিকা রক্তরস

থেকে থেকে থেকে থেকে

থেকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র

ক্ষুদ্র অংশ অংশ অংশ অংশ

[২০ পৃষ্ঠার চিত্র]

পরিচালক গোষ্ঠী এই উপসংহারে এসেছিল যে, খ্রিস্টানদের অবশ্যই ‘রক্ত হইতে পৃথক্‌ থাকিতে’ হবে

[২৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

আপনি যদি রক্তের কোনো ক্ষুদ্র অংশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার মুখোমুখি হন, তা হলে আপনার বিবেককে উপেক্ষা করবেন না