সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

আপনি কত ভালভাবে ভাববিনিময় করেন?

আপনি কত ভালভাবে ভাববিনিময় করেন?

আপনি কত ভালভাবে ভাববিনিময় করেন?

 “ষাট বছর বয়স্ক এক ব্যক্তির প্রেমপত্র।” এটাই ছিল, কয়েক বছর আগে জাপানের একটা ব্যাঙ্কের দ্বারা আয়োজিত এক প্রতিযোগিতার বিষয়। এটা ৫০ ও ৬০ এর কোঠায় বয়সি জাপানি লোকেদের তাদের সাথির প্রতি “আন্তরিক অনুভূতি” খুলে বলতে আবেদন জানিয়েছিল। একজন প্রতিযোগী তার স্ত্রীকে লিখেছিলেন: “তুমি হয়তো হাসবে কিন্তু আমি না বলে থাকতে পারছি না, তাই জোর গলায় বলছি: তুমি আমায় বিয়ে করেছ বলে আমি ধন্য।”

প্রাচ্যের কয়েকটা সংস্কৃতিসহ বেশ কিছু সংস্কৃতিতে, একজনের অনুভূতি খোলাখুলিভাবে প্রকাশ করাকে তেমন ভাল চোখে দেখা হয় না। তা সত্ত্বেও, সেই প্রেমপত্র প্রতিযোগিতায় ১৫,০০০ এরও বেশি লোক সাড়া দিয়েছিল। এটা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল যে, এই প্রতিযোগিতার পর এই ধরনের আরেকটা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল আর সেই প্রেমপত্রগুলো দিয়ে একটি বই প্রকাশ করা হয়েছিল। এটা ইঙ্গিত করে যে, মনের গভীরে অনেকেই তাদের প্রিয় সাথি সম্বন্ধে যা অনুভব করে থাকে, তা ব্যক্ত করতে আকুলভাবে আকাঙ্ক্ষী। তবে, কিছুজন তা করা এড়িয়ে চলে। কেন? সম্ভবত এর কারণটা হচ্ছে, তাদের অনুভূতি অন্যদেরকে—যেমন একজন সাথিকে—উপলব্ধি করতে সাহায্য করার জন্য অনেক প্রচেষ্টা ও দক্ষতার প্রয়োজন।

হিতোশি কাতো, যিনি অবসর গ্রহণের ওপর একটি বই লিখেছিলেন, তিনি বলেন যে, জাপানের বয়স্ক দম্পতিদের মধ্যে স্ত্রীরাই, বছরের পর বছর ধরে তাদের মনের গভীরে পুষে রাখা বিরক্তির কারণে অনেক বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করার ব্যাপারে প্রথমে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। তিনি বলেন, “কিন্তু সেইসঙ্গে এর কারণ হচ্ছে, সংকটপূর্ণ সময়ের মুখোমুখি হলে দম্পতিরা খোলাখুলিভাবে তাদের মনের কথা প্রকাশ করে না।”

অবসর গ্রহণের পর, একজন স্বামী হয়তো তার হাতে ধরিয়ে দেওয়া স্ত্রীর বিবাহবিচ্ছেদের নোটিশ পেয়ে পুরোপুরি অবাক হয়ে যান। বছরের পর বছর ধরে সেই দম্পতি হয়তো একে অন্যের প্রতি তাদের অনুভূতি নিয়ে কোনোরকম আলোচনাই করেনি। স্বামী ও স্ত্রী হয়তো তাদের অনুভূতি প্রকাশ করার চেষ্টা করেছে কিন্তু সেই আলোচনাকে শান্ত রাখতে পারেনি। এক অন্তরঙ্গ সম্পর্ক গড়ে তোলার পরিবর্তে, তারা ক্রমাগত তর্কবিতর্কে জড়িয়ে পড়ে।

কীভাবে স্বামী ও স্ত্রী তাদের মতভেদগুলোকে এক শান্তিপূর্ণ উপায়ে সমাধান করতে এবং তাদের অনুভূতিকে এক শান্ত মেজাজে প্রকাশ করতে পারে? আপনি হয়তো এটা জানতে আগ্রহী হবেন যে, সবচেয়ে ব্যবহারিক পরামর্শগুলো বিবাহ বিষয়ক পরামর্শদাতার দ্বারা রচিত কোনো আধুনিক বইয়ে নয় কিন্তু এক প্রাচীন বইয়ে—বাইবেলে—পাওয়া যায়, যেটিকে শত শত বছর ধরে মূল্যবান বলে গণ্য করা হয়েছে।