সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ঈশ্বরের নতুন জগতে প্রকৃত সমৃদ্ধি

ঈশ্বরের নতুন জগতে প্রকৃত সমৃদ্ধি

ঈশ্বরের নতুন জগতে প্রকৃত সমৃদ্ধি

 ডেভিড * নামে একজন খ্রিস্টান স্বামী ও বাবা, এই আস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গিয়েছিলেন যে, তিনি সঠিক কাজটিই করছেন। যদিও স্ত্রী ও সন্তানদের ছেড়ে যেতে তার ভাল লাগেনি কিন্তু তিনি নিশ্চিত ছিলেন যে, তার যদি কেবল আরও টাকাপয়সা থাকত, তা হলেই তিনি তাদের সবার জীবনযাপনকে আরও উন্নত করতে পারতেন। তাই, তিনি নিউ ইয়র্কে বসবাসরত তার আত্মীয়স্বজনের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছিলেন এবং শীঘ্রই সেখানে একটা চাকরি পেয়েছিলেন।

যতই মাস কেটে যাচ্ছিল, ডেভিডের আত্মবিশ্বাসী দৃষ্টিভঙ্গি ততই ম্লান হয়ে যেতে শুরু করেছিল। আধ্যাত্মিক কাজগুলো করার জন্য তার হাতে খুব কম সময়ই থাকত। এক সময়ে, তিনি ঈশ্বরের প্রতি বিশ্বাস প্রায় হারিয়েই ফেলেছিলেন। নৈতিকতার ক্ষেত্রে আসা প্রলোভনের কাছে নতি স্বীকার করার আগে পর্যন্ত তিনি তার পরিস্থিতির বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারেননি। বস্তুগত সমৃদ্ধির প্রতি তার মনোযোগকে কেন্দ্রীভূত রাখা তাকে সেই সমস্ত বিষয় থেকে ক্রমান্বয়ে দূরে সরিয়ে নিয়ে গিয়েছিল, যেগুলো তার কাছে প্রকৃতই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তাই, কিছু একটা পরিবর্তন করার দরকার ছিল।

প্রতি বছর ডেভিডের মতো অনেকেই তাদের আর্থিক অবস্থা উন্নত করার আশায় দরিদ্র মাতৃভূমি ছেড়ে অন্য দেশে চলে যায়। কিন্তু, প্রায়ই তারা আধ্যাত্মিকতার ক্ষেত্রে এক চরম মূল্য দিয়ে থাকে। কেউ কেউ চিন্তা করেছে, ‘একজন খ্রিস্টান কি একইসঙ্গে ব্যক্তিগত ধনসম্পদ অর্জনের চেষ্টা করতে ও ঈশ্বরের উদ্দেশে ধনবান হতে পারেন?’ জনপ্রিয় লেখক ও ধর্মগুরুরা বলে যে, এমনটা সম্ভব। কিন্তু, যেমন ডেভিড ও অন্যেরা শিখেছে যে, একটাকে বিসর্জন না দিয়ে অন্যটা অর্জন করা কঠিন হতে পারে।—লূক ১৮:২৪.

অর্থই অনর্থ নয়

টাকাপয়সা হল মানুষের উদ্ভাবিত বস্তু। অন্যান্য উদ্ভাবিত বস্তুর মতো এটাও খারাপ বা মন্দ নয়। আসলে, এটা বিনিময় মাধ্যম ছাড়া আর কিছুই নয়। তাই, সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে এটা ভাল উদ্দেশ্য সাধন করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, বাইবেল স্বীকার করে যে, “ধনও আশ্রয় বটে,” বিশেষভাবে সেই সমস্যাগুলোর সময়ে যেগুলো দরিদ্রতার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। (উপদেশক ৭:১২) অন্ততপক্ষে কারো কারো জন্য “অর্থই সবকিছু যোগায়” বলে মনে হয়।—উপদেশক ১০:১৯, বাংলা জুবিলী বাইবেল।

শাস্ত্র অলসতাকে নিন্দা ও পরিশ্রমকে উৎসাহিত করে। আমাদের নিজেদের পরিবারের ভরণপোষণ করতে হয় আর এরপর যদি অল্প কিছু বেঁচে যায়, তা হলে “দীনহীনকে দিবার জন্য” আমাদের “হাতে কিছু থাকে।” (ইফিষীয় ৪:২৮; ১ তীমথিয় ৫:৮) অধিকন্তু, আত্মবিসর্জনের পরিবর্তে বাইবেল আমাদের সম্পদকে উপভোগ করতে উৎসাহিত করে। আমাদেরকে “আপন অংশ লইতে” ও আমাদের পরিশ্রমের ফল উপভোগ করতে বলা হয়েছে। (উপদেশক ৫:১৮-২০) বস্তুতপক্ষে, বাইবেলে এমন কয়েকজন নারী-পুরুষের উদাহরণ রয়েছে যারা বিশ্বস্ত ও ধনী ছিলেন।

