সরাসরি বিষয়বস্তুতে যান

সরাসরি বিষয়সূচিতে যান

পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য—শীঘ্রই পরিপূর্ণ হবে

পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য—শীঘ্রই পরিপূর্ণ হবে

পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য—শীঘ্রই পরিপূর্ণ হবে

 পরমদেশে থাকাকালীন আদম ও হবা ঈশ্বরের কাছ থেকে এই আদেশ পেয়েছিল: “তোমরা প্রজাবন্ত ও বহুবংশ হও, এবং পৃথিবী পরিপূর্ণ ও বশীভূত কর, আর সমুদ্রের মৎস্যগণের উপরে, আকাশের পক্ষিগণের উপরে, এবং ভূমিতে গমনশীল যাবতীয় জীবজন্তুর উপরে কর্ত্তৃত্ব কর।”—আদিপুস্তক ১:২৮.

পৃথিবীকে বশীভূত করার অর্থ, শুধুমাত্র এর একটা ছোট অংশে চাষাবাদ করা অথবা সেটার যত্ন নেওয়ার চেয়েও বেশি কিছু ছিল। আদম, হবা ও তাদের বংশধরদের পরমদেশকে প্রসারিত করতে হতো, যতক্ষণ পর্যন্ত না পুরো পৃথিবী পরমদেশে পরিণত হয়। কিন্তু, প্রথম মানব দম্পতি পাপ করেছিল আর তাদেরকে এদন উদ্যান থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। (আদিপুস্তক ৩:২৩, ২৪) তবে, তার অর্থ এই ছিল না যে, পৃথিবীকে কখনোই বশীভূত করা যাবে না।

যেহেতু বাধ্য মানবজাতি ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করবে, তাই তারা পৃথিবীকে বশীভূত করতে সক্ষম হবে। প্রাচীন ইস্রায়েলের লোকেরা যখন ঈশ্বরের আশীর্বাদ লাভ করেছিল, তখন তাদের ক্ষেতগুলোতে খুব ভাল শস্য এবং বাগানে উত্তম ফল উৎপন্ন হতো। আমাদের পৃথিবী যখন ক্রমান্বয়ে এক পরমদেশে পরিণত হবে, তখনও একইরকম পরিস্থিতি দেখা যাবে। ঈশ্বরের অনুপ্রাণিত বাক্য বাইবেলে যেমন প্রতিজ্ঞা করা হয়েছিল, “পৃথিবী নিজ ফল দিয়াছে; ঈশ্বর, আমাদের ঈশ্বর, আমাদিগকে আশীর্ব্বাদ করিবেন।” (গীতসংহিতা ৬৭:৬) সত্যিকার অর্থেই, পৃথিবীর তৃণভূমি ও পাহাড়পর্বত, এর গাছপালা ও ফুল, নদী ও সমুদ্রগুলো আনন্দ করবে। (গীতসংহিতা ৯৬:১১-১৩; ৯৮:৭-৯) আমাদের পৃথিবী প্রচুর গাছপালা, রংবেরঙের পাখি, চমৎকার জীবজন্তু এবং আন্তরিক লোকেদের দ্বারা প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

শীঘ্রই এক নতুন জগৎ!

আমরা এখন যিহোবা ঈশ্বরের প্রতিজ্ঞাত এক নতুন জগতের একেবারে দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। “তাঁহার প্রতিজ্ঞা অনুসারে আমরা এমন নূতন আকাশমণ্ডলের ও নূতন পৃথিবীর অপেক্ষায় আছি,” প্রেরিত পিতর লিখেছিলেন, “যাহার মধ্যে ধার্ম্মিকতা বসতি করে।” (২ পিতর ৩:১৩) পিতরের এই কথাগুলো পড়ার পর কেউ কেউ হয়তো এই উপসংহারে আসতে পারে যে, এই গ্রহ কখনোই এক পরমদেশে পরিণত হবে না। তারা হয়তো চিন্তা করে যে, এই আক্ষরিক আকাশমণ্ডল ও পৃথিবী পরিবর্তিত হয়ে যাবে। কিন্তু, সেটা কি হতে পারে?

