সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

যিশু খ্রিস্টকে কীভাবে স্মরণে রাখা উচিত?

যিশু খ্রিস্টকে কীভাবে স্মরণে রাখা উচিত?

যিশু খ্রিস্টকে কীভাবে স্মরণে রাখা উচিত?

“এতে কোনো সন্দেহ নেই যে এই পৃথিবীতে যারা লোকেদের ওপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছিল তাদের মধ্যে” যিশু খ্রিস্ট “একজন ছিলেন।”“দ্যা ওয়ার্ল্ড বুক এনসাইক্লোপিডিয়া।”

মহান ব্যক্তিদের সাধারণত তাদের কর্মের জন্য স্মরণ করা হয়। তা হলে, কেন অনেকে যিশু খ্রিস্টকে তাঁর কাজের চেয়ে বরং তাঁর জন্মের জন্য বেশি স্মরণ করে থাকে? খ্রিস্টীয়জগতের বেশির ভাগ লোক তাঁর জন্মের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ঘটনাগুলো বর্ণনা করতে পারে। কতজন ব্যক্তি তাঁর পর্বতেদত্ত পাওয়া উপদেশের চমৎকার শিক্ষাগুলো মনে করে থাকে এবং তা কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা করে?

এটা ঠিক যে, যিশুর জন্ম লক্ষণীয় ছিল কিন্তু তাঁর প্রাথমিক শিষ্যরা তিনি যা করেছিলেন এবং শিক্ষা দিয়েছিলেন, সেগুলোর প্রতি আরও বেশি গুরুত্ব আরোপ করেছিল। নিশ্চিতভাবেই, ঈশ্বর কখনও চাননি যে, একজন পরিপক্ব ব্যক্তি হিসেবে খ্রিস্টের জীবন তাঁর জন্মের দ্বারা ম্লান হয়ে যাক। তা সত্ত্বেও বড়দিন, যিশুর জন্ম সম্বন্ধে বিভিন্ন গল্প এবং লোককথার ভিড়ে খ্রিস্ট নামক ব্যক্তিটিকে ম্লান করে দেওয়ায় সফল হয়েছে।

আরেকটা ব্যাঘাতজনক প্রশ্ন ওঠে বড়দিন উদ্‌যাপনের ধরন নিয়ে। আজকে যদি যিশু পৃথিবীতে পুনরায় আগমন করতেন, তা হলে বড়দিনের পুরোদস্তুর ব্যবসায়িক মনোভাব সম্বন্ধে তিনি কেমন বোধ করতেন? দুই হাজার বছর আগে, যিশু যিরূশালেম মন্দির পরিদর্শন করেছিলেন। তিনি সেই সমস্ত পোদ্দার এবং বিক্রেতাদের ওপর প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন, যারা আর্থিক লাভের জন্য যিহুদি ধর্মীয় উৎসবের সুযোগ নিয়েছিল। “এ স্থান হইতে এ সকল লইয়া যাও,” তিনি বলেছিলেন। “আমার পিতার গৃহকে বাণিজ্যের গৃহ করিও না।” (যোহন ২:১৩-১৬) স্পষ্টতই, যিশু ব্যাবসাবাণিজ্য এবং ধর্মকে একত্রে মিশিয়ে ফেলাকে অনুমোদন করেননি।

অনেক আন্তরিক স্প্যানিশ ক্যাথলিক, বড়দিনের বেড়ে চলা বাণিজ্যিক অবস্থা সম্বন্ধে উদ্বেগ প্রকাশ করে। কিন্তু, বড়দিনের অনেক রীতিনীতির উৎসের কথা বিবেচনা করলে ব্যবসায়িক মনোভাবের প্রতি এই ধরনের প্রবণতা হয়তো অনিবার্য। সাংবাদিক খোয়ান আরিয়াস উল্লেখ করেন: “খ্রিস্টধর্মের মধ্যে যারা, বড়দিন যেভাবে ‘পৌত্তলিক’ হয়ে উঠেছে এবং ধর্মের চেয়ে বরং আনন্দফূর্তি ও কেনাকাটার হিড়িকের মধ্যে যেভাবে ডুবে রয়েছে সেই বিষয়গুলোর সমালোচনা করে, তারা সাধারণত জানে না যে, এমনকি যিশুর জন্মের উৎসের মধ্যে . . . ইতিমধ্যেই [সূর্য সম্বন্ধে] রোমীয় পৌত্তলিক উৎসবের বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য মিশে গিয়েছে।”—এল পাইস, ডিসেম্বর ২৪, ২০০১.