যে-বিশ্বস্ত ব্যক্তিরা ধনী ছিলেন

ঈশ্বরের একজন বিশ্বস্ত দাস অব্রাহাম বিরাট পশুপাল, প্রচুর সোনা ও রুপো এবং শত শত দাস-দাসীর অধিকারী হয়েছিলেন। (আদিপুস্তক ১২:৫; ১৩:২, ৬, ৭) ধার্মিক ইয়োবেরও প্রচুর ধনসম্পদ—পশুপাল, দাস-দাসী, সোনা ও রুপো—ছিল। (ইয়োব ১:৩; ৪২:১১, ১২) এই ব্যক্তিরা এমনকি আজকের মান অনুযায়ী ধনী ছিল আর সেইসঙ্গে ঈশ্বরের কাছেও ধনী ছিল।

প্রেরিত পৌল, অব্রাহামকে “যাহারা বিশ্বাস করে, . . . তাহাদের সকলের পিতা” বলেছিলেন। অব্রাহাম কৃপণ ছিলেন না অথবা তার যা ছিল সেগুলোর প্রতি অতিরিক্ত আসক্তও ছিলেন না। (রোমীয় ৪:১১; আদিপুস্তক ১৩:৯; ১৮:১-৮) একইভাবে, ঈশ্বর নিজে ইয়োবকে “নির্দোষ ও সৎ” বলেছিলেন। (ইয়োব ১:৮, বাংলা কমন ল্যাঙ্গুয়েজ ভারসন) ইয়োব সবসময় দরিদ্র ও দুঃখীকে সাহায্য করার জন্য তৈরি ছিলেন। (ইয়োব ২৯:১২-১৬) অব্রাহাম এবং ইয়োব, উভয়েই তাদের ধনসম্পদের চেয়ে বরং ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করেছিলেন।—আদিপুস্তক ১৪:২২-২৪; ইয়োব ১:২১, ২২; রোমীয় ৪:৯-১২.

রাজা শলোমন হলেন আরেকটা উদাহরণ। যিরূশালেমে ঈশ্বরের সিংহাসনের উত্তরাধিকারী হিসেবে শলোমনকে কেবলমাত্র ঐশিক প্রজ্ঞাই নয় কিন্তু সেইসঙ্গে অপরিমেয় ঐশ্বর্য ও গৌরব প্রদান করে আশীর্বাদ করা হয়েছিল। (১ রাজাবলি ৩:৪-১৪) তার জীবনের বেশির ভাগ সময়ই তিনি বিশ্বস্ত ছিলেন। কিন্তু, শেষ বয়সে শলোমনের “অন্তঃকরণ . . . সদাপ্রভুর ভক্তিতে একাগ্র ছিল না।” (১ রাজাবলি ১১:১-৮) আসলে, তার দুঃখজনক অভিজ্ঞতা বস্তুগতভাবে সমৃদ্ধশালী হওয়ার কিছু সাধারণ ফাঁদ সম্বন্ধে তুলে ধরে। সেগুলোর কয়েকটা বিবেচনা করুন।

সমৃদ্ধশালী হওয়ার ফাঁদগুলো

সবচেয়ে গুরুতর বিপদ হল, টাকাপয়সার প্রতি এবং এটা যা কিনতে পারে সেগুলোর প্রতি ভালবাসা বা আসক্তি গড়ে তোলা। ধনসম্পদ কারো কারো মধ্যে এমন এক বাসনা জাগিয়ে তোলে, যা কখনো পরিতৃপ্ত হয় না। শলোমন তার শাসনের প্রথমদিকে অন্যদের মধ্যে এই প্রবণতাই লক্ষ করেছিলেন। তিনি লিখেছিলেন: “যে ব্যক্তি রৌপ্য ভালবাসে, সে রৌপ্যে তৃপ্ত হয় না; আর যে ব্যক্তি ধনরাশি ভালবাসে, সে ধনাগমে তৃপ্ত হয় না; ইহাও অসার।” (উপদেশক ৫:১০) পরবর্তী সময়ে, যিশু এবং পৌল উভয়েই এই প্রতারণাপূর্ণ ভালবাসা সম্বন্ধে খ্রিস্টানদের সতর্ক করেছিল।—মার্ক ৪:১৮, ১৯; ২ তীমথিয় ৩:২.

