সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

কর্তৃত্ব ব্যবহার করার সময় খ্রিস্টকে অনুকরণ করুন

কর্তৃত্ব ব্যবহার করার সময় খ্রিস্টকে অনুকরণ করুন

কর্তৃত্ব ব্যবহার করার সময় খ্রিস্টকে অনুকরণ করুন

 বেশ কয়েক বছর আগে, মানব আচরণের ওপর করা এক গবেষণা আগ্রহজনক ফলাফল নিয়ে আসে। যারা এতে অংশ নেয়, তাদেরকে দুটো দলে ভাগ করা হয়। একটা দলকে রক্ষী হিসেবে নিযুক্ত করে অন্য আরেকটা দলের তত্ত্বাবধান করার দায়িত্ব দেওয়া হয়, যাদেরকে বন্দি হিসেবে নিযুক্ত করা হয়। তখন কী ঘটে?

রিপোর্ট করা হয়েছিল যে, “কয়েক দিনের মধ্যে অধিকাংশ [রক্ষী] অপমানজনক কথাবার্তা বলতে ও উৎপীড়ন করতে শুরু করে এবং প্রায়ই শাস্তি দিতে থাকে আর অন্যদিকে বন্দিরা ভীত এবং দাসভাবাপন্ন হয়ে পড়ে।” সেই গবেষকরা যে-উপসংহারে পৌঁছেছিল, তা হল: যেকেউই কর্তৃত্ব অপব্যবহার করার ফাঁদে পড়তে পারে।

কর্তৃত্ব—ব্যবহার এবং অপব্যবহার

অবশ্য, কর্তৃত্বের সঠিক ব্যবহার এক উপকারী প্রভাব হতে পারে। এটা উপযুক্ত নির্দেশনা জোগাতে পারে আর এর ফলে শারীরিক, আবেগগত ও আধ্যাত্মিক উপকার আসতে পারে। (হিতোপদেশ ১:৫; যিশাইয় ৪৮:১৭, ১৮) কিন্তু, ওপরে উল্লেখিত গবেষণা যেমন দেখায় যে, কর্তৃত্ব ব্যবহারের ক্ষেত্রে যুক্তিযুক্ত মাত্রা ছাড়িয়ে যাওয়ার মধ্যে চিরবিদ্যমান এক বিপদ রয়েছে। বাইবেল এই বিপদকে নির্দেশ করে বলে: “দুষ্ট লোক কর্ত্তৃত্ব পাইলে প্রজারা আর্ত্তস্বর করে।”—হিতোপদেশ ২৯:২; উপদেশক ৮:৯.

কর্তৃত্বের অপব্যবহার করা ক্ষতিকর, এমনকি তা যদি এক উত্তম মনোভাব নিয়েও করা হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি কিছু শিক্ষক তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা ছেলেমেয়েদের ওপর যেভাবে তাদের ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিল, সেটার জন্য আয়ার্ল্যান্ডের একটা ধর্মীয় শিক্ষা দল জনসমক্ষে ক্ষমা চেয়েছিল। কোনো সন্দেহ নেই যে, এদের মধ্যে অনেক শিক্ষকের উদ্দেশ্য ভাল ছিল কিন্তু কেউ কেউ যে-পদ্ধতিগুলো ব্যবহার করেছিল, সেগুলো অত্যন্ত ক্ষতিকর ছিল। একটা সংবাদপত্র রিপোর্ট করেছিল যে, “শিক্ষাদানকারী অনেক ব্রাদারদের চরম হিংস্রতা এবং কঠোর পদ্ধতির কারণে অনেক ছেলেমেয়ে কোনো না কোনোভাবে ক্ষতিগ্রস্ত [হয়েছিল]।” (দি আইরিশ টাইমস) তা হলে, আপনার কথা ও কাজের দ্বারা অন্যদের দূরে সরিয়ে না দিয়ে অথবা আঘাত না দিয়ে বরং তাদেরকে সর্বোত্তমটি করতে কীভাবে আপনি আপনার কর্তৃত্ব ব্যবহার করতে পারেন?—হিতোপদেশ ১২:১৮.

