সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও”

“আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও”

“আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও”

“অতএব তোমরা গিয়া . . . শিষ্য কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও।”মথি ২৮:১৯, ২০.

১. শিষ্য ফিলিপ এবং ইথিওপিয়া থেকে আসা একজন ব্যক্তির মধ্যে কোন কথাবার্তা হয়েছিল?

 ইথিওপিয়া থেকে আসা একজন ব্যক্তি সুদূর যিরূশালেমে যাত্রা করেছিলেন। সেখানে তিনি সেই ঈশ্বরের উপাসনা করেছিলেন, যাঁকে তিনি ভালবাসতেন আর তিনি হলেন যিহোবা। স্পষ্টতই, তিনি ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্যকেও ভালবাসতেন। তার রথে করে বাড়ি ফেরার পথে তিনি ভাববাদী যিশাইয়ের লিখিত পুস্তকের এক অনুলিপি পড়ছিলেন যখন খ্রিস্টের একজন শিষ্য ফিলিপ তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ফিলিপ ইথিওপীয় ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করেছিলেন: “আপনি যাহা পাঠ করিতেছেন, তাহা কি বুঝিতে পারিতেছেন?” সেই ব্যক্তি উত্তর দিয়েছিলেন: “কেহ আমাকে বুঝাইয়া না দিলে কেমন করিয়া বুঝিতে পারিব?” ফিলিপ শাস্ত্রের এই অকপট ছাত্রকে খ্রিস্টের শিষ্য হওয়ার জন্য সাহায্য করতে শুরু করেছিলেন।—প্রেরিত ৮:২৬-৩৯.

২. (ক) ইথিওপীয় ব্যক্তি যে-উত্তর দিয়েছিলেন, তা কোন দিক দিয়ে অর্থপূর্ণ ছিল? (খ) শিষ্য তৈরির বিষয়ে খ্রিস্টের দেওয়া দায়িত্বের সঙ্গে যুক্ত কোন প্রশ্নগুলো আমরা বিবেচনা করব?

ইথিওপীয় সেই ব্যক্তির উত্তরটা লক্ষণীয়। বস্তুত, তিনি যা পড়ছিলেন সেটা বোঝার উপায় দেখিয়ে দেওয়ার জন্য কারও প্রয়োজন ছিল। এই মন্তব্যটাই নির্দিষ্ট একটি নির্দেশনার গুরুত্ব সম্বন্ধে তুলে ধরে, যা যিশু শিষ্য তৈরি করার বিষয়ে তাঁর দেওয়া দায়িত্বের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। কোন নির্দেশনা? এর উত্তর পাওয়ার জন্য আসুন আমরা মথি ২৮ অধ্যায়ে পাওয়া যিশুর কথাগুলো আবার বিবেচনা করি। আগের প্রবন্ধ কেন? এবং কোথায়? এই প্রশ্নগুলোর ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করেছিল। এখন আমরা শিষ্য তৈরির বিষয়ে খ্রিস্টের আদেশের সঙ্গে যুক্ত আরও দুটো প্রশ্ন বিবেচনা করব—কী? এবং কখন?

“সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও”

৩. (ক) একজন ব্যক্তি কীভাবে যিশু খ্রিস্টের শিষ্য হতে পারেন? (খ) শিষ্য তৈরি করার সঙ্গে কী শিক্ষা দেওয়া অন্তর্ভুক্ত?

খ্রিস্টের শিষ্য হওয়ার জন্য অন্যদের সাহায্য করতে আমাদের কী শিক্ষা দিতে হবে? যিশু তাঁর অনুসারীদের আদেশ দিয়েছিলেন: “অতএব তোমরা গিয়া সমুদয় জাতিকে শিষ্য কর; পিতার ও পুত্ত্রের ও পবিত্র আত্মার নামে তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর; আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও।” (মথি ২৮:১৯, ২০) তাই, আমাদের সেই বিষয়গুলো শিক্ষা দিতে হবে, যা খ্রিস্ট আদেশ দিয়েছিলেন। * কিন্তু, কী এই বিষয়টা নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে যে, যে-ব্যক্তিকে যিশুর আদেশগুলো সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, তিনি শুধু একজন শিষ্যে পরিণতই হবেন না কিন্তু সেইসঙ্গে শিষ্য হিসেবেই থাকবেন? একটা প্রধান বিষয় যিশুর সতর্কভাবে শব্দ বাছাই করার মধ্যে দেখা যায়। লক্ষ করুন যে, তিনি শুধু এই বলেননি: ‘আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি, সে সমস্ত তাহাদিগকে শিক্ষা দেও।’ এর পরিবর্তে তিনি বলেছিলেন: “আমি তোমাদিগকে যাহা যাহা আজ্ঞা করিয়াছি সে সমস্ত পালন করিতে তাহাদিগকে শিক্ষা দেও।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (মথি ১৯:১৭) এর অর্থ কী?