যখন টাকাপয়সা কেবলমাত্র কোনো কিছু সম্পাদনের এক মাধ্যম না হয়ে বরং আমাদের প্রধান আগ্রহের এক বস্তু হয়ে ওঠে, তখন আমরা মিথ্যা বলা, চুরি করা ও প্রতারণাসহ নৈতিকতার ক্ষেত্রে আসা সব ধরনের প্রলোভনের দ্বারা সহজেই প্রভাবিত হতে শুরু করি। খ্রিস্টের একজন প্রেরিত ঈষ্করিয়োতীয় যিহূদা, শুধুমাত্র ৩০টা রুপোর মুদ্রার জন্য তার প্রভুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছিলেন। (মার্ক ১৪:১১; যোহন ১২:৬) আরও চরমে গিয়ে কেউ কেউ ঈশ্বরের পরিবর্তে টাকাপয়সাকেই পরম ভক্তি প্রদান করেছে। (১ তীমথিয় ৬:১০) তাই, খ্রিস্টানদের আরও টাকাপয়সা অর্জনের পিছনে তাদের প্রকৃত উদ্দেশ্য সম্বন্ধে সবসময় সৎ থাকার চেষ্টা করা উচিত।—ইব্রীয় ১৩:৫.

এ ছাড়া, ধনসম্পদের পিছনে ছোটা এমন বিপদগুলো নিয়ে আসে যেগুলো আরও বেশি সূক্ষ্ম। প্রথমত, অঢেল ধনসম্পদ আত্মনির্ভরতাকে উৎসাহিত করে। যিশু যখন “ধনের মায়া” সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, তখন তিনি এই বিষয়টা অন্তর্ভুক্ত করেছিলেন। (মথি ১৩:২২) একইভাবে বাইবেল লেখক যাকোব খ্রিস্টানদের এমনকি বাণিজ্য বা ব্যাবসার পরিকল্পনা করার সময়েও ঈশ্বরকে ভুলে না যাওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। (যাকোব ৪:১৩-১৬) যেহেতু টাকাপয়সা বেশ কিছুটা স্বাধীনতা প্রদান করে বলে মনে হয়, তাই যাদের এটা রয়েছে তাদের জন্য ঈশ্বরের চেয়ে বরং টাকাপয়সার ওপর নির্ভর করার বিপদ সবসময়ই থেকে যায়।—হিতোপদেশ ৩০:৭-৯; প্রেরিত ৮:১৮-২৪.

দ্বিতীয়ত, আগে উল্লেখিত ডেভিড যেমন বুঝতে পেরেছিলেন যে, ধনসম্পদের পিছনে ছোটা প্রায়ই একজন ব্যক্তির অনেক সময় ও শক্তি নিয়ে নেয়, যা ক্রমান্বয়ে তাকে আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো থেকে দূরে সরিয়ে দেয়। (লূক ১২:১৩-২১) এ ছাড়া, ধনীদের যা আছে সেগুলো মূলত আনন্দদায়ক কার্যকলাপ বা ব্যক্তিগত আগ্রহগুলোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করার ক্রমাগত প্রলোভন রয়েছে।

শলোমনের আধ্যাত্মিক অধঃপতন কি কিছুটা হলেও তার বিলাসপূর্ণ জীবনযাপনকে প্রশ্রয় দেওয়ার কারণে ঘটেছিল, যা তার বোধশক্তিকে নিস্তেজ করে দিয়েছিল? (লূক ২১:৩৪) তিনি পরজাতীয়দের সঙ্গে বিবাহ সম্বন্ধ স্থাপন করার বিষয়ে ঈশ্বরের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা জানতেন। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তার হারেমে প্রায় এক হাজার স্ত্রী ছিল। (দ্বিতীয় বিবরণ ৭:৩) তার পরজাতীয় স্ত্রীদের খুশি করার আকাঙ্ক্ষায় তিনি তাদের উপকারের জন্য এক ধরনের আন্তধর্মীয় উপাসনার ব্যবস্থা করার চেষ্টা করেছিলেন। আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, শলোমনের হৃদয় ধীরে ধীরে যিহোবার কাছ থেকে বিপথগামী হয়েছিল।

স্পষ্টতই, এই উদাহরণগুলো যিশুর এই পরামর্শের সত্যতা প্রদর্শন করে: “তোমরা ঈশ্বর এবং ধন উভয়ের দাসত্ব করিতে পার না।” (মথি ৬:২৪) তা হলে, একজন খ্রিস্টান কীভাবে বর্তমানে অনেকে যে-আর্থিক প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর মুখোমুখি হয়ে থাকে সেগুলোর সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করতে পারেন? আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, ভবিষ্যতে আরও উন্নত এক জীবনের জন্য কী আশা রয়েছে?

