নিউ ইয়ারস্ ট্রি এটা কি রাশিয়ার প্রথা? এটা কি খ্রিস্টীয় প্রথা?
নিউ ইয়ারস্ ট্রি এটা কি রাশিয়ার প্রথা? এটা কি খ্রিস্টীয় প্রথা?
“আঠারোশো ত্রিশের দশকের শুরুর দিকে, এই চিরসবুজ গাছের ব্যবহারকে তখনও ‘আকর্ষণীয়, জার্মান ধারণা’ হিসেবে উল্লেখ করা হতো। সেই দশকের শেষে, এটার ব্যবহার সেন্ট পিটার্সবার্গের সম্ভ্রান্ত লোকেদের বাড়ির ‘এক প্রথা হয়ে উঠেছিল।’ . . . উনবিংশ শতাব্দীতে, কেবলমাত্র পাদরিদের বাড়িতে ও কৃষকদের কুঁড়েঘরে এই চিরসবুজ গাছটা শিকড় গাড়তে পারেনি। . . . .
“এর আগে, এই গাছ . . . এত জনপ্রিয় ছিল না। রাশিয়ার প্রথা অনুযায়ী, এটাকে মৃত্যুর এক প্রতীক এবং ‘প্রেতাত্মার জগতের’ সঙ্গে যুক্ত করা ও সেইসঙ্গে গাছটাকে মদের দোকানের ছাদে বসানোর প্রথা, উনবিংশ শতাব্দীর মাঝামাঝিতে দৃষ্টিভঙ্গির যে-পরিবর্তন ঘটেছিল, সেটার সঙ্গে মতপার্থক্য তৈরি করেছিল। . . . এটা পুরোপুরিভাবে স্পষ্ট যে, এই গাছ দিয়ে ঘর সাজানোর এই বিদেশি প্রথাকে ধীরে ধীরে গ্রহণ করে নেওয়ার প্রক্রিয়া, পাশ্চাত্যের দেশগুলোতে ক্রিসমাস ট্রি দিয়ে ঘর সাজানোর প্রথাকে গ্রহণ করে নেওয়ার মতোই, যেটা বড়দিনের বিষয়বস্তুর সঙ্গে জড়িত। . . .
“রাশিয়ায়, গাছটাকে খ্রিস্টীয় প্রথার অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টা খুব সহজ ছিল না। অর্থোডক্স গির্জা থেকে বিরোধিতা এসেছিল। পাদরিরা দেখেছিল যে, এই নতুন উদ্যাপনে এক পৌত্তলিক প্রথা অর্থাৎ ‘প্রেতাত্মা সংক্রান্ত কাজ’ জড়িত রয়েছে, যেটার সঙ্গে ত্রাণকর্তার জন্মের কোনো সম্পর্কই ছিল না আর সেইসঙ্গে এই প্রথা ছিল পাশ্চাত্যের।”—অধ্যাপক ইয়েলিনা ভি. ডুশেচকিনা, সেন্ট পিটার্সবার্গ রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষাতত্ত্বের শিক্ষক।
[৩২ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]
ছবি: Nikolai Rakhmanov