৪. (ক) কোনো আদেশ পালন করার অর্থ কী? (খ) উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করুন যে, কীভাবে আমরা কাউকে খ্রিস্টের আদেশগুলো পালন করতে শিক্ষা দিই।

আদেশ পালন করার অর্থ হল, কোনো আদেশ “অনুযায়ী কাজ করা”—সেটা মেনে চলা অথবা বজায় রাখা। তা হলে, কীভাবে আমরা একজন ব্যক্তিকে খ্রিস্ট যে-বিষয়গুলো করতে আদেশ দিয়েছেন, সেগুলো পালন করতে অথবা মেনে চলতে শিক্ষা দিই? গাড়ি চালানোর একজন প্রশিক্ষক তার ছাত্রছাত্রীদের যে-উপায়ে ট্রাফিক আইন পালন করতে শিক্ষা দেন, সেটা চিন্তা করুন। প্রশিক্ষক হয়তো ক্লাসরুমে বসে তার ছাত্রছাত্রীদের রাস্তার আইনকানুন সম্বন্ধে শিক্ষা দেন। কিন্তু, কীভাবে এই আইনগুলো মেনে চলতে হয়, সেই সম্বন্ধে তার ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা দেওয়ার জন্য তাকে সেই সময়গুলোতে নির্দেশনা দিতে হবে, যখন তারা আসলে যানবাহনে ভরা রাস্তায় গাড়ি চালায় এবং তারা যা শিখেছে তা প্রয়োগ করার জন্য প্রাণপণ প্রচেষ্টা করে। একইভাবে, আমরা যখন লোকেদের সঙ্গে বাইবেল অধ্যয়ন করি, তখন আমরা তাদের খ্রিস্টের আদেশগুলো শিক্ষা দিই। কিন্তু, ছাত্রছাত্রীরা যখন তাদের রোজকার জীবন এবং পরিচর্যায় খ্রিস্টের নির্দেশনাগুলো প্রয়োগ করার প্রচেষ্টা করে, তখন আমাদেরও তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়া প্রয়োজন। (যোহন ১৪:১৫; ১ যোহন ২:৩) তাই, শিষ্য তৈরি করা সম্বন্ধে খ্রিস্টের আদেশ পূর্ণরূপে পালন করার জন্য আমাদের শিক্ষক এবং নির্দেশক দুটোই হওয়া প্রয়োজন। এভাবে আমরা যিশু এবং স্বয়ং যিহোবার দ্বারা স্থাপিত উদাহরণ অনুকরণ করি।—গীতসংহিতা ৪৮:১৪; প্রকাশিত বাক্য ৭:১৭.

৫. যে-ব্যক্তিকে আমরা বাইবেল অধ্যয়ন করাই, তিনি হয়তো কেন শিষ্য তৈরি করার বিষয়ে খ্রিস্টের আদেশ মেনে চলতে দ্বিধাবোধ করতে পারেন?

