সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার জীবন কতটা মূল্যবান?

আপনার জীবন কতটা মূল্যবান?

আপনার জীবন কতটা মূল্যবান?

 প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় যেখানে অসংখ্য জীবন বলি দেওয়া হচ্ছিল, সেখানে আ্যন্টার্কটিকায় জীবন বাঁচানোর জন্য অসাধারণ প্রচেষ্টা করা হচ্ছিল। আ্যংলো-আইরিশ অভিযাত্রী আরনেস্ট শ্যাকলটন এবং তার সহযাত্রীরা আকস্মিক বিপর্যয়ের মুখে পড়ে, যখন তাদের জাহাজ এনডিউরেন্স সমুদ্রে ভাসমান বড় বড় তুষারখণ্ডের কারণে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে ডুবে যায়। শ্যাকলটন তার লোকেদের—নামেমাত্র—নিরাপদ আশ্রয়স্থান, দক্ষিণ আটলান্টিক মহাসাগরের এলিফ্যান্ট দ্বীপে নিয়ে যেতে সক্ষম হন। কিন্তু তখনও তারা মারাত্মক বিপদের মধ্যে ছিল।

শ্যাকলটন উপলব্ধি করেন যে, তাদের রক্ষা পাওয়ার একমাত্র আশা, সাহায্যের জন্য দক্ষিণ জর্জিয়া দ্বীপের তিমিশিকার কেন্দ্রস্থলে কয়েক জনকে পাঠানোর ওপর নির্ভর করে। সেটা ১,১০০ কিলোমিটার দূরে এবং তার কাছে মাত্র ৭ মিটার লম্বা এক লাইফবোট রয়েছে, যেটাকে তিনি এনডিউরেন্স থেকে উদ্ধার করেছেন। তাদের খুব একটা ভাল প্রত্যাশা ছিল না।

কিন্তু, ১৭ দিনের দুঃসহ সময় কেটে যাওয়ার পর ১৯১৬ সালের ১০ই মে শ্যাকলটন এবং এক ছোট্ট দল দক্ষিণ জর্জিয়ায় যায় কিন্তু সমুদ্রের উত্তাল অবস্থা তাদেরকে দ্বীপের ভুল জায়গায় নামতে বাধ্য করে। চূড়ান্ত গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য তাদেরকে অপরিচিত তুষারাবৃত পাহাড়ের মধ্যে দিয়ে সুদীর্ঘ ৩০ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করতে হয়েছিল। এই সমস্ত বাধা সত্ত্বেও—হিমাঙ্কের নিচে তাপমাত্রা এবং পাহাড়ে চড়ার সঠিক সরঞ্জাম ছাড়া—শ্যাকলটন এবং তার সহযোগীরা তাদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছান এবং অবশেষে তিনি আটকে থাকা তার সমস্ত লোককে উদ্ধার করেন। কেন শ্যাকলটন এই ধরনের কঠোর প্রচেষ্টা করেছিলেন? জীবনীকার রোল্যান্ড হান্টফোর্ড লেখেন, “তার একটা লক্ষ্য” ছিল “তার প্রত্যেকটা লোককে জীবিত নিয়ে আসা।”

“তাহাদের একটাও অনুপস্থিত থাকে না”

কী শ্যাকলটনের লোকেদেরকে সম্পূর্ণভাবে হতাশ হয়ে পড়া থেকে রক্ষা করেছিল, যখন তারা “একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত পর্যন্ত ৩০ কিলোমিটার পরিব্যাপ্ত জনহীন এবং পাথর ও বরফময় এক দুর্গম জায়গায়” একসঙ্গে জড়োসড়ো হয়ে অপেক্ষা করছিল? তাদের এই আস্থা ছিল যে, তাদের নেতা উদ্ধার করার বিষয়ে তাদের যে-প্রতিজ্ঞা করেছেন তা তিনি রাখবেন।

মানবজাতি আজকে অনেকটা এলিফ্যান্ট দ্বীপে আটকে পড়া সেই অসহায় লোকেদের মতো। অনেকে অবিশ্বাস্য প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে বাস করছে এবং কেবল বেঁচে থাকার জন্য কঠোর সংগ্রাম করছে। তবুও, তারা পূর্ণ আস্থা রাখতে পারে যে, ঈশ্বর অত্যাচার ও দুর্দশা থেকে ‘দুঃখীকে উদ্ধার’ করবেন। (ইয়োব ৩৬:১৫) নিশ্চিত থাকুন যে, ঈশ্বর প্রত্যেকের জীবনকে মূল্যবান বলে গণ্য করেন। “সঙ্কটের দিনে আমাকে ডাকিও,” সৃষ্টিকর্তা যিহোবা ঈশ্বর বলেন এবং “আমি তোমাকে উদ্ধার করিব।”—গীতসংহিতা ৫০:১৫.