‘নূতন আকাশমণ্ডল’ কী? এটা ঈশ্বরের দ্বারা সৃষ্ট আক্ষরিক আকাশমণ্ডল নয়। (গীতসংহিতা ১৯:১, ২) আগের পদগুলোতে পিতর রূপক ‘আকাশমণ্ডল’—মানব সরকারগুলো সম্বন্ধে উল্লেখ করেছিলেন, যেগুলো তাদের প্রজাদের চেয়ে ঊর্ধ্বে বা উচ্চ অবস্থানে রয়েছে। (২ পিতর ৩:১০-১২) এই ‘আকাশমণ্ডল’ মানবজাতিকে শাসন করতে ব্যর্থ হয়েছে আর তা শেষ হয়ে যাবে। (যিরমিয় ১০:২৩; দানিয়েল ২:৪৪) সেগুলোর জায়গায় যে-‘নূতন আকাশমণ্ডল’ আসবে তা হল ঈশ্বরের রাজ্য, যেটা রাজা যিশু খ্রিস্ট এবং স্বর্গীয় জীবনে পুনরুত্থিত তাঁর ১,৪৪,০০০ জন সহদায়াদকে নিয়ে গঠিত।—রোমীয় ৮:১৬, ১৭; প্রকাশিত বাক্য ৫:৯, ১০; ১৪:১, ৩.

পিতরের উল্লেখিত ‘নূতন পৃথিবী,’ কোনো নতুন গ্রহ নয়। যিহোবা পৃথিবীকে মানবজীবনের পক্ষে অনন্তকাল বেঁচে থাকার উপযোগী করে সৃষ্টি করেছিলেন। (গীতসংহিতা ১০৪:৫) মাঝে মাঝে লোকেদের বোঝাতে বাইবেল ‘পৃথিবী’ শব্দটা উল্লেখ করে। (আদিপুস্তক ১১:১) শীঘ্রই যে-পৃথিবীকে ধ্বংস করা হবে তা সেই লোকেদের নিয়ে গঠিত, যারা নিজেদের এই দুষ্ট জগতের অংশ করে তুলেছে। একইভাবে, ভক্তিহীন লোকেদের এক জগৎ নোহের দিনের জলপ্লাবনে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। (২ পিতর ৩:৫-৭) তা হলে, সেই ‘নূতন পৃথিবী’ কী? এটা হল এক নতুন মানবসমাজ—ঈশ্বরের সত্য উপাসকরা, যারা ‘সরলচিত্ত।’ (গীতসংহিতা ১২৫:৪; ১ যোহন ২:১৭) “নূতন পৃথিবীর” সমস্ত নিয়মকানুন ‘নূতন আকাশমণ্ডল’ থেকে আসবে। আর এই নিয়মকানুন যেন পালন করা হয়, তা পৃথিবীর বিশ্বস্ত ব্যক্তিরা নিশ্চিত করবে।

নতুন এবং চমৎকার বিষয়গুলো!

যিহোবা পৃথিবীকে যখন মানবজীবনের জন্য প্রস্তুত করেছিলেন, তখন তিনি নিশ্চিতভাবেই আমাদের এক অপূর্ব গৃহ দিয়েছিলেন। তিনি নিজেই বলেছিলেন যে, পৃথিবীকে প্রস্তুত করার ক্ষেত্রে তার সমস্ত কাজ “অতি উত্তম।” (আদিপুস্তক ১:৩১) শয়তান দিয়াবল, আদম ও হবাকে বিদ্রোহ করতে পরিচালিত করেছিল। (আদিপুস্তক ৩:১-৫; প্রকাশিত বাক্য ১২:৯) কিন্তু, ঈশ্বর শীঘ্রই এই বিষয়টা দেখবেন যেন সরল বা ন্যায়নিষ্ঠ ব্যক্তিরা “প্রকৃতরূপে জীবন” পায়। আর তা হল, পরমদেশের নিখুঁত পরিস্থিতিতে “অনন্ত জীবন।” (১ তীমথিয় ৬:১২, ১৯) সেই সময়ে আমরা যে-আশীর্বাদগুলো উপভোগ করব, আসুন তার কয়েকটা এখন বিবেচনা করি।

