সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

সত্য শিক্ষাগুলো সেগুলো আপনি কোথায় খুঁজে পেতে পারেন?

সত্য শিক্ষাগুলো সেগুলো আপনি কোথায় খুঁজে পেতে পারেন?

সত্য শিক্ষাগুলো সেগুলো আপনি কোথায় খুঁজে পেতে পারেন?

 তিব্বতের একজন ব্যক্তি একটা জপচক্র অর্থাৎ প্রার্থনাবাক্যসমূহ লিখিত একটা স্তম্ভক ঘুরাতে থাকেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে, প্রতিবার সেই চক্রটা ঘোরানোর দ্বারা তার প্রার্থনার পুনরাবৃত্তি হয়। ভারতের এক বিশাল বাড়িতে, পূজার জন্য একটা ছোট্ট কামরা আলাদা করে রাখা হয়, যে-উপাসনার অন্তর্ভুক্ত হতে পারে বিভিন্ন দেব-দেবীর কাছে ধূপ, ফুল এবং অন্যান্য জিনিস উৎসর্গ করা। হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে ইতালিতে, এক সুসজ্জিত গির্জায় একজন মহিলা মরিয়মের মূর্তির সামনে হাঁটু গাড়েন এবং হাতে রোজারি মালা নিয়ে প্রার্থনা করেন।

সম্ভবত আপনি ব্যক্তিগতভাবে লোকেদের ওপর ধর্মের প্রভাব দেখেছেন। “ধর্ম . . . সারা পৃথিবীর সমাজগুলোর প্রাণশক্তি হয়ে এসেছে এবং হয়ে চলছে,” বিশ্বের ধর্মগুলো—জীবন্ত বিশ্বাস সম্বন্ধে বোধগম্যতা (ইংরেজি) বই বলে। ঈশ্বর—এক সংক্ষিপ্ত ইতিহাস (ইংরেজি) বইয়ে, গ্রন্থকার জন বোকার বলেন: “এমন কোনো মানবসমাজ কখনোই ছিল না, যেখানে সাধারণত একজন নিয়ন্ত্রণকারী ও সৃষ্টিকর্তা হিসেবে ঈশ্বরের কোনো ভূমিকা নেই। এই কথা এমনকি সেই সমাজগুলোর ক্ষেত্রেও সত্য, যারা নিজেদের ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মনিরপেক্ষ বলে দাবি করে।”

বস্তুত, ধর্ম লক্ষ লক্ষ লোকের জীবনের ওপর প্রভাব ফেলেছে। এটাই কি এক জোরালো প্রমাণ নয় যে, মানুষের এক আধ্যাত্মিক চাহিদা এবং আকাঙ্ক্ষা রয়েছে? বিখ্যাত মনোবিজ্ঞান ডা. কার্ল জি. ইয়ং তার অনাবিষ্কৃত সত্তা (ইংরেজি) বইয়ে উচ্চতর কোনো শক্তিকে উপাসনা করার জন্য মানুষের চাহিদা সম্বন্ধে উল্লেখ করেন এবং বলেন যে, “এই বিষয়টা সমগ্র মানব ইতিহাসে দেখা যেতে পারে।”

তা সত্ত্বেও, অনেক লোক দাবি করে যে, তারা ঈশ্বরেও বিশ্বাস করে না অথবা ধর্মের প্রতিও তাদের কোনো আগ্রহ নেই। যারা ঈশ্বরের অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে বা তাঁর অস্তিত্বকে অস্বীকার করে, তারা মূলত এই জন্য তা করে থাকে কারণ যে-ধর্মগুলোর সঙ্গে তারা পরিচিত, সেগুলো তাদের আধ্যাত্মিক চাহিদা মেটাতে ব্যর্থ হয়েছে। ধর্মকে এভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে, “কোনো নীতির প্রতি একাগ্র; দৃঢ় আনুগত্য অথবা বিশ্বস্ততা; সচেতনতা; ভক্তিপূর্ণ অনুরাগ অথবা আসক্তি।” এই সংজ্ঞা অনুযায়ী, প্রায় সকলেই তার জীবনে কোনো না কোনোভাবে ধর্মীয় ভক্তি দেখিয়ে থাকে। এর অন্তর্ভুক্ত এমনকি নাস্তিক ব্যক্তিরাও।

মানব ইতিহাসের হাজার হাজার বছরে, আধ্যাত্মিক চাহিদা মেটানোর বিষয়ে মানুষের প্রচেষ্টা মানুষকে নানা পথের দিকে পরিচালিত করেছে। এর ফলে পৃথিবীব্যাপী ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির অসংখ্য বৈচিত্র্য দেখা যায়। উদাহরণস্বরূপ, যদিও প্রায় সমস্ত ধর্মই এক উচ্চ কোনো শক্তির ওপর বিশ্বাস গড়ে তোলে কিন্তু সেই শক্তি কে বা সেটা কী, সেই সম্বন্ধে তাদের ভিন্ন ভিন্ন ধারণা রয়েছে। এ ছাড়া, বেশির ভাগ বিশ্বাসই পরিত্রাণ অথবা মুক্তির গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। কিন্তু পরিত্রাণ কী এবং কীভাবে তা পাওয়া যেতে পারে, সেই বিষয়ে তাদের শিক্ষার মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে। অসংখ্য বিশ্বাসের মধ্যে, কীভাবে আমরা সেই সত্য শিক্ষাগুলো শনাক্ত করতে পারি, যেগুলো ঈশ্বরকে খুশি করে?