সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সুখী হওয়ার জন্য সত্যিই যা প্রয়োজন

সুখী হওয়ার জন্য সত্যিই যা প্রয়োজন

সুখী হওয়ার জন্য সত্যিই যা প্রয়োজন

 ‘পরম ধন্য [“সুখী,” NW] ঈশ্বর,’ যিহোবা এবং “পরমধন্য [“সুখী,” NW] ও একমাত্র সম্রাট,” যিশু খ্রিস্ট সবার চেয়ে ভাল জানেন যে, সুখী হওয়ার জন্য কীসের প্রয়োজন। (১ তীমথিয় ১:১১; ৬:১৫) তাই, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে, সুখী হওয়ার চাবিকাঠি ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলে পাওয়া যায়।—প্রকাশিত বাক্য ১:৩, NW; ২২:৭, NW.

যিশু তাঁর বিখ্যাত পর্বতেদত্ত উপদেশে বর্ণনা করেছিলেন যে, সুখী হওয়ার জন্য কীসের প্রয়োজন। তিনি বলেছিলেন: “ধন্য [“সুখী,” NW] যাহারা” (১) আত্মাতে দীনহীন, (২) শোক করে, (৩) মৃদুশীল, (৪) ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধিত ও তৃষিত, (৫) দয়াশীল, (৬) নির্মলান্তকরণ, (৭) মিলন করিয়ে দেয়, (৮) ধার্মিকতার জন্য তাড়িত এবং (৯) তাঁর জন্য নিন্দিত ও তাড়িত হয়।—মথি ৫:৩-১১. *

যিশুর উক্তিগুলো কি সঠিক?

যিশুর কয়েকটা উক্তির সত্যতার জন্য সামান্য ব্যাখ্যার প্রয়োজন। নির্মলান্তকরণ বা শুদ্ধ হৃদয়ের দ্বারা অনুপ্রাণিত একজন মৃদুশীল, দয়াশীল এবং মিলন করিয়ে দেয় বা শান্তিপূর্ণ ব্যক্তি যে একজন ক্রুদ্ধ, ঝগড়াটে, নির্দয় ব্যক্তির চেয়ে বেশি খুশি হতে পারেন, তা কে অস্বীকার করবে?

কিন্তু, আমরা হয়তো অবাক হতে পারি যে, ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধিত ও তৃষিত অথবা শোক করে এমন ব্যক্তিদের কীভাবে সুখী বলা যেতে পারে। এই ধরনের ব্যক্তিদের জগতের অবস্থা সম্বন্ধে এক বাস্তবসম্মত দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। তারা আমাদের দিনে ‘কৃত সমস্ত ঘৃণার্হ কার্য্যের বিষয়ে দীর্ঘনিঃশ্বাস ত্যাগ করে ও কোঁকায়।’ (যিহিষ্কেল ৯:৪) এই বিষয়টা তাদের সুখী করে না। কিন্তু, তারা যখন পৃথিবীতে ধার্মিক অবস্থা এবং নিপীড়িত ব্যক্তিদের জন্য ন্যায়বিচার নিয়ে আসার বিষয়ে ঈশ্বরের উদ্দেশ্য সম্বন্ধে জানে, তখন তাদের আনন্দের সীমা থাকে না।—যিশাইয় ১১:৪.

এ ছাড়া, ধার্মিকতার জন্য ভালাবাসার কারণেও ব্যক্তিবিশেষরা, যা সঠিক তা করতে বার বার ব্যর্থ হওয়ায় শোক করে। এভাবে তারা আত্মাতে দীনহীন বা তাদের আধ্যাত্মিক চাহিদা সম্বন্ধে সচেতন। এই ধরনের ব্যক্তিরা নির্দেশনার জন্য যিহোবার ওপর নির্ভর করতে ইচ্ছুক কারণ তারা উপলব্ধি করে যে, লোকেদের দুর্বলতা কাটিয়ে ওঠার জন্য একমাত্র তিনিই তাদেরকে সাহায্য করতে পারেন।—হিতোপদেশ ১৬:৩, ৯; ২০:২৪.

যে-লোকেরা শোক করে, ধার্মিকতার জন্য ক্ষুধিত ও তৃষিত এবং যারা তাদের আধ্যাত্মিক চাহিদা সম্বন্ধে সচেতন, তারা সৃষ্টিকর্তার সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক রাখার গুরুত্ব সম্বন্ধে অবগত আছে। মানুষের সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক সুখ নিয়ে আসে কিন্তু ঈশ্বরের সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক আরও বেশি সুখ নিয়ে আসে। হ্যাঁ, যা সঠিক তা ভালবাসে এমন চিন্তাশীল মনের যে-ব্যক্তিরা ঐশিক নির্দেশনা মেনে নিতে ইচ্ছুক, তাদেরকে সত্যিই সুখী বলা যেতে পারে।

তবে, এটা বিশ্বাস করা হয়তো আপনার পক্ষে কঠিন হতে পারে যে, যারা তাড়িত এবং নিন্দিত তারা সুখী হতে পারে। কিন্তু, এটা অবশ্যই সত্য হবে কারণ যিশু নিজে তা বলেছিলেন। তাই, তাঁর কথাগুলোকে কীভাবে বোঝা উচিত?