খ্রিস্টের হাজার বছরের রাজত্বের সময়ে শয়তানকে নিয়ন্ত্রণ করা হবে এবং সে মানবজাতির ওপর কোনো দুদর্শা ঘটাতে পারবে না। প্রেরিত যোহন বলেছিলেন: “আমি স্বর্গ হইতে এক দূতকে [প্রধান দূত মীখায়েল অর্থাৎ যিশু খ্রিস্টকে] নামিয়া অসিতে দেখিলাম, তাঁহার হস্তে অগাধলোকের চাবি এবং বড় এক শৃঙ্খল ছিল। তিনি সেই নাগকে ধরিলেন; এ সেই পুরাতন সর্প, এ দিয়াবল [অপবাদক] এবং শয়তান [বিপক্ষ]; তিনি তাহাকে সহস্র বৎসর বদ্ধ রাখিলেন, আর তাহাকে অগাধলোকের মধ্যে ফেলিয়া দিয়া সেই স্থানের মুখ বদ্ধ করিয়া মুদ্রাঙ্কিত করিলেন; যেন ঐ সহস্র বৎসর সম্পূর্ণ না হইলে সে জাতিবৃন্দকে আর ভ্রান্ত করিতে না পারে।” (প্রকাশিত বাক্য ২০:১-৩; ১২:১২) শয়তান অগাধলোকে বন্দি থাকাকালীন, মানবজাতি তার প্রভাব থেকে মুক্ত থাকা ছাড়াও রাজ্য শাসনের অধীনে আরও অনেক আশীর্বাদ উপভোগ করবে।

দুষ্টতা, দৌরাত্ম্য এবং যুদ্ধ অতীতের বিষয় হবে। বাইবেল প্রতিজ্ঞা করে: “ক্ষণকাল, পরে দুষ্ট লোক আর নাই, তুমি তাহার স্থান তত্ত্ব করিবে, কিন্তু সে আর নাই। কিন্তু মৃদুশীলেরা দেশের অধিকারী হইবে, এবং শান্তির বাহুল্যে আমোদ করিবে। ধার্ম্মিকেরা দেশের অধিকারী হইবে, তাহারা নিয়ত তথায় বাস করিবে।” (গীতসংহিতা ৩৭:১০, ১১, ২৯) যিহোবা ঈশ্বর ‘পৃথিবীর প্রান্ত পর্য্যন্ত যুদ্ধ নিবৃত্ত করিবেন।’ (গীতসংহিতা ৪৬:৯) নিরাপত্তা ও শান্তির কী এক চমৎকার আশ্বাস!

আমাদের জন্য প্রচুর স্বাস্থ্যকর ও সুস্বাদু খাবার থাকবে। “দেশমধ্যে পর্ব্বত-শিখরে প্রচুর শস্য হইবে,” গীতরচক গেয়েছিলেন। (গীতসংহিতা ৭২:১৬) সেই সময়ে, কাউকেই ক্ষুধার তীব্র যন্ত্রণা সহ্য করতে হবে না।

কেউ অসুস্থতা ও রোগব্যাধি ভোগ করবে না। বস্তুতপক্ষে, “নগরবাসী কেহ বলিবে না, আমি পীড়িত।” (যিশাইয় ৩৩:২৪; ৩৫:৫, ৬) পৃথিবীতে থাকাকালীন যিশু খ্রিস্ট অনেক কুষ্ঠরোগীকে সুস্থ করেছিলেন, খঞ্জ ও অন্ধ লোকেদের আরোগ্য করেছিলেন। (মথি ৯:৩৫; মার্ক ১:৪০-৪২; যোহন ৫:৫-৯) নতুন জগতে তিনি কী করবেন, তা একটু কল্পনা করুন! অন্ধ, বধির, খঞ্জ এবং বোবা লোকেরা যখন আরোগ্য লাভ করবে, তখন কত আনন্দ হবে তা চিন্তা করুন।

