সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আমাদের সমস্যাগুলোর জন্য কি ঈশ্বর দায়ী?

আমাদের সমস্যাগুলোর জন্য কি ঈশ্বর দায়ী?

আমাদের সমস্যাগুলোর জন্য কি ঈশ্বর দায়ী?

 মেরিয়নের প্রাপ্তবয়স্কা মেয়ে যখন মস্তিষ্কে গুরুতর আঘাতে কষ্ট পাচ্ছিল, তখন মেরিয়ন ঠিক তা-ই করেছিলেন, যা আমরা অনেকেই করে থাকি। * তিনি সাহায্যের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছিলেন। “আমার মনে পড়ে না যে আমি এর আগে কখনও এতটা অসহায় এবং নিঃসঙ্গবোধ করেছিলাম,” মেরিয়ন বলেন। পরে তার মেয়ের অবস্থা আরও খারাপের দিকে মোড় নিয়েছিল আর তাই মেরিয়ন ঈশ্বর সম্বন্ধে সন্দেহ করতে শুরু করেছিলেন। “কেন এমনটা হচ্ছে?” তিনি জিজ্ঞেস করেছিলেন। তিনি বুঝতে পারেননি যে, কীভাবে একজন প্রেমময় এবং চিন্তাশীল ঈশ্বর তাকে পরিত্যাগ করতে পারেন।

মেরিয়নের অভিজ্ঞতা অস্বাভাবিক কিছু নয়। পৃথিবীব্যাপী অগণিত লোক প্রয়োজনের সময় ঈশ্বরের দ্বারা পরিত্যক্তবোধ করেছে। “আমার মনে এখনও এই প্রশ্ন ঘুরপাক খায় যে, ‘কেন ঈশ্বর মন্দ বিষয়গুলো ঘটতে দেন,’” লিসা তার নাতি খুন হওয়ার পর পরই এই কথাটি বলেন। “আমি ঈশ্বরের ওপর পুরোপুরি বিশ্বাস হারিয়ে ফেলিনি কিন্তু নিশ্চিতভাবে তা পালটে গিয়েছে।” একইভাবে, একজন মহিলা তার শিশু সন্তানকে ঘিরে এক দুঃখজনক ঘটনা ভোগ করার পর বলেছিলেন: “যা ঘটেছিল তাতে ঈশ্বর আমাকে কোনো সান্ত্বনাই দেননি। তিনি আমাকে কোনো ইঙ্গিত অথবা সমবেদনা কিছুই দেখাননি।” তিনি আরও বলেছিলেন: “আমি ঈশ্বরকে কখনও ক্ষমা করব না।”

অন্যেরা তাদের চারপাশের জগৎ দেখে ঈশ্বর সম্বন্ধে তিক্ত অনুভূতি গড়ে তোলে। তারা দেখতে পায় যে, সমাজগুলো দরিদ্রতা এবং খাদ্যের অভাব, ভয়াবহ যুদ্ধের শরণার্থী, এইডসের কারণে অনাথ হয়ে যাওয়া অগণিত শিশু আর অন্যান্য রোগে আক্রান্ত লোকেদের দ্বারা ভারগ্রস্ত। ঈশ্বরকে আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয় বলে মনে হওয়ায় এগুলো এবং এই ধরনের দুর্দশাগুলোর মুখোমুখি হয়ে অনেকে ঈশ্বরকে দোষারোপ করে থাকে।

কিন্তু সত্য বিষয়টা হল যে, মানবজাতি যে-সমস্যাগুলোর দ্বারা আক্রান্ত সেগুলোর জন্য ঈশ্বরকে দায়ী করা যায় না। বস্তুত, এটা বিশ্বাস করার জোরালো অনেক কারণ রয়েছে যে, ঈশ্বর শীঘ্রই মানব পরিবারের ওপর আনীত ক্ষতি পূরণ করবেন। আমরা আপনাকে পরের প্রবন্ধে মনোযোগ দিতে এবং দেখতে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি যে, ঈশ্বর সত্যিই আমাদের জন্য চিন্তা করেন।

[পাদটীকা]

^ নামগুলো পরিবর্তন করা হয়েছে।