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক স্প্যানিশ সাংবাদিক এবং এনসাইক্লোপিডিয়া বড়দিনের ঐতিহ্যগত উৎসবের পৌত্তলিক উৎস ও সেইসঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পৃক্ততা সম্বন্ধে মন্তব্য করেছে। বড়দিন উদ্‌যাপনের তারিখ সম্বন্ধে এনসিক্লোপেদিয়া দ্য লা রেলিখন কাতোলিকা খোলাখুলিভাবে বলে: “পৌত্তলিক উৎসবের জায়গায় খ্রিস্টীয় উৎসবগুলোকে বসানোর জন্য এর প্রবণতার কারণেই রোমীয় গির্জা এই তারিখকে উৎসবের জন্য ধার্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হয়। . . . আমরা জানি যে, সেই সময় রোমে পৌত্তলিকরা নাতালিস ইনউইকতি, ‘অজেয় সূর্যের’ জন্ম উদ্‌যাপনের জন্য ২৫শে ডিসেম্বরকে আলাদা করে রেখেছিল।”

একইভাবে এনসিক্লোপেদিয়া ইসপানিকা মন্তব্য করে: “বড়দিন উদ্‌যাপনের জন্য ২৫শে ডিসেম্বর তারিখটা একেবারে সঠিক কালনিরূপণবিদ্যার তারিখের ওপর ভিত্তি করে নয় বরং রোমে মকরক্রান্তির সময় (২২শে ডিসেম্বরের কাছাকাছি) যে-উৎসবগুলো উদ্‌যাপন করা হতো, সেগুলোর খ্রিস্টীয়করণ।” রোমীয়রা কীভাবে শীতের আকাশে সূর্যোদয় উদ্‌যাপন করত? আনন্দোৎসব, হইহুল্লোড় এবং উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে। যেহেতু গির্জার কর্তৃপক্ষরা এই ধরনের জনপ্রিয় উৎসবকে লোপ করতে ইচ্ছুক ছিল না, তাই তারা এটাকে সূর্যের জন্মদিন বলার পরিবর্তে যিশুর জন্মদিন বলে “খ্রিস্টীয়করণ” করেছিল।

শুরুতে চতুর্থ ও পঞ্চম শতাব্দীতে সূর্য উপাসনা এবং এর প্রথাগুলোর প্রতি আসক্তিকে সহজে বন্ধ করা যায়নি। ক্যাথলিক “সাধু” আগস্টিন (সা.কা. ৩৫৪-৪৩০) সহবিশ্বাসীদের ২৫শে ডিসেম্বর উদ্‌যাপন না করার জন্য পরামর্শ দেওয়ার বাধ্যবাধকতা বোধ করেছিলেন, যা পৌত্তলিকরা সূর্যের সম্মানে করত। এমনকি আজকে প্রাচীন রোমীয় উৎসবগুলোর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে বলে মনে হয়।

আনন্দফূর্তি এবং কেনাকাটার জন্য আদর্শ উৎসব

শত শত বছর ধরে বেশ কিছু বিষয় বড়দিনকে আনন্দফূর্তি এবং কেনাকাটার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয়, আন্তর্জাতিক উদ্‌যাপন করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এ ছাড়া, অন্যান্য শীতকালীন উৎসবের প্রথাগুলো, বিশেষ করে যেগুলো উত্তর ইউরোপে উদ্‌যাপন করা হয়, সেগুলোও ধীরে ধীরে রোমীয় আদর্শের মতো হয়ে যায়। * আর বিংশ শতাব্দীতে বিক্রেতা এবং বিপণন বিশেষজ্ঞরা উদ্যোগের সঙ্গে এমন যেকোনো ধরনের প্রথা চালু করে, যা তাদের জন্য অনেক লাভজনক হতে পারে।

এর ফল কী হয়েছে? খ্রিস্টের জন্মের তাৎপর্যের চেয়ে বরং এটা উদ্‌যাপন করা সবচেয়ে প্রধান বিষয় হয়ে উঠেছে। অনেক ক্ষেত্রে, ঐতিহ্যগত বড়দিন থেকে এমনকি খ্রিস্টের বিষয়ে উল্লেখ করা পর্যন্ত প্রায় উধাও হয়ে গিয়েছে। “[বড়দিন] হল পৃথিবীব্যাপী এক উদ্‌যাপন, পরিবারের উৎসব এবং প্রত্যেকে যার যার মতো করে উদ্‌যাপন করে,” স্প্যানিশ সংবাদপত্র এল পাইস বলে।