বাধ্য মানবজাতি যতই সিদ্ধতার দিকে অগ্রসর হবে, ততই বার্ধক্যের ক্ষতিকর প্রভাবগুলো দূর করা হবে। চশমা, ছড়ি, ক্রাচ, হুইলচেয়ার, হাসপাতাল এবং ওষুধপত্র আর থাকবে না। আমাদের যৌবনকালের শারীরিক ও মানসিক শক্তি ফিরিয়ে দেওয়া হলে তা কী এক পরিবর্তনই না হবে! (ইয়োব ৩৩:২৫) রাতে আরামদায়ক ঘুমের পর, প্রতিদিন সকালে আমরা সতেজ হয়ে জেগে উঠব এবং আরেকটা দিনের আনন্দদায়ক কাজ শুরু করার জন্য তৈরি থাকব।

প্রিয়জন ও অন্যান্য লোকেদের পুনরুত্থান আমাদের হৃদয়কে আনন্দিত করবে। (যোহন ৫:২৮, ২৯; প্রেরিত ২৪:১৫) হেবল, নোহ, অব্রাহাম, সারা, ইয়োব, মোশি, রূৎ, দায়ূদ, এলিয়, ইষ্টের ও আরও অনেককে অভ্যর্থনা জানানো কতই না রোমাঞ্চকর বিষয় হবে! এ ছাড়া, আরও লক্ষ লক্ষ লোক পুনরুত্থিত হবে। তাদের মধ্যে অধিকাংশই কখনো যিহোবা সম্বন্ধে শেখেনি কিন্তু ঈশ্বর, তাঁর উদ্দেশ্যগুলো এবং তাঁর পুত্র যিশু খ্রিস্ট সম্বন্ধে শিক্ষা দিতে ইচ্ছুক এমন লোকেরা তাদের অভ্যর্থনা জানাবে। পুনরুত্থিত লোকেরা যখন তাদের সৃষ্টিকর্তা সম্বন্ধে জানতে পারবে, তখন পৃথিবী সত্যিকার অর্থেই যিহোবা বিষয়ক জ্ঞানে পরিপূর্ণ হবে।

সর্বোত্তম বিষয়টা হল, আমরা চিরকাল একমাত্র সত্য ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারব। আমরা ‘সানন্দে সদাপ্রভুর সেবা করিবার’ বিশেষ সুযোগ লাভ করব এবং সুন্দর গৃহ তৈরি, জমি চাষ আর শেষ পর্যন্ত পুরো পৃথিবীকে বশীভূত করার সময় সমন্বয় বজায় রেখে একসঙ্গে কাজ করব। (গীতসংহিতা ১০০:১-৩; যিশাইয় ৬৫:২১-২৪) যিহোবার পবিত্র নামের সম্মান নিয়ে আসে এমন এক উৎপাদনশীল, শান্তিপূর্ণ ও সুন্দর পরমদেশে অনন্তকাল বেঁচে থাকা কতই না আনন্দদায়ক হবে!—গীতসংহিতা ১৪৫:২১; যোহন ১৭:৩.

মানবজাতির জন্য এক চূড়ান্ত পরীক্ষা

হাজার বছরের রাজত্বের সময় যিশু, প্রত্যেক বাধ্য মানুষের জন্য তাঁর মুক্তির মূল্যরূপ বলিদানের উপকারগুলো প্রয়োগ করবেন। এক সময়, সমস্ত পাপ এভাবে দূর করা হবে এবং মানবজাতিকে সিদ্ধতায় নিয়ে আসা হবে। (১ যোহন ২:২; প্রকাশিত বাক্য ২১:১-৪) আদমের পাপের প্রভাবগুলো পুরোপুরিভাবে শেষ হয়ে গেলে সিদ্ধ মানুষেরা শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক দিক দিয়ে ঈশ্বরের মানগুলো মেনে চলবে। এভাবে পাপহীন সিদ্ধতায় পৌঁছালে তারা পূর্ণ অর্থে “জীবিত” হবে। (প্রকাশিত বাক্য ২০:৫) এই বিষয়টা এবং পরমদেশ পৃথিবী যিহোবাকে কতই না গৌরবান্বিত করবে!