“সমস্ত কর্ত্তৃত্ব” যিশু খ্রিস্টকে দেওয়া হয়েছে

যিশু খ্রিস্টের উদাহরণ বিবেচনা করুন। স্বর্গারোহণের কিছু আগে তিনি তাঁর শিষ্যদের বলেছিলেন: “স্বর্গে ও পৃথিবীতে সমস্ত কর্ত্তৃত্ব আমাকে দত্ত হইয়াছে।” (মথি ২৮:১৮) এই বিষয়টা কি শিষ্যদের কোনোভাবে ভীতিবিহ্বল করে তুলেছিল? তারা কি এইরকম মনে করেছিল যে, যিশু এখন রোমের সেই কৈসরদের মতো একই মনোভাব দেখাবেন, যারা মতবিরোধ অথবা বিদ্রোহ দমন করার জন্য কুখ্যাত ছিল?

বাইবেলের বিবরণ জোরালোভাবে এর উত্তর দেয়, না! যিশু খ্রিস্ট তাঁর পিতার মতো একই উপায়ে কর্তৃত্ব ব্যবহার করে থাকেন। যদিও যিহোবা ন্যায়সংগতভাবে সর্বশক্তিমান সার্বভৌম প্রভু কিন্তু তিনি তাঁর প্রজাদের কাছ থেকে আন্তরিকতাহীন, ভীত অথবা দাসোচিত বাধ্যতা নয় বরং ইচ্ছুক হৃদয়ের সেবা চান। (মথি ২২:৩৭) যিহোবা কখনো তাঁর কর্তৃত্বের অপব্যবহার করেন না। ভাববাদী যিহিষ্কেলকে দেওয়া এক নাটকীয় দর্শন এই বিষয়টা দেখায়।

সেই দর্শনে যিহিষ্কেল চারজন দূতরূপ প্রাণীকে দেখেছিলেন, যারা ঈশ্বরের সার্বভৌমত্বকে উচ্চীকৃত করেছিল। প্রত্যেকের চারটে করে মুখ ছিল। যিহিষ্কেল লেখেন, “তাহাদের মুখের আকৃতি এই; তাহাদের মানুষের মুখ ছিল, আর দক্ষিণদিকে চারিটীর সিংহের মুখ, এবং বামদিকে চারিটীর গোরুর মুখ, আবার চারিটীর ঈগল পক্ষীর মুখ ছিল।” (যিহিষ্কেল ১:১০) এই চারটে মুখ, ঈশ্বরের নিখুঁতভাবে ভারসাম্যপূর্ণ চারটে মৌলিক গুণকে চিত্রিত করে। এগুলোকে ঈশ্বরের বাক্যে এভাবে শনাক্ত করা হয়েছে: প্রেম, যা মানুষের মুখের দ্বারা চিত্রিত হয়েছে; ন্যায়বিচার, যা সিংহের মুখের দ্বারা চিত্রিত হয়েছে; আর প্রজ্ঞা, যা ঈগলের মুখের দ্বারা চিত্রিত হয়েছে। এই তিনটে গুণ চতুর্থ গুণের সঙ্গে একত্রে কাজ করে আর তা হল শক্তি, যা গরু বা ষাঁড়ের মুখের দ্বারা দেখানো হয়েছে। এই সমস্ত বিষয়ের অর্থ কী? এই দর্শন দেখায় যে, যিহোবা তাঁর অসীম শক্তি এবং কর্তৃত্বকে কখনো এমন উপায়ে ব্যবহার করেন না, যা তাঁর অন্যান্য মৌলিক গুণের সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।

তাঁর পিতাকে অনুকরণ করে যিশু খ্রিস্ট সবসময় তাঁর কর্তৃত্বকে এমন উপায়ে ব্যবহার করেন, যা প্রেম, প্রজ্ঞা এবং ন্যায়বিচারের সঙ্গে নিখুঁতভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ। যিশুর কর্তৃত্বের অধীনে সেবা করে তাঁর শিষ্যরা অনেক বিশ্রাম বা পরম সতেজতা লাভ করেছিল। (মথি ১১:২৮-৩০) কোনো একটা গুণ দিয়ে যদি যিহোবা ঈশ্বর এবং যিশু খ্রিস্ট, উভয়কেই বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করা হয়, তা হলে সেটা শক্তি বা কর্তৃত্ব নয় বরং প্রেম!—১ করিন্থীয় ১৩:১৩; ১ যোহন ৪:৮.

