সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

ভয় করবেন না যিহোবা আপনার সঙ্গে সঙ্গে আছেন!

ভয় করবেন না যিহোবা আপনার সঙ্গে সঙ্গে আছেন!

ভয় করবেন না যিহোবা আপনার সঙ্গে সঙ্গে আছেন!

 পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় আগে, প্রথম পারমাণবিক বোমা বিস্ফোরণের অল্প কিছুদিন পর, নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী হ্যারাল্ড সি. ইউরে ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বলেছিলেন: “আমরা ভয়ে খাব, ভয়ে শোব, ভয়ে বাস করব, ভয়ের কারণে মারা যাব।” বস্তুতপক্ষে, আজকে আমাদের জগৎ ভয়ে আচ্ছন্ন আর এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই! প্রতিদিন সংবাদপত্রগুলো সন্ত্রাসবাদের আতঙ্কজনক ঘটনা, দৌরাত্ম্যপূর্ণ অপরাধ এবং বোধাতীত রোগগুলো সম্বন্ধে জানিয়ে থাকে।

খ্রিস্টান হিসেবে, আমরা জানি এইরকম পরিস্থিতির অর্থ কী। এগুলো ইঙ্গিত করে যে, আমরা এই দুষ্ট ব্যবস্থার “শেষ কালে” বাস করছি, যেটা “বিষম সময়” দ্বারা চিহ্নিত হবে বলে বাইবেল ভবিষ্যদ্বাণী করেছিল। (২ তীমথিয় ৩:১) তাই আমাদের এই আস্থা দৃঢ় হয় যে, যিহোবা ঈশ্বর শীঘ্রই এক নতুন জগৎ নিয়ে আসবেন, যেখানে ধার্মিকতা বসতি করবে। (২ পিতর ৩:১৩) কিন্তু, সেই সময় আসা না পর্যন্ত আমরা কি ভয় থেকে মুক্ত?

ঈশ্বরের দাসেরা ভয়কে যেভাবে দেখে থাকে

যিহোবার দাসদের মধ্যে রয়েছে যাকোব, দায়ূদ ও এলিয়, যারা বিপদজনক পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার সময় কিছুটা ভয় পেয়েছিল। (আদিপুস্তক ৩২:৬, ৭; ১ শমূয়েল ২১:১১, ১২; ১ রাজাবলি ১৯:২, ৩) এই লোকেরা বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেনি। এর বিপরীতে, তারা যিহোবার ওপর দৃঢ় নির্ভরতা দেখিয়েছিল। তা সত্ত্বেও, যাকোব, দায়ূদ ও এলিয় মানুষ ছিল; তাই, তারা সহজেই ভয়ে কাতর হয়ে গিয়েছিল। “এলিয় আমাদের ন্যায় সুখদুঃখভোগী মনুষ্য ছিলেন,” শিষ্য যাকোব লিখেছিলেন।—যাকোব ৫:১৭.

বর্তমানে আমরা হয়তো যে-প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছি অথবা ভবিষ্যতে হয়তো যেটার সম্মুখীন হতে পারি, সেই সম্বন্ধে যখন গভীরভাবে চিন্তা করি, তখন আমরাও হয়তো ভয় পেতে পারি। এই ধরনের ভয় পাওয়া স্বাভাবিক। বস্তুত বাইবেল বলে যে, “যাহারা ঈশ্বরের আজ্ঞা পালন ও যীশুর সাক্ষ্য ধারণ করে,” তাদের সঙ্গে “যুদ্ধ” করতে শয়তান দিয়াবল বদ্ধপরিকর। (প্রকাশিত বাক্য ১২:১৭) যদিও এই কথাগুলো নির্দিষ্টভাবে অভিষিক্ত খ্রিস্টানদের প্রতি প্রযোজ্য কিন্তু পৌল লিখেছিলেন: “যত লোক ভক্তিভাবে খ্রীষ্ট যীশুতে জীবন ধারণ করিতে ইচ্ছা করে, সেই সকলের প্রতি তাড়না ঘটিবে।” (২ তীমথিয় ৩:১২) তবুও, সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হলে, ভয় যেন আমাদেরকে পঙ্গু করে না দেয়। কেন?