খ্রিস্টের হাজার বছরের রাজত্ব শেষ হওয়ার পর কিছু সময়ের জন্য, শয়তান দিয়াবল ও তার মন্দ দূতদের অগাধলোক থেকে মুক্ত করা হবে, যেখানে প্রায় দশ শতাব্দী আগে তাদের নিক্ষেপ করা হয়েছিল। (প্রকাশিত বাক্য ২০:১-৩) ঈশ্বরের কাছ থেকে লোকেদের সরিয়ে নেওয়ার জন্য তাদেরকে চূড়ান্ত প্রচেষ্টা করার সুযোগ দেওয়া হবে। কেউ কেউ যদিও মন্দ আকাঙ্ক্ষাগুলোর কাছে নতি স্বীকার করবে কিন্তু এই বিদ্রোহ ব্যর্থ হবে। যিহোবা, শয়তান ও তার সমস্ত মন্দ দূতের সঙ্গে এই স্বার্থপর লোকেদেরও ধ্বংস করবেন। আর কখনো দুষ্টতার উৎপত্তি হবে না। সমস্ত অন্যায়কারী চিরকালের জন্য দূর হবে এবং ধার্মিক ব্যক্তিরা অনন্তজীবন পাবে।—প্রকাশিত বাক্য ২০:৭-১০.

আপনি কি সেখানে থাকবেন?

যারা যিহোবা ঈশ্বরকে ভালবাসে, তাদের জন্য এক অনন্তকালীন সুখের প্রত্যাশা রয়েছে। পরমদেশে অনন্তকাল বেঁচে থাকার সময় কোনোকিছুই একঘেঁয়ে লাগবে না। বস্তুতপক্ষে, সময় অতিবাহিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবন আরও আগ্রহজনক হয়ে উঠবে কারণ যিহোবা ঈশ্বর সম্বন্ধে জ্ঞান নেওয়ার কোনো সীমা নেই। (রোমীয় ১১:৩৩) সবসময়ই আপনার কাছে শেখার মতো কোনো না কোনো নতুন বিষয়বস্তু থাকবে এবং আপনি জ্ঞান নেওয়ার জন্য প্রচুর সময় পাবেন। কেন? কারণ আপনি কেবলমাত্র ৭০ বা ৮০ বছরের জন্য নয়, বরং চিরকাল বেঁচে থাকবেন।—গীতসংহিতা ২২:২৬; ৯০:১০; উপদেশক ৩:১১.

আপনি যদি যিহোবাকে ভালবাসেন, তা হলে আপনি সবসময়ই তাঁর ইচ্ছা পালন করে অত্যন্ত আনন্দিত হবেন। প্রেরিত যোহন লিখেছিলেন: “ঈশ্বরের প্রতি প্রেম এই, যেন আমরা তাঁহার আজ্ঞা সকল পালন করি; আর তাঁহার আজ্ঞা সকল দুর্ব্বহ নয়।” (১ যোহন ৫:৩) তাই, যা ন্যায্য তা করার মাধ্যমে যিহোবা ঈশ্বরকে সন্তুষ্ট করতে কোনোকিছুই যেন আপনাকে থামিয়ে না দেয়। ঈশ্বরের বাক্য বাইবেল আপনার সামনে যে-চমৎকার প্রত্যাশা রেখেছে, তা মনে রাখুন। যিহোবার ইচ্ছা পালন করার জন্য আপনার হৃদয়কে দৃঢ়সংকল্পবদ্ধ করুন এবং কখনো সেই পথ থেকে সরে যাবেন না। তা হলে, এই পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের উদ্দেশ্য যখন পরিপূর্ণ হবে এবং আমাদের পৃথিবী গৃহ এক অনন্তকালীন পরমদেশে পরিণত হবে, তখন আপনি সেখানে থাকবেন।

[৪ পৃষ্ঠার চিত্র]

ঈশ্বরের আশীর্বাদের কারণে ইস্রায়েলের ক্ষেতগুলোতে প্রচুর শস্য উৎপন্ন হতো

[৭ পৃষ্ঠার চিত্র]

পরমদেশে আপনি কোন কোন আশীর্বাদ উপভোগ করবেন বলে আশা করেন?