যিশুর আদেশগুলো পালন করার জন্য অন্যদের শিক্ষা দেওয়ার অন্তর্ভুক্ত শিষ্য তৈরির আদেশ মেনে চলতে তাদের সাহায্য করা। আমরা যাদেরকে বাইবেল অধ্যয়ন করাই, তাদের কারও কারও পক্ষে তা করা হয়তো কঠিন হতে পারে। এমনকি তারা যদি আগে খ্রিস্টীয়জগতের কোনো গির্জার সক্রিয় সদস্য হয়েও থাকে, এটা খুব কমই সম্ভাবনা রয়েছে যে তাদের প্রাক্তন ধর্মীয় শিক্ষকরা কখনও, গিয়ে শিষ্য তৈরি করার জন্য তাদের শিক্ষা দিয়েছেন। কিছু ধর্মীয় নেতা খোলাখুলিভাবে স্বীকার করে যে, তাদের পালকে সুসমাচার প্রচার করা সম্বন্ধে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে খ্রিস্টীয়জগতের গির্জাগুলো পুরোপুরিভাবে ব্যর্থ। জগতে গিয়ে সমস্ত ধরনের লোককে শিষ্য হতে সাহায্য করার বিষয়ে যিশুর আদেশ সম্বন্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে বাইবেল পণ্ডিত জন আর. ডব্লু. স্টাট বলেন: “এই আদেশের অর্থ মেনে চলার ক্ষেত্রে আমাদের ব্যর্থতা হল, আজকের সুসমাচার প্রচার কাজে খ্রিস্টান প্রচারকদের সবচেয়ে বড় দুর্বলতা।” তিনি আরও বলেন: “আমাদের দূর থেকে বার্তা ঘোষণা করার প্রবণতা রয়েছে। আমাদের মাঝে মাঝে এমন লোকের মতো হতে দেখা যায়, যারা সমুদ্রতীরের নিরাপদ জায়গায় দাঁড়িয়ে, ডুবে যাচ্ছে এমন লোকেদের চিৎকার করে পরামর্শ দেয়। আমরা তাদের উদ্ধার করার জন্য সেখানে ঝাঁপ দিই না। আমরা ভিজে যাওয়ার ভয় পাই।”

৬. (ক) একজন বাইবেল ছাত্রকে সাহায্য করার সময় কীভাবে আমরা ফিলিপের উদাহরণ অনুকরণ করতে পারি? (খ) একজন বাইবেল ছাত্র যখন প্রচার কাজে অংশ নিতে শুরু করে, তখন কীভাবে আমরা আমাদের চিন্তা দেখাতে পারি?

যাকে আমরা বাইবেল অধ্যয়ন করাই, তিনি যদি আগে এমন একটা ধর্মের অংশ থাকেন, যার সদস্যরা ‘ভিজে যাওয়ার ভয় পায়,’ তা হলে রূপকভাবে বলতে গেলে জল সম্বন্ধে তার ভয় কাটিয়ে ওঠা এবং শিষ্য তৈরি করার বিষয়ে খ্রিস্টের আদেশ মেনে চলা তার পক্ষে কঠিন হতে পারে। তার সাহায্যের প্রয়োজন হবে। তাই, তাদেরকে এমন নির্দেশনা বা পরিচালনা দেওয়ার সময় আমাদের ধৈর্যশীল হতে হবে, যা তার বোধগম্যতাকে আরও গভীর করবে এবং তাকে কাজ করতে পরিচালিত করবে, ঠিক যেমন ফিলিপের শিক্ষাগুলো ইথিওপীয় ব্যক্তিকে জ্ঞানালোকিত করেছিল এবং তাকে বাপ্তিস্ম নিতে প্রেরণা দিয়েছিল। (যোহন ১৬:১৩; প্রেরিত ৮:৩৫-৩৮) এ ছাড়া, শিষ্য তৈরি করার আদেশ পালন করার জন্য বাইবেল ছাত্রকে শিক্ষা দেওয়ার বিষয়ে আমাদের আকাঙ্ক্ষা, তারা যখন রাজ্যের প্রচার কাজে প্রথম পদক্ষেপগুলো নেয়, তখন তাদেরকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তাদের পাশে থাকতে পরিচালিত করে।—উপদেশক ৪:৯, ১০; লূক ৬:৪০.

“সে সমস্ত”

৭. অন্যদের “সে সমস্ত পালন করিতে” শিক্ষা দেওয়ার সঙ্গে তাদের কোন আদেশ শিক্ষা দেওয়া অন্তর্ভুক্ত?

আমরা নতুন শিষ্যদের শুধু শিষ্য তৈরি করার জন্য শিক্ষা দিতেই নিজেদের সীমিত রাখি না। যিশু যা আদেশ করেছেন, “সে সমস্ত পালন করিতে” অন্যদের শিক্ষা দিতে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) নিশ্চিতভাবেই এটা দুটো মহান আজ্ঞাকে অন্তর্ভুক্ত করে—ঈশ্বরকে এবং প্রতিবেশীকে প্রেম করা। (মথি ২২:৩৭-৩৯) কীভাবে একজন নতুন শিষ্যকে সেই আদেশগুলো পালন করতে শেখানো যেতে পারে?

