স্কুলে যিহোবার প্রশংসা করা
স্কুলে যিহোবার প্রশংসা করা
পৃথিবীব্যাপী, যিহোবার অল্পবয়স্ক সাক্ষিরা স্কুলে ঈশ্বরের প্রশংসা করার উপায়গুলো খুঁজে থাকে—তাদের কথাবার্তা এবং তাদের আচরণের মাধ্যমে। কিছু অভিজ্ঞতা লক্ষ করুন, যা তাদের তারুণ্যের উদ্যোগকে তুলে ধরে।
গ্রিসের একজন অল্পবয়স্কা সাক্ষিকে পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের দূষণ সম্বন্ধে একটা রিপোর্ট লেখার কার্যভার দেওয়া হয়েছিল। ওয়াচটাওয়ার পাবলিকেশন ইনডেক্স ঘেঁটে দেখার পর, সে সচেতন থাক! পত্রিকার মধ্যে প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তু খুঁজে পায়, যেটাকে সে তার রচনার উপসংহারে উৎস হিসেবে উল্লেখ করে। তার শিক্ষিকা তাকে বলেছিল যে, এটা ছিল তার পড়া সবচেয়ে উত্তম রচনা। পরে, শিক্ষিকা সেই তথ্য একটা সেমিনারিতে ব্যবহার করেছিলেন, যা উত্তম ফল নিয়ে এসেছিল। এভাবে সেই অল্পবয়স্ক বোন তার শিক্ষিকাকে সচেতন থাক! পত্রিকার আরও সংখ্যা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, যেগুলোর মধ্যে এই ধারাবাহিক প্রবন্ধটাও ছিল “শিক্ষকরা—তারা না থাকলে আমরা কী করতাম?” পরবর্তী সময়ে, শিক্ষিকা ক্লাসে সচেতন থাক! পত্রিকার প্রশংসা করেন এবং কিছু ছাত্র-ছাত্রী বিভিন্ন সংখ্যা চাইতে শুরু করে। সেই বোনকে পত্রিকার বিভিন্ন সংখ্যা স্কুলে নিয়ে আসতে হয়েছিল, যাতে তারা অন্যান্য সংখ্যা পড়তে পারে।
আফ্রিকার বেনিনে, একজন কিশোরী খ্রিস্টান এক অস্বাভাবিক চাপের মুখোমুখি হয়েছিল। রীতি অনুযায়ী, তার স্কুলের বেশ কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রীর অভিভাবক একত্রিতভাবে পরীক্ষার জন্য তাদের ছেলেমেয়েদের প্রস্তুত করতে কঠিন বিষয়গুলোর জন্য টিউটর রাখে। কিন্তু, টিউটররা সেশনগুলোর জন্য শনিবার সকালটা বেছে নেয়। অল্পবয়স্ক সাক্ষি আপত্তি জানিয়ে বলে: “শনিবার সকাল হল পুরো মণ্ডলীর একসঙ্গে প্রচার করার সময়। এটা আমার জন্য সপ্তাহের সবচেয়ে আনন্দিত সময় এবং কোনোকিছুর বিনিময়ে আমি তা পরিবর্তন করতে চাই না!” তার বাবা, যিনি একজন একক অভিভাবক এবং একজন সাক্ষি, তিনিও এর সঙ্গে একমত হন এবং সেই তালিকা পরিবর্তন করার জন্য অভিভাবক এবং টিউটরের একটা দল সংগ্রহ করার চেষ্টা করেন। কিন্তু, তারা সকলে তা করতে প্রত্যাখ্যান করে। সেই অল্পবয়স্ক মেয়ে টিউটর ছাড়াই পড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। এর পরিবর্তে, সে মণ্ডলীর সঙ্গে প্রচারে যায়। তার সহপাঠীরা তাকে উপহাস করে, তার সাক্ষ্য দেওয়ার কাজ ও সেইসঙ্গে তার ঈশ্বরকে পরিত্যাগ করার জন্য জোরালো পরামর্শ দেয়। তারা প্রায় নিশ্চিত ছিল যে, সে পরীক্ষায় ফেল করবে। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেখা গেল যে, টিউটরের কাছে পড়ুয়া সেই দলটি ফেল করেছিল কিন্তু আমাদের অল্পবয়স্ক বোন পাশ করেছিল। বলা নিষ্প্রয়োজন যে, ঠাট্টা-তামাশা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। এখন ছাত্র-ছাত্রীরা তাকে বলে যে, “তোমার ঈশ্বরকে ক্রমাগত সেবা করে চলা উচিত।”
চেক প্রজাতন্ত্রে ১২ বছর বয়সী একটা মেয়েকে একটা বইয়ের ওপর রিপোর্ট তৈরি করতে হয়েছিল। তার মা তাকে সর্বমহান পুরুষ যিনি কখনও জীবিত ছিলেন বইটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। সে তার রিপোর্ট এই প্রশ্ন দিয়ে শুরু করেছিল: “আপনাদের কী মনে হয়? সর্বমহান পুরুষ কে হতে পারেন, যিনি কখনও জীবিত ছিলেন?” সে যিশুর সম্বন্ধে, পৃথিবীতে তাঁর জীবন এবং শিক্ষাগুলো সম্বন্ধে বর্ণনা করে। এরপর সে “ক্ষমার বিষয়ে শিক্ষাদান” শিরোনামের অধ্যয়টা আলোচনা করে। তার শিক্ষক অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে বলেছিলেন, “তোমার কাছ থেকে এই পর্যন্ত আমি যা শুনেছি, সেগুলোর মধ্যে এটি হল শ্রেষ্ঠ রিপোর্ট!” আর তিনি কৃতজ্ঞতার সঙ্গে বইয়ের একটা কপি নিয়েছিলেন। কিছু সহছাত্র-ছাত্রীও একটা কপি চেয়েছিল। পরের দিন, সেই মেয়ে ১৮টি কপি বিতরণ করতে পেরে খুবই আনন্দিত হয়েছিল।
এই ধরনের অল্পবয়স্করা স্কুলে যিহোবাকে প্রশংসা করে অনেক আনন্দ খুঁজে পাচ্ছে। আমাদের সকলের তাদের তারুণ্যের উদ্যোগকে অনুকরণ করা উচিত।