এই মন্তব্য স্পেন এবং সারা পৃথিবীর অন্যান্য দেশে বেড়ে চলা প্রবণতা সম্বন্ধে তুলে ধরে। যদিও বড়দিন উদ্‌যাপন আগের চেয়ে আরও বেশি অসংযত হয়ে উঠছে কিন্তু খ্রিস্ট সম্বন্ধে জ্ঞান লোপ পাচ্ছে। বাস্তবিকপক্ষে, বড়দিনের উৎসবগুলো প্রায় সেই অবস্থাতেই ফিরে যাচ্ছে, যেমনটা মূলত রোমীয় সময়ে ছিল—হইহুল্লোড়, আনন্দোৎসব এবং উপহার বিনিময়।

একটি বালক আমাদের জন্য জন্মেছেন

খ্রিস্টের সঙ্গে যদি ঐতিহ্যগত বড়দিনের আসলেই কোনো সংযোগ না থাকে, তা হলে সত্য খ্রিস্টানদের কীভাবে খ্রিস্টের জন্ম এবং জীবন স্মরণ করা উচিত? যিশুর জন্মের সাতশো বছর আগে, যিশাইয় তাঁর সম্বন্ধে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন: “একটী বালক আমাদের জন্য জন্মিয়াছেন, একটী পুত্ত্র আমাদিগকে দত্ত হইয়াছে; আর তাঁহারই স্কন্ধের উপরে কর্ত্তৃত্বভার থাকিবে।” (যিশাইয় ৯:৬) যিশাইয় কেন বলেছিলেন যে, যিশুর জন্ম এবং পরবর্তী ভূমিকা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে? কারণ যিশু একজন পরাক্রমশালী শাসক হবেন। তাঁকে বলা হবে শান্তিরাজ আর তখন শান্তি অথবা তাঁর কর্তৃত্বভার বা রাজকীয় শাসনের শেষ হবে না। এ ছাড়া, যিশুর শাসনপদ “ন্যায়বিচারে ও ধার্ম্মিকতা সহকারে” থাকবে।—যিশাইয় ৯:৭.

গাব্রিয়েল দূত যখন মরিয়মের কাছে যিশুর আসন্ন জন্মের বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন, তখন যিশাইয়ের ঘোষণা পুনরাবৃত্তি করেছিলেন। “তিনি মহান্‌ হইবেন, আর তাঁহাকে পরাৎপরের পুত্ত্র বলা যাইবে,” দূত ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন। “আর প্রভু ঈশ্বর তাঁহার পিতা দায়ূদের সিংহাসন তাঁহাকে দিবেন; তিনি যাকোব-কুলের উপরে যুগে যুগে রাজত্ব করিবেন, ও তাঁহার রাজ্যের শেষ হইবে না।” (লূক ১:৩২, ৩৩) স্পষ্টতই, যিশুর জন্মের মূল তাৎপর্য সেই কাজের সঙ্গে যুক্ত, যা ঈশ্বরের রাজ্যের মনোনীত রাজা হিসেবে খ্রিস্ট সম্পাদন করবেন। খ্রিস্টের শাসন সকলকে উপকৃত করতে পারে, যাদের অন্তর্ভুক্ত আপনি এবং আপনার প্রিয়জনরা। বস্তুত, দূতেরা ইঙ্গিত দিয়েছিল যে, তাঁর জন্ম “পৃথিবীতে [তাঁহার] প্রীতিপাত্র মনুষ্যদের মধ্যে শান্তি” নিয়ে আসবে।—লূক ২:১৪.

শান্তি ও ন্যায়বিচারে পূর্ণ এক জগতে কে না বাস করতে চায়? কিন্তু, খ্রিস্টের শাসন যে-শান্তি নিয়ে আসবে, তা উপভোগ করার জন্য আমাদের ঈশ্বরকে প্রীত বা সন্তুষ্ট করতে হবে এবং তাঁর সঙ্গে এক উত্তম সম্পর্ক বজায় রাখতে হবে। যিশু বলেছিলেন যে, এই ধরনের সম্পর্কের প্রথম ধাপ হল ঈশ্বর ও খ্রিস্ট সম্বন্ধে শেখা। “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে,” যিশু বলেছিলেন, “তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।”—যোহন ১৭:৩.