আপনি কীভাবে কর্তৃত্ব ব্যবহার করেন?

এই ক্ষেত্রে আপনি কী করে থাকেন? উদাহরণস্বরূপ, পরিবারে বিভিন্ন বিষয় নিয়ন্ত্রণ করার জন্য আপনি কি আপনার ব্যক্তিগত খেয়ালখুশিমতো আপনার কর্তৃত্বকে ব্যবহার করেন? আপনার পরিবারের অন্য সদস্যরা কি ভয়ের কারণে নাকি প্রেমের বশবর্তী হয়ে আপনার সিদ্ধান্তগুলো মেনে নেয়? সবচেয়ে ক্ষমতাশালী বলেই কি সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়া হয়? এই প্রশ্নগুলোই পরিবারের মস্তকরা পারিবারিক ব্যবস্থায় ঈশতান্ত্রিক নিয়ম বজায় রাখার দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে বিবেচনা করতে পারে।—১ করিন্থীয় ১১:৩.

খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে যদি আপনার কোনো কর্তৃত্ব থাকে, তা হলে কী বলা যায়? আপনি তা সঠিকভাবে ব্যবহার করছেন কি না, তা পরীক্ষা করে দেখার জন্য নীচে দেওয়া নীতিগুলোর দ্বারা নিজেকে যাচাই করুন, যেগুলো যিহোবা ঈশ্বরের দ্বারা অনুপ্রাণিত এবং যিশু খ্রিস্টের উদাহরণের মাধ্যমে স্পষ্ট করা হয়েছে।

‘প্রভুর দাসের উচিত সকলের প্রতি কোমল, সহনশীল হওয়া, এবং মৃদু ভাবে বিরোধিগণকে শাসন করা।’—২ তীমথিয় ২:২৪, ২৫.

প্রাথমিক খ্রিস্টীয় মণ্ডলীতে কেউ কেউ অনেক কর্তৃত্বের অধিকারী ছিল। উদাহরণস্বরূপ, তীমথিয় এমনকি “কতকগুলি লোককে এই আদেশ” দিতে পারতেন “যেন তাহারা অন্যবিধ শিক্ষা না দেয়।” (১ তীমথিয় ১:৩) কিন্তু, আমরা নিশ্চিত থাকতে পারি যে, তীমথিয় তার সমস্ত কাজে ঈশ্বরীয় গুণাবলি প্রতিফলিত করেছিলেন কারণ নিঃসন্দেহে তিনি “মৃদু ভাবে” শাসন করার বা শিক্ষা দেওয়ার এবং খ্রিস্টীয় মণ্ডলীর তত্ত্বাবধান করার ক্ষেত্রে ‘সকলের প্রতি কোমল হইবার’ বিষয়ে পৌলের পরামর্শের সঙ্গে মিল রেখে কাজ করেছিলেন। যেহেতু তুলনামূলকভাবে তার বয়স কম ছিল, তাই বয়স্ক ভাইদের সঙ্গে তাকে এক সম্মানপূর্ণ ছেলের মতো এবং অল্পবয়স্কদের সঙ্গে এক যত্নশীল ভাইয়ের মতো আচরণ করতে হয়েছিল। (১ তীমথিয় ৫:১, ২) সেই প্রেমময় যত্নের অধীনে থেকে খ্রিস্টীয় মণ্ডলী এক উষ্ণ, প্রেমময় পরিবারের মনোভাব প্রতিফলিত করে, কোনো নিরাবেগ, নিষ্ঠুর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মনোভাব নয়।—১ করিন্থীয় ৪:১৪; ১ থিষলনীকীয় ২:৭, ৮.