তাড়িত অথচ সুখী —কীভাবে তা হতে পারে?

লক্ষ করুন, যিশু বলেননি যে নিন্দা এবং তাড়নাই সুখ নিয়ে আসবে। যিশু শর্ত দিয়েছিলেন যে, “ধন্য [“সুখী,” NW] যাহারা ধার্ম্মিকতার জন্য তাড়িত হইয়াছে, . . . যখন লোকে আমার জন্য তোমাদিগকে নিন্দা ও তাড়না করে।” (মথি ৫:১০, ১১) তাই, একমাত্র তখনই সুখ আসে যদি একজন ব্যক্তি খ্রিস্টের অনুসারী হওয়ার এবং যিশু যে-ধার্মিক নীতিগুলো সম্বন্ধে শিখিয়েছিলেন, সেই অনুসারে জীবনযাপন করার জন্য নিন্দিত হন।

প্রাথমিক খ্রিস্টানদের বেলায় যা ঘটেছিল, সেটার মাধ্যমে তা তুলে ধরা হয়েছে। যিহুদিদের উচ্চ আদালত, মহাসভার সদস্যরা “প্রেরিতদিগকে কাছে ডাকিয়া প্রহার করিলেন, এবং যীশুর নামে কোন কথা কহিতে নিষেধ করিয়া ছাড়িয়া দিলেন।” প্রেরিতরা কেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছিল? “তখন তাঁহারা মহাসভার সম্মুখ হইতে চলিয়া গেলেন, আনন্দ করিতে করিতে গেলেন, কারণ তাঁহারা সেই নামের জন্য অপমানিত হইবার যোগ্যপাত্র গণিত হইয়াছিলেন। আর তাঁহারা প্রতিদিন ধর্ম্মধামে ও বাটীতে উপদেশ দিতেন, এবং যীশুই যে খ্রীষ্ট, এই সুসমাচার প্রচার করিতেন, ক্ষান্ত হইতেন না।” (বাঁকা অক্ষরে মুদ্রণ আমাদের।)—প্রেরিত ৫:৪০-৪২; ১৩:৫০-৫২.

নিন্দা এবং সুখের মধ্যে সম্পর্কের বিষয়ে প্রেরিত পিতর আরও বোধগম্যতা প্রদান করেন। তিনি লিখেছিলেন: “তোমরা যদি খ্রীষ্টের নাম প্রযুক্ত তিরস্কৃত হও, তবে তোমরা ধন্য [“সুখী,” NW]; কেননা প্রতাপের আত্মা, এমন কি, ঈশ্বরের আত্মা তোমাদের উপরে অবস্থিতি করিতেছেন।” (১ পিতর ৪:১৪) হ্যাঁ, খ্রিস্টান হিসেবে সঠিক কাজ করার জন্য কষ্টভোগ করা—যদিও এই ধরনের কষ্টভোগ প্রীতিকর নয়—সেই সুখ নিয়ে আসে, যা এই বিষয়টা জানার মাধ্যমে আসে যে একজন ব্যক্তি ঈশ্বরের আত্মা লাভ করেন। ঈশ্বরের আত্মা কীভাবে সুখের সঙ্গে যুক্ত?

মাংসের কার্য অথবা আত্মার ফল?

ঈশ্বরের আত্মা একমাত্র তাদের ওপর আসে, যারা ঈশ্বরকে একজন শাসক হিসেবে মেনে তাঁর বাধ্য থাকে। (প্রেরিত ৫:৩২) যিহোবা সেই সমস্ত ব্যক্তিকে পবিত্র আত্মা দেন না, যারা “মাংসের কার্য্য সকল” করে চলে। সেই কাজগুলো হল, “বেশ্যাগমন, অশুচিতা, স্বৈরিতা, প্রতিমাপূজা, কুহক, নানা প্রকার শত্রুতা, বিবাদ, ঈর্ষা, রাগ, প্রতিযোগিতা, বিচ্ছিন্নতা, দলভেদ, মাৎসর্য্য, মত্ততা, রঙ্গরস ও তৎসদৃশ অন্য অন্য দোষ।” (গালাতীয় ৫:১৯-২১) এটা ঠিক যে, আজকের জগতে “মাংসের কার্য্য সকল” খুবই সাধারণ। কিন্তু, যারা সেগুলো করে চলে, তারা প্রকৃত এবং স্থায়ী সুখ উপভোগ করে না। এর পরিবর্তে, সেই বিষয়গুলো করা আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব এবং পরিচিত ব্যক্তিদের সঙ্গে একজন ব্যক্তির উত্তম সম্পর্ককে নষ্ট করে দেয়। এ ছাড়া, ঈশ্বরের বাক্য বলে যে, যারা “এই প্রকার আচরণ করে, তাহারা ঈশ্বরের রাজ্যে অধিকার পাইবে না।”

