‘আমার প্রশিক্ষণের জন্য আনন্দিত’
‘আমার প্রশিক্ষণের জন্য আনন্দিত’
অল্পবয়সী মেয়ে কাজুনা বিস্ময়ে বাক্রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল, যখন তার শিক্ষক তাকে বলেছিলেন যে, তাকে একটা ইংরেজি বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হবে। এই প্রতিযোগিতা জাপানের উত্তরাংশের বৃহৎ হোক্কাইডো দ্বীপের সমস্ত স্কুলের জন্য উন্মুক্ত কিন্তু এর আগে কাজুনার স্কুলের কোনো ছাত্র-ছাত্রী কখনও এতে অংশ নেয়নি। প্রতিযোগিতার দিন কাজুনা খুব ঘাবড়ে গিয়েছিল কারণ তাকে আরও প্রায় ৫০ জন ছাত্র-ছাত্রীর সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হয়েছিল। দুজন বিচারককে দেখে সে আরও বেশি ঘাবড়ে গিয়েছিল কারণ সেই বিচারকদের মাতৃভাষা ছিল ইংরেজি।
পিছন দিক থেকে শুরু করে বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সবশেষে যখন কাজুনার নাম ডাকা হয়েছিল, তখন সে বিস্ময়ে বাক্শক্তি হারিয়ে ফেলেছিল। সে এবং তার পাশে বসা তার শিক্ষক বিস্ময়ে একে অন্যের দিকে তাকিয়ে ছিল। প্রচণ্ড বিস্ময় নিয়েও কাজুনা মঞ্চে গিয়েছিল এবং প্রথম পুরস্কারের ট্রফিটা গ্রহণ করেছিল!
“ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়ের মাধ্যমে যিহোবার সংগঠনের জোগানো প্রশিক্ষণের ফলেই এটা সম্ভব হয়েছিল,” কাজুনা আনন্দের সঙ্গে ব্যাখ্যা করেছিল। “আমি খুবই আনন্দিত যে, আমি এই প্রশিক্ষণ লাভ করেছি।” সেই বিদ্যালয় যিহোবার সাক্ষিদের মণ্ডলীর সভাগুলোরই একটা, যেটাতে কাজুনা খুব ছোটবেলা থেকেই অংশ নিয়ে এসেছে। সেই প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুতি নিতে গিয়ে কাজুনা মাইক্রোফোনের ব্যবহার, উষ্ণতা ও উদ্যমের সঙ্গে কথা বলা, অঙ্গভঙ্গি করা, শ্রোতাদের সঙ্গে সংযোগ এবং ঐশিক পরিচর্যা বিদ্যালয়ে শেখানো অন্যান্য বিষয়গুলোর প্রতি বিশেষ মনোযোগ দিয়েছিল।
দয়া করে এই বিদ্যালয় দেখতে আসার বিষয়ে আমাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করুন, যা প্রত্যেক সপ্তাহে যিহোবার সাক্ষিদের স্থানীয় একটা কিংডম হলে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। আপনি নিজেই দেখুন যে, এখান থেকে কীভাবে যুবক ও বৃদ্ধ উভয়েই উপকৃত হয়ে থাকে। এই সভা সকলের জন্য উন্মুক্ত। আপনার বাড়ির সবচেয়ে কাছাকাছি অনুষ্ঠিত এই বিদ্যালয় সম্বন্ধে আরও তথ্যের জন্য দয়া করে আপনার এলাকার যিহোবার সাক্ষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।