“পরজাতীয়দের অধিপতিরা তাহাদের উপরে প্রভুত্ব করে, এবং যাহারা মহান্‌, তাহারা তাহাদের উপরে কর্ত্তৃত্ব করে। তোমাদের মধ্যে সেরূপ হইবে না; কিন্তু তোমাদের মধ্যে যে কেহ মহান্‌ হইতে চায়, সে তোমাদের পরিচারক হইবে।”—মথি ২০:২৫, ২৬.

জগতের স্বৈরাচারী শাসকরা তাদের ইচ্ছা অন্যদের ওপর চাপিয়ে দিয়ে এবং কোনো নির্দিষ্ট উপায়ে কাজ করার জন্য তাদেরকে জোর করে ও সেইসঙ্গে তারা যদি অবাধ্য হয়, তা হলে শাস্তি দেওয়ার ভয় দেখিয়ে অন্যদের “উপরে প্রভুত্ব করে।” কিন্তু, যিশু খ্রিস্ট অন্যদের সেবা করার ওপর জোর দিয়েছিলেন, তাদেরকে চাপ দেওয়ার ওপর নয়। (মথি ২০:২৭, ২৮) তিনি সবসময় তাঁর শিষ্যদের সঙ্গে প্রেমপূর্ণ ও যত্নশীল উপায়ে আচরণ করতেন। আপনি যখন যিশুর উদাহরণ অনুসরণ করেন, তখন অন্যদের পক্ষে আপনার সঙ্গে সহযোগিতা করা অনেক সহজ হয়ে যায়। (ইব্রীয় ১৩:৭, ১৭) এ ছাড়া, এটা তাদের জন্য আমাদের কর্তৃত্বের বশীভূত হতে, এমনকি তাদের কাছ থেকে যতটুকু চাওয়া হয়, তার চেয়ে আরও বেশি করাকে অনেকখানি সহজ করে দেয় আর তারা কোনোরকম আবশ্যকতা প্রযুক্ত নয় কিন্তু ইচ্ছাপূর্বক তা করে থাকে।—মথি ৫:৪১.

“তোমাদের মধ্যে ঈশ্বরের যে পাল আছে, তাহা পালন কর; . . . নিরূপিত অধিকারের উপরে কর্ত্তৃত্বকারীরূপে নয়, কিন্তু পালের আদর্শ হইয়াই কর।”—১ পিতর ৫:২, ৩.

আজকে অধ্যক্ষরা বুঝতে পারে যে, মণ্ডলীর সকলের আধ্যাত্মিক মঙ্গলের জন্য তাদেরকে নিকাশ দিতে হবে। তারা এই দায়িত্ব গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে থাকে। ঈশ্বরের পালের যত্ন নেওয়ার সময়ে তারা তা ইচ্ছাপূর্বক, উৎসুকভাবে এবং প্রেমের সঙ্গে করার প্রচেষ্টা করে। তারা তাদের বিশ্বাসের ওপর প্রভুত্বকারী হিসেবে কাজ করে না বরং প্রেরিত পৌলের মতো তাদের তত্ত্বাবধানে থাকা ব্যক্তিদের বিশ্বাসকে বৃদ্ধি এবং শক্তিশালী করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করে।—২ করিন্থীয় ১:২৪.

ভুল করেছে এমন একজন ব্যক্তিকে সুস্থ বা পুনঃসমন্বয় করার অথবা একজন সহখ্রিস্টানকে আধ্যাত্মিকভাবে উন্নতি করতে সাহায্য করার জন্য যখন উপযুক্ত পরামর্শ দেওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন প্রাচীনরা তা মৃদুতার আত্মায় দিয়ে থাকে। তারা প্রেরিত পৌলের এই অনুস্মারক মনে রাখে: “ভ্রাতৃগণ, যদি কেহ কোন অপরাধে ধরাও পড়ে তবে আত্মিক যে তোমরা, তোমরা সেই প্রকার ব্যক্তিকে মৃদুতার আত্মায় সুস্থ কর, আপনাকে দেখ, পাছে তুমিও পরীক্ষাতে পড়।”—গালাতীয় ৬:১; ইব্রীয় ৬:১, ৯-১২.