প্রকৃত সমৃদ্ধি খুব কাছেই

কুলপতি অব্রাহাম, ইয়োব এবং ইস্রায়েল জাতির বৈসাদৃশ্যে যিশুর অনুসারীদের ‘সমুদয় জাতিকে শিষ্য করার’ দায়িত্ব রয়েছে। (মথি ২৮:১৯, ২০) সেই দায়িত্ব পরিপূর্ণ করার জন্য সময় ও প্রচেষ্টা আবশ্যক, যা হয়তো বিভিন্ন জাগতিক লক্ষ্যের জন্য ব্যবহার করা যেত। অতএব, সফলতার চাবিটা যিশু আমাদের যা করতে বলেছিলেন সেটার মধ্যেই নিহিত: “তোমরা প্রথমে [ঈশ্বরের] রাজ্য ও তাঁহার ধার্ম্মিকতার বিষয়ে চেষ্টা কর, তাহা হইলে ঐ সকল দ্রব্যও তোমাদিগকে দেওয়া হইবে।”—মথি ৬:৩৩.

ডেভিড তার পরিবার ও আধ্যাত্মিকতা প্রায় হারিয়ে ফেলার আগের মুহূর্তে নিজের জীবনকে সঠিক পথে ফিরিয়ে এনেছিলেন। ডেভিড যখন আবারও বাইবেল অধ্যয়ন, প্রার্থনা ও পরিচর্যাকে তার জীবনে অগ্রাধিকার দিয়েছিলেন, তখন অন্যান্য বিষয়ও উন্নতি লাভ করতে শুরু করেছিল, ঠিক যেমনটা যিশু প্রতিজ্ঞা করেছিলেন। স্ত্রী ও সন্তানদের সঙ্গে তার সম্পর্ক ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে এসেছিল। তিনি আনন্দ ও পরিতৃপ্তি ফিরে পেয়েছিলেন। তিনি এখনও কঠোর পরিশ্রম করছেন। তিনি রাতারাতি ধনী হয়ে যাননি। তা সত্ত্বেও, তার দুঃখজনক অভিজ্ঞতা থেকে তিনি কিছু মূল্যবান শিক্ষা লাভ করেছিলেন।

ডেভিড যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্তকে পুনর্বিবেচনা করেছেন এবং টাকাপয়সাকে আর কখনো তার সিদ্ধান্তগুলোর ওপর আধিপত্য খাটাতে না দেওয়ার বিষয়ে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ হয়েছেন। এখন তিনি জানেন যে, তার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান বিষয়গুলো—এক প্রেমময় পরিবার, উত্তম বন্ধুবান্ধব এবং ঈশ্বরের সঙ্গে এক সম্পর্ক—টাকাপয়সা দিয়ে অর্জন করা যায় না। (হিতোপদেশ ১৭:১৭; ২৪:২৭; যিশাইয় ৫৫:১, ২) বস্তুতপক্ষে, নৈতিক দিক দিয়ে নীতিনিষ্ঠা বজায় রাখা বস্তুগত ধনসম্পদের চেয়ে আরও বেশি মূল্যবান। (হিতোপদেশ ১৯:১, NW; ২২:১) ডেভিড ও সেইসঙ্গে তার পরিবার বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে প্রথমে রাখার জন্য দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ।—ফিলিপীয় ১:১০, NW.

প্রকৃত সমৃদ্ধশালী ও সেইসঙ্গে নৈতিক দিক দিয়ে উন্নত এক সমাজ গড়ে তোলার জন্য মানুষের বিভিন্ন প্রচেষ্টা বার বার ব্যর্থ হয়েছে। কিন্তু, ঈশ্বর প্রতিজ্ঞা করেছেন যে, এক সুখী জীবনযাপনের জন্য আমাদের যে-বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক বিষয়গুলো দরকার, তাঁর রাজ্যই সেগুলো প্রচুর পরিমাণে সরবরাহ করবে। (গীতসংহিতা ৭২:১৬; যিশাইয় ৬৫:২১-২৩) যিশু শিক্ষা দিয়েছিলেন যে, আত্মাতে দীনহীন বা আধ্যাত্মিক চাহিদা সম্বন্ধে সচেতনতা থেকেই প্রকৃত সমৃদ্ধির শুরু হয়। (মথি ৫:৩) তাই, আমরা বস্তুগতভাবে ধনী বা দরিদ্র যা-ই হই না কেন, এখনই আধ্যাত্মিক বিষয়গুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়াই হল সর্বোত্তম উপায় যা ঈশ্বরের সেই নতুন জগতের জন্য একজনকে প্রস্তুত করতে পারে, যে-জগৎ খুব কাছেই। (১ তীমথিয় ৬:১৭-১৯) সেই জগৎ বস্তুগত ও আধ্যাত্মিক, উভয় দিক দিয়েই এক প্রকৃত সমৃদ্ধশালী সমাজ হবে।

[পাদটীকা]

^ নাম পরিবর্তন করা হয়েছে।

[৫ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

ইয়োব তার ধনসম্পদের ওপর নয়, বরং ঈশ্বরের ওপর নির্ভর করেছিলেন

[৭ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান বিষয়গুলো টাকাপয়সা দিয়ে অর্জন করা যায় না