মৃত্যু এক ভয়াবহ বাস্তবতা!
মৃত্যু এক ভয়াবহ বাস্তবতা!
“জন্মলগ্ন থেকেই একজন মানুষের যেকোনো মুহূর্তে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,” ব্রিটিশ ইতিহাসবেত্তা আরনল্ড টয়েনবি এই কথাগুলো লিখেছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন: “আর এটাই সত্য যে, অবশেষে প্রত্যেকেই মারা যাবে।” যখন পরিবারের কোনো প্রিয়জন অথবা কোনো ঘনিষ্ঠ বন্ধু মারা যায়, তখন সেই মৃত্যু আমাদের ওপর কত দুঃখই না নিয়ে আসে!
হাজার হাজার বছর ধরে, মৃত্যু মানবজাতির জন্য এক ভয়াবহ বাস্তবতা হয়ে এসেছে। যখন আমাদের কোনো প্রিয়জন মারা যায়, তখন আমরা একেবারে দিশেহারা হয়ে পড়ি। এই শোক থেকে কেউ-ই নিষ্কৃতি পায় না। কেউ-ই মৃত্যুকে এড়াতে পারে না। আমরা ছোট শিশুর মতো হয়ে যাই—অসহায়, যে পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে অক্ষম। ধন অথবা ক্ষমতা কোনোকিছুই এই ক্ষতিকে রোধ করতে পারে না। জ্ঞানী ও বুদ্ধিমান ব্যক্তিদের কাছে এর কোনো উত্তর নেই। দুর্বল ব্যক্তিদের মতো, শক্তিমান ব্যক্তিরাও কাঁদে।
প্রাচীন ইস্রায়েলের রাজা দায়ূদের পুত্র অবশালোম যখন মারা গিয়েছিলেন, তখন দায়ূদ এই ধরনের যন্ত্রণা ভোগ করেছিলেন। তার পুত্রের মৃত্যুসংবাদ শোনার পর, রাজা রোদন করেছিলেন এবং দুঃখ করে বলেছিলেন: “হায়! আমার পুত্ত্র অবশালোম! আমার পুত্ত্র, আমার পুত্ত্র অবশালোম! কেন তোমার পরিবর্ত্তে আমি মরি নাই? হায় অবশালোম! আমার পুত্ত্র! আমার পুত্ত্র!” (২ শমূয়েল ১৮:৩৩) একজন শক্তিমান রাজা, যিনি প্রভাবশালী শত্রুদের পরাস্ত করেছিলেন, তিনি কিছুই করতে পারেননি বরং অসহায়ভাবে তার পুত্রের পরিবর্তে তার নিজের জন্য ‘শেষ শত্রু মৃত্যু’ কামনা করেছিলেন।—১ করিন্থীয় ১৫:২৬.
মৃত্যুর কি কোনো প্রতিকার রয়েছে? যদি থাকে, তা হলে মৃতদের জন্য কী আশা রয়েছে? আমরা কি আবার কখনো আমাদের প্রিয়জনদের দেখতে পাব? পরের প্রবন্ধটি এই প্রশ্নগুলোর শাস্ত্রীয় উত্তর প্রদান করে।