৮. উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করুন যে, কীভাবে একজন নতুন শিষ্যকে প্রেম দেখানোর আদেশ সম্বন্ধে শেখানো যেতে পারে।

সেই ছাত্র চালকের উদাহরণ আবারও চিন্তা করুন। প্রশিক্ষকের পাশে বসে একজন ছাত্র যখন যানবাহনে ভরা রাস্তায় গাড়ি চালান, তখন ছাত্র শুধু প্রশিক্ষকের কথা শোনার দ্বারাই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে অন্যান্য চালকদের লক্ষ করার মাধ্যমেও শেখেন। উদাহরণস্বরূপ, প্রশিক্ষক হয়তো এমন একজন চালককে দেখাতে পারেন, যিনি সদয়ভাবে আরেকজনকে যানবাহনে ভরা রাস্তায় তার সামনে এগিয়ে যেতে দেন; অথবা এমন একজনকে দেখাতে পারেন যিনি তার গাড়ির হেডলাইটের আলো কমিয়ে দেন যাতে করে অন্যদিক থেকে আসা যানবাহনগুলোর দেখতে অসুবিধা না হয়; অথবা এমন একজন চালককে দেখান, যিনি পরিচিত কোনো ব্যক্তিকে স্বেচ্ছায় সাহায্য করার জন্য এগিয়ে যান, যার গাড়ি খারাপ হয়ে গেছে। এই ধরনের উদাহরণ ছাত্রকে মূল্যবান শিক্ষা দেয়, যা তিনি গাড়ি চালানোর সময় কাজে লাগাতে পারেন। একইভাবে, যে-নতুন শিষ্য জীবনের পথে চলেন, তিনি শুধু তার শিক্ষকের কাছ থেকেই নয় কিন্তু মণ্ডলীতে যে-উত্তম উদাহরণগুলো তিনি দেখেন সেখান থেকেও শেখেন।—মথি ৭:১৩, ১৪.

৯. একজন নতুন শিষ্য কীভাবে শিখতে পারেন যে, প্রেম দেখানোর আদেশ পালন করার অর্থ কী?

উদাহরণস্বরূপ, একজন বাইবেল ছাত্র হয়তো এমন একজন একক অভিভাবককে লক্ষ করতে পারেন, যিনি তার ছোট সন্তানকে সঙ্গে করে কিংডম হলে নিয়ে আসতে কঠোর প্রচেষ্টা করে থাকেন। তিনি হয়তো একজন ভগ্নহৃদয়য়ের ব্যক্তিকে দেখতে পারেন, যিনি তার হতাশার সঙ্গে মোকাবিলা করা সত্ত্বেও বিশ্বস্ততার সঙ্গে সভাগুলোতে আসেন, একজন বয়স্ক বিধবাকে দেখতে পারেন, যিনি অন্যান্য বয়স্ক ব্যক্তিদের মণ্ডলীর প্রতিটা সভায় গাড়ি চালিয়ে নিয়ে আসেন অথবা একজন কিশোর বা কিশোরীকে দেখতে পারেন, যে কিংডম হল পরিষ্কারে অংশ নেয়। বাইবেল ছাত্র হয়তো একজন প্রাচীনকে লক্ষ করতে পারেন, যিনি মণ্ডলীতে অনেক দায়িত্ব থাকা সত্ত্বেও, ক্ষেত্রের পরিচর্যায় বিশ্বস্ততার সঙ্গে নেতৃত্ব নেন। তিনি হয়তো এমন একজন সাক্ষির সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন, যিনি অক্ষম এবং দুর্বল স্বাস্থ্যের জন্য ঘরেই থাকেন কিন্তু তিনি সেই সকলের জন্য আধ্যাত্মিক উৎসাহের উৎস, যারা তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে আসে। ছাত্র হয়তো এমন এক দম্পতিকে লক্ষ করতে পারেন, যারা তাদের বয়স্ক বাবামার দেখাশোনা করার জন্য তাদের জীবনে বিরাট পরিবর্তনগুলো করছে। এই ধরনের দয়ালু, সাহায্যকারী ও নির্ভরযোগ্য খ্রিস্টানদের লক্ষ করার দ্বারা নতুন শিষ্য উদাহরণের মাধ্যমে শেখেন যে, ঈশ্বর এবং প্রতিবেশীদের, বিশেষ করে সহবিশ্বাসীদের প্রেম করার বিষয়ে খ্রিস্টের আদেশ মেনে চলার অর্থ কী। (হিতোপদেশ ২৪:৩২; যোহন ১৩:৩৫; গালাতীয় ৬:১০; ১ তীমথিয় ৫:৪, ৮; ১ পিতর ৫:২, ৩) এভাবে খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর প্রত্যেক সদস্য একজন শিক্ষক এবং একজন নির্দেশক হতে পারে—এবং তাদের তা হওয়া উচিত।—মথি ৫:১৬.