“পরিত্রাণসাধক ঈশ্বর”

গীতরচক দায়ূদ লিখেছিলেন: “ঈশ্বর আমাদের পক্ষে পরিত্রাণসাধক ঈশ্বর।” (গীতসংহিতা ৬৮:২০) যিহোবা তাঁর লোকেদের রক্ষা করতে বার বার তাঁর ক্ষমতা প্রদর্শন করেছেন, হয় তা তাদেরকে বিপদজনক পরিস্থিতি থেকে উদ্ধার করে অথবা তাদেরকে সহ্য করার জন্য শক্তি দিয়ে। (গীতসংহিতা ৩৪:১৭; দানিয়েল ৬:২২; ১ করিন্থীয় ১০:১৩) আপনার বাইবেল অধ্যয়ন থেকে, আপনি এই রকমের কটা ‘পরিত্রাণসাধনের’ কথা মনে করতে পারেন?

ওয়াচ টাওয়ার পাবলিকেশনস্‌ ইনডেক্স * ব্যবহার করে, নোহের দিনের পৃথিবীব্যাপী জলপ্লাবন, সদোম ও ঘমোরা থেকে লোট ও তার মেয়েদের রক্ষা পাওয়া, ইস্রায়েলীয়দের মিশর থেকে বের হয়ে আসা ও লোহিত সাগরের মধ্যে দিয়ে যাত্রা করা অথবা যিহুদিদের ধ্বংস করার জন্য হামনের পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়া, এই ধরনের বাস্তব জীবনের ঘটনাগুলোর ওপর গবেষণা করুন না কেন? এই রোমাঞ্চকর বিবরণগুলো পড়া ও তারপর সেগুলো নিয়ে ধ্যান করা আপনার এই বিশ্বাসকে দৃঢ় করবে যে, যিহোবা হলেন একজন পরিত্রাণসাধক ঈশ্বর। এর ফলে, এটা আপনাকে নির্ভয়ে আপনার বিশ্বাসের পরীক্ষাগুলোর মুখোমুখি হতে সাহায্য করবে।

বর্তমান দিনের উদাহরণগুলো

আপনি কি আপনার এলাকায় বর্তমান দিনের সেই ব্যক্তিদের কথা চিন্তা করতে পারেন, যারা ধৈর্য দেখিয়েছে? হতে পারে এমন কেউ, যাকে বিশ্বস্ত থাকার জন্য কারারুদ্ধ করা হয়েছে। আপনি হয়তো একজন বয়স্ক খ্রিস্টানকে জানেন, যিনি স্বাস্থ্য ভেঙে পড়া সত্ত্বেও, যিহোবার সেবা করে চলেছেন। অথবা সেই অল্পবয়সিদের কথা চিন্তা করুন, যারা তাদের সহপাঠীদের কাছ থেকে প্রচণ্ড চাপ আসা সত্ত্বেও, জগৎ থেকে পৃথক থাকে। এরপর রয়েছে একক অভিভাবকরা, যারা কোনো সাথি ছাড়াই সন্তানদের মানুষ করে তুলছে অথবা অবিবাহিত ব্যক্তিরা, যারা একাকিত্বের অনুভূতি সত্ত্বেও, যিহোবাকে সেবা করছে। এই ব্যক্তিদের কাছ থেকে আপনি কী শেখেন? তাদের বিশ্বস্ত পথের বিষয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা, আপনি হয়তো যে-পরীক্ষাগুলোর মুখোমুখিই হোন না কেন সেগুলোকে সহ্য করতে এবং সেগুলোর মুখোমুখি হওয়ার সময় নির্ভীক থাকতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।

