সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

মনের শান্তি খোঁজা

মনের শান্তি খোঁজা

মনের শান্তি খোঁজা

 আ্যলবার্ট ছিলেন একজন সুখী বিবাহিত ব্যক্তি, যার দুটো চমৎকার ছেলেমেয়ে ছিল। কিন্তু, তার মনে হতো যে তার জীবনে একটা কিছুর অভাব রয়েছে। চাকরি খোঁজার জন্য সংগ্রাম করার সময়ে, তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন এবং সমাজতন্ত্রবাদের ধারণা গ্রহণ করেছিলেন। এমনকি তিনি স্থানীয় সাম্যবাদী দলের একজন সক্রিয় সদস্যও হয়েছিলেন।

কিন্তু, শীঘ্রই আ্যলবার্ট সাম্যবাদের মোহ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। তিনি রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছিলেন এবং নিজেকে সম্পূর্ণরূপে তার পরিবারের প্রতি নিয়োজিত করেছিলেন। তাদের সুখী করাই তার জীবনের উদ্দেশ্য হয়ে উঠেছিল। তবুও, আ্যলবার্ট তখনও মনের মধ্যে অনবরত এক শূন্যতা অনুভব করছিলেন; প্রকৃত মনের শান্তি তার কাছ থেকে হারিয়ে যাচ্ছিল।

আ্যলবার্টের অভিজ্ঞতা অসাধারণ কোনো ঘটনা নয়। জীবনের এক অর্থপূর্ণ উদ্দেশ্য খুঁজে পাওয়ার জন্য, লক্ষ লক্ষ লোক বিভিন্ন মতাদর্শ, দর্শনবিদ্যা এবং ধর্মগুলোকে পরীক্ষা করেছে। পশ্চিমা বিশ্বে, ১৯৬০ এর দশকের হিপ্পি আন্দোলন, পরম্পরাগত নৈতিক ও সামাজিক মূল্যবোধগুলোর বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহ ছিল। বিশেষ করে যুবক-যুবতীরা মনের ওপর প্রভাবসৃষ্টিকারী বিভিন্ন মাদকদ্রব্য এবং আন্দোলনের তথাকথিত গুরু ও আধ্যাত্মিক নেতাদের দর্শনগুলোর মাধ্যমে সুখ এবং জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজেছিল। তবুও, হিপ্পি আন্দোলন প্রকৃত সুখ নিয়ে আসতে ব্যর্থ হয়েছিল। পরিবর্তে, এটা মাদকাসক্ত ও বাছবিচারহীন যৌনসম্পর্কে লিপ্ত তরুণ-তরুণীদের সংখ্যা বাড়াতে, সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের গতিকে দ্রুততর করতে সাহায্য করেছিল।

শত শত বছর ধরে, অনেকে ধনসম্পদ, ক্ষমতা বা শিক্ষার মাধ্যমে সুখ খুঁজেছে। এই পথগুলো শেষ পর্যন্ত হতাশাই নিয়ে এসেছিল। যিশু বলেছিলেন, “উপচিয়া পড়িলেও, মনুষ্যের সম্পত্তিতে তাহার জীবন হয় না।” (লূক ১২:১৫) বরং, ধনসম্পদের পিছনে ছোটা প্রায়ই দুঃখ নিয়ে আসে। বাইবেল বলে: “যাহারা ধনী হইতে বাসনা করে, তাহারা পরীক্ষাতে ও ফাঁদে এবং নানাবিধ মূঢ় ও হানিকর অভিলাষে পতিত হয়, সে সকল মনুষ্যদিগকে সংহারে ও বিনাশে মগ্ন করে। কেননা ধনাসক্তি সকল মন্দের একটা মূল; তাহাতে রত হওয়াতে কতক লোক . . . অনেক যাতনারূপ কন্টকে আপনারা আপনাদিগকে বিদ্ধ করিয়াছে।”—১ তীমথিয় ৬:৯, ১০.

তা হলে, কীভাবে, একজন ব্যক্তি মনের শান্তি এবং জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে পারেন? এটা কি অন্ধকারে এক ব্যর্থ লক্ষ্যের দিকে তির ছোঁড়ার মতো বারবার ভুল করে শেখার মতো কোনো বিষয়? আনন্দের বিষয় যে এটা সত্য নয়। পরের প্রবন্ধে আমরা যেমন দেখব যে, মানুষের অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং বাস্তবিকই অদ্বিতীয় এক চাহিদা পূরণের মধ্যেই এর সমাধান রয়েছে।

[৩ পৃষ্ঠার চিত্র]

ধনসম্পদ, ক্ষমতা বা শিক্ষার পিছনে ছোটা কি আপনাকে মনের শান্তি খুঁজে পেতে সাহায্য করবে?