এর বৈসাদৃশ্যে, ঈশ্বর সেই সমস্ত ব্যক্তিকে তাঁর আত্মা দেন, যারা “আত্মার ফল” গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করে। এই ফল যে-গুণগুলো নিয়ে গঠিত, সেগুলো হল “প্রেম, আনন্দ, শান্তি, দীর্ঘসহিষ্ণুতা, মাধুর্য্য, মঙ্গলভাব, বিশ্বস্ততা, মৃদুতা, ইন্দ্রিয়দমন।” (গালাতীয় ৫:২২, ২৩) আমরা যখন এই গুণগুলো দেখাই, তখন আমরা অন্যদের ও সেইসঙ্গে ঈশ্বরের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্কের অবস্থা তৈরি করি, যার ফলে প্রকৃত সুখ আসে। (বাক্স দেখুন।) আরও গুরুত্বপূর্ণ হল যে, প্রেম, মাধুর্য বা দয়া, মঙ্গলভাব এবং অন্যান্য ঈশ্বরীয় গুণাবলি দেখানোর মাধ্যমে আমরা যিহোবাকে খুশি করি এবং ঈশ্বরের নতুন ধার্মিক জগতে অনন্তজীবন পাওয়ার সুখী প্রত্যাশা আমাদের থাকে।

সুখ বেছে নেওয়ার এক বিষয়

জার্মানিতে বসবাসরত ভল্ফগ্যাঙ এবং ব্রিগিটি নামে এক দম্পতি যখন আন্তরিকভাবে বাইবেল অধ্যয়ন শুরু করেছিল, তখন তাদের বস্তুগত অনেক বিষয়সম্পদ ছিল, যা সুখী হওয়ার জন্য প্রয়োজন বলে লোকেরা মনে করে থাকে। তাদের বয়স কম ছিল এবং তাদের স্বাস্থ্য ভাল ছিল। তারা দামি কাপড়চোপড় পরত, আকর্ষণীয়ভাবে সাজানো এক বাড়িতে বাস করত এবং তাদের সফল ব্যাবসা ছিল। তাদের বেশির ভাগ সময় আরও বেশি বস্তুগত বিষয় পাওয়ার পিছনে চলে যেত কিন্তু সেগুলো তাদের প্রকৃত সুখ দিতে পারেনি। তবে, এক সময়ে ভল্ফগ্যাঙ এবং ব্রিগিটি এক গুরুত্বপূর্ণ বাছাই করেছিল। তারা আধ্যাত্মিক মূল্যবোধগুলোর পিছনে আরও বেশি সময় ও প্রচেষ্টা দিতে এবং যিহোবার আরও নিকটবর্তী হওয়ার উপায়গুলো খুঁজতে শুরু করেছিল। তাদের বাছাই শীঘ্রই তাদের আচরণে পরিবর্তন নিয়ে এসেছিল, যার ফলে এটা তাদের জীবনধারাকে আরও সাধাসিধে করতে এবং অগ্রগামী অথবা পূর্ণসময়ের রাজ্য সুসমাচার প্রচারক হিসেবে সেবা করতে পরিচালিত করেছিল। আজকে তারা জার্মানিতে যিহোবার সাক্ষিদের শাখা অফিসে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে সেবা করছে। এ ছাড়া, তারা এশিয়ার একটা ভাষা শিখছে, যাতে বিদেশিদের ঈশ্বরের বাক্য বাইবেলে পাওয়া সত্য সম্বন্ধে শিখতে সাহায্য করতে পারে।

এই দম্পতি কি প্রকৃত সুখ খুঁজে পেয়েছিল? ভল্ফগ্যাঙ বলেন: “যখন থেকে আমরা আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো অনুধাবন করার জন্য আরও বেশি যুক্ত হয়েছি, তখন থেকে আমরা আরও বেশি সুখী হয়েছি এবং আরও বেশি পরিতৃপ্তি বোধ করেছি। পূর্ণহৃদয়ে যিহোবাকে সেবা করা আমাদের বিবাহকেও শক্তিশালী করেছে। আগে আমাদের এক সুখী বিবাহ ছিল কিন্তু আমাদের যে-দায়দায়িত্ব এবং আগ্রহগুলো ছিল, তা আমাদের ভিন্ন দিকে নিয়ে যেত। কিন্তু এখন আমরা একসঙ্গে একই লক্ষ্যের দিকে ধাবিত হচ্ছি।”

সুখী হওয়ার জন্য কীসের প্রয়োজন?

সংক্ষেপে: “মাংসের কার্য্য সকল” এড়িয়ে চলুন এবং “[ঈশ্বরের] আত্মার ফল” গড়ে তোলার প্রচেষ্টা করুন। সুখী হওয়ার জন্য একজন ব্যক্তিকে ঈশ্বরের সঙ্গে নিকট সম্পর্ক রাখার আকুল আকাঙ্ক্ষা করা দরকার। যে-ব্যক্তি তা অর্জন করার প্রচেষ্টা করেন, তিনি যিশুর বর্ণিত সুখী ব্যক্তিদের একজন হবেন।

তাই, ভুলভাবে এই উপসংহারে আসবেন না যে, সুখ আপনার নাগালের বাইরে। এটা ঠিক যে, বর্তমানে আপনার হয়তো সুস্বাস্থ্য নেই অথবা আপনার বিবাহিত জীবনে হয়তো নানা সমস্যা রয়েছে। সম্ভবত, আপনার বাবামা হওয়ার সুযোগ পেরিয়ে গেছে বা আপনি হয়তো সফল কেরিয়ার লাভ করার জন্য প্রাণপণ চেষ্টা করছেন। আপনার পকেটে হয়তো আগের মতো এত টাকা নেই। তা সত্ত্বেও, সাহস করুন; আপনার হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই! ঈশ্বরের রাজ্য শাসন এই সমস্যাগুলো ও সেইসঙ্গে আরও শত শত সমস্যার সমাধান করবে। বস্তুত, শীঘ্রই যিহোবা ঈশ্বর গীতরচকের দ্বারা প্রকাশিত তাঁর এই প্রতিজ্ঞা পরিপূর্ণ করবেন: “তোমার রাজ্য সর্ব্বযুগের রাজ্য, . . . তুমিই আপন হস্ত মুক্ত করিয়া থাক, সমুদয় প্রাণীর বাঞ্ছা পূর্ণ করিয়া থাক।” (গীতসংহিতা ১৪৫:১৩, ১৬) সারা পৃথিবীতে যিহোবার লক্ষ লক্ষ দাস যেমন প্রমাণ দিতে পারে, যিহোবার এই আশ্বাসদায়ক প্রতিজ্ঞা মনে রাখা এখনই আপনার সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে বিরাট অবদান রাখবে।—প্রকাশিত বাক্য ২১:৩.

[পাদটীকা]

^ যিশুর এই প্রতিটা উক্তি গ্রিক শব্দ মাকারিই দিয়ে শুরু হয়। “ধন্য” হিসেবে অনুবাদ করার পরিবর্তে, যেমনটা বাংলা বাইবেলে করা হয়েছে, নতুন জগৎ অনুবাদ (ইংরেজি) এবং অন্যান্য অনুবাদ যেমন, দ্যা যিরূশালেম বাইবেল এবং টুডেজ ইংলিশ ভারসান, আরও সঠিক “সুখী” শব্দটি ব্যবহার করে।

[৬ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্র]

যে-বিষয়গুলো সুখী হওয়ার ক্ষেত্রে অবদান রাখে

প্রেম অন্যেদেরও প্রতিদানে আপনাকে প্রেম করতে বা ভালবাসতে পরিচালিত করে।

আনন্দ আপনাকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলো সহ্য করতে শক্তিশালী করে।

শান্তি আপনার সম্পর্ককে বিবাদমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

দীর্ঘসহিষ্ণুতা আপনাকে এমনকি আপনি যখন পরীক্ষার মধ্যে থাকেন, তখনও সুখী থাকতে সমর্থ করে।

মাধুর্য বা দয়া অন্যদেরকে আপনার নিকটে নিয়ে আসে।

মঙ্গলভাব দেখানো অন্যদের সাড়া দিতে পরিচালিত করে, যখন আপনার সাহায্যের প্রয়োজন হয়।

বিশ্বাস ঈশ্বরের প্রেমময় নির্দেশনা সম্বন্ধে আপনাকে নিশ্চিত করবে।

মৃদুতা আপনার হৃদয়, মন এবং শরীরের জন্য শান্তি নিয়ে আসবে।

ইন্দ্রিয়দমনের অর্থ হল যে আপনার ভুলগুলো কম হবে।

[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

সুখী হওয়ার জন্য আপনার আধ্যাত্মিক চাহিদাগুলো পূরণ করা প্রয়োজন