“যুগান্ত পর্য্যন্ত”

১০. (ক) কত সময় ধরে আমরা শিষ্য তৈরি করে চলব? (খ) বিভিন্ন কার্যভার পালন করার বিষয়ে যিশু কোন উদাহরণ স্থাপন করেছেন?

১০ কখন পর্যন্ত আমাদের শিষ্য তৈরির কাজ চালিয়ে যাওয়া উচিত? যুগান্ত বা বিধিব্যবস্থার শেষ সময় পর্যন্ত। (মথি ২৮:২০) আমরা কি যিশুর দেওয়া দায়িত্বের এই দিকটা পরিপূর্ণ করতে সমর্থ হব? বিশ্বব্যাপী মণ্ডলী হিসেবে আমরা তা করার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ। বিগত বছরগুলোতে, আমরা “অনন্তজীবনের জন্য নিরূপিত” লোকেদের খুঁজে বের করার জন্য আনন্দের সঙ্গে আমাদের সময়, শক্তি এবং সম্পদ ব্যবহার করেছি। (প্রেরিত ১৩:৪৮) বর্তমানে যিহোবার সাক্ষিরা পৃথিবীব্যাপী রাজ্য প্রচার ও শিষ্য তৈরির কাজে বছরের প্রতিদিন গড়ে ৩০ লক্ষ ঘন্টারও বেশি ব্যয় করে। আমরা তা করি কারণ আমরা যিশুর উদাহরণ অনুসরণ করি। তিনি বলেছিলেন: “আমার খাদ্য এই, যিনি আমাকে পাঠাইয়াছেন, যেন তাঁহার ইচ্ছা পালন করি তাঁহার কার্য্য সাধন করি।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) (যোহন ৪:৩৪) এটা আমাদেরও আন্তরিক ইচ্ছা। (যোহন ২০:২১) আস্থা সহকারে আমাদের যে-কাজ দেওয়া হয়েছে, সেটা কেবলমাত্র শুরু করার চেয়ে আমরা আরও বেশি কিছু করতে চাই; আমরা তা সমাপ্ত বা শেষ করতে চাই।—মথি ২৪:১৩; যোহন ১৭:৪.

১১. আমাদের কিছু খ্রিস্টান ভাই ও বোনের কী হয়েছে এবং আমাদের নিজেদের কোন প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা উচিত?

১১ কিন্তু এটা দেখা দুঃখজনক যে, আমাদের কিছু সহবিশ্বাসী আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছে এবং এর ফলে ধীর হয়ে পড়েছে অথবা শিষ্য তৈরির বিষয়ে খ্রিস্টের আদেশ পালন করা বন্ধ করে দিয়েছে। এমন কোনো উপায়ে আমরা কি তাদের সাহায্য করতে পারি, যাতে তারা আবারও মণ্ডলীর সঙ্গে মেলামেশা করে এবং শিষ্য তৈরির কাজে পুনরায় অংশ নেওয়া শুরু করে? (রোমীয় ১৫:১; ইব্রীয় ১২:১২) যিশুর প্রেরিতরা যখন সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল, তখন তিনি যেভাবে তাদের সাহায্য করেছিলেন, তা দেখায় যে আজকে আমরা কী করতে পারি।

চিন্তা দেখান

১২. (ক) যিশুর মৃত্যুর ঠিক আগে প্রেরিতরা কী করেছিল? (খ) প্রেরিতরা মারাত্মক দুর্বলতা দেখানো সত্ত্বেও, যিশু কীভাবে তাদের সঙ্গে আচরণ করেছিলেন?

