সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

“এটাই হচ্ছে সর্বোত্তম বিষয়, যা তুমি করতে পারো”

“এটাই হচ্ছে সর্বোত্তম বিষয়, যা তুমি করতে পারো”

“এটাই হচ্ছে সর্বোত্তম বিষয়, যা তুমি করতে পারো”

 আলেকসিস হচ্ছে মেক্সিকোর মোরেলিয়া শহরে বসবাসরত পাঁচ বছরের এক বালক, যার বাবামা বাইবেল অধ্যয়ন করে এবং যিহোবার সাক্ষিদের সভাগুলোতে যোগ দেয়। তার পরিবারের সঙ্গে একটা সীমা সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে সে ঘরে ঘরে প্রচারের বিষয়ে একটা নমুনা দেখেছিল। সে তৎক্ষণাৎ তার বাবাকে জিজ্ঞেস করেছিল, “বাবা, বাবা, তুমি কেন বাইরে গিয়ে প্রচার করছ না?” তার বাবা উত্তর দিয়েছিলেন, “আমি যেন তা করতে পারি, তাই এখনও অধ্যয়ন করছি।” আলেকসিস উদ্যমের সঙ্গে সাড়া দিয়ে বলেছিল, “বাবা, এটাই হচ্ছে সর্বোত্তম বিষয়, যা তুমি করতে পারো।”

এই ছোট্ট ছেলেটি বুঝতে পেরেছিল যে, যিহোবার জ্ঞানের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করা প্রয়োজন। যেহেতু তার দুজন ছোট ছোট মাসতুতো ভাইবোন তার সঙ্গে একই বাড়িতে থাকে, তাই সে প্রথমে যিহোবার কাছে প্রার্থনা করেছিল এবং এরপর সে তার বাবামার সাহায্যে আমার বাইবেলের গল্পের বই থেকে যা শিখেছিল, সেই বিষয়ে তার ভাইবোনকে বলেছিল। যদিও আলেকসিস তখনও পড়তে পারত না, তবুও সে গল্পগুলোর ছবিগুলো থেকে বইয়ের বিষয়বস্তু খুব ভালমতোই জানত। এমনকি সে বলেছিল, ঈশ্বরের উদ্দেশ্যগুলো সম্বন্ধে সে যা কিছু শিখছে সেগুলো লোকেদের কাছে বলার জন্য তাদের ঘরে যেতে চায়।

বাস্তবিকই, যুবক ও বৃদ্ধ উভয়েই “পবিত্রতম” যিহোবা তাদের কাছে যা আশা করেন, সেটার সঙ্গে মিল রেখে তাদের জীবন পরিচালিত করতে পারে আর এইভাবে তারা জাতিগণের মধ্যে তাঁর সম্বন্ধে সাক্ষ্য দেওয়ার শ্রেষ্ঠ সুযোগ লাভ করতে পারে। (যিশাইয় ৪৩:৩; মথি ২১:১৬) নিঃসন্দেহে, সেটাই হচ্ছে সর্বোত্তম বিষয়, যা একজন ব্যক্তি করতে পারে।