“পরস্পর সহনশীল হও, এবং . . . পরস্পর ক্ষমা কর; . . . প্রেম পরিধান কর; তাহাই সিদ্ধির যোগবন্ধন।”—কলসীয় ৩:১৩, ১৪.

খ্রিস্টীয় মানগুলো নিখুঁতভাবে পালন করতে ব্যর্থ হন এমন কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আপনি কেমন আচরণ করেন? আপনি কি তাদের অসিদ্ধতাগুলো বিবেচনা করেন, যেমনটা যিহোবা এবং যিশু খ্রিস্ট করে থাকে? (যিশাইয় ৪২:২-৪) নাকি আপনি প্রতিটা ক্ষেত্রে অক্ষরে অক্ষরে আইন পালন করার জন্য চাপাচাপি করেন? (গীতসংহিতা ১৩০:৩) মনে রাখবেন যে, যেখানে সম্ভব সেখানে কোমলতা দেখানো এবং যখন প্রয়োজন কেবল তখনই দৃঢ়তা দেখানো উপযুক্ত। প্রেমের সঙ্গে কাজ করলে তা আপনার এবং যাদের ওপর আপনার কর্তৃত্ব রয়েছে, তাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও নির্ভরতার দৃঢ়বন্ধন গড়ে তুলতে সাহায্য করবে।

আপনাকে যদি কোনো ধরনের কর্তৃত্ব দেওয়া হয়, তা হলে তা ব্যবহার করার সময় যিহোবা এবং যিশু খ্রিস্টকে অনুকরণ করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করুন। যিহোবা তাঁর লোকেদের ওপর যেভাবে কর্তৃত্ব ব্যবহার করেন, তা বর্ণনা করতে গিয়ে গীতরচক যে-অপূর্ব চিত্র তুলে ধরেছেন, তা স্মরণ করে দেখুন। দায়ূদ গেয়েছিলেন: “সদাপ্রভু আমার পালক, আমার অভাব হইবে না। তিনি তৃণভূষিত চরাণীতে আমাকে শয়ন করান, তিনি বিশ্রাম-জলের ধারে ধারে আমাকে চালান। তিনি আমার প্রাণ ফিরাইয়া আনেন, তিনি নিজ নামের জন্য আমাকে ধর্ম্মপথে গমন করান।” একইভাবে, যিশুর বিষয়ে আমরা পড়ি: “আমিই উত্তম মেষপালক; আমার নিজের সকলকে আমি জানি, এবং আমার নিজের সকলে আমাকে জানে, যেমন পিতা আমাকে জানেন, ও আমি পিতাকে জানি; এবং মেষদিগের জন্য আমি আপন প্রাণ সমর্পণ করি।” প্রেমের সঙ্গে কর্তৃত্ব ব্যবহার করার ক্ষেত্রে তাদের চেয়ে উত্তম আদর্শ আর কেই বা হতে পারে?—গীতসংহিতা ২৩:১-৩; যোহন ১০:১৪, ১৫.

[১৮ পৃষ্ঠার ব্লার্ব]

যিহোবা তাঁর শক্তি ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সবসময় ন্যায়বিচার, প্রজ্ঞা এবং প্রেম দেখান

[১৮ পৃষ্ঠার চিত্র]

মাঝে মাঝে প্রাচীনদের এমন ব্যক্তিদেরকে পরামর্শ দিতে হবে, যারা ভুল করেছে

[১৯ পৃষ্ঠার চিত্র]

পৌল তীমথিয়কে এক সম্মানপূর্ণ ছেলে এবং যত্নশীল ভাইয়ের মতো আচরণ করার পরামর্শ দিয়েছিলেন

[২০ পৃষ্ঠার চিত্র]

যিশু খ্রিস্ট বিজ্ঞতা, ন্যায়বিচার এবং প্রেমের সঙ্গে তাঁর কর্তৃত্ব ব্যবহার করেন