যিশুকে ভালভাবে জানার পর আমরা জানতে চাইব যে, আমরা তাঁকে কীভাবে স্মরণ করি বলে তিনি চান। সেটা কি প্রাচীন পৌত্তলিক উৎসবের মতো একই তারিখে খাওয়াদাওয়া, পান করা এবং উপহার বিনিময়ের মাধ্যমে? সেটাকে অনুপযুক্ত বলে মনে হয়। মারা যাওয়ার আগের রাতে যিশু তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন যে, তিনি কী চান। “যে ব্যক্তি আমার আজ্ঞা সকল প্রাপ্ত হইয়া সে সকল পালন করে, সেই আমাকে প্রেম করে; আর যে আমাকে প্রেম করে, আমার পিতা তাহাকে প্রেম করিবেন; এবং আমিও তাহাকে প্রেম করিব।”—যোহন ১৪:২১.

যিহোবার সাক্ষিরা পবিত্র শাস্ত্র নিয়ে অনেক গবেষণা করেছে, যা তাদেরকে ঈশ্বর ও যিশুর আজ্ঞাগুলো বুঝতে সাহায্য করেছে। তারা আপনাকে সেই গুরুত্বপূর্ণ আজ্ঞাগুলো বুঝতে সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত হবে, যাতে আপনি যিশুকে যেভাবে স্মরণ করা উচিত সেভাবে স্মরণ করতে পারেন।

[পাদটীকা]

^ ক্রিসমাস ট্রি এবং স্যান্টা ক্লজের চরিত্র হল দুটো লক্ষণীয় উদাহরণ।

[৬, ৭ পৃষ্ঠার বাক্স/চিত্রগুলো]

বাইবেল কি আনন্দোৎসব এবং উপহার বিনিময় করতে নিষেধ করে?

উপহার প্রদান

বাইবেল উপহার দেওয়ার বিষয়ে প্রশংসা করে, স্বয়ং যিহোবাকে “সমস্ত উত্তম দান এবং সমস্ত সিদ্ধ বর” বা উপহার দাতা বলা হয়। (যাকোব ১:১৭) যিশু ইঙ্গিত দিয়েছিলেন যে, উত্তম বাবামা তাদের ছেলেমেয়েদের উপহার দিয়ে থাকে। (লূক ১১:১১-১৩) ইয়োবের বন্ধুরা এবং পরিবারের সদস্যরা ইয়োবকে উপহার দিয়েছিল, যখন তিনি সুস্থ হয়ে উঠেছিলেন। (ইয়োব ৪২:১১) কিন্তু এই ধরনের কোনো উপহারের জন্যই নির্দিষ্ট উৎসবমুখর দিনের প্রয়োজন হয়নি। এগুলো হৃদয় থেকে এসেছিল।—২ করিন্থীয় ৯:৭.

পারিবারিক মেলামেশা

পারিবারিক মেলামেশা পরিবারের সদস্যদের একত্রিত করার ক্ষেত্রে অবদান রাখতে পারে, বিশেষ করে তারা যদি একই ঘরে না থেকে থাকে। যিশু এবং তাঁর শিষ্যরা কান্না নগরের এক বিবাহভোজে যোগদান করেছিলেন, যা নিঃসন্দেহে পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের এক বিরাট সমাবেশ ছিল। (যোহন ২:১-১০) আর যিশুর অপব্যয়ী পুত্রের দৃষ্টান্তে বাবা তার পুত্রের ফিরে আসা পারিবারিক ভোজ সহকারে উদ্‌যাপন করেছিলেন, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল গানবাজনা ও নাচ।—লূক ১৫:২১-২৫.

সুস্বাদু খাবার উপভোগ করা

বাইবেল প্রায়ই ঈশ্বরের দাসদের পরিবার, বন্ধুবান্ধব অথবা সহউপাসকদের সঙ্গে সুস্বাদু খাবার উপভোগ করার বিষয়ে বলে। তিন জন দূত যখন অব্রাহামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে এসেছিল, তখন তিনি তাদের জন্য ভোজ প্রস্তুত করেছিলেন, যার অন্তর্ভুক্ত ছিল গরুর মাংস, দুধ, মাখন এবং পিষ্টক। (আদিপুস্তক ১৮:৬-৮) শলোমন ‘ভোজন পান ও আমোদকে’ ঈশ্বরের দান বলে বর্ণনা করেছিলেন।—উপদেশক ৩:১৩; ৮:১৫.

স্পষ্টতই, ঈশ্বর চান আমরা যেন বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে সুস্বাদু খাবার উপভোগ করি আর তিনি উপহার দেওয়াকে অনুমোদন করেন। সারাবছর ধরে যেকোনো সময়ে তা করার অনেক সুযোগ আমাদের রয়েছে।