খাবারের সময় শুধুমাত্র খাওয়ার জন্যই নয়!
খাবারের সময় শুধুমাত্র খাওয়ার জন্যই নয়!
প্রত্যেকেই এক সুস্বাদু খাবার উপভোগ করে থাকে। আর খাবারের সঙ্গে প্রিয়জনদের সঙ্গে উত্তম কথাবার্তা এবং উষ্ণ মেলামেশা যুক্ত হলে তা এক আনন্দদায়ক সময় হয়ে উঠবে, যা শুধুমাত্র আমাদের খিদে নিবারণের চেয়ে আরও বেশি কিছু করে থাকে। অনেক পরিবার দিনের মধ্যে অন্তত একবার একসঙ্গে খাবার খাওয়াকে অভ্যাসে পরিণত করে। খাবারের সময়টা একটা পরিবারকে দিনের ঘটনাবলি এবং পরিকল্পনাগুলো আলোচনা করার সুযোগ প্রদান করে। যে-বাবামায়েরা তাদের ছেলেমেয়েদের মন্তব্য এবং অভিব্যক্তিগুলো শুনে থাকে, তারা তাদের ছোট বাচ্চাদের চিন্তাভাবনা ও অনুভূতির এক পূর্বাভাস পায়। সময় কেটে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, খাবারের সময়ে উপভোগ্য সুখী স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ মেলামেশা পরিবারের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ, নির্ভরতা এবং ভালবাসা গড়ে তোলে, যা পরিবারের স্থিরতা বৃদ্ধি করে।
আজকে, যেহেতু পরিবারের সদস্যরা ব্যস্ত এবং সবসময় বিভিন্ন জায়গায় ছুটোছুটি করে থাকে, তাই একবার খাবার খাওয়ার জন্য একত্রিত হওয়াটা তাদের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। বিশ্বের কোনো কোনো জায়গায় স্থানীয় সংস্কৃতি পরিবারের সকলের একসঙ্গে খাওয়াদাওয়া করাকে বা এমনকি খাবারের সময়টাতে কথাবার্তা বলাকে তেমন ভাল চোখে দেখে না। আবার কিছু পরিবারের খাবার খাওয়ার সময় টিভি চালু করে দেওয়ার অভ্যাস রয়েছে, যা যেকোনো অর্থপূর্ণ ভাববিনিময় করার সুযোগকে একেবারেই কেড়ে নেয়।
যাই হোক, খ্রিস্টান বাবামায়েরা তাদের পরিবারকে গেঁথে তোলার জন্য সবসময় সুযোগ খোঁজার বিষয়ে সচেতন থাকে। (হিতোপদেশ ২৪:২৭) অনেক বছর আগে বাবামাকে বলা হয়েছিল যে, তাদের সন্তানদের সঙ্গে ঈশ্বরের বাক্যের বিষয়ে কথাবার্তা বলার সবচেয়ে উত্তম সুযোগ হচ্ছে, যখন তারা ‘গৃহে বসিয়া থাকে।’ (দ্বিতীয় বিবরণ ৬:৭) একসঙ্গে খাবার খাওয়ার জন্য দিনে একবার নিয়মিতভাবে একত্র হওয়া বাবামাকে তাদের সন্তানদের মধ্যে যিহোবার জন্য এবং তাঁর ধার্মিক নীতিগুলোর জন্য গভীর ভালবাসা গড়ে তোলার এক অতুলনীয় সুযোগ করে দেয়। এক সুখী এবং স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তোলার মাধ্যমে আপনি আপনার পরিবারের জন্যও খাবারের সময়কে উপভোগ্য এবং গঠনমূলক করে তুলতে পারেন। হ্যাঁ, খাবারের সময় শুধুমাত্র খাওয়ার জন্যই নয়!