আমরা যখন বিরোধিতা ও তাড়নার মুখোমুখি হই, তখনই যে একমাত্র নির্ভীকতার প্রয়োজন তা নয় কিন্তু আমরা যদি আমাদের প্রতি যিহোবার ভালবাসা সম্বন্ধে সন্দেহ করতে শুরু করি, তখনও প্রয়োজন। আমাদের এই আস্থা গড়ে তুলতে হবে যে, খ্রিস্টের মুক্তির মূল্য ব্যক্তিগতভাবে আমাদের প্রতি প্রযোজ্য। (গালাতীয় ২:২০) তা হলে, অযথা ভয় অথবা শঙ্কা ছাড়াই আমরা যিহোবার নিকটবর্তী হতে পারি। আমরা যদি নিজেদেরকে যিহোবার ভালবাসা পাওয়ার অযোগ্য বলে মনে করি, তা হলে আমরা তাঁর অনুসারীদের উদ্দেশে বলা যিশুর এই কথাগুলো সম্বন্ধে গভীরভাবে চিন্তা করতে পারি: “দুইটী চড়াই পাখী কি এক পয়সায় বিক্রয় হয় না? আর তোমাদের পিতার অনুমতি বিনা তাহাদের একটীও ভূমিতে পড়ে না। কিন্তু তোমাদের মস্তকের কেশগুলিও সমস্ত গণিত আছে। অতএব ভয় করিও না, তোমরা অনেক চড়াই পাখী হইতে শ্রেষ্ঠ।”—মথি ১০:২৯-৩১.

প্রহরীদুর্গ এবং সচেতন থাক! পত্রিকা প্রায়ই যিহোবার আধুনিক দিনের সাক্ষিদের অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকে, যারা নির্ভীকভাবে কষ্টকর পরিস্থিতিগুলোর মুখোমুখি হয়েছে। এর মানে এই নয় যে, নিজেদের দুঃখজনক অবস্থা সম্বন্ধে তাদের কোনোরকম নেতিবাচক অনুভূতি ছিল না। কিন্তু, তারা এই ধরনের অনুভূতিকে যিহোবাকে সেবা করা বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হতে দেয়নি। তাদের সম্বন্ধে প্রকাশিত বিবরণগুলো আপনাকেও নির্ভীকভাবে সহ্য করতে সাহায্য করতে পারে। দুটো উদাহরণ বিবেচনা করুন।

একটা আঘাত তার জীবনকে বদলে দিয়েছিল

২০০৩ সালের জুলাই - সেপ্টেম্বর সংখ্যার সচেতন থাক! পত্রিকায় “একটা আঘাত যেভাবে আমার জীবনকে বদলে দিয়েছিল” নামক প্রবন্ধটি প্রকাশ করা হয়েছিল। এই প্রবন্ধে, স্ট্যানলি অমবেভা নামে কেনিয়ার একজন যিহোবার সাক্ষি, দ্রুত গতিতে চলন্ত একটা গাড়ির সঙ্গে ধাক্কা খাওয়ার ফলে যে-প্রতিদ্বন্দ্বিতাগুলোর মুখোমুখি হয়েছিলেন, সেগুলো উল্লেখ করেন। দিনের পর দিন তার স্বাস্থ্য যতই খারাপ হতে থাকে, তিনি তার চাকরি ও সেইসঙ্গে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা হারান। “আমার প্রকৃত অবস্থা যখন আমি পুরোপুরি বুঝতে পারি,” ভাই অমবেভা তার বিবরণে স্বীকার করেন, “তখন আমি নেতিবাচক, আত্মকেন্দ্রিক এবং বিরক্ত হয়ে উঠেছিলাম। মাঝে মাঝে আমি রেগে যেতাম ও তিক্ত হয়ে পড়তাম।” কঠোর পরীক্ষা সত্ত্বেও, এই খ্রিস্টান ব্যক্তি নির্ভীক ছিলেন। তিনি হতাশার কারণে একেবারে ভেঙে পড়েননি ও একেবারে হাল ছেড়ে দেননি। এর পরিবর্তে, তিনি যিহোবার ওপর নির্ভর করেছিলেন। “আমি যেসব কষ্ট ভোগ করেছি, তাতে তিনি আমাকে সবসময় সমর্থন করেছেন—এত বেশি করেছেন যে, আমি মাঝে মাঝে নিজের সম্বন্ধে লজ্জিত হয়ে পড়ি,” ভাই অমবেভা বলেন। “আমার পরিস্থিতিতে যে-শাস্ত্রপদগুলো সান্ত্বনাজনক হবে বলে আমি জানতাম, সেই সমস্ত শাস্ত্রপদ পড়ার ও ধ্যান করার জন্য আমি দৃঢ় সংকল্প নিয়েছিলাম।”

ভাই অমবেভার অকপট মন্তব্যগুলো অনেককেই, নির্ভীকভাবে পরীক্ষাগুলো সহ্য করতে সক্ষম করেছে। “এই প্রবন্ধটি পড়ে আমি কেঁদে ফেলেছিলাম,” একজন খ্রিস্টান বোন লিখেছিলেন। “আমার মনে হয়েছিল যে, এই প্রবন্ধের মাধ্যমে যিহোবা আমার প্রতি তাঁর উষ্ণ অনুভূতি ও প্রেমময় যত্ন দেখাচ্ছিলেন এবং আমাকে সান্ত্বনা জোগাচ্ছিলেন।” আরেকজন সাক্ষি লিখেছিলেন: “এই ধরনের প্রবন্ধগুলো আমাদের সেই সকলকে অনেক উৎসাহ প্রদান করে, যারা একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছে এবং যারা নীরবে কষ্টভোগ করছে।”

আবেগগত চাপের সঙ্গে সফলভাবে মোকাবিলা করা

আরেকটা মর্মস্পর্শী অভিজ্ঞতা হচ্ছে হার্বার্ট জেনিংগসের, যেটি “তোমরা ত কল্যকার তত্ত্ব জান না; তোমাদের জীবন কি প্রকার?” * নামক প্রবন্ধে বর্ণনা করা হয়েছে। ভাই জেনিংগস্‌ বাইপোলার ডিসঅর্ডার রোগে ভোগেন। তার অসুস্থ জীবনের শুরুর দিনগুলোর কথা গভীরভাবে চিন্তা করে তিনি বলেন: “খ্রিস্টীয় সভাগুলোতে যাওয়া আমার জন্য খুব কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু ভাইবোনদের সঙ্গে মেলামেশা করার মূল্য আমি বুঝতাম। তাই আমি কিংডম হলে সবাই বসে যাওয়ার পর যেতাম আর সভা শেষ হতে না হতে উঠে চলে আসতাম।”

এ ছাড়া, প্রচারে যাওয়াটাও কঠিন ছিল। “প্রচারে গিয়ে কোনো ঘরের দরজায় দাঁড়িয়েও দরজার ঘন্টি বাজাতে আমার ভয় করত,” ভাই জেনিংগস্‌ বর্ণনা করেন। “কিন্তু আমি হাল ছাড়িনি কারণ আমি জানতাম যে শুধু প্রচার করেই আমরা নিজেদের ও যারা আমাদের কথা শোনেন তাদের বাঁচাতে পারি। (১ তীমথিয় ৪:১৬) কিছুক্ষণ পরে আমি নিজেকে সামলে নিয়ে পরের ঘরে যেতাম ও আবারও চেষ্টা করতাম। আর প্রচার করা ছাড়িনি বলে আমি ঈশ্বরের সঙ্গে আমার সম্পর্ক বজায় রাখতে পেরেছিলাম ও তা আমাকে আমার রোগের সঙ্গে লড়াই করে যেতে শক্তি জুগিয়েছিল।”

ভাই জেনিংগসের খোলাখুলি বিবরণ অনেক পাঠককে একইরকম নির্ভীকতার সঙ্গে তাদের চাপগুলোর মুখোমুখি হতে সাহায্য করেছে। উদাহরণস্বরূপ, একজন খ্রিস্টান বোন লিখেছিলেন: “আমি ২৮ বছর ধরে প্রহরীদুর্গ এবং সচেতন থাক! পত্রিকাগুলো পড়ে আসছি কিন্তু এই প্রবন্ধটি পড়ে আমি যতটা গভীরভাবে অনুপ্রাণিত হয়েছি আগে কখনো হয়নি। আমাকে আমার পূর্ণসময়ের পরিচর্যা ছেড়ে দিতে হয়েছিল এবং আমি খুব দোষী বোধ করতাম, এই মনে করে যে, আমার যদি আরও বেশি বিশ্বাস থাকত, তা হলে আমি তা চালিয়ে যেতে পারতাম। ভাই জেনিংগস্‌কে তার অসুস্থতার জন্য যত্ন নিতে যেভাবে একটা কার্যভার ছাড়তে হয়েছিল সেটা পড়া আমাকে আমার পরিস্থিতিকে ভারসাম্যপূর্ণভাবে দেখতে সাহায্য করেছিল। এটা সত্যই আমার প্রার্থনার উত্তর ছিল!”

একইভাবে, একজন খ্রিস্টান ভাই লিখেছিলেন: “মণ্ডলীতে দশ বছর একজন প্রাচীন হিসেবে সেবা করার পর, এক মানসিক রোগের কারণে আমাকে আমার এই বিশেষ সুযোগটি ছেড়ে দিতে হয়েছিল। আমার ব্যর্থতার অনুভূতি এমন ছিল যে, প্রায়ই জীবনকাহিনী সম্বন্ধীয় প্রবন্ধগুলো পড়া আমাকে আরও বেশি বিষণ্ণ করত, যে-প্রবন্ধগুলো প্রায়ই যিহোবার লোকেদের অসাধারণ সম্পাদনগুলোকে বর্ণনা করে। কিন্তু ভাই জেনিংগসের অধ্যবসায় আমার কাছে উৎসাহজনক ছিল। এই প্রবন্ধটি আমি বহুবার পড়েছি।”

আস্থা সহকারে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া

ভাই অমবেভা ও জেনিংগসের মতো, যিহোবার সাক্ষিদের অনেকে অত্যন্ত কঠিন প্রতিবন্ধকতাগুলো থাকা সত্ত্বেও, নির্ভীকভাবে যিহোবা ঈশ্বরের উপাসনা করে চলেছে। আপনি যদি তাদের মাঝে থাকেন, তা হলে আপনিও প্রশংসিত। নিশ্চিত থাকুন যে: “ঈশ্বর অন্যায়কারী নহেন; তোমাদের কার্য্য, এবং তোমরা পবিত্রগণের যে পরিচর্য্যা করিয়াছ ও করিতেছ, তদ্দ্বারা তাঁহার নামের প্রতি প্রদর্শিত তোমাদের প্রেম, এই সকল তিনি ভুলিয়া যাইবেন না।”—ইব্রীয় ৬:১০.

যিহোবা যেমন তাঁর প্রাচীনকালের বিশ্বস্ত লোকেদের তাদের শত্রুদের ওপর জয় লাভ করতে সাহায্য করেছিলেন, তেমনই তিনি যেকোনো প্রতিবন্ধকতাকে জয় করতে আপনাকেও সাহায্য করতে পারেন, যেগুলোর সম্মুখীন হয়তো আপনি হবেন। তাই, ভাববাদী যিশাইয়ের মাধ্যমে যিহোবা যে-কথাগুলো বলেছিলেন তাতে মনোযোগ দিন: “ভয় করিও না, কারণ আমি তোমার সঙ্গে সঙ্গে আছি; ব্যাকুল হইও না, কারণ আমি তোমার ঈশ্বর; আমি তোমাকে পরাক্রম দিব; আমি তোমার সাহায্য করিব; আমি আপন ধর্ম্মশীলতার দক্ষিণ হস্ত দ্বারা তোমাকে ধরিয়া রাখিব।”—যিশাইয় ৪১:১০.

[পাদটীকাগুলো]

^ যিহোবার সাক্ষিদের দ্বারা প্রকাশিত।

^ ২০০০ সালের ১লা ডিসেম্বর প্রহরীদুর্গ পত্রিকার ২৪-৮ পৃষ্ঠা দেখুন।

[১৬ পৃষ্ঠার চিত্রগুলো]

স্ট্যানলি অমবেভা (ওপরে) এবং হার্বার্ট জেনিংগসের (ডান দিকে) মতো, অনেকে নির্ভীকভাবে যিহোবার সেবা করছে

[১৪ পৃষ্ঠার চিত্র সৌজন্যে]

USAF photo