এটা বিশ্বাস করা কি আপনার পক্ষে কঠিন যে, সৃষ্টিকর্তা আপনাকে—পৃথিবীর লক্ষ লক্ষ লোকের মধ্যে কেবল একজন ব্যক্তিকে—ব্যক্তিগতভাবে মূল্যবান বলে গণ্য করেন? তা হলে ভাববাদী যিশাইয় আমাদের চারপাশের বিশাল নিখিলবিশ্বে কোটি কোটি ছায়াপথের মধ্যে কোটি কোটি তারার বিষয়ে কী লিখেছিলেন, তা লক্ষ করুন। আমরা পড়ি: “ঊর্দ্ধ্বদিকে চক্ষু তুলিয়া দেখ, ঐ সকলের সৃষ্টি কে করিয়াছে? তিনি বাহিনীর ন্যায় সংখ্যানুসারে তাহাদিগকে বাহির করিয়া আনেন, সকলের নাম ধরিয়া তাহাদিগকে আহ্বান করেন; তাঁহার সামর্থ্যের আধিক্য ও শক্তির প্রাবল্য প্রযুক্ত তাহাদের একটাও অনুপস্থিত থাকে না।”—যিশাইয় ৪০:২৬.

এর অর্থ কী, তা কি আপনি উপলব্ধি করতে পারছেন? আমাদের মিল্কিওয়ে ছায়াপথে—যার মধ্যে আমাদের সৌরজগৎ কেবল একটা অংশ—কমপক্ষে ১০,০০০ কোটি তারা রয়েছে। এ ছাড়া, আরও কতগুলো ছায়াপথ রয়েছে? কেউই তা নিশ্চিতভাবে জানে না কিন্তু কেউ কেউ অনুমান করেছে যে, ১২,৫০০ কোটি। সেখানে কত বিপুল সংখ্যক তারাই না রয়েছে! অথচ, বাইবেল বলে যে, নিখিলবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেকটা তারার নাম জানেন।

“তোমাদের মস্তকের কেশগুলিও সমস্ত গণিত আছে”

‘কিন্তু,’ কেউ আপত্তি জানাতে পারে, ‘কেবল কোটি কোটি তারার—অথবা কোটি কোটি লোকের—নাম জানার অর্থ এই নয় যে, ব্যক্তিগতভাবে তাদের জন্য চিন্তা করা হয়।’ পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতা রয়েছে, এমন একটা কমপিউটার কোটি কোটি লোকের নাম তালিকাভুক্ত করে রাখতে পারে। তবে, কেউই মনে করবে না যে, কমপিউটার তাদের একজনের জন্যও চিন্তা করে। কিন্তু, বাইবেল দেখায় যে, যিহোবা ঈশ্বর কেবল কোটি কোটি লোকের নামই জানেন, তা নয় কিন্তু সেইসঙ্গে তিনি ব্যক্তিগতভাবে তাদের জন্য চিন্তা করেন। “তোমাদের সমস্ত ভাবনার ভার তাঁহার উপরে ফেলিয়া দেও,” প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন, “কেননা তিনি তোমাদের জন্য চিন্তা করেন।”—১ পিতর ৫:৭.

যিশু খ্রিস্ট বলেছিলেন: “দুইটী চড়াই পাখী কি এক পয়সায় বিক্রয় হয় না? আর তোমাদের পিতার অনুমতি বিনা তাহাদের একটীও ভূমিতে পড়ে না। কিন্তু তোমাদের মস্তকের কেশগুলিও সমস্ত গণিত আছে। অতএব ভয় করিও না, তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ।” (মথি ১০:২৯-৩১) লক্ষ করুন, যিশু বলেননি যে, চড়ুই পাখি এবং মানুষের কী হয়, ঈশ্বর কেবল সেই সম্বন্ধে অবগত থাকবেন। তিনি বলেছিলেন: “তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ।” কেন আপনি আরও বেশি শ্রেষ্ঠ? কারণ আপনি ‘ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তিতে’ সৃষ্ট অর্থাৎ নৈতিক, বুদ্ধিসম্পন্ন এবং আধ্যাত্মিক গুণাবলি গড়ে তোলা ও সেগুলো প্রদর্শন করার ক্ষমতা আপনার রয়েছে, যেগুলো ঈশ্বরের নিজের উচ্চ গুণগুলো প্রতিফলিত করে।—আদিপুস্তক ১:২৬, ২৭.

“বুদ্ধিমান কাজের ফলাফল”

সেই সমস্ত ব্যক্তির কথার দ্বারা ভ্রান্ত হবেন না, যারা সৃষ্টিকর্তা বলে যে কেউ আছেন, সেই বিষয়টা অস্বীকার করে। তাদের মতে প্রকৃতির অন্ধ, নৈর্ব্যক্তিক শক্তি আপনাকে সৃষ্টি করেছে। তারা দাবি করে যে, ‘ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তিতে’ সৃষ্টি হওয়া তো দূরের কথা আপনি এই গ্রহের অন্যান্য প্রাণীদের থেকে কোনো মতেই আলাদা নন—যার অন্তর্ভুক্ত চড়ুই পাখি।

আপনার কাছে এটাকে কি সত্যিই যুক্তিযুক্ত বলে মনে হয় যে, এখানে জীবন এমনি এমনি অথবা অন্ধ শক্তির মাধ্যমে এসেছে? আণবিক জীববিজ্ঞানী মাইকেল জে. বিহির মতানুসারে “অত্যন্ত জটিল জৈবরসায়ন প্রক্রিয়া,” যা জীবনকে নিয়ন্ত্রণ করে, তা সেই ধারণাকে পুরোপুরিভাবে অযৌক্তিক করে তোলে। তিনি বলেন, জৈবরসায়নের সাক্ষ্যপ্রমাণ এই অপরিহার্য উপসংহারের দিকে পরিচালিত করে যে, “সবচেয়ে প্রাথমিক স্তরে পৃথিবীতে জীবন . . . হল বুদ্ধিমান কাজের ফলাফল।”—ডারউইনের কালো বাক্স—ক্রমবিবর্তনবাদের প্রতি জৈবরসায়নের প্রতিদ্বন্দ্বিতা (ইংরেজি)।

বাইবেল আমাদের জানায় যে, সমস্ত দিক দিয়ে পৃথিবীতে জীবন হল বুদ্ধিমান কাজের ফলাফল। আর এটা বলে যে, এই সমস্ত বুদ্ধিমান কাজের উৎস হলেন নিখিলবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা যিহোবা ঈশ্বর।—গীতসংহিতা ৩৬:৯; প্রকাশিত বাক্য ৪:১১.

বেদনা এবং দুঃখকষ্টে পূর্ণ এক জগতে আমাদের সহ্য করে যেতে হবে এই বাস্তবতা যেন আপনার এই বিশ্বাসকে দমিয়ে না দেয় যে, পৃথিবী এবং এখানে উপস্থিত সমস্ত জীবনের একজন সৃষ্টিকর্তা এবং নির্মাণকর্তা আছেন। দুটো প্রধান সত্য মনে রাখুন। একটা হল আমাদের চারপাশে বিদ্যমান অসিদ্ধতা ঈশ্বর তৈরি করেননি। আরেকটা হল, এই অসিদ্ধতাকে সাময়িকভাবে থাকতে দেওয়ার পিছনে কিছু উত্তম কারণ আমাদের সৃষ্টিকর্তার রয়েছে। এই পত্রিকা যেমন প্রায়ই আলোচনা করেছে যে, যিহোবা ঈশ্বর কেবল সীমিত সময়ের জন্য মন্দতা থাকতে দিয়েছেন—যাতে নৈতিক বিচার্য বিষয়গুলো স্থায়ীভাবে মীমাংসিত হয়, যেগুলো প্রথম মানব দম্পতি যখন তাঁর সার্বভৌমত্বকে প্রত্যাখ্যান করেছিল, সেই সময়ে উত্থাপিত হয়েছিল। *আদিপুস্তক ৩:১-৭; দ্বিতীয় বিবরণ ৩২:৪, ৫; উপদেশক ৭:২৯; ২ পিতর ৩:৮, ৯.

‘তিনি আর্ত্তনাদকারী দরিদ্রকে উদ্ধার করিবেন’

অবশ্য, আজকে অনেক লোকেকে চরম অবস্থাগুলো ভোগ করতে হলেও, জীবন হল এক অপূর্ব দান। আর তা রক্ষা করার জন্য আমরা সমস্তকিছুই করে থাকি। ঈশ্বর যে-ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিজ্ঞা করেন, তা কঠিন এবং বেদনাদায়ক পরিস্থিতিগুলোতে—এলিফ্যান্ট দ্বীপে শ্যাকলটনের লোকেদের মতো—কেবল বেঁচে থাকার সংগ্রাম করার চেয়ে আরও বেশি কিছু। ঈশ্বরের উদ্দেশ্য হল বর্তমানে বিদ্যমান ব্যথা এবং অসারতা থেকে আমাদের উদ্ধার করা, যাতে আমরা “প্রকৃতরূপে জীবন, তাহাই ধরিয়া রাখিতে” পারি, যা মনুষ্য সৃষ্টি সম্বন্ধে ঈশ্বরের আদি উদ্দেশ্য ছিল।—১ তীমথিয় ৬:১৯.

ঈশ্বর এই সমস্তকিছুই করবেন কারণ আমরা প্রত্যেকে তাঁর চোখে মূল্যবান। মুক্তির মূল্য প্রদান করার জন্য তিনি তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টের ব্যবস্থা করেন, যে-মুক্তির মূল্য আমাদের আদি পিতামাতা আদম ও হবার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া পাপ, অসিদ্ধতা এবং মৃত্যু থেকে আমাদের মুক্ত করার জন্য প্রয়োজন। (মথি ২০:২৮) “ঈশ্বর জগৎকে এমন প্রেম করিলেন,” যিশু খ্রিস্ট বলেছিলেন, “যে, আপনার একজাত পুত্ত্রকে দান করিলেন, যেন, যে কেহ তাঁহাতে বিশ্বাস করে, সে . . . অনন্ত জীবন পায়।”—যোহন ৩:১৬.

যাদের জীবন এখন বেদনা এবং অত্যাচার দ্বারা জর্জরিত হচ্ছে তাদের জন্য ঈশ্বর কী করবেন? তাঁর পুত্র সম্বন্ধে ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য বলে: “তিনি আর্ত্তনাদকারী দরিদ্রকে, এবং দুঃখী ও নিঃসহায়কে উদ্ধার করিবেন। তিনি দীনহীন ও দরিদ্রের প্রতি দয়া করিবেন, তিনি দরিদ্রগণের প্রাণ নিস্তার করিবেন। তিনি চাতুরী ও দৌরাত্ম্য হইতে তাহাদের প্রাণ মুক্ত করিবেন।” কেন তিনি তা করবেন? কারণ “তাঁহার দৃষ্টিতে তাহাদের রক্ত [অথবা তাহাদের জীবন] বহুমূল্য হইবে।”—গীতসংহিতা ৭২:১২-১৪.

শত শত বছর ধরে মানবজাতি পাপ এবং মৃত্যুর কষ্টকর বোঝা বহন করে আসছে, ঠিক যেন অনেক বেদনা এবং কষ্টের কারণে “আর্ত্তস্বর করিতেছে।” ঈশ্বর শুধু এই জন্যই তা থাকতে দিয়েছেন কারণ তিনি জানেন যে, যেকোনো ক্ষতি এর কারণে হোক না কেন, তা তিনি দূর করতে পারেন। (রোমীয় ৮:১৮-২২) খুব শীঘ্রই তিনি তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্টের হস্তে তাঁর রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে ‘সমস্ত বিষয়ের পুনঃস্থাপন’ করবেন।—প্রেরিত ৩:২১; মথি ৬:৯, ১০.

এর অন্তর্ভুক্ত সেই সমস্ত ব্যক্তির পুনরুত্থান, যারা অতীতে কষ্টভোগ করে মারা গিয়েছে। তারা ঈশ্বরের স্মৃতিতে রয়েছে। (যোহন ৫:২৮, ২৯; প্রেরিত ২৪:১৫) শীঘ্রই তারা জীবন “উপচয়” পাবে—পরমদেশ পৃথিবীতে সিদ্ধতায় অনন্তজীবন, যা ব্যথা এবং দুঃখকষ্ট থেকে মুক্ত। (যোহন ১০:১০; প্রকাশিত বাক্য ২১:৩-৫) জীবিত প্রত্যেকে পূর্ণরূপে জীবন উপভোগ করতে পারবে এবং সেই অপূর্ব গুণাবলি এবং ক্ষমতা গড়ে তুলতে পারবে, যা তাদের বৈশিষ্ট্য হবে, যারা ‘ঈশ্বরের প্রতিমূর্ত্তিতে’ সৃষ্ট।

যিহোবা যে জীবনের প্রতিজ্ঞা করেছেন আপনি কি তা উপভোগ করার জন্য বেঁচে থাকবেন? সেটা আপনার ওপর নির্ভর করে। এই সমস্ত আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য ঈশ্বর যে-ব্যবস্থাগুলো করেছেন, সেগুলো থেকে উপকার লাভ করার জন্য আমরা আপনাকে অনুরোধ জানাচ্ছি। এই পত্রিকার প্রকাশকরা আপনাকে তা করার জন্য সাহায্য করতে পেরে আনন্দিত হবে।

[পাদটীকা]

^ এই বিষয়টা বিস্তারিত আলোচনার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত জ্ঞান যা অনন্তজীবনে পরিচালিত করে বইয়ের “কেন ঈশ্বর কষ্টভোগের অনুমতি দিয়েছেন?” নামক ৮ অধ্যায়টা দেখুন।

[৪, ৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

আটকে পড়া লোকেদের আস্থা ছিল যে, শ্যাকলটন উদ্ধার করার বিষয়ে তার প্রতিজ্ঞা রাখবেন

[সৌজন্যে]

© CORBIS

[৬ পৃষ্ঠার চিত্র]

“তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ”