সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনার ওপর যিশু খ্রিস্টের কোন প্রভাব রয়েছে?

আপনার ওপর যিশু খ্রিস্টের কোন প্রভাব রয়েছে?

আপনার ওপর যিশু খ্রিস্টের কোন প্রভাব রয়েছে?

 আগের প্রবন্ধে আমরা যা আলোচনা করেছি তার পরিপ্রেক্ষিতে, যিশুর শিক্ষাগুলোর যে বিশ্বব্যাপী এক জোরালো প্রভাব রয়েছে সেই বিষয়ে কি কোনো সন্দেহ থাকতে পারে? কিন্তু আমাদের প্রত্যেককে যে-প্রশ্নটি জিজ্ঞেস করা উচিত সেটা হল, “যিশুর শিক্ষাগুলো আমার ওপর ব্যক্তিগতভাবে কী প্রভাব ফেলেছে?”

যিশুর শিক্ষাগুলো বিবিধ বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করে। সেগুলো যে-মূল্যবান শিক্ষা প্রদান করে, তা আপনার জীবনের প্রতিটা দিককে প্রভাবিত করতে পারে। জীবনের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে প্রথমে রাখার, ঈশ্বরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার, অন্যদের সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক স্থাপন করার, সমস্যাগুলোকে সমাধান করার এবং দৌরাত্ম্যপূর্ণ কাজকর্ম থেকে দূরে থাকার বিষয়ে যিশু যা শিক্ষা দিয়েছিলেন, আসুন আমরা সেগুলোর ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করি।

জীবনে অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে প্রথমে রাখুন

আজকের কর্মব্যস্ত জগৎ আমাদের এত সময় এবং শক্তি কেড়ে নেয় যে, সেগুলোর ভিড়ে আধ্যাত্মিক আলোচনাগুলো প্রায়ই চাপা পড়ে যায়। ২০-র কোঠায় বয়স এমন একজন ব্যক্তির পরিস্থিতি বিবেচনা করুন, যাকে আমরা জেরি বলে ডাকব। যদিও জেরি আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা পছন্দ করে এবং সেগুলো থেকে সে যা শেখে তা খুবই মূল্যবান বলে মনে করে কিন্তু সে দুঃখ করে বলে: “সেগুলোতে সবসময় লেগে থাকার সময় আমার একেবারেই নেই। সপ্তাহে ছয় দিন আমি কাজ করি। শুধু রবিবার আমার সাপ্তাহিক ছুটির দিন। আর যেসমস্ত কাজ আমাকে অবশ্যই করতে হবে সেগুলোর যত্ন নেওয়ার পর আমি খুবই ক্লান্ত হয়ে পড়ি।” আপনার পরিস্থিতিও যদি এইরকম হয়ে থাকে, তা হলে পর্বতেদত্ত উপদেশে যিশু যা যা শিক্ষা দিয়েছিলেন, সেগুলো থেকে আপনি উপকার পেতে পারেন।

যিশুর কথা শোনার জন্য যে-জনতা সমবেত হয়েছিল, তাদের তিনি বলেছিলেন: “‘কি ভোজন করিব, কি পান করিব’ বলিয়া প্রাণের বিষয়ে, কিম্বা ‘কি পরিব’ বলিয়া শরীরের বিষয়ে ভাবিত হইও না; ভক্ষ্য হইতে প্রাণ ও বস্ত্র হইতে শরীর কি বড় বিষয় নয়? আকাশের পক্ষীদের প্রতি দৃষ্টিপাত কর; তাহারা বুনেও না, কাটেও না, গোলাঘরে সঞ্চয়ও করে না, তথাপি তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন; তোমরা কি তাহাদের হইতে অধিক শ্রেষ্ঠ নও? . . . অতএব ইহা বলিয়া ভাবিত হইও না যে, ‘কি ভোজন করিব?’ বা ‘বা কি পান করিব?’ বা ‘কি পরিব?’ কেননা পরজাতীয়েরাই এই সকল বিষয় চেষ্টা করিয়া থাকে; তোমাদের স্বর্গীয় পিতা ত জানেন যে এই সকল দ্রব্যে তোমাদের প্রয়োজন আছে। কিন্তু তোমরা প্রথমে তাঁহার রাজ্য ও তাঁহার ধার্ম্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।” (মথি ৬:২৫-৩৩) এর থেকে আমরা কী শিখি?

যিশু বলছিলেন না যে, আমাদের শারীরিক প্রয়োজন এবং আমাদের পরিবারের সদস্যদের প্রয়োজনগুলোর যত্ন নেওয়াকে আমাদের উপেক্ষা করা উচিত। বাইবেল বলে, “কেহ যদি আপনার সম্পর্কীয় লোকদের বিশেষতঃ নিজ পরিজনগণের জন্য চিন্তা না করে, তাহা হইলে সে বিশ্বাস অস্বীকার করিয়াছে, এবং অবিশ্বাসী অপেক্ষা অধম হইয়াছে।” (১ তীমথিয় ৫:৮) কিন্তু, যিশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন যে, আমরা যদি সবচেয়ে জরুরি বিষয়গুলোকে সবার আগে রাখি এবং আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দিই, তা হলে ঈশ্বর অন্যান্য প্রয়োজন মেটানোর বিষয়টাও নিশ্চিত করবেন। এখানে শিক্ষণীয় বিষয়টা হল, অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোকে প্রথমে রাখা। এই পরামর্শ মেনে চলা সুখের দিকে পরিচালিত করে, কারণ “সুখী তারা যারা তাদের আধ্যাত্মিক চাহিদা সম্বন্ধে সচেতন।”—মথি ৫:৩, NW.

ঈশ্বরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তুলুন

যারা তাদের আধ্যাত্মিক চাহিদা সম্বন্ধে সচেতন তারা ঈশ্বরের সঙ্গে এক উত্তম সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারে। কীভাবে আমরা যেকারোর সঙ্গে এক উত্তম সম্পর্ক গড়ে তুলি? আমরা কি সেই ব্যক্তিকে আরও ভাল করে জানার চেষ্টা করি না? তার দৃষ্টিভঙ্গি, মনোভাব, কর্মক্ষমতা, সম্পাদন, পছন্দ ও অপছন্দগুলো সম্বন্ধে জানার জন্য আমাদের অবশ্যই সময় করে নিতে হবে। ঈশ্বরের সঙ্গে বন্ধুত্ব গড়ে তোলার বিষয়েও একই বিষয় প্রযোজ্য। তাঁর সম্বন্ধে সঠিক জ্ঞান নেওয়া দরকার। ঈশ্বরের কাছে তাঁর শিষ্যদের সম্বন্ধে প্রার্থনা করার সময় যিশু বলেছিলেন: “আর ইহাই অনন্ত জীবন যে, তাহারা তোমাকে, একমাত্র সত্যময় ঈশ্বরকে, এবং তুমি যাঁহাকে পাঠাইয়াছ, তাঁহাকে, যীশু খ্রীষ্টকে, জানিতে পায়।” (যোহন ১৭:৩) হ্যাঁ, ঈশ্বরের সঙ্গে অন্তরঙ্গতা গড়ে তোলার জন্য আমাদের তাঁকে জানা প্রয়োজন। সেই জ্ঞানের একমাত্র উৎস হল ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য বাইবেল। (২ তীমথিয় ৩:১৬) শাস্ত্র অধ্যয়ন করার জন্য আমাদের অবশ্যই সময় আলাদা করে রাখতে হবে।

কিন্তু, কেবল জ্ঞানই যথেষ্ট নয়। সেই একই প্রার্থনায় যিশু বলেছিলেন: “তাহারা [তাঁহার শিষ্যগণ] তোমার বাক্য পালন করিয়াছে।” (যোহন ১৭:৬) আমাদের শুধু ঈশ্বর সম্বন্ধে জ্ঞান নিলেই চলবে না কিন্তু সেই জ্ঞানের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করতে হবে। আর কীভাবেই বা আমরা ঈশ্বরের বন্ধু হতে পারি? আমরা কি সত্যিই এমন কারোর সঙ্গে আমাদের বন্ধুত্ব গড়ে উঠবে বলে আশা করতে পারি, যদি আমরা জেনেশুনে এমন আচরণ করি যা সেই ব্যক্তির চিন্তাধারা ও নীতিগুলোর বিপরীত? তাই, ঈশ্বরের চিন্তাধারা ও নীতিগুলো আমাদের জীবনের সমস্ত পদক্ষেপকে পরিচালিত করা উচিত। অন্যদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কীভাবে দুটো নীতি প্রয়োগ করা যায়, তা বিবেচনা করুন।

অন্যদের সঙ্গে উত্তম সম্পর্ক স্থাপন করুন

মানব সম্পর্কের ব্যাপারে এক মূল্যবান শিক্ষা দেওয়ার জন্য যিশু একবার একটা ছোট গল্প বলেছিলেন। তিনি একজন রাজা সম্বন্ধে বলেছিলেন, যিনি তার দাসদের কাছ থেকে হিসেব নিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু, তাদের একজনের অনেক ঋণ ছিল এবং তা পরিশোধ করার সংগতি তার ছিল না। সেই রাজা তাকে, তার স্ত্রী ও পুত্রদের সকলকে বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করার আজ্ঞা দিয়েছিলেন। এতে সেই ঋণী চরণে পড়ে বিনতি করেছিলেন: “আমার প্রতি ধৈর্য্য ধরুন, আমি আপনার সমস্তই পরিশোধ করিব।” করুণাবিষ্ট হয়ে প্রভু তার ঋণ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু সেই দাস বাইরে গিয়ে একজন সহদাসকে দেখতে পায়, যিনি তার কাছ থেকে সামান্য ঋণ নিয়েছিলেন এবং তিনি তা পরিশোধ করার দাবি জানান। যদিও এই সহদাস দয়া প্রার্থনা করে কিন্তু সেই প্রথম দাস যে পর্যন্ত না ওই সহদাস ঋণ পরিশোধ করে, ততক্ষণ তাকে কারাগারে ফেলে রাখে। রাজা যখন বিষয়টা জানতে পারেন, তখন তিনি রুষ্ট হন। “আমি যেমন তোমার প্রতি দয়া করিয়াছিলাম, তেমনি তোমার সহদাসের প্রতি দয়া করা কি তোমারও উচিত ছিল না?” তিনি জিজ্ঞেস করেন। আর যে পর্যন্ত না তিনি তার সমস্ত ঋণ পরিশোধ করেন, ততদিন পর্যন্ত তিনি সেই ক্ষমাহীন দাসকে কারাগারে রেখে দেন। এই গল্প থেকে একটা শিক্ষণীয় বিষয় শিক্ষা দেওয়ার জন্য যিশু বলেছিলেন: “আমার স্বর্গীয় পিতাও তোমাদের প্রতি এইরূপ করিবেন, যদি তোমরা প্রতিজন অন্তঃকরণের সহিত আপন আপন ভ্রাতাকে ক্ষমা না কর।”—মথি ১৮:২৩-৩৫.

অসিদ্ধ মানুষ হিসেবে আমাদের অনেক দোষত্রুটি রয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধ করার দরুন আমাদের যে-অনেক ঋণ জমে রয়েছে, তা আমরা কখনও ঈশ্বরকে পরিশোধ করতে পারব না। একমাত্র যে-বিষয়টা আমরা করতে পারি, তা হল তাঁর কাছে ক্ষমা চাওয়া। আর যিহোবা ঈশ্বর আমাদের সমস্ত অপরাধ ক্ষমা করে দিতে প্রস্তুত এই শর্তে যে, আমাদের ভাইবোনেরা আমাদের বিরুদ্ধে যেসমস্ত পাপ করেছে, তা যেন আমরা ক্ষমা করি। এটা কতই না জোরালো এক শিক্ষা! যিশু তাঁর অনুগামীদের প্রার্থনা করতে শিখিয়েছিলেন: “আমাদের অপরাধ [“ঋণ,” পাদটীকা] সকল ক্ষমা কর, যেমন আমরাও আপন আপন অপরাধীদিগকে [“ঋণীদিগকে,” পাদটীকা] ক্ষমা করিয়াছি।”—মথি ৬:১২.

সমস্যার একেবারে মূল থেকে সমাধান করুন

মানুষের স্বভাব বোঝার ক্ষেত্রে যিশু ছিলেন একজন বিশেষজ্ঞ। সমস্যা সমাধান করা সম্বন্ধে তাঁর পরামর্শ ছিল একেবারে মূল থেকে সমস্যার সমাধান করা। নীচের উদাহরণ দুটো বিবেচনা করুন।

“তোমরা শুনিয়াছ, পূর্ব্বকালীয় লোকদের নিকটে উক্ত হইয়াছিল, ‘তুমি নরহত্যা করিও না,’ আর ‘যে নরহত্যা করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে’” যিশু বলেছিলেন। “কিন্তু আমি তোমাদিগকে কহিতেছি, যে কেহ আপন ভ্রাতার প্রতি ক্রোধ করে, সে বিচারের দায়ে পড়িবে।” (মথি ৫:২১, ২২) যিশু এখানে দেখিয়েছিলেন যে, নরহত্যা করার সমস্যার মূল কারণটি দৌরাত্ম্যপূর্ণ কাজের চাইতে আরও গভীরে শায়িত। এটা হল সেই মনোভাব, যা নরহত্যাকারীর হৃদয়ে বৃদ্ধি পায়। লোকেরা যদি অসন্তোষ অথবা রাগের অনুভূতি গড়ে উঠতে না দেয়, তা হলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে করা দৌরাত্ম্যপূর্ণ কাজ শেষ হয়ে যাবে। এই শিক্ষাকে যদি কাজে লাগানো হতো, তা হলে কত রক্তপাতই না এড়ানো যেত!

লক্ষ করুন যিশু কীভাবে আরেকটা সমস্যার মূল কারণ বুঝতে পারেন, যা অনেক দুঃখের কারণ হয়। তিনি জনতাকে বলেছিলেন: “তোমরা শুনিয়াছ, উক্ত হইয়াছিল, ‘তুমি ব্যভিচার করিও না’। কিন্তু আমি তোমাদিগকে বলিতেছি, যে কেহ কোন স্ত্রীলোকের প্রতি কামভাবে দৃষ্টিপাত করে, সে তখনই মনে মনে তাহার সহিত ব্যভিচার করিল। আর তোমার দক্ষিণ চক্ষু যদি তোমার বিঘ্ন জন্মায়, তবে তাহা উপড়াইয়া দূরে ফেলিয়া দেও।” (মথি ৫:২৭-২৯) যিশু শিখিয়েছিলেন যে, সমস্যাটা শুধুমাত্র অনৈতিক আচরণের চাইতেও আরও গভীর। সমস্যাটা যেকারণে ঘটে থাকে সেটা হল, এর আগে গড়ে ওঠা অনৈতিক আকাঙ্ক্ষা। একজন ব্যক্তি যদি অনুপযুক্ত আকাঙ্ক্ষাগুলো নিয়ে চিন্তা করা প্রত্যাখ্যান করেন এবং মন থেকে ‘সেগুলোকে উপড়াইয়া ফেলেন,’ তা হলে তিনি অনৈতিক আচরণের সম্ভাব্য সমস্যা কাটিয়ে উঠবেন।

“তোমার খড়গ পুনরায় স্বস্থানে রাখ”

যে-রাতে যিশুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয় ও তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়, সেই রাতে তাঁর শিষ্যদের একজন তাঁকে রক্ষা করার জন্য তার খড়্গ বের করেন। যিশু তাকে আদেশ দিয়েছিলেন: “তোমার খড়গ পুনরায় স্বস্থানে রাখ, কেননা যে সকল লোক খড়গ ধারণ করে, তাহারা খড়গ দ্বারা বিনষ্ট হইবে।” (মথি ২৬:৫২) পরের দিন সকালে যিশু পন্তীয় পীলাতকে বলেছিলেন: “আমার রাজ্য এ জগতের নয়; যদি আমার রাজ্য এ জগতের হইত, তবে আমার অনুচরেরা প্রাণপণ করিত, যেন আমি যিহূদীদের হস্তে সমর্পিত না হই; কিন্তু আমার রাজ্য ত এখানকার নয়।” (যোহন ১৮:৩৬) এই শিক্ষা কি অব্যবহারিক?

দৌরাত্ম্যপূর্ণ কাজ না করার বিষয়ে যিশু যা শিক্ষা দিয়েছিলেন সেটার প্রতি প্রাথমিক খ্রিস্টানদের মনোভাব কেমন ছিল? যুদ্ধের প্রতি প্রাথমিক খ্রিস্টানদের মনোভাব (ইংরেজি) বইটি বলে: “যেহেতু সেগুলো [যিশুর শিক্ষাগুলো] অন্যদের বিরুদ্ধে সমস্ত ধরনের দৌরাত্ম্য ও অন্যায় কাজকে নিষিদ্ধ করেছিল, তাই এটা যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করার অবৈধতাকে স্পষ্টভাবে ইঙ্গিত করেছিল . . . প্রাথমিক খ্রিস্টানরা যিশুর কথায় মনোযোগ দিয়েছিল এবং কোমল হওয়া ও দৌরাত্ম্যকে প্রতিরোধ করা থেকে দূরে থাকা সম্বন্ধে তাঁর শিক্ষাগুলো বুঝেছিল। তারা তাদের ধর্মকে শান্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত করেছিল; তারা এর সঙ্গে যুক্ত রক্তপাতের কারণে যুদ্ধকে তীব্রভাবে নিন্দা করেছিল।” যারা নিজেদের খ্রিস্টান বলে দাবি করে তারা যদি প্রকৃতপক্ষে এই শিক্ষা মেনে চলত, তা হলে ইতিহাসের ধারা কত আলাদাই না হতো!

যিশুর সমস্ত শিক্ষা থেকে আপনি উপকার পেতে পারেন

যিশুর যে-শিক্ষাগুলো আমরা বিবেচনা করেছি সেগুলো সুন্দর, সরল এবং জোরালো। তাঁর শিক্ষাগুলোর সঙ্গে পরিচিত হয়ে এবং সেগুলোকে কাজে লাগিয়ে মানবজাতি উপকার পেতে পারে। *

এ যাবৎ যেকোনো মানুষের দ্বারা বলা সবচেয়ে বিজ্ঞ শিক্ষাগুলো থেকে আপনি কীভাবে উপকার পেতে পারেন, তা দেখতে আপনাকে সাহায্য করতে পেরে আপনার এলাকার যিহোবার সাক্ষিরা আনন্দিত হবে। তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করার অথবা এই পত্রিকার ২ পৃষ্ঠায় দেওয়া ঠিকানায় লেখার জন্য আমরা আপনাকে সাদর আমন্ত্রণ জানাই।

[পাদটীকা]

^ যিশুর সমস্ত শিক্ষা ধারাবাহিকভাবে বিবেচনা করার জন্য যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত সর্বমহান পুরুষ যিনি কখনও জীবিত ছিলেন বইটি দেখুন।

[৫ পৃষ্ঠার চিত্র]

“তোমাদের স্বর্গীয় পিতা তাহাদিগকে আহার দিয়া থাকেন”

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিশুর শিক্ষাগুলো আপনার জীবনে এক উপকারজনক প্রভাব ফেলতে পারে