১২ পৃথিবীতে যিশুর পরিচর্যার শেষের দিকে, যখন তাঁর মৃত্যু আসন্ন তখন প্রেরিতরা “তাঁহাকে ছাড়িয়া পলাইয়া গেলেন।” যিশু যেমন ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তারা “ছিন্নভিন্ন হইয়া প্রত্যেকে আপন আপন স্থানে” চলে গিয়েছিল। (মার্ক ১৪:৫০; যোহন ১৬:৩২) যিশু আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে দুর্বল তাঁর এই সঙ্গীদের সঙ্গে কেমন আচরণ করেছিলেন? তাঁর পুনরুত্থানের পরই যিশু তাঁর কিছু অনুসারীকে বলেছিলেন: “ভয় করিও না; তোমরা যাও, আমার ভ্রাতৃগণকে সংবাদ দেও, যেন তাহারা গালীলে যায়; সেইখানে তাহারা আমাকে দেখিতে পাইবে।” (মথি ২৮:১০) যদিও প্রেরিতরা মারাত্মক দুর্বলতা দেখিয়েছিল, তবুও যিশু তাদের “আমার ভ্রাতারা” বলেছিলেন। (মথি ১২:৪৯) তিনি তাদের ওপর নির্ভরতা হারিয়ে ফেলেননি। এভাবে যিশু করুণাময় এবং ক্ষমাবান ছিলেন ঠিক যেমন যিহোবা করুণাময় এবং ক্ষমাবান। (২ রাজাবলি ১৩:২৩) কীভাবে আমরা যিশুকে অনুকরণ করতে পারি?

১৩. আধ্যাত্মিকভাবে যারা দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাদেরকে আমাদের কোন দৃষ্টিতে দেখা উচিত?

১৩ সেই সমস্ত ব্যক্তির প্রতি আমাদের গভীর চিন্তা থাকা উচিত, যারা ধীর হয়ে পড়েছে এবং পরিচর্যায় অংশ নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের এখনও সেই সহবিশ্বাসীদের প্রেমপূর্ণ কাজের কথা মনে আছে, যারা অতীতে—কেউ কেউ কয়েক দশক ধরে—সম্পাদন করেছে। (ইব্রীয় ৬:১০) আমরা সত্যিই তাদের সাহচর্যের অভাববোধ করি। (লূক ১৫:৪-৭; ১ থিষলনীকীয় ২:১৭) কিন্তু, কীভাবে আমরা তাদের জন্য আমাদের চিন্তা দেখাতে পারি?

১৪. যিশুকে অনুকরণ করে আমরা কীভাবে একজন দুর্বল ব্যক্তিকে সাহায্য করতে পারি?

১৪ যিশু ভগ্নহৃদয়ের প্রেরিতদের বলেছিলেন যে, তাদের গালীলে যাওয়া উচিত এবং তারা তাঁকে সেখানে দেখবে। বস্তুত, যিশু তাদের এক বিশেষ সভায় যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। (মথি ২৮:১০) একইভাবে, আজকে যারা খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর সভাগুলোতে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল, আমরা তাদের উৎসাহিত করি এবং আমাদের হয়তো তাদেরকে একাধিক বার উৎসাহ দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। প্রেরিতদের ক্ষেত্রে আমন্ত্রণ কার্যকারী হয়েছিল, কারণ “একাদশ শিষ্য গালীলে যীশুর নিরূপিত পর্ব্বতে গমন করিলেন।” (মথি ২৮:১৬) দুর্বল ব্যক্তিরা যখন একইভাবে আমাদের উষ্ণ অভ্যর্থনার প্রতি সাড়া দেয় এবং পুনরায় খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যোগ দেওয়া শুরু করে, তখন আমরা কত আনন্দিতই না হই!—লূক ১৫:৬.

১৫. যে-দুর্বল ব্যক্তিরা আমাদের সভার স্থানে আসে, তাদের অভ্যর্থনা জানাতে কীভাবে আমরা যিশুর উদাহরণ অনুসরণ করতে পারি?

১৫ যখন একজন দুর্বল খ্রিস্টান কিংডম হলে আসেন, তখন আমরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখাব? যিশু কী করেছিলেন, যখন তিনি দেখেছিলেন যে তাঁর সেই প্রেরিতরা সভার নিযুক্ত স্থানে রয়েছে, যাদের বিশ্বাস সাময়িকভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিল? “যীশু নিকটে আসিয়া তাঁহাদের সহিত কথা কহিলেন।” (মথি ২৮:১৮) তিনি দূর থেকে তাদের দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাননি বরং তাদের কাছে এগিয়ে গিয়েছিলেন। যিশু যখন সেই পদক্ষেপ নিয়েছিলেন, তখন প্রেরিতরা যে-কতটা স্বস্তি পেয়েছিল, তা কল্পনা করুন! আমরাও যেন এভাবে পদক্ষেপ নিই এবং আধ্যাত্মিকভাবে দুর্বল সেই ব্যক্তিদের উষ্ণ অভ্যর্থনা জানাই, যারা খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে ফিরে আসার জন্য প্রচেষ্টা করে।

১৬. (ক) যিশু তাঁর অনুসারীদের সঙ্গে যেভাবে আচরণ করেছিলেন, তা থেকে আমরা কী শিখতে পারি? (খ) কীভাবে আমরা দুর্বল ব্যক্তিদের প্রতি যিশুর দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করতে পারি? (পাদটীকা দেখুন।)

১৬ যিশু আরও কী করেছিলেন? প্রথমত, তিনি একটা ঘোষণা করেছিলেন: “সমস্ত কর্ত্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।” দ্বিতীয়ত, তিনি একটা কার্যভার দিয়েছিলেন: “অতএব তোমরা গিয়া . . . শিষ্য কর।” তৃতীয়ত, তিনি একটা প্রতিজ্ঞা করেছিলেন: ‘আমিই প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি।’ কিন্তু, আপনি কি লক্ষ করেছেন যে, যিশু কী করেননি? তিনি শিষ্যদের ব্যর্থতা এবং সন্দেহের জন্য তাদের তিরস্কার করেননি। (মথি ২৮:১৭) তাঁর এই পন্থা কি কার্যকারী হয়েছিল? হ্যাঁ। খুব শীঘ্রই প্রেরিতরা পুনরায় ‘উপদেশ দিতে এবং সুসমাচার প্রচার করিতে’ শুরু করেছিল। (প্রেরিত ৫:৪২) দুর্বল ব্যক্তিদের কোন দৃষ্টিতে দেখতে হয় এবং তাদের সঙ্গে কীভাবে আচরণ করতে হয়, সেই সম্বন্ধে যিশুর উদাহরণ অনুসরণ করার মাধ্যমে আমরা হয়তো আমাদের স্থানীয় মণ্ডলীতে হৃদয়গ্রাহী ফলাফল দেখতে পারি। *প্রেরিত ২০:৩৫.

‘আমিই প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি’

১৭, ১৮. ‘আমিই প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি,’ যিশুর এই কথাগুলোর মধ্যে কোন শক্তিবর্ধক ধারণা রয়েছে?

১৭ ‘আমিই প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি,’ যিশুর দেওয়া দায়িত্বের এই শেষ কথাগুলোর মধ্যে সেই সমস্ত লোকের জন্য শক্তিবর্ধক ধারণা রয়েছে, যারা শিষ্য তৈরি করা সম্বন্ধে খ্রিস্টের আদেশ পালন করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করে। (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) আমাদের রাজ্য প্রচার কাজের বিরুদ্ধে শত্রুরা যে-বিরোধিতাই নিয়ে আসুক না কেন এবং আমাদের বিরুদ্ধে তারা যেধরনের অপপ্রচারই ছড়াক না কেন, আমাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। কেন নেই? কারণ আমাদের নেতা যিশু, যাঁর “স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্ত্তৃত্ব” রয়েছে, আমাদের সমর্থন করার জন্য আমাদের সঙ্গে আছেন!

১৮ এ ছাড়া, ‘আমিই প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি,’ যিশুর এই প্রতিজ্ঞা প্রচুর সান্ত্বনার এক উৎস। (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।) আমরা শিষ্য তৈরি করার বিষয়ে খ্রিস্টের আদেশ পালন করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করার সময় শুধু আনন্দেরই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে দুঃখের সময়ও ভোগ করি। (২ বংশাবলি ৬:২৯) আমাদের মধ্যে কেউ কেউ মৃত্যুতে প্রিয়জনকে হারানোর ফলে শোকাহত হয়ে দুঃখজনক সময় পার করে। (আদিপুস্তক ২৩:২; যোহন ১১:৩৩-৩৬) অন্যেরা বার্ধক্যের সঙ্গে মোকাবিলা করছে, যখন স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে এবং শক্তি হ্রাস পাচ্ছে। (উপদেশক ১২:১-৬) আবার অন্যেরা এমন সময় পার করে, যখন তারা হতাশার দ্বারা জর্জরিত থাকে। (১ থিষলনীকীয় ৫:১৪) আর আমাদের মধ্যে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত এমন সংখ্যক ব্যক্তিরা রয়েছে, যারা প্রচণ্ড অর্থনৈতিক চাপের সঙ্গে লড়াই করে। তবুও, এই ধরনের প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো সত্ত্বেও, আমরা আমাদের পরিচর্যায় সফল হই কারণ যিশু “প্রতিদিন,” যার অন্তর্ভুক্ত আমাদের জীবনের অন্ধকারময় সময়ও, আমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছেন।—মথি ১১:২৮-৩০.

১৯. (ক) শিষ্য তৈরির বিষয়ে যিশুর দেওয়া দায়িত্বের মধ্যে কোন নির্দেশনাগুলো অন্তর্ভুক্ত? (খ) খ্রিস্টের দেওয়া দায়িত্ব পরিপূর্ণ করতে কী আমাদের সমর্থ করে?

১৯ এই প্রবন্ধে এবং আগের প্রবন্ধে আমরা যেমন দেখেছি, শিষ্য তৈরির বিষয়ে যিশুর দেওয়া দায়িত্বের সঙ্গে সমস্ত দিক জড়িত। যিশু আমাদের বলেছেন যে, কেন এবং কোথায় আমাদের এই আদেশ পালন করা উচিত। তিনি আমাদের এও বলেছেন যে, আমাদের কী শিক্ষা দেওয়া উচিত এবং কখন পর্যন্ত আমাদের তা করা উচিত। এটা ঠিক যে, এই মহান দায়িত্ব পরিপূর্ণ করা এক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। কিন্তু, আমাদের পিছনে খ্রিস্টের সমর্থন থাকায় এবং আমাদের পাশে তাঁর উপস্থিতিতে আমরা তা সম্পন্ন করতে পারি! আপনি কি একমত নন?

[পাদটীকাগুলো]

^ একটি তথ্যগ্রন্থ দেখায় যে, যিশু বলেননি ‘তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর এবং শিক্ষা দেও’ বরং বলেছিলেন “তাহাদিগকে বাপ্তাইজ কর . . . তাহাদিগকে শিক্ষা দেও।” তাই, বাপ্তাইজিত করা এবং শিক্ষা দেওয়ার আদেশ “কড়াকড়িভাবে . . . ধারাবাহিক দুটো পদক্ষেপ নয়।” এর পরিবর্তে, “শিক্ষা দেওয়া হল এক ক্রমাগত প্রক্রিয়া, যার কিছুটা বাপ্তিস্মের আগে . . . এবং কিছুটা বাপ্তিস্মের পরে দেওয়া হয়।”

^ দুর্বল ব্যক্তিদের কীভাবে দেখতে হবে এবং সাহায্য করতে হবে, সেই বিষয়ে আরও তথ্য ২০০৩ সালের ১লা ফেব্রুয়ারি প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ১৫-১৮ পৃষ্ঠায় পাওয়া যায়।

আপনি কীভাবে উত্তর দেবেন?

• যিশু যা আদেশ করেছেন, তা পালন করার জন্য আমরা কীভাবে অন্যদের শিক্ষা দিই?

• একজন নতুন শিষ্য মণ্ডলীর অন্যান্য ব্যক্তির কাছ থেকে কোন শিক্ষাগুলো শিখতে পারেন?

• আধ্যাত্মিকভাবে যারা দুর্বল হয়ে পড়েছে, তাদের সাহায্য করার জন্য আমরা কী করতে পারি?

• ‘আমিই প্রতিদিন তোমাদের সঙ্গে সঙ্গে আছি,’ যিশুর এই প্রতিজ্ঞা থেকে আমরা কোন শক্তি এবং সান্ত্বনা পাই?

[অধ্যয়ন প্রশ্নাবলি]

[১৫ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

আমাদের শিক্ষক এবং নির্দেশক দুটোই হতে হবে

[১৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

একজন নতুন শিষ্য অন্যদের দ্বারা স্থাপিত উদাহরণ থেকে মূল্যবান শিক